নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমেরিকানরা সবচেয়ে বেশি মাংস খায় পৃথিবীতে । একেকজন গড়ে বছরে প্রায় ১২৪ কিলোগ্রাম । আর গরুর মাংস খায় প্রায় ৪৪ কিলোগ্রাম ।
অন্যদিকে পৃথিবীর সবচেয়ে কম মাংস খাওয়া মানুষের দেশ হলো বাংলাদেশ । গড়ে বছরে মাত্র ৪.৪ কিলোগ্রাম মাংস খায়(সব মিলিয়ে) একজন বাংলাদেশি । আর গরুর মাংস হিসেব করলে এটা ১ কেজিও হবে না ।
কিন্তু এসত্বেও হৃদরোগ ও হৃদরোগে মারা যাওয়ার হার আমাদের অনেক বেশি ।
কারণ কি ?
কারণ হলো, রান্নার স্টাইল ।
চর্বি জাতীয় খাবার অতিরিক্ত খেলে সেটা দেহে যেয়ে জমা হয় একইসাথে রক্তনালীতেও জমা হয় । ধীরে ধীরে রক্তনালী সংকুচিত হয়ে রক্তের প্রেসার বেড়ে গেলে ধমনী ফেটে যায় যেটাকে হেমোরেজ বলে । এভাবেই মানুষ স্ট্রোক করে আর চিকিৎসা না হলে পঙ্গুত্ব বা মৃত্যু হয় ।
মাংস বিশেষত রেডমিট যেমন গরুর মাংস এমনিতেই চর্বিযুক্ত খাবার । আমাদের দেশের রান্নার স্টাইলে আমরা মাংস রান্নার সময়ে চর্বি বাদ দিই না বরং সাথে আরো চর্বি সাথে এড করে নিই ঝোল করার জন্য । এছাড়া চর্বির উপরে পারলে আমরা ঘি দিয়ে রান্না করি মাংস । এসব স্যাচুরেটেড ফ্যাট দেহের জন্য ভয়াবহ ক্ষতিকর । পাতিলে রান্নার কারণে চর্বি সব রান্নায়ই থেকেই যায় এছাড়া মাংসের মধ্যকার চর্বি ছাড়াও আলাদাভাবে দেয়া চর্বির অংশ ও ঘি এগুলো খাবারকে আরো ক্ষতিকর করে ফেলে ।
যার কারণে এভারেজে মাত্র ৪.৪ কেজি মাংস খেয়েও বাংলাদেশের মানুষের হৃদরোগ বা এসব জটিলতা দেখা যায় ।
অন্যদিকে পৃথিবীর সবচেয়ে মাংস খাওয়া দেশ হয়েও আমেরিকার এইসব রোগব্যাধি কম ।
এই ব্যাপারটাও রান্নার ফর্মুলায় নিহিত ।
তারা কাবাব স্টাইলে বা মাংস পুড়িয়ে খায় যেমন বারবিকিউ, স্টেক, ডিপ ফ্রাই । এরফলে সব চর্বি বা অধিকাংশ চর্বিই ঝরে পরে । ফলে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি মাংস খেয়েও তাদের আমাদের মতো প্রবলেম হয় না ।
তাই বাঁচতে চাইলে মাংস পুড়িয়ে, কাবাব করে, বারবিকিউ বা স্টেক করে খেতে হবে এছাড়া রান্নার সময়ে যতোটা পারা যায় চর্বি বাদ দিয়ে রান্না করতে হবে । পায়ের হাড়ে সবচেয়ে বেশি আর ক্ষতিকর চর্বি থাকে তাই এসব "পায়া" , "নেহারি" খাওয়া বাদ দিতে হবে নয়তো কমাতে হবে ।
এছাড়া হৃদরোগের আরো একটি বড় ফ্যাক্টর খাবারের সাথে অতিরিক্ত লবণ খাওয়া । অতিরিক্ত
লবণ খেলে দেহের লবণের ঘনত্ব বেড়ে যায় । তখন কিডনী দেহ থেকে স্বভাবিক রেটে পানি নিষ্কাশন করতে পারে না । কারণ পানি বেরিয়ে গেলে লবণের ঘনত্ব আরো বেড়ে যাবে ।
এসব কারণে দেহে ফ্লুইড প্রেসার এবং ব্লাড প্রেসার বেড়ে যায়, তৈরি হয় উচ্চ রক্তচাপের । আর কোন ব্যক্তির যদি আগে থেকেই চর্বি বা ধূমপানের কারণে রক্তনালী ব্লক বা সরু হয়ে থাকে তাহলে এই অতিরিক্ত চাপের কারণে ধমনী ফেটে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ (স্ট্রোক) হতে পারে যেটার ফলাফল প্যারালাইসিস বা মৃত্যু ।
এছাড়া জাঙ্ক ফুড , ধূমপান, এলকোহল এসবও দেহের জন্য ক্ষতিকর । তাই বেঁচে থাকতে ও সুস্থ থাকতে অবশ্যই নিজের জিহ্বার উপরে ১০০% নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে হবে ।
আপনি জানেন কি ?
