নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিলেকোঠায় অট্টালিকা

maxcse

যুক্তি যেথায় দ্বিধায় ভোগে, আমি সেথায় দ্বিধাহীন...

maxcse › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি বৃষ্টি প্রহর

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১০

বৃষ্টি হচ্ছে তো হচ্ছেই। সেই সকাল থেকে শুরু হয়েছে। এখন বাজে এগারটার বেশি। কিন্তু বৃষ্টি যেন ভাবলেশহীন। না আছে তার তর্জন গর্জন, না আছে তার নমনীয়তা। একই ধারায় ঝরে পড়ছে অবিরত, অবিশ্রামে। নিজের কক্ষের কাছেই ছোট্ট একটি বেলকুনি। তাতে আবার নানা জিনিসপত্রে ভরা। কোণার একটি জায়গায় একটি চেয়ার পাতা। আর ওই চেয়ারটিতেই বসে অনিমেশ বাহিরের দিকে নিমগ্ন হয়ে তাকিয়ে আছে। হাত ঘড়িটার দিকে চোখ ফেরায়। টিউশনিতে যাওয়ার কথা সকাল ৮টার দিকে। কিন্তু বৃষ্টির কারনে বের হওয়া হচ্ছে না। বাসায় ছাতাও নেই। কিন্তু বের তো তাকে হতেই হবে। কালকে সামিয়ার পরীক্ষা শুরু। ওকে তো দেখিয়ে দিতেই হবে। সামিয়া অনিমেশের ছাত্রীর নাম। দশম শ্রেণীর ছাত্রী। বছর খানিক ধরে তাকে পড়ায়। অনিমেশের কাছে ভালর ভাল বলতে যদি কিছু থাকে তা হল সামিয়া। বৃষ্টি একটু কম হওয়া মাত্রই অনিমেশ বেড়িয়ে পড়ে টিউশনির উদ্দেশ্যে। ২ কলিংবেল চাপতেই বাড়ির কাজের মেয়েটি দড়জা খুলে দেয়। অনিমেশ সোজা সামিয়ার কক্ষে চলে যায়।

ভাইয়া, আপনি এতোক্ষনে আসছেন! আপনি জানেন না আগামীকাল আমার পরীক্ষা! আম্মু বারবার এসে দেখে যাচ্ছে আপনি আসছেন কি না। আপনার তো আবার ফোনও নেই যে ফোন করব।

সামিয়া এক নাগারে বলেই গেল।

অনিমেশ ভেজা চুলে হাত দিতে দিতে বলল, তুমি তো জানই আমি কি অবস্থায় থাকি। বাহিরে বৃষ্টি হচ্ছে। আমার না আছে ছাতা, না আছে ফোন। যা আয় করি তা বাড়িতেই দিতে হয়। যাক বাদ দাও এসব। পড়ার কি খবর বল। পড়েছ কিছু? নাকি আমার অপেক্ষায় বসে আছ?

এমন সময় সামিয়ার আম্মু ঘরে প্রবেশ করলেন। সামিয়ার বিছানার উপর বসেই তিনি অনিমেশকে বললেন, কখন এসেছ?

এই তো কিছুক্ষন হল। অনিমেশ উত্তর দিল।

তুমি তো এভাবে পড়াতে পার না। কালকে ওর পরীক্ষা আর তুমি কিনা এখন আসছ? তোমার দায়িত্বজ্ঞান বলে কিছু আছে? তোমার যদি কোন সমস্যা হয় তবে আমাকে বলতে পারতে, তাই না? শিক্ষকদের এমন দায়িত্বহীন হলে চলবে কি করে। টাকা নিতে কম তো নাও না। কিন্তু ফাঁকি দিতেও তো কম দাও না।

আম্মু, ভাইয়া আমাকে গতকাল অনেক খানি দেখিয়ে দিয়েছে। আমি সেগুলো পড়েছি তো। আর আজকে একটু দেখিয়ে দিলেই হবে। সামিয়া বলল।

