নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নেই নেই নেই

মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম নাদিম

আজিও ব্যথিত সৃষ্টির বুকে ভগবান কাঁদে ত্রাসে, স্রষ্টার চেয়ে সৃষ্টি পাছে বা বড় হয়ে তারে গ্রাসে। (কাজী নজরুল ইসলাম)

মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম নাদিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার পড়া কিছু বই (পর্বঃ ০২)

২৭ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:০০



(০১)

বইয়ের নামঃ গর্ভধারিণী
লেখকঃ সমরেশ মজুমদার
আমার রেটিংঃ ৮.৫/১০


উপন্যাসের প্রধান চরিত্র জয়িতা (দ্রিমিত),সুদীপ,আনন্দ,কল্যাণ।এ উপন্যাসে রাজনৈতিক ও সামাজিক বিষয়বস্তু খুব সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে।একজন তরুণী ও তিনজন তরুণ মিলে এক দুঃসাহসিক অভিযানে নামে দেশ ও দেশের মানুষকে সামাজিক দাসত্ব থেকে মুক্তি দিতে। তারা নিজেরাও জানে না এর শেষ কোথায়।এই চার তরুণ অভিযাত্রী কি পারবে তাদের রাষ্ট্রের পরিবর্তন আনতে?পারবে কি তারা সফল হতে? জানতে হলে ৪০০ পেজের ইন্টারেস্টিং উপন্যাসটি পড়তে হবে।উপন্যাসে সবচেয়ে বেশি ভাল লেগেছে জয়িতা ওরফে দ্রিমিত চরিত্রটি।সমরেশ মজুমদার এই চরিত্রকে অন্য সব চরিত্র থেকে একটু আলাদা যত্ন নিয়েছেন। উপন্যাসটির সবচেয়ে ভাল দিক হচ্ছে সহজ ও সরল ভাষার ব্যবহার।কারণ সমরেশ মজুমদারের নিজস্ব ভঙ্গিমার লেখনী অন্য সব সাহিত্যিকদের থেকে একটু আলাদা।



(০২)

বইয়ের নামঃ পরস্ত্রী
লেখকঃ বিমল মিত্র
আমার রেটিংঃ ৭.৫/১০


বইয়ের নাম দেখে নিজের মনকে চরিত্রহীন করার প্রয়োজন হয়। উপন্যাসের প্রধান চরিত্রগুলো- সুললিত চ্যাটার্জি,আরতি গাঙ্গুলি ও কেশরবাইজি।শুরুতেই দেখা যায়, সুললিতের সাথে আরতির বিয়ে ঠিক হয়।একদিন হঠাৎ সুললিতের বাবা মারা যায়।বাবার মৃত্যুর খবর দিতে এসে দেখে আরতি ও তার বাবা বাড়ি ছেড়ে নিরুদ্দেশ হয়ে গেছে।তারপর এক সময় সুললিত এন্টি কোরাপশনের অফিসার হয়।চাকুরীর পাশাপাশি সে আরতি ও তার বাবাকে খুঁজতে থাকে পাগলের মতো।তারপর কি হয়? সুললিত কি আরতিকে খুঁজে পায়? জানতে হলে পুরো উপন্যাস পড়তে হবে।শেষের টুইস্টটা ছিল অসাধারণ।তবে উপন্যাসের শুরুতে চরিত্র টেনে আনতে গিয়ে লেখক একটু ঘোলাটে করে ফেলেছেন।সেই ঘোলাটে অংশটুকু আলোতে আনতে বেশি সময় নেননি।যদিও উপন্যাসের কাহিনি মধ্যে একটু ধীর হয়ে গিয়েছিল। তবে শেষের টুইস্ট সব কিছুকে ছাড়িয়ে গেছে।



(০৩)

বইয়ের নামঃ মানবজমিন
লেখকঃ শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
আমার রেটিং ৬.৫/১০


