নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন চাত্র।আমি শেরে-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এ পড়ি।

ছাত্র

mdabul4579

আমি শেরেবাংলা এগ্রি ইউনিভার্সিটি তে পরি

mdabul4579 › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজধানীতে প্রতারণা বানিজ্যে নতুন সংযোজন অভিনব ‘কুমারী বানিজ্য’

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৩২

নারীরা কোমলমতি, সৃষ্টির আদিকাল থেকে সব সমাজে, গোত্রে নানাবিধ কারণে/আকর্ষণে পুরুষেরা নারীদের প্রতি দুর্বল অথবা সহানুভূতিশীল থেকে থাকে। সেই দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে উল্লেখযোগ্য ক্ষেত্রে এক শ্রেনীর নারীরা পুরুষদের প্রতারিত করে আসছে। এখনও করছে । তবে এসব ক্ষেত্রে ব্যাক্তিগত জীবনে নিঃসঙ্গ থাকা এবং বিশেষত দুর্বল মানসিকতার পুরুষরাই ফাঁদে পড়ছেন এমন প্রতারণার ।

অথচ যে কোন নতুন সম্পর্কে জড়ানোর আগে একটু সতর্ক চিত্তে আশেপাশে যা কিছু ঘটছে তার উপর চোখ কান খোলা রেখে পথ চললে অনাকাঙ্ক্ষিত অনেক প্রতারণা আর বিপদ থেকে নিরাপদ থাকতে পারি আমরা ।

প্রতারণা ও অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ছে নারীরা। মাদক ব্যবসা ও পাচারের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে নারীদের। এমনকি ছিনতাইয়ের টোপ হিসেবেও ব্যবহৃত হচ্ছে তারা। চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণার সঙ্গে সম্পৃক্ত আছে এক শ্রেণীর নারী। জাল টাকার ব্যবসায় জড়িত বেশ অসংখ্য সুন্দরী নারী। এমনকি নারীরা এখন পারিবারকভাবেও অপরাধ জগতে জড়িয়ে পড়ছে।

রাজধানী ঢাকা সহ দেশের প্রায় সবখানেই একশ্রেনীর অপরাধী নারীদের টোপ হিসেবে ব্যাবহার করে খুব সহজেই ফাঁদে ফেলে সর্বস্ব লুটে নিচ্ছে। আবার কোথাও প্রফেশনাল গ্যাং বা গ্রুপের সদস্য না হয়েও স্ব-প্রণোদিত হয়ে নিজের কুট- কৌশলে একাই কাউকে ফাঁদে ফেলে ব্লাকমেইল করছে চতুর নারী । বিভিন্ন মিডিয়ার অপরাধ অনুসন্ধানে এবং প্রকাশে এমন অনেক তথ্য প্রায় সবার জানা । তারপরেও অসতর্ক হয়ে ভুল করে প্রতিদিনই ফাঁদে পা ফেলছে অনেকেই ।

এত কিছুর পরেও বিশ্বাস ছাড়া কিন্তু চলবেনা। সময়ের কণ্ঠস্বরের আজকের প্রতিবেদন শুধুই আপনার নিরাপদ থাকার জন্য একটু চোখ-কান খুলে পা ফেলার জন্য একটি সতর্কবার্তা । তাই বলে ‘কাউকেই বিশ্বাস করা যাবেনা’ এমন মানসিকতা তৈরির করার অপচেষ্টা আপনারা কেওই করবেননা । বেচে থাকার প্রয়োজনেই কাউকে না কাউকে আপনার বিশ্বাস করতেই হবে ।

রাজধানী সহ সারাদেশেই এরকম অনেক কিছু প্রতারক চক্র আছে। এসব প্রতারকদের হাত থেকে রক্ষার জন্য সবার আগে প্রয়োজন সতর্কতা। পারিবারিক, সামাজিক ও আর্থিক কারনে নারীরা এ ধরনের প্রতারণার সাথে যুক্ত হয়ে পড়ছে।’

‘ কুমারী বানিজ্য “শিরোনামেই অনেকেই চমকাতে পারেন। ভিকটিম বা শিকারের চোখ ফাকি দিতে নানা সময়ে অপরাধের পরিবর্তনের ধারাবাহিকতায় এবার রাজধানী সহ সারাদেশে প্রতারণা বানিজ্যে নতুন সংযোজন ‘ কুমারী বানিজ্য ” । অনেক নারী স্বতন্ত্রভাবে ব্ল্যাকমেইল, প্রতারণা ও মাদক ব্যবসায় নিজেদের জড়িয়ে ফেলছে। সেসব অনেকের কাছে পুরনো হয়ে যাওয়ায় এখন শুরু হয়েছে ‘কুমারী বাণিজ্য’ । সুন্দরী স্মার্ট তরুণীরা ধনাঢ্য ব্যক্তিদের টার্গেট করে নানা কৌশলে তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করে। নিজেদের অবিবাহিত বা কুমারী দাবি করে ছল- চাতুরীর মাধ্যমে মোটা অংকের কাবিন করে একসময় সম্পর্ক গড়ায় বিয়ে পর্যন্ত । পরে ঠুনকো অজুহাতে স্বামীর পরিবারকে মামলার ভয় দেখিয়ে আদায় করে নেয় কাবিনের টাকা। অনেকে বিয়ে করে কিছুদিন পর টাকা, সোনা ও মূল্যবান সম্পত্তি নিয়ে হাওয়া হয়ে যায়।

সম্প্রতি আইরিন আক্তার ও কান্তা মনি নামে দুই তরুণীর বিরুদ্ধে কুমারী সেজে প্রতারণার ঘটনায় এমন অভিনব প্রতারণার কৌশল বেরিয়ে এসেছে ।

আইরিন আক্তারের প্রতারণার শিকার হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এক মার্কিন নাগরিক শরফুদ্দিন আহম্মেদ। শরফুদ্দিন আহম্মেদ নিঃসঙ্গ হবার সুবাদে ঐ সুন্দরী প্রতারক তরুনী নিজেকে কুমারী দাবী করে শরফুদ্দিনের কাছে আসার সুযোগ নেয় । আর এই কাজে খোদ আইরিনের বাবা আব্দুল হাই এবং তার ভগ্নিপতি দেলোয়ারও সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে।

কয়েক বছর আগে অল্প কদিনের পরিচিত দেলোয়ার নামের এক বন্ধুর মাধ্যমে তার ‘শ্যালিকা’ আইরিনের সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্কে বিয়ে হয় শরফুদ্দিনের। বিয়ের পর শরফুদ্দিনের সম্পত্তি হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে আইরিন। এক পর্যায়ে স্ত্রীর নামে ২০ লাখ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট করে দিতে বাধ্য হন তিনি। এর মধ্যে শরফুদ্দিন জানতে পারেন আইরিনের সঙ্গে ইতপূর্বেই ইব্রাহিম খলিল নামে এক ব্যক্তির বিয়ে হয়, এবং একটু দূরত্ব থাকলেও তাদের এখনো সম্পর্ক আছে । বিষয়টি জানার পর স্ত্রীর সঙ্গে তার ঝগড়া হয়। পরে আইরিন স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা নিয়ে বাবার বাসায় চলে যান।

এ নিয়ে তেজগাঁও থানায় জিডি করেন শরফুদ্দিন। পরে স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা ফেরত দেয়ার কথা বলে আইরিন শরফুদ্দিনের বাসায় ফিরে এসে কয়েক দিন থাকার পর আবারো লাগেজ ভর্তি করে মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করেছেন শরফুদ্দিন।

অন্যদিকে কান্তা মনি (২৩) নামে আরেক তরুণীর প্রতারণার শিকার হয়েছেন ইয়াছিন হোসেন কিরণ নামে এক যুবক। প্রেমের অভিনয় করে কিরণের সঙ্গে ৫ লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে হয়।
কিরণের সঙ্গে বিয়ের সময় কান্তা নিজেকে কুমারী দাবি করেন। বিয়ের কয়েকদিন পর থেকে স্বরূপে ফিরেন কান্তা। মদ্যপ অবস্থায় বাসায় ফিরতে শুরু করেন। এ নিয়ে স্বামীর সঙ্গে তার মনোমালিন্যে এক পর্যায়ে কান্তা তার কাবিনের ৫ লাখ টাক দাবি করেন। টাকা আদায় করতে না পারায় কান্তা কিরণ ও তার পরিবারের নামে মামলা করেন। পরে কিরণ জানতে পারেন এর আগেও কান্তার সঙ্গে নারায়নগঞ্জের সুজন ভূইয়ার বিয়ে হয়। ওই বিয়েতে কাবিন হয় এক লাখ টাকা। সেখানেও একইভাবে টাকা নিয়ে সটকে পড়েন তিনি।

সম্প্রতি বিয়ে গোপন রেখে কুমারী দাবি করে পুনরায় বিয়ে করে স্বামীর সঙ্গে প্রতারনা করার অভিযোগে স্ত্রীসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বরিশালের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। মামলাটি দায়ের করেন নগরীর ব্রাউন কম্পাউন্ড এলাকার বাসিন্দা মৃত নেহাজ উদ্দিন মৃধার ছেলে জিয়াদুল হাসান।

অভিযোগে জানা যায়, লিপি আগের বিয়ের কথা গোপন রেখে নিজেকে কুমারী দাবি করে জিয়াদুল হাসানকে বিয়ে করেন। জিয়াদুল বিয়ের পরেই জানতে পারেন তার সদ্য বিবাহিত স্ত্রী আগেও একবার বিয়ে হয়েছিল।

এমন অনেক ঘটনাই ঘটছে চারপাশে । সব ঘটনাই প্রকাশিত হয়না, বেশিরভাগই প্রতারিত হয়ে লোক লজ্জা আর সামাজিকতার ভয়ে মুখ খুলেননা ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.