তুমি চুপ থাক। সব কিছু তো আর তুমি বোঝ না। সামিয়ার মা বলল।

জ্বী মানে খালাম্মা, বাহিরে... অনিমেশ বলার চেষ্টা করল। কিন্তু সামিয়ার মা তাকে থামিয়ে দিয়ে বলা শুরু করলেন।

সামিয়ার পরীক্ষা না থাকলে তোমাকে আর আসতেই বলতাম না। কিন্তু এখন সামিয়ার পরীক্ষা চলছে তাই। আমার সঙ্গে তুমি পরে দেখা কর। বলেই তিনি উঠে চলে গেলেন।

অনিমেশ কি বলবে বুঝতে পারল না। অনেক পিপাসা পেয়েছে। কিন্তু পানি চাইবে কিনা এ নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেল। একটু পরে সামিয়ার দিকে তাকিয়ে কি যেন ভেবে বলল, নাও আমরা পড়াশোনা শুরু করি।

ভাইয়া, আম্মুর কথায় আপনার কি খারাপ লাগছে?

আরে না, খারাপ লাগার কি আছে। খালাম্মার হয়ত মন খারাপ তাই এভাবে বলেছেন। মন ভাল হলে ঠিক হয়ে যাবে। এ রকম তো তিনি কতই বলেছেন এর আগে। আমার এগুলো সয়ে গেছে। যাক, বাদ দাও তো। তুমি পড়া শুরু কর। অনিমেশ বলল।

সামিয়া কি যেন বলতে নিয়ে থেমে গিয়ে লিখতে শুরু করল।







রাত প্রায় বারটা। অনিমেশ গুটিশুটি মেরে বিছানায় শুয়ে আছে। প্রচন্ড জ্বরে গা পুড়ে যাচ্ছে। ঔষুধ খেয়েছে কিন্তু তারপরও কমছে না। 'বৃষ্টিতে কখনই ভিজবি না। বৃষ্টিতে ভিজলেই তোর গায়ে জ্বর আসে। তুই তো আর আমার কাছে থাকিস না তোকে আমি দেখে রাখব। নিজের ভালটা বুঝে চলবি।' মায়ের কড়া নির্দেশটি অনিমেশের মনে পড়ছে বারবার। কিন্তু কি আর করা। টানাপোড়েনের সংসার। বিশ্ববিদ্যালয়ে কেবল তৃতীয়বর্ষ চলে। এখনই তো কেউ আর চাকরি দেবে না। তাই বেঁচে থাকা এবং মাকে কিছু পাঠান এসব কিছুই নির্ভর করে টিউশনির উপরে। অনিমেশ ভাবতে থাকে। কিন্তু অসুস্থ শরীর তাকে তেমন করে ভাবতে দেয় না।





হন্তদন্ত হয়ে অনিমেশ সামিয়ার ঘরে প্রবেশ করল। চার চারটা দিন আসতে পারিনি। তোমার লেখাপড়ায় অনেক ক্ষতি হয়েছে। বই বের কর। কালকে তো পরীক্ষা আছে। কী পরীক্ষা যেন কালকে?

সামিয়া এক পলকে অনিমেশের দিকে তাকিয়ে আছে। ভাইয়া, এ চার দিন আসেন নি কেন?

আর বল না, সেদিন আসলাম না, বাসায় গিয়েই প্রচন্ড জ্বর। আর ঊঠতেই পারিনি। খালাম্মা অনেক মন খারাপ করেছে, না! ওকে সমস্যা নেই। তুমি পরীক্ষায় ভাল করলেই তো হল, তাই না?