সামাজিক প্রেক্ষাপটের এই উপন্যাসটির প্রধান চরিত্র দীপনাথ,মনিদীপা,শ্রীনাথ,তৃষা,প্রীতম ও বিলু।তবে পুরো অংশজুড়েই দীপনাথের বিচরণ। বসের স্ত্রী মনিদীপার সাথে অবৈধ সম্পর্ক,শ্রীনাথ ও তৃষার মধ্যে সন্দেহ ও বিলুর প্রতি প্রীতমের না বলা ভালোবাসাই, এই উপন্যাসের মূল বিষয়বস্তু।নিতাই চরিত্রটি আমার মোটেও ভালো লাগে নি। সামাজিক উপন্যাসগুলো একটু বিরক্তিকর হয়।পরিচিত বিষয় অপরিচিত ভাবে তুলে ধরাই সামাজিক উপন্যাসের একটা মজাদার দিক।যৌনতা,লোভ,ঘৃণা,ক্ষোভ,স্বার্থপরতা-এই বিষয়গুলোই উপন্যাসটিকে সমৃদ্ধ করেছে।তবে হাতে সময় নিয়ে পড়াইটাই আমার বোধগম্য বলে মনে হয়।কারণ এতে বিশেষ কোন টুইস্ট নেই।আছে আপনার আমার কিংবা পাশের ঘরের গল্পের সমষ্টিবদ্ধ প্রতিচ্ছবি।



(০৪)

বইয়ের নামঃ কয়েদী ৩৪৫- গুয়ান্তানামোতে ছয় বছর
লেখকঃ সামি আলহায
আমার রেটিংঃ ০৯/১০

মার্কিনিরা আফগানিস্তানকে ধ্বংস করেছে পাকিস্তানকে দিয়ে।ইসরায়েল ফিলিস্তিনি ধ্বংস করেছে সৌদি আরবকে দিয়ে।সামি আলহায আল-জাজিরার একজন সুদানী সাংবাদিক।তিনি পাকিস্তান হতে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ আফগানিস্তানে যান নিউজ কভারের জন্য।পাকিস্তানের বর্ডার পার হবার সময় গোয়েন্দার হাতে গ্রেফতার হন। পরবর্তীতে পাকিস্তানের গোয়েন্দারা সামি আলহাযকে গোপনে মার্কিন গোয়েন্দাদের হাতে হস্তান্তর করে।এবং তাকে প্রেরণ করা হয় গুয়ান্তানামো বে কারাগারে।কি হয়েছিল সেই কারাগারে? কেন সামী আলহাযকে গ্রেফতার করা হয়েছিল? কেমন ছিলেন তিনি? তা জানতে হলে বইটি পড়তে হবে।

গুয়ান্তানামোর কারাগারের কয়েদীদের জন্য আদালতে বিচার ব্যবস্থাঃ

১।সেখানে আমেরিকার বন্দি আইনের কোন চর্চা নেই।

২। গুয়ান্তানামোর কারাগারের কয়েদীদের বিচারিক আদালতের নাম 'সামরিক ট্রাইবুনাল আদালত'।

৩।একজন পাবলিক প্রসিকিউটর ও একজন সামরিক কর্মকর্তা বন্দিদের পক্ষে লড়বে।

৪।কোন বন্দির বিরুদ্ধে দায়ের করা কোন 'গোপন দলিল' তার দেখার অনুমতি নেই।

৫। আদালতে বিবাদীর পক্ষে নামে মাত্র একজন সামরিক কর্মকর্তা দাঁড়াবে।

৬। মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ হতে দুইজন বিচারক আদালতে থাকবে।

৭। সৈনিকরাই বিবাদীর অভিভাবক। তারাই বিবাদীর প্রতিনিধি ও তাদের মাধ্যমেই বিচারকদের কাছে যাবতীয় তথ্য দেয়া হয়।

৮।আইনজীবীর কাছে বিবাদী কোন গোপন কথা বললে; সেই কথা আইনজীবী বিচারকের কাছে গোপন করতে পারবে না।

