নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমরা সবাই জানি অর্থাৎ আমাদেরকে জানানো ও শেখানো হয়েছে যে নবী সালামুন আলা মুহাম্মাদ বিদায় হজ্জ্বের ভাষণে ২টি জিনিস রেখে গেছেন, কোরআন ও নবীর সুন্নাত
"আমি তোমাদের ভেতর এমন বস্তু রেখে গেলাম, যদি সেটি আঁকড়ে ধর তাহলে তোমরা কখনো গোমরাহ হবে না: আল্লাহর কিতাব ও আমার সুন্নত"
[মুয়াত্তা মালেক ৪৬/১.৩, মুরসাল হাদীস]
অথচ এই হাদীসটি সিহাহ সিত্তাহভুক্ত ৬টি হাদীস গ্রন্থের একটিতেও নাই !
তাইলে এই কথার সোর্স কি ??
এই বহুল প্রচলিত কথাটা আসছে মুয়াত্তা মালিকের ৪৬/১.৩ থেকে যা প্রচলিত হাদীস যাচাইবাছাই পদ্ধতির ক্রাইটেরিয়া অনুসারে একটি মুরসাল হাদীস। মুরসাল মানে হাদীসের বর্ণনায় কোন রাবীর নাম বাদ পড়া, অর্থাৎ এর বর্ণনাকারী পূর্ববর্তী কোন বর্ণনাকারীর নাম বলতে না পারলে সেটা মুরসাল হাদীস !
হাদীসের লিংক
এছাড়া আরো লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো বিদায় হজ্জের ভাষণ এতো বড় আর গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হলেও টোটাল বিদায় হজ্জ্বের ভাষণের থেকে মাত্র এই এক লাইনই বর্ণনা করতে পেরেছেন রাবী ! বাকি জিনিস তার মনে নাই ! লক্ষাধিক মানুষের সামনে দেওয়া এই ভাষণের মাত্র এই ১টা লাইনই মনে আছে রাবীর, কি আশ্চর্য !
এবারে আসা যাক সিহাহ সিত্তাহয় তাইলে বিদায় হজ্জ্বের বর্ণনায় আছেটা কি !
বিদায় হজ্জ্বের বর্ণনা নিয়ে ৩টা হাদীস পাওয়া যায় যা হাদীসবিদদের কর্তৃক সহীহ সার্টিফিকেট প্রাপ্ত, সিহাহ সিত্তাহ ভুক্ত গ্রন্থসমূহে (মুসলিম, আবু দাউদ ও ইবনে মাজায়)। আসেন সেই তিনটা হাদীস দেখে নেওয়া যাক, সেখানে কয়টা জিনিস নবী রেখে গেছেন মর্মে উল্লেখ আছে
▮১▮
আমি তোমাদের মধ্যে একটি বিশেষ বস্তু রেখে যাচ্ছি। আমার পরে যদি তোমরা তা মজবুত ভাবে ধারণ কর, তবে তোমরা কখনও গোমরাহ্ হবে না। আর তা হলো আল্লাহর কিতাব।
রেফারেন্স
সুনানে আবু দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
হাদীস নং ১৯০৩
সুনানে আবু দাউদের হাদীসের লিংক
হাদীসের স্ক্রিনশট
▮২▮
আমি তোমাদের মাঝে এমন এক জিনিস রেখে যাচ্ছি, যা দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরে থাকলে তোমরা পথভ্রষ্ট হবে না। তা হচ্ছে আল্লাহর কিতাব।”
রেফারেন্স
সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
হজ্জ অধ্যায়
হাদীস নং ২৮২১
সহীহ মুসলিমের হাদীসের লিংক
হাদীসের স্ক্রিনশট
▮৩▮
আমি তোমাদের মাঝে এমন এক জিনিস রেখে যাচ্ছি যা দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরে থাকলে তোরা পথভ্রষ্ট হবে না। তা হচ্ছে আল্লাহর কিতাব।
রেফারেন্স
সুনানু ইবনে মাজাহ
হজ্জ অধ্যায় (পরিচ্ছেদ ১৯/৮৪)
হাদীস নং ৩০৭৪
সুনানু ইবনে মাজাহের হাদীসের লিংক
হাদীসের স্ক্রিনশট
অর্থাৎ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে সিহাহ সিত্তাহ ভুক্ত ৬টি প্রচলিত হাদীস গ্রন্থের ৩টিতেই মুহাদ্দীসগণকর্তৃক সহীহ সার্টিফিকেট প্রাপ্ত (সনদ সহীহ) বিদায় হজ্জের ভাষণের বর্ণনায় শুধুমাত্র ১টি জিনিসের উল্লেখ পাওয়া যাচ্ছে আর তা হলো "আল্লাহর কিতাব"
তাহলে কেন সত্যকে গোপন করে ৩টি সহীহ হাদীস বাদ দিয়ে একটি মুরসাল হাদীসকে সরকারী পাঠ্যপুস্তক সহ সবখানে প্রচার করা হয় ???? এই জবাব চাই জাতীয় কারীকুলাম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের, এনসিটিবি এর কাছে; জবাব চাই ইসলামবেত্তা গণের কাছে, কেন তারা এটি প্রচার করেন না ! কেন মানুষ জানে না সহীহ সার্টিফিকেটধারী প্রচলিত হাদীসে বিদায় হজ্জ্বের ভাষণে নবী কি রেখে যাওয়ার কথা বলেছে
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক প্রণীত ও তাদের ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত নবম দশম শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বইয়ের ১৮১ পৃষ্ঠায় বিদায় হজ্জ্বের ভাষণের স্ক্রিনশট
দেখেন কিভাবে সহীহ হাদীস বাদ দিয়ে মুরসাল হাদীসের কথা ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে
প্রাসঙ্গিক কিছু কথা বলে শেষ করতে চাই,
আরেকটিও বর্ণনা পাওয়া যায় প্রচলিত হাদীসে তাহলো নবী কোরআন ও আহলে বাইতকে (নবী পরিবার) আঁকড়ে ধরার কথা বলেছেন, তবে তা বিদায় হজ্জ্বের ভাষণ নয়, এটা গাদীরে খুমের (খুম্ম নামের কূপের নিকট প্রদত্ত ভাষণ) ! (উক্ত হাদীসটি দেখতে পারেন)
তাহলে এতোদিন কি জানলাম/জানানো হলো আর সত্যি সত্যি আছে কি !
সত্য প্রকাশে এতো আপত্তি কিসের !
নাম বললে কি চাকরি থাকবে না ?
২৯ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:১৯
রসায়ন বলেছেন: ইনশাআল্লাহ
২| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৫৯
নতুন বলেছেন: সব ধর্মেই অনেক ঘাপলা আছে, আগে জনগনের কাছে ধর্মের বই পত্র সহজলভ্য ছিলো না তাই জনগন এতো প্রশ্ন করতো না।
এখন সাধারন জনগন অনেক কিছুর খোজ পাচ্ছে এবং প্রশ্ন করছে।
২৯ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:২০
রসায়ন বলেছেন: ভালো বলেছেন। ইন্টারনেট ও তথ্যপ্রযুক্তির সহজলভ্যতা ও অগ্রগতি আমাদেরকে চিন্তা করার নতুন সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে।
৩| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:১০
রাজীব নুর বলেছেন: থাক। মন্তব্য করবো না।
২৯ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:২১
রসায়ন বলেছেন: করে ফেললেন তো
৪| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৫৯
শার্দূল ২২ বলেছেন: যতদিন মুসলিমরা হাদিসের ময়না তদন্ত না করবে ,হাদিসের সংগ্রহ এবং গ্রহণ যোগ্যতা নিয়ে না ভাববে ততদিন ইসলাম সারা দুনিয়া থেকে দুর্বল হয়ে মদিনা ফিরে যেতে শুরু করবে।
যাদের মাথায় সামান্য জ্ঞান বুদ্ধি আছে তারা কোন ভাবেই এটা বিশ্বাস করবেনা যে নবিজী দুটো জিনিস রেখে গেছেন বলবে। কিভাবে সম্ভব? সুরা মায়েদার শেষ দুই আয়াত নাযিল হবার পর কোরান সম্পুর্ন হয় বিদায় হজ্জের সময়। এবং এর পর পরই নবিজি ভাষণ দেন। তার মানে তখন নবিজির হাতে আস্ত একটা কোরাণ আছে। কিন্তু হাদিস কি পরিপুর্ন গ্রন্থ হিসেবে তখন ওনার হাতে ছিলো? ওনার তো জীবন আরো বাকি । সুতরাং হাদিস ও আরো বাকি আছে। এখন উনি যদি লক্ষ জনতার সমানে বলেন আপনাদের জন্য দুটো জিনিস রেখে গেলাম, একটা মানলাম কোরাণ আরেকটা কোথায়? সুতরাং এমন বক্তব্য যে ডাহা মিথ্যা তা বুঝতে পিএইচডি করতে হবেনা। আর যেই হাদিস নিয়ে মোললারা এমন মিথ্যা বক্তব্য দেয় সেই সহি সিত্তাহর কোনটার মধ্যে নেই।
আর আল্লাহ যেখানে নিজেই চ্যলেন্জ করে বলেছেন আমার চেয়ে হাদিস বর্ণনা কারী আর কে হতে পারে। চার সাহাবা নবীর সাথে ওয়াদা করেছেন তাদের সাথে আল্লাহ কোরাণ ছাড়া আর বিবেক ছাড়া আর কিছুই নেই।
৪০০ বছর পর ইমাম বোখারী ১২০০ মাইল দুরে গিয়ে কোথাকার কোন আরব কে ধরে হাদিস সংগ্রহ করেছে আর সেটার ভিত্তিতে ইসলামি দুনিয়া শত ভাগে বিভক্ত হয়ে আছে আর আমরা সেটা নবীর কথা কাজ বলে মেনে নেবো তা হতে পারেনা। আর হাদিস না মানলে ইমান থাকেনা যারা বলে তারা কি জানে, খোদ ইমাম বোখারীর প্রায় অর্ধেক হাদিস তার ছাত্র তিরিমিজ সাহেব মুসলিম সাহেবরাই বাদ দিয়েছে । তাহলে আজ আমার তাদের কাছে প্রশ্ন ইমাম বোখারী হাদিস বাদ দিয়ে তিরমিজ সাহেব মুসলিম সাহেবরা কি মুসলিম থেকে মৃত্যু বরণ করেছে?
২৯ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:২৩
রসায়ন বলেছেন: ঠিক বলেছেন। আল্লাহ কুরআনকে বলেছেন ফুরকান বা সত্য মিথ্যার পার্থক্যকারী। কুরআনের মাধ্যমে এসব যাচাই না করে আমানতু হুজুরিহী বলে হুজুরদের উপরে ঈমান এনে তাদের কথাই চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করছে। আল্লাহর কথা মানছে না। এর চেয়ে দুঃখজনক আর কি হতে পারে।
৫| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৪৪
জিয়াউর রহমান ফয়সাল বলেছেন: এইগুলা নিয়ে আমাদের এলাকায় শিয়া পন্থী কিছু ভাই দের সাথে তুমুল আলোচনা হয়। এই আলেম দের গোজামিল এর মাশুল দিতে হবে আমাদের, ভুল তথ্য নিয়ে ছোট থেকে বড় হলাম। আরো যে কি কি ভুল ভাল আমাদের শিখাইসে সেটা সৃষ্টিকর্তা ভালো জানেন।
২৯ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:২৩
রসায়ন বলেছেন: জ্বি ভাই। আমিও এই বিষয়টি জানার পরে অবাক হয়েছি !
৬| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৪৩
রানার ব্লগ বলেছেন: ভারতবর্ষের ইসলাম হলো গোজামিলের ইসলাম । আরবীয় ইসলাম আর ভারতবর্ষের ইসলামের মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে । আমরা শুনে মুসলমান । আমাদের কে যা শোনানো হয়েছে তাই আমরা জানি কিন্তু এর বাহিরে যে বিশাল এক উপখ্যান আছে তার খোঁজ আমরা রাখিও না রাখতে চাই ও না । আজকাল নতুন একটা ট্রেন্ড শুরু হয়েছে । নবী মূহাম্মাদ মাটির তৈরী না নুরের তৈরী । এই বিষয় নিয়ে এক এক জন মঞ্চ কাপিয়ে ফেলছে । অন্য আর একটা ইস্যু ত্বহা নামের এক ভন্ড সে সৌদি গিয়ে বেহেস্তের সুঘ্রান পেয়ে এসেছে ব্যাস তা নিয়েও চলছে মঞ্চ কাপাকাপি ।
২৯ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:২৪
রসায়ন বলেছেন: অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ে কথিত মোসলমানদের ব্যস্ততা খুব বেশী ! কি আর বলবো
৭| ২৪ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:২৯
নীল১৪৩ বলেছেন: ১) সিহাহ সিত্তাহের বাইরের সকল হাদিস সহিহ নয় এটা কোথায় পেলেন?
২) সিহাহ সিত্তাহর সকল হাদিস কি সহিহ?
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৪৪
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ুতন নুতন আবিস্কার আমাদের নিশ্চয় ভাল পথ দেখাবে।