২০১৭ সালে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা WHO এর প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশ হলো বিশ্বের দ্বিতীয় সবচেয়ে কম মোটা লোকের হারের দেশ । ১৯৩ টি দেশের মধ্যে মোটা সূচকে বাংলাদেশ ১৯২ তম । আমাদের পরে আছে শুধুমাত্র ইথিওপিয়া ।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১২
রসায়ন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।
২| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: চমৎকার একটি পোষ্ট।
খুব ভালো একটি পোষ্ট অথচ পাঠক নেই, মন্তব্য নেই।
পাঠক আসলে চায় কি?
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১৪
রসায়ন বলেছেন: ভালো বলেছেন, তাও ব্লগে এখন পর্যন্ত পড়েছে, ফেসবুকে দিলে তো বড় লিখা দেখেই স্কিপ করে যেতো ।
৩| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪৪
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: বেশ
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১৫
রসায়ন বলেছেন:
৪| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩১
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: চমৎকার পোস্টটির জন্য ধন্যবাদ |
রাজীব নূর বলেছেন "পাঠক নেই, মন্তব্য নেই। পাঠক আসলে চায় কি? "
আসলে পাঠক চায় ঝোলে ডুবন্ত রেজালা আর চর্বি ভেসে থাকা নেহারী " |
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১৬
রসায়ন বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ
৫| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩৫
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: পড়লাম জানলাম।
সব মিলিয়ে দারুণ লিখেছেন।আসলে এই বিষয়টা সম্পর্কে প্রতিটি মানুষের সচেতন হওয়া উচিৎ।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১৯
রসায়ন বলেছেন: সচেতনতাই পারে স্ট্রোক ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে
৬| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪৬
সনেট কবি বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন। পড়ে খুব ভাল লাগল।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১৯
রসায়ন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কবি সাহেব
৭| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪৮
ইলি বলেছেন: সুন্দর লেখা ধন্যবাদ।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১:১৫
রসায়ন বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ ।
৮| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৪
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: গরিবের আবার খাওয়া খাদ্য!
ভালো পোষ্ট লাইক, আমিও একটা বিজ্ঞানপোস্ট সিরিজ করতে চাই, আপনার কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পাচ্ছি
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১:২১
রসায়ন বলেছেন: ধন্যবাদ । হ্যাঁ , শুরু করে দিন না । ব্লগে বিজ্ঞান বিষয়ক লিখা কম আসছে ।
৯| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৩৩
প্রামানিক বলেছেন: উপকারী পোষ্ট। ধন্যবাদ
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩৯
রসায়ন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে
১০| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২২
মোজাহিদুর রহমান ব বলেছেন: উচ্চ তাপমাত্রায় দীর্ঘ সময় ধরে লাল মাংসকে ভাজা বা ঝলসানো হলে বা গ্রিল করা হলে মাংসের আমিষ ভেঙে হেটেরো সাইক্লিক অ্যামাইন (এইচসিএ) নামের রাসায়নিক তৈরি হয়। আবার ঝলসানো বা গ্রিল করার সময় মাংসের চর্বি ও রস গলে গলে যে ধোঁয়া তৈরি হয়, তা থেকে সৃষ্টি হয় পলিসাইক্লিক হাইড্রো কার্বন (পিএএইচ) নামের যৌগ। এই দুটোই কারসিনোজেন বা ক্যানসার উৎপাদনকারী উপাদান।
৩০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা বা এর ওপরে মাংস ভাজা হলে বা সরাসরি আগুন বা গ্রিলে ঝলসানো হলে অথবা তপ্ত ধাতব পাত্রে ফুটন্ত তেলে দীর্ঘসময় রান্না করা হলে এইচসিএ ও পিএএইচ তৈরি হওয়ার ঝুঁকি বেশি। সে কারণে কাবাব, স্টেক, গ্রিল করা মাংস, বারবিকিউ বা ভাজা মাংস বেশি খেলে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪০
রসায়ন বলেছেন: বলেন কি , রেড মিটতো দেখি খুবই ভেজাইল্লা জিনিস
১১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ২:৩৮
কালীদাস বলেছেন: মোজাহিদুর রহমানের উল্লেখ করা পয়েন্টটা জানতাম না, এর বাইরেও ডাক্তাররা সবসময়ই বলে রেড মিট যত এভয়েড করা যায় ততই ভাল।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩৭
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সহমত।