![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ধর্ম যার যার, মানবতা অধিকার
নানাবাড়িতে শৈশবের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে । মাঝেমধ্যে খুব বেশি মনে পড়ে । আমার নানারা ছিলেন তিন ভাই । তিনজনের মধ্যে বড় নানা এবং ছোট নানা ছিলেন ব্যবসায়ি, মেঝো নানা আব্দুস সামাদ খান ছিলেন অত্যন্ত নামকরা পুলিশসুপার (তিনি সর্বশেষ, NSI এর ডেপুটি ডায়রেক্টার হয়েছিলেন) । মেঝো নানা পুলিশে চাকরি করলে জীবনে কোন দিন ঘোষ দুর্নীতির সাথে জড়াননি, কারণ তিনি ছিলেন ধর্মপরায়ণ । অপরদিকে বড় নানা মমরুজ খান (আমারা মায়ের বাপ) ছিলেন পালা গানের ননিবেদিত প্রাণ । আমরা শৈশবে দেখেছি নানা ঘড়ে বসে হারমোনিয়াম বাজিয়ে একা একা গান গাইতেন । আর ছোট আব্দুল মজিদ খান ছিলেন সাংস্কৃতি মনা মানুষ । আমার নানা মমরুজ খান মারা যাওয়ার পর যখন নানা বাড়ি যেতাম তখন বিশেষ করে বর্ষাকালে আমার ছোট নানা আব্দুল মজিদ খান, পুথি পাঠের আয়োজন করতেন । বাংলা ঘরে অথবা উঠানে শীতলপাটি বিছিয়ে আমরা সবাই বসতাম । নাতি নাতনিদের সাথে নিয়ে নানা বসতেন শীতলপাটিতে । পুথি পাঠক ‘শায়ের’ বসতেন একপাশে । গাছার উপর থাকত লেম (লেম>কেরসিনের কুপি, গাছা>কুপি রাখার পাত্র) । জলচকির উপর থাকত পুথি বই (জলচকি> বসার পপিড়ি, চার পা ওয়ালা) পুথয়াল বা শায়ের সুর করে পুথি পাঠ করত, আমরা নিশ্চুপ শুনতাম । নানু (হেনা খাতুন চৌধুরী) এবং খালারা অনেক ধরণের নাস্তা চা ইত্যাদি বানিয়ে কিছুক্ষণ পরপর পাঠাতেন । এভাবে অনেক দিন পুথি শুনেছি, কিচ্ছা শুনেছি । এখন সময়ের ব্যবধানে নানা বাড়িতে যাওয়া হয়না অনেকদিন । নানা অসুস্থ, বিছানা থেকে উঠতে পারেননা । খালাদের বিয়ে হয়েছে । মামারা চাকুরী করেন, একজন দেশের বাইরে থাকেন, একজন সিলেট থাকেন, অন্য মামারাও মারা গেছেন । মামাতো ভাইয়েরাও শহরে থাকে । সব মিলিয়ে নানা বাড়ির সেই পরিবেশ হাকডাক না থাকলে শৈশবের স্মৃতিগুলো মাঝেমধ্যে মনেপড়ে । বর্তমানে পুথি পাঠের আসর কোথা শুনা যায়না । তাই নিজেই পুথি লিখতে শুরু করেছি । আশাকরি খুব শীঘ্র লেখা শেষ হবে । এই পুথি সাহিত্য একসময় নিম্নবিত্তের চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী ও শ্রমজীবী মানুষের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় ছিল। কিন্তু বর্তমান সময়ে সৃজনশীল, মানবভাবনা ও কাব্যিক মনোভাব সম্পন্ন মানুষ ছাড়া পুথির পাঠ করতে চায় না এমনকি পুথি পাঠকও পাওয়া যায় না। তাই নিজে থেকে উদ্যোগ নিয়েছি- এবারের বইমেলা আমার লেখা ‘ভাবের পান্থশালা’ ২২০টি গানের বইয়ের সাথে নেজর লেখা একটি পুথির বইও প্রকাশ করব । সর্বোপরি ফেব্রুয়ারি মাসে দিরাই অডিটরিয়াম হলে পুথি পাঠের আসর দেবো, সেথানে আমি নিজেই পুথি পাঠ করে শুনাব স্থানীয়দের সবাইকে । নানা বাড়ির সেই স্মৃতিগুলো মনে হওয়া থেকে এই উদ্যোগ নিলাম । এই উদ্যোগে স্থানীয় লোকজন পুথি সাহিত্যের প্রতি উৎসাহি হতে পারে । এই প্রত্যাশায় ...
২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:০৭
ফারুকুর রহমান চৌধুরী বলেছেন: বাবা ঘর জামা না হলে নানার বাড়ির গল্প করতে নেই বুঝি ! আপনার নানা বাড়ি নেই ? যাহোক, আমার দাদার বাড়ির সবাই ধার্মিক, সেখানে এসব ভন্ডামি চলে না, আমি ভন্ডদের সাথে চলে ভন্ড হয়ে গেছি, তাই ভন্ডদের সাথে... । চাঁদগাজী
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমরা বলি দাদা আর বাবার বাড়ির গল্প, আপনি বলছেন নানার বাড়ির গল্প; বাবা ঘর জামাই নাকি?