নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সোনা বা গোল্ড হলো পৃথিবীর অন্যতম জনপ্রিয় ধাতু। মেয়েদের সৌন্দর্য্যের সাথে বিষয়টা প্রায় ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আচ্ছা সোনা বাদেও আরো এত এত যে ধাতু পৃথিবীতে আছে যেমন লোহা তামা নিকেল ম্যাগনেসিয়াম ক্যালসিয়াম সোডিয়াম ইত্যাদি এগুলো এলো কোথা থেকে ???
হুম যারা সাইন্সের ছিলেন কিংবা বিজ্ঞান বিষয়ের খোঁজ রাখেন তারা নিশ্চয়ই জানেন যে নিউক্লিয়ার বিক্রিয়া দুই ধরণের ফিশন আর ফিউশন । ফিশনে ভারী মৌলের নিউক্লিয়াস ভেঙে কমভারী মৌল তৈরি হয় আর ফিউশনে ক্ষুদ্র মৌল ভারী মৌলতে পরিণত হয় । দুটোই নিউক্লিয়ার বিক্রিয়া হলেও ফিউশনের শক্তি অনেক বেশি । সব নক্ষত্রে মূলত ফিউশন বিক্রিয়াই ঘটে । ফিউশন বিক্রিয়ায় নক্ষত্রের জ্বালানি হিলিয়াম হাইড্রোজেন এরপরে ধাপে ধাপে আরো ভারী মৌলতে পরিণত হতে থাকে যা নক্ষত্রের কেন্দ্র বা কোরে জমা হয় । যখন মৌল ভারী হতে ভারী হতে থাকে তখন নক্ষত্রের শক্তি বৃদ্ধি পায় । আলোর বর্ণালী সূত্রের মাধ্যমে আমরা জানি যে তপ্ত বস্তু তাপমাত্রা যত বাড়বে এর রং তত নীল হতে থাকবে আর যত কমবে তত তা লালচে হবে । কামারের দোকানে কেউ খেয়াল করলেই দেখবেন যে , সদ্য হাপর থেকে বের করা লৌহ খন্ড অনেকটা সাদা দেখায় আর সেটা সময়ের সাথে সাথে তাপ হারিয়ে লাল হতে থাকে । নক্ষত্রের ব্যাপারটাও একই। তো নক্ষত্র যখন এভাবে ভারী মৌল তৈরি করতে করতে শেষ পর্যায়ে চলে যায় তখন সুপারনোভা বিস্ফোরণ ঘটে নক্ষত্র ধ্বংস হয়ে যায় । আর এই সুপারনোভা বিস্ফোরণ এর মাধ্যমে এসব মৌল মহাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে । কাজেই আমাদের আশে পাশের যত ধাতু আছে সবই কোন না কোন নক্ষত্রের মৃত্যুতে তৈরি !
অবশ্য সব নক্ষত্রের সুপারনোভা বিস্ফোরণ হয় না , এর জন্য একটি নূন্যতম ব্যাসার্ধ লাগে । আমাদের সূর্য সে ব্যাসার্ধ থেকে ছোট তাই সূর্যের সুপারনোভা ঘটার চান্স নেই !!!
ভাবতেই অবাক লাগে তাই না, আমাদের আশে পাশের ধাতু কিংবা শরীরের উপাদান বিভিন্ন ধাতু গুলো এককালে চরম উত্তপ্ত কোন নক্ষত্রের অংশ ছিলো !!!
কেমন না ব্যাপারটা , যে সোনার গহনার ঝলকানিতে আপনার স্ত্রীর বা মায়ের বা মেয়ের বা বোনের গলা ঝলমল করছে সেটা এককালে কয়েক মিলিয়ন কেলভিন তাপমাত্রায় উত্তপ্ত একটি বস্তুর অংশ ছিলো
০৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৫৯
রসায়ন বলেছেন: থ্যাংকু ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:৫৪
কল্পলোকের রাজপুত্র বলেছেন: অনেক কিছু জানতে পারলাম । ধন্যবাদ তথ্যগুলো জানানোর জন্য ।