এমন সময় আবার কলিংবেল বেজে ঊঠল।

আপা, আপনার নতুন স্যার আসছে। কাজের মেয়ে বলে গেল।

সঙ্গে সঙ্গেই নতুন স্যার প্রবেশ করল। অনিমেশ উঠে দাড়াল।

অনিমেশের উদ্দেশ্যে সামিয়া বলল, ভাইয়া, গত পরশুদিন থেকে আম্মু নতুন টিচার দিয়েছেন। আম্মু বলেছে, আপনাকে আর আসতে হবে না।

হঠাৎ করে যেন অনিমেশের মাথায় বাজ পড়ল। একটু আগের হাসিখুশি মুখটি মলিন হয়ে উঠল।

খালাম্মার সঙ্গে একটু দেখা করা যায়? অনিমেশ বলল।

না, আম্মু আপনার সঙ্গে কথা বলবে না। এ মাসের টাকা আমার কাছে দিয়েছে। এই নিন। বলে সামিয়া একটা সাদা খাম সামনে এগিয়ে দিল।

কিছুক্ষণ ওটার দিকে তাকিয়ে থেকে অনিমেশ বড় একটা নিশ্বাস ছেড়ে বলল

না, ওটা তোমার কাছেই রেখে দিও। তোমার না সামনে জন্মদিন। ওটা দিয়ে কিছু কিনে নিও।

বলেই দড়জার দিকে পা বাড়াল অনিমেশ।

পিছন পিছন সামিয়াও গেল।

ভাইয়া ডাক শুনে অনিমেশ দাঁড়িয়ে গেল। তার চোখে পানি চিকচিক করছে। সামিয়া সামনে চলে আসল।

ভাইয়া, আপনি আর আসবেন না, তাই না?

নিজেক সামলে নিয়ে অনিমেশ বলল, নাহ, তোমাকে আমি আর পড়াতে আসব না, আর দেখাও হবে না হয়তো।

সামিয়া অনিমেশের হাত ধরে বলল, টাকাগুলো নিয়ে যান। টাকাগুলো তো আপনার দরকার। আপনার আম্মুকে না টাকা পাঠাতে হয় প্রতি মাসে!

না থাক, তোমার কাছেই রেখে দাও, ভাইয়ার স্মৃতি করে। বলেই দড়জার বাইরে পা বাড়াল অনিমেশ।

সামিয়া তাকিয়ে রইল সেদিকেই। হঠাৎ করে তার চোখ ঝাপসা হয়ে এলো।





১৮-১২-২০১২

ধানমন্ডি, ঢাকা।বৃষ্টি হচ্ছে তো হচ্ছেই। সেই সকাল থেকে শুরু হয়েছে। এখন বাজে এগারটার বেশি। কিন্তু বৃষ্টি যেন ভাবলেশহীন। না আছে তার তর্জন গর্জন, না আছে তার নমনীয়তা। একই ধারায় ঝরে পড়ছে অবিরত, অবিশ্রামে। নিজের কক্ষের কাছেই ছোট্ট একটি বেলকুনি। তাতে আবার নানা জিনিসপত্রে ভরা। কোণার একটি জায়গায় একটি চেয়ার পাতা। আর ওই চেয়ারটিতেই বসে অনিমেশ বাহিরের দিকে নিমগ্ন হয়ে তাকিয়ে আছে। হাত ঘড়িটার দিকে চোখ ফেরায়। টিউশনিতে যাওয়ার কথা সকাল ৮টার দিকে। কিন্তু বৃষ্টির কারনে বের হওয়া হচ্ছে না। বাসায় ছাতাও নেই। কিন্তু বের তো তাকে হতেই হবে। কালকে সামিয়ার পরীক্ষা শুরু। ওকে তো দেখিয়ে দিতেই হবে। সামিয়া অনিমেশের ছাত্রীর নাম। দশম শ্রেণীর ছাত্রী। বছর খানিক ধরে তাকে পড়ায়। অনিমেশের কাছে ভালর ভাল বলতে যদি কিছু থাকে তা হল সামিয়া। বৃষ্টি একটু কম হওয়া মাত্রই অনিমেশ বেড়িয়ে পড়ে টিউশনির উদ্দেশ্যে। ২ কলিংবেল চাপতেই বাড়ির কাজের মেয়েটি দড়জা খুলে দেয়। অনিমেশ সোজা সামিয়ার কক্ষে চলে যায়।