৯। বিবাদীর পরিবারের সাথে যোগাযোগ করার কোন অনুমতি নেই।

১০। বিবাদী যদি চায় তার সাক্ষী আদালতে হাজির করতে পারবে।তবে সাক্ষী অ-আমেরিকান হলে বিশেষ অনুমতি নিয়ে গুয়ান্তানামোতে প্রবেশ করতে হবে।আবার সেই সাক্ষীকে সন্ত্রাসীদের সাথে সম্পর্ক থাকার সন্দেহ হলে গ্রেফতার করবে।

১১। জেলখানার ভেতর কোন কয়েদী অন্যান্য কয়েদীদের নিয়ে নামাজ পড়লে তার বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়।

১২। বিবাদী পক্ষের আইনজীবী বিচারিক কমিটির সদস্য। আবার বাদী ও বিবাদী পক্ষের আইনজীবী একই।




(০৫)

বইয়ের নামঃ গুপ্তসংঘ
লেখকঃ নিক হার্ডিং
অনুবাদঃ হাসান তানভীর
আমার রেটিংঃ ৬.৫/১০


বইটিকে তেমন গোপন কিছুই নেই।আবার একেবারে নেই বললেও ভুল হবে।মূলত কোরআনে আল্লাহ যে ইসলাম বিরোধী সংঘের কথা বলেছেন এগুলো তারই রূপ।সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, প্রত্যেকটি গ্রুপেই ইহুদিদের বিচরণ।কেউ কেউ প্রতিষ্ঠাতাও।এর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী সংঘ ফ্রিম্যাসন। তারা মূলত মিশরের ফিরাউনের যুগে প্রতিষ্ঠিত হয়েে ছিল।অনেক লেখক এই বিষয়টি মানতে নারাজ।তারা বলেন, ১৮ শতকে ফ্রিম্যাসন সংঘের উৎপত্তি।এসব গুপ্তসংঘ রাজনৈতিকভাবে ব্যবহৃত হয়।যারা ভাবেন, শয়তানের পূজা করা মিথ্যে তারা ভুল ভাবেন।বর্তমানে সবচেয়ে শক্তিশালী স্বয়ংক্রিয় গুপ্তসংঘ হচ্ছে 'স্কাল এন্ড বোন্স'।

সমালোচনাঃ লেখক অনেক বিষয় গোপন রাখার চেষ্টা করেছেন।হয়তো নিজের প্রাণ বাঁচানোর স্বার্থে।শয়তানের পূজা করাকে কেন্দ্র করে পাঠকদের নিজেই দ্বিধায় ফেলে দিয়েছেন।আমার মতে,তিনি বারবার স্বীকার করতে চাইছিলেন শয়তানের পূজা সব গুপ্তসংঘে কমবেশি বিদ্যমান।লেখক আরেকটা বিষয় ভুল করেছেন, সুফীবাদ নামের একটা চ্যাপ্টার রয়েছে।আমার প্রশ্ন, সুফিবাদ কেন গুপ্তসংঘ হতে যাবে? কেন গুপ্তসংঘের তালিকায় সুফিবাদকে রাখতে হবে?লেখকের এই কাজটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত।



(০৬)

বইয়ের মূলনামঃ The International Jews
অনুবাদ নামঃ দ্য সিক্রেট অব জায়োনিজম
লেখকের নামঃ হেনরি ফোর্ড
অনুবাদঃ ফুয়াদ আল আজাদ
আমার রেটিংঃ ১০/১০


আগেই বলে রাখি বইটি সবার পড়া উচিত।এই বইটির কারণে হেনরি ফোর্ডকে ইহুদিদের চাপে পড়তে হয়েছিল।তাঁকে ক্ষমা চাইলে বলা হয়।এদিকে এর জন্য ক্ষমা চেয়েছেন বলে- ইহুদি মিডিয়া ফলাও করে প্রচার করে।এবং বইটি চিরুনি অভিযানের মাধ্যমে আমেরিকার বইয়ের মার্কেট থেকে উধাও করে দেয়া হয়।কিন্তু কে শুনে কার কথা,পরবর্তীতে বইটি আবারও প্রকাশ করা হয়।ক্ষমা চাওয়ার ব্যাপারে হেনরি ফোর্ডকে জিজ্ঞেস করা হলে বলেন,তিনি কখনই এ ব্যাপারে ক্ষমা চান নি।

সারা পৃথিবীর ব্যাংকিংখাত ও সংবাদ মাধ্যমের সিংহভাগ ইহুদিদের হাতে জিম্মি।পৃথিবীর মধ্যে কোনো দুটি দেশ যুদ্ধ লাগলে ইহুদি সংগঠনগুলো উভয় দেশকে টাকার বিনিময়ে অস্ত্র সরবরাহ করে।এবং যে দেশকে যুদ্ধে পরাজিত করার ইচ্ছা আছে তাকে হঠাৎই অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে দেয়।মূলত বিশ্ব রাজনীতি ইহুদিদের কাছে এক নাটকীয়ভাবে আবদ্ধ।এই বইয়ে সবচেয়ে মজাদার অধ্যায়- "আমেরিকার অর্থব্যবস্থায় ইহুদি দৌরাত্ম্য"।আধুনিক ব্যাংকিং ল তাদের মাধ্যমেই সূচনা হয়েছে।অর্থনীতি বিষয়ক পৃথিবীর দশটি সেরা বইয়ের মধ্যে আটটি বইয়ের লেখক ইহুদি।বলাবাহুল্য, তাদের পূর্বের ইতিহাস আর বর্তমান ইতিহাসের মধ্যে তেমন কোন পার্থক্য নেই।তারা যেমন হিংস্র তেমন মিথ্যাবাদী।তাদের আরেক নাম- সুদখোর জাতি।



(০৭)

বইয়ের নামঃ রেইপ ট্রায়াল
লেখকের নামঃ সমীরণ চক্রবর্তী
আমার রেটিংঃ ৫.৫/১০


উপন্যাসটি ১৯৭০ সালের প্রেক্ষাপট অবলম্বনে।মূল চরিত্রগুলো হলো- আজিম(বিবাদী উকিল),অনিল,সিলিন,হেলেন,রবার্ট ও কাটরি (বাদী উকিল)। ঘটনাচক্রে দেখা যায় অনিল ও হেলেন ভালো বন্ধু। একরাতে মদ খেয়ে তারা মাতাল হয়ে যায়।পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে হেলেন অনুমান করে সে ধর্ষিত হয়েছে।এদিকে সে বয়ফ্রেন্ড রবার্টের কথায় জোর দিয়ে অনিলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা ঠুকে দেয় আদালতে।অনিলও মাতাল থাকার কারণে বুঝতে পারে না সে কি সত্যিই ধর্ষণ করেছে কিনা! সত্যিই কি ধর্ষণ হয়েছে কিনা তা জানতে হলে উপন্যাসটি পড়তে হবে।

সমালোচনাঃ লেখক লিগ্যাল থ্রিলার লিখতে গিয়ে রাজনৈতিক কাহিনিগুলো বেশি লিখে ফেলেছেন।ডাক্তার হওয়ার কারণে তিনি জানেন না কীভাবে কোর্টরুম ড্রামার প্লট সাজাতে হয়। ইতিহাস বলতে গিয়ে সাম্প্রদায়িকতাকে তিনি ভালোই উস্কে দিয়েছেন। কোরআনের উদ্ধৃতিগুলো ভুলভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।এককথায় উপন্যাসের সুন্দর প্লটকে তিনি নষ্ট করেছেন।



(০৮)

বইয়ের নামঃ ফিলিস্তিন বেঁচে থাকার লড়াই

মূল বইয়ের নামঃ ফিলিস্তিন লