![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি শেরেবাংলা এগ্রি ইউনিভার্সিটি তে পরি
শুরুতেই বলে নিচ্ছি এই গল্পের সকল চরিত্র ও জায়গার নাম কাল্পনিক। কারও বাস্তব জীবনের সাথে মিলে গেলে কর্তৃপক্ষ কোনওভাবে দায়ী নহে।
আমাদের পৃথিবী থেকে কয়েককোটি আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত গ্যালাকটোস নামক এক সৌরজগৎ রয়েছে। ঐ সৌরজগতে ১৯৩ টি গ্রহ আছে। এদের মধ্যে একটি গ্রহের নাম বামলা গ্রহ। এই বামলা গ্রহের একটি দেশের নাম ব্যাঘ্র দেশ। এই দেশের সবাই একেকজন ব্যাঘ্রর মতো সাহসী। তাই এই আজব নাম। এই ব্যাঘ্র দেশ নিয়েই আমার গল্প।
এই ব্যাঘ্র দেশ প্রতিষ্ঠিত ( আবিষ্কার ) হয়েছিলো ৮৩৯১ সালে। এই দেশের কিছু নিয়ম ছিলো। এইদেশে থাকতে পারবে শুধু মেধাবীরাই। এই দেশের জনসংখ্যা ছিলো প্রায় আড়াই হাজার। এইদেশে বসবাসের কিছু আর্ন্তজাতিক নিয়ম ছিলো । এর মধ্যে একটি হলো ১০০ নম্বরের এমসিকিউ ( নৈর্ব্যক্তিক ) পরীক্ষা। এই পরীক্ষা দিয়ে প্রথম ৫০০ জন মানুষ অন্য গ্রহ থেকে এখানে এসে ছয়বছরের জন্য থাকতে পারতো। এই মানুষদের মধ্যেও আবার অনেক মজার ছয়টি ভাগ ছিলো । একেকটি ভাগ একেকটি অঞ্চল নামে পরিচিতি ছিলো। এগুলোর নমও বড় অদ্ভুত যেমন : মরু অঞ্চল, নদী অঞ্চল, কমলা অঞ্চল, ঢাকডোল অঞ্চল, পাগল অঞ্চল ও ময়না অঞ্চল। এরা এই ছয়টি ভাগে বিভক্ত হয়ে সেখানে বসবাস করতো। তারা সারাদিন একসাথে বাস করলেও তাদের মধ্যে ছিলো অঞ্চল নামের এক অদৃশ্য পর্দা। যা তারা কখোনো মন থেকে দূর করতে পারতো না কিংবা চেষ্টা করতো না।
যাইহোক, এই ছয়টি অঞ্চলের লোকজন সব বুঝতো । তারা মুখে অনেক উদার উদার কথা বলতো। কিন্তু যখনই একেক অঞ্চলের লোকজন নিজেদের ঘরে যেতো, বলতো ‘ তোরা একসাথে চলবি। অন্যদের পাত্তা দেওয়ার দরকার নাই। এইখানে তোরাই নেতা। ’
এই দেশের প্রশাসনেরও ছিলো একই অবস্থা। প্রশাসনে নিয়োগ থেকে শুরু করে সবকিছু নিয়ন্ত্রিত হতো প্রশাসনের রাষ্ট্রপতির দ্বারা। তিনিই সবকিছর হর্তাকর্তা।
আর মানুষগুলো কেমন জানি অদ্ভুত ছিলো। তাদেও প্রধান কাজ ছিলো সারাদিন টাইপ ( লেখালেখি ) করা। এর ফাকে ফাকে তারা মারামারি, বাড়িঘর দখল, শোডাউন সবই করতো।এইদেশের সবচেয়ে ভালো ব্যাবসা হলো কাপড়ের ব্যাবসা। প্রতি ৬০ পিছ কাপড়ের দাম ১০০ টাকা। এই ব্যাবসা আবার সবাই করতে পারতো না। কিছু নির্বাচিত লোক করতে পারতো। এই ব্যাবসা দখলের জন্য প্রতি বছর মানুষের মাথা ফাটে, কেউ কেউ হাসপাতালেও ভর্তি হয়।
