নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশের অন্যতম খারাপ প্র্যাকটিস হলো সন্তানদের অমতে বিয়ে দেয়া । এই ঘটনা মেয়েদের বেলায় বেশি ঘটতে দেখা যায় । কিন্তু ইসলামী শরীয়ত বলে ভিন্ন কথা । নারীর ক্ষেত্রে বিয়ের জন্য তার অলির(অভিবাবক) পরামর্শ দেয়ার বিধান আছে কিন্তু প্রাপ্তবয়স্ক কোন নারীর অমতে তাকে তার অভিবাবকরা চাইলেই ইচ্ছেমতো বিয়ে দিতে পারেন না । এরকম করলে এক নাম্বারে তো অভিবাবক পাপী হবেনই দ্বিতীয়ত ওই মেয়ে চাইলেই সে বিয়ে বাতিল হয়ে যাবে, সেক্ষত্রে "স্বামীর" সম্মতিও লাগবে না ।
এ বিষয়ে প্রমাণ হিসেবে বুখারী শরীফের ৬৪৫৫ নাম্বার হাদীসটি পড়ে দেখা যেতে পারে
"পূর্বে বিয়ে হয়েছে এমন নারীর সাথে পরামর্শ করা ছাড়া তাকে বিয়ে দেওয়া যাবেনা। আর একজন কুমারী মেয়েকে তার সম্মতি আছে কিনা জিজ্ঞাস না করে তাকে বিয়ে দেওয়া যাবেনা। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলো, কুমারী মেয়েকে কিভাবে জিজ্ঞাসা করা হবে (কারণ, সেতো লজ্জায় হ্যা বা না কিছুই বলবেনা)।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বললেনঃ “কুমারী মেয়ের নীরব থাকাই হলো সম্মতি।”
সহীহ আল-বুখারী ৬৪৫৫।
আর এটি কেবল অভিবাবকই না সকল জোর জবরদস্তি বিয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য । ইসলামি আইন অনুযায়ী মেয়ের অনুমতি ছাড়া কোন "বিয়ে" বিয়ে হিসেবেই কাউন্ট হবে না, অস্ত্র বা হুমকির মুখে ওই বাংলা সিনেমায় যা দেখি আরকি আমরা জোর করে কাবিনে স্বাক্ষর করিয়ে নিলে বা একশো বার কবুল বলালেও বিয়ে হবে না । বাবার ক্ষমতা নিয়ে কিছুটা ভিন্নমত আছে বিভিন্ন মাযহাবে । যেমন, হানাফি মাযহাব অনুযায়ী বাবার পরামর্শ দেয়ার রাইট আছে তবে জোর করে বিয়ে দিলে সেটা সঠিক হবে না যদিও বাকি তিন মাযহাব অনুযায়ী বাবার বিয়ে দেয়ার কথা বলা হয়েছে । তবে ইমাম আবু হানিফার কথার পক্ষে জোরালো এভিডেন্স আছে এবং বাংলাদেশ এর আইনও এটিকে সমর্থন করে । এর ভিন্নতাও দেশভেদে পাওয়া যাবে যেমন মালয়েশিয়া বাবা কর্তৃক মেয়েকে জোর করে বিয়ে দেয়ার একটা চল আছে যদিও এটা এখন অনেক কমে গেছে তবে বাংলাদেশের আইন এ ব্যাপারে কনে বা মেয়ের মতামতের বিষয়টিই গুরুত্ব দিয়েছে ।
যা বলছিলাম , দেশের আইনও একই কথা বলে । জোর করে বিয়ে দিলে বা মেয়ের অমতে বিয়ে দিলে সেটা বিয়ে হিসেবেই গণ্য হবে না, মেয়ে চাইলেই এসব বাতিল হয়ে যাবে । এছাড়া ফৌজদারি অপরাধ হিসেবেও এসব গণ্য হবে ।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ এগুলো হলো মুসলিম আইন । তার মানে এসব শুধু মুসলিম (বিশেষত বাংলাদেশের) ধর্মাবলম্বীদের উপরেই প্রযোজ্য । অন্য ধর্মের জন্য আছে তাদের আলাদা আইন।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪৭
রসায়ন বলেছেন: হ্যা এটাই ।
২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৩
ভিন্নচিন্তা ভিন্নমত ভিন্নপথ বলেছেন: @ রসায়ন -
বিশ্ব যখন এগিয়ে চলেছে
আমরা তখনো বসে,
বিবি তালাকের ফতোয়া খুঁজেছি
ফেকাহ ও হাদিস চষে ।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪৮
রসায়ন বলেছেন: যে সমাজে আমরা বাস করি ওই সমাজের প্রেক্ষিতেই আমাদের ধীরে ধীরে আগাতে হবে । দ্রুত কোন পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব না ।
৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫১
আরোগ্য বলেছেন: ইসলামী আইনের প্রচলন হওয়া উচিত।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪৯
রসায়ন বলেছেন: তখন সামুতে লিখতে পারবো তো ?
৪| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩৭
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: আমাদের ওখানে জোর করে বিয়ে দিতে হয় না, নিজেরাই জোর করে বিয়ে করে। দরকার হয় পালিয়ে যায়.।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫০
রসায়ন বলেছেন: প্রাপ্তবয়স্ক যে কারো আইন মেনে নিজ পছন্দ অনুযায়ী বিয়ে করার অধিকার আছে ।
৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:৪৯
সনেট কবি বলেছেন: ভাল লিখেছেন।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫০
রসায়ন বলেছেন: ধন্যবাদ ব্লগার সনেট কবি
৬| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: আইন দেখাবেন না চৌধুরী সাহেব!!!
প্রেম ভালোবাসা আইন মানে না।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫১
রসায়ন বলেছেন:
৭| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০২
ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: আমার নিজেরই এই বিষয়ে অভিজ্ঞতা আছে। এখন দেখি কোনো নাবালিকা তার বিয়ে ভেঙ্গে দিতে পারলে তাকে সরকার থেকে পুরষ্কার দেওয়া হয়,তবে আমিতো এখনও পাইনি। আমার টা কই?
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৩৫
রসায়ন বলেছেন: আপনার ঘটনা শেয়ার করার মতো হলে ব্লগে পোস্ট করে দিন । নিজ পরিচয়ে না চাইলে অন্য নামে দিন । আমরাও জানি ঘটনাটা , এরপর লাগলে পুরস্কার দিলাম
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১০
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: মেয়ে কবুল না বললে তো বিয়েই হবে না। তবে জোর করে বলালে তা ঠিক হবে না। এ ক্ষেত্রে যদি সম্ভব হয় মেয়েকেই তার হবু স্বামীকে জানিয়ে দিতে হবে তার নারাজির কথা...