ভাইয়া, আপনি এতোক্ষনে আসছেন! আপনি জানেন না আগামীকাল আমার পরীক্ষা! আম্মু বারবার এসে দেখে যাচ্ছে আপনি আসছেন কি না। আপনার তো আবার ফোনও নেই যে ফোন করব।

সামিয়া এক নাগারে বলেই গেল।

অনিমেশ ভেজা চুলে হাত দিতে দিতে বলল, তুমি তো জানই আমি কি অবস্থায় থাকি। বাহিরে বৃষ্টি হচ্ছে। আমার না আছে ছাতা, না আছে ফোন। যা আয় করি তা বাড়িতেই দিতে হয়। যাক বাদ দাও এসব। পড়ার কি খবর বল। পড়েছ কিছু? নাকি আমার অপেক্ষায় বসে আছ?

এমন সময় সামিয়ার আম্মু ঘরে প্রবেশ করলেন। সামিয়ার বিছানার উপর বসেই তিনি অনিমেশকে বললেন, কখন এসেছ?

এই তো কিছুক্ষন হল। অনিমেশ উত্তর দিল।

তুমি তো এভাবে পড়াতে পার না। কালকে ওর পরীক্ষা আর তুমি কিনা এখন আসছ? তোমার দায়িত্বজ্ঞান বলে কিছু আছে? তোমার যদি কোন সমস্যা হয় তবে আমাকে বলতে পারতে, তাই না? শিক্ষকদের এমন দায়িত্বহীন হলে চলবে কি করে। টাকা নিতে কম তো নাও না। কিন্তু ফাঁকি দিতেও তো কম দাও না।

আম্মু, ভাইয়া আমাকে গতকাল অনেক খানি দেখিয়ে দিয়েছে। আমি সেগুলো পড়েছি তো। আর আজকে একটু দেখিয়ে দিলেই হবে। সামিয়া বলল।

তুমি চুপ থাক। সব কিছু তো আর তুমি বোঝ না। সামিয়ার মা বলল।

জ্বী মানে খালাম্মা, বাহিরে... অনিমেশ বলার চেষ্টা করল। কিন্তু সামিয়ার মা তাকে থামিয়ে দিয়ে বলা শুরু করলেন।

সামিয়ার পরীক্ষা না থাকলে তোমাকে আর আসতেই বলতাম না। কিন্তু এখন সামিয়ার পরীক্ষা চলছে তাই। আমার সঙ্গে তুমি পরে দেখা কর। বলেই তিনি উঠে চলে গেলেন।

অনিমেশ কি বলবে বুঝতে পারল না। অনেক পিপাসা পেয়েছে। কিন্তু পানি চাইবে কিনা এ নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেল। একটু পরে সামিয়ার দিকে তাকিয়ে কি যেন ভেবে বলল, নাও আমরা পড়াশোনা শুরু করি।

ভাইয়া, আম্মুর কথায় আপনার কি খারাপ লাগছে?

আরে না, খারাপ লাগার কি আছে। খালাম্মার হয়ত মন খারাপ তাই এভাবে বলেছেন। মন ভাল হলে ঠিক হয়ে যাবে। এ রকম তো তিনি কতই বলেছেন এর আগে। আমার এগুলো সয়ে গেছে। যাক, বাদ দাও তো। তুমি পড়া শুরু কর। অনিমেশ বলল।

সামিয়া কি যেন বলতে নিয়ে থেমে গিয়ে লিখতে শুরু করল।







রাত প্রায় বারটা। অনিমেশ গুটিশুটি মেরে বিছানায় শুয়ে আছে। প্রচন্ড জ্বরে গা পুড়ে যাচ্ছে। ঔষুধ খেয়েছে কিন্তু তারপরও কমছে না। 'বৃষ্টিতে কখনই ভিজবি না। বৃষ্টিতে ভিজলেই তোর গায়ে জ্বর আসে। তুই তো আর আমার কাছে থাকিস না তোকে আমি দেখে রাখব। নিজের ভালটা বুঝে চলবি।' মায়ের কড়া নির্দেশটি অনিমেশের মনে পড়ছে বারবার। কিন্তু কি আর করা। টানাপোড়েনের সংসার। বিশ্ববিদ্যালয়ে কেবল তৃতীয়বর্ষ চলে। এখনই তো কেউ আর চাকরি দেবে না। তাই বেঁচে থাকা এবং মাকে কিছু পাঠান এসব কিছুই নির্ভর করে টিউশনির উপরে। অনিমেশ ভাবতে থাকে। কিন্তু অসুস্থ শরীর তাকে তেমন করে ভাবতে দেয় না।





হন্তদন্ত হয়ে অনিমেশ সামিয়ার ঘরে প্রবেশ করল। চার চারটা দিন আসতে পারিনি। তোমার লেখাপড়ায় অনেক ক্ষতি হয়েছে। বই বের কর। কালকে তো পরীক্ষা আছে। কী পরীক্ষা যেন কালকে?

সামিয়া এক পলকে অনিমেশের দিকে তাকিয়ে আছে। ভাইয়া, এ চার দিন আসেন নি কেন?

আর বল না, সেদিন আসলাম না, বাসায় গিয়েই প্রচন্ড জ্বর। আর ঊঠতেই পারিনি। খালাম্মা অনেক মন খারাপ করেছে, না! ওকে সমস্যা নেই। তুমি পরীক্ষায় ভাল করলেই তো হল, তাই না?

এমন সময় আবার কলিংবেল বেজে ঊঠল।

আপা, আপনার নতুন স্যার আসছে। কাজের মেয়ে বলে গেল।

সঙ্গে সঙ্গেই নতুন স্যার প্রবেশ করল। অনিমেশ উঠে দাড়াল।

অনিমেশের উদ্দেশ্যে সামিয়া বলল, ভাইয়া, গত পরশুদিন থেকে আম্মু নতুন টিচার দিয়েছেন। আম্মু বলেছে, আপনাকে আর আসতে হবে না।

হঠাৎ করে যেন অনিমেশের মাথায় বাজ পড়ল। একটু আগের হাসিখুশি মুখটি মলিন হয়ে উঠল।

খালাম্মার সঙ্গে একটু দেখা করা যায়? অনিমেশ বলল।

না, আম্মু আপনার সঙ্গে কথা বলবে না। এ মাসের টাকা আমার কাছে দিয়েছে। এই নিন। বলে সামিয়া একটা সাদা খাম সামনে এগিয়ে দিল।

কিছুক্ষণ ওটার দিকে তাকিয়ে থেকে অনিমেশ বড় একটা নিশ্বাস ছেড়ে বলল

না, ওটা তোমার কাছেই রেখে দিও। তোমার না সামনে জন্মদিন। ওটা দিয়ে কিছু কিনে নিও।

বলেই দড়জার দিকে পা বাড়াল অনিমেশ।

পিছন পিছন সামিয়াও গেল।

ভাইয়া ডাক শুনে অনিমেশ দাঁড়িয়ে গেল। তার চোখে পানি চিকচিক করছে। সামিয়া সামনে চলে আসল।

ভাইয়া, আপনি আর আসবেন না, তাই না?

নিজেক সামলে নিয়ে অনিমেশ বলল, নাহ, তোমাকে আমি আর পড়াতে আসব না, আর দেখাও হবে না হয়তো।

সামিয়া অনিমেশের হাত ধরে বলল, টাকাগুলো নিয়ে যান। টাকাগুলো তো আপনার দরকার। আপনার আম্মুকে না টাকা পাঠাতে হয় প্রতি মাসে!

না থাক, তোমার কাছেই রেখে দাও, ভাইয়ার স্মৃতি করে। বলেই দড়জার বাইরে পা বাড়াল অনিমেশ।

সামিয়া তাকিয়ে রইল সেদিকেই। হঠাৎ করে তার চোখ ঝাপসা হয়ে এলো।





১৮-১২-২০১২

ধানমন্ডি, ঢাকা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.