তাদের মধ্যে উপরে উপরে অনেক মিল থাকলেও তারা সামান্য বিষয় নিয়েও নিজেরা নিজেরা ঝামেলা বাধাতো। যেমন : গায়ে ঝোল লাগা, বিছানায় পিপড়া দেয়া, অন্যের গার্লফ্রেন্ডকে টিজ করা, মুঠোফোনে দুষ্টুমি করা।
প্রত্যেক অঞ্চলের এক জন করে নেতাও ছিলো। কিন্তু এই নেতারা সবসময় রাষ্ট্রতির পিছন পিছন ঘুরতো। কারন নিয়োগ থেকে বদলি সবকিছুই তিনি নিয়ন্ত্রন করতে পারতেন।
একবার হলো কি, এই দেশে আসার জন্য আয়োজিত পরীক্ষা কেন্দ্রে বেশ কয়েকজন অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি নিয়ে ধরা পড়লো। কিন্তু রাষ্ট্রপতি তাকে ছেড়ে দিলেন। কারন লোক জানাজানি হলে সব ফাস হয়ে যাবে যে! এই দেশের সাংবদিকরা সব টের পেয়ে যেত। তাই তাকে সবসময় ভয়ে ভয়ে থাকতে হতো।
এইদেশের মানুষগুলোর মধ্যে তেমন শক্ত একতাবোধ ছিলো না। তাই তাদেরকে অনেক ঠকতে হতো। যেমন : এইদেশের মানুষগুলোর একটি দর্শনীয় টাওয়ার ছিলো। যেখানে তারা অবসর সময় কাটাতো। একবার প্রশাসনের কি মনে হলো, তারা সেটি ভেঙে ফেললো। কিছু মানুষ মাথা তুলে কথা বলতে চাইলে, তাদেরকে থমিয়ে দেয়া হয় ভয় দেখিয়ে। আর বাকিরা টাওয়ারটিকে বাচিয়ে রেখেছিলো তাদের ফেসবুক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে। কিন্তু কয়েকদিন পরে তাও হারিয়ে গেলো।
একবার এক মানুষ মারা গেলো রোড অ্যাকসিডেন্ট এ। তার মৃত্যুর পর ঐ মানুষেরা দেশে অনেক ভাংচুর চালালো। তাদের কথা , ‘ আমার ভাই মরেছে, তাই আমি ভাংচুর চালাবো।’ কিন্তু মজার ব্যাপার হলো এ্খানোও হলো রাজনীতি। প্রশাসন থেকে আশা দেওয়া হলেও , একটি বাদে বাকিগুলো পূরণ করেনি তারা। তাদের দেশের ওয়েবসাইটটিরও ছিলো অনেক সমস্যা।
এতো কষ্টের মাঝেও তাদের একটুকু সুখ ছিলো, তাদের দেশের সংস্কৃতিমনা মানুষেরা অন্য দেশ থেকে অনেক সুনাম কুরিয়ে আনতো। এই দেশ থেকে যরা অন্য দেশে যেতো অনেক ভালো ভালো জিনিষ আবিষ্কার করে নিজের দেশ কে সবার সামনে প্রতিষ্ঠিত করে তোলার আপ্রাণ চেষ্টা করতো।
২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৮
অগ্নি সারথি বলেছেন: বাল্পুস্ট।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৫১
সরদার হারুন বলেছেন: আেলোক বছর দূরের প্রহে "আনর্তজাতিক" এলাে কেমন করে ?সেখানেতো আপনার যাওয়ার জন্যে যে হেলিকপ্টা ছিল তার বৈঠা ভাঙা ছিল ।