![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইন্টারনেট কি আমাদের ব্রেনকে সতেজ করে তোলে? ব্রেনের বিভিন্ন অংশের মধ্যে যোগাযোগকে কি আরো কার্যকর করে তোলে? এর জবাবে ‘হ্যাঁ’ বলেছেন ড. গ্যারি স্মল। তিনি ইউসিএলএ লঙ্গিবিটি সেন্টারের ডিরেক্টর।
তিনি বলেছেন, ‘তরুণ-তরুণীদের ওপর তথা ‘ডিজিটাল নেটিভদের’ ওপর ইন্টারনেটের প্রভাব উল্লেখযোগ্য।
এই ডিজিটাল নেটিভদের জন্য আজকের এই ল্যাপটপ ও স্মার্টফোনের যুগের জগতে।’ তিনি আরো বলেন, তরুণ-তরুণীদের মগজ বিকাশমান। তাদের মগজ বিশেষত খুবই অনুভবশীল। এদের মগজে মন-মানসের প্রযুক্তির প্রতিফলন সবচেয়ে বেশি।
ড. গ্যারি স্মল বলেন, যেসব তরুণ-তরুণী সাধারণত একসাথে একাধিক প্রযুক্তিযন্ত্র যেমন পিসি ও স্মার্টফোন ব্যবহার করে, তারা মাল্টিটাস্কিংসে বেশি অভ্যস্ত হয়। সোজা কথায় এরা একসাথে বহু কাজ করতে বেশি সক্ষম হয়।
কিন্তু তিনি পকেট ক্যালেন্ডারের যুগে জন্ম নেয়া ‘ডিজিটাল ইমিগ্রান্টদের’ হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই বলে উল্লেখ করেছেন।
কারণ মানুষের মগজ নমনীয় বা ফ্লেক্সিবল। তার মতে, প্রতিদিন সার্চিংয়ের মতো একটি ছোট্ট প্রাযুক্তিক কাজ আপনার-আমার মগজের কাজের ক্ষমতা জোরদার করে তুলতে পারে। বুড়ো মানুষের ব্রেন জোরালো হয়।
এর মাধ্যমে প্রমাণ পাওয়া যায় আমাদের বয়স যতই বাড়তে থাকুক, আমাদের মগজ অব্যাহতভাবে শেখার জন্য অনুভবশীল।
অনলাইনে থাকুন
অনলাইনে ওয়েব সার্চিং মানুষের ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলে তা নিয়ে গবেষণা করছে ইউসিএলএ লঙ্গিবিটি সেন্টার। এই সেন্টারের গবেষকেরা ৫৫-৭৬ বছর বয়সী একদল মানুষের ওপর সমীক্ষা চালিয়ে দেখেছেন, ওয়েবপ্রেমী লোকেরা অন্যদের তুলনায় দ্বিগুণ মগজ খাটাতে পারে।
হাঁটাচলা করুন
ব্যায়াম মানুষের কগনিটিভ ডিক্লাইনের গতি ধীর করে তোলে। এর অর্থ হচ্ছে একটা বয়সে এসে মানুষ তার বোধগম্য ক্ষমতা ধীরে ধীরে হারিয়ে ফেলতে থাকে। ব্যায়াম করলে মানুষের এই বোধগম্যতার ক্ষমতা হারানোর গতি কমে যায়।
গবেষণায় দেখা গেছে, কেউ যদি ৪৫ মিনিট করে সপ্তাহে কমপক্ষে তিনবার হাঁটেন, আর তার স্মৃতিশক্তি যেমন বাড়ে, তেমনি বাড়ে মস্তিষ্কের কাজের ক্ষমতাও। অতএব হাঁটাচলার অভ্যাস ধরে রাখুন।
-
©somewhere in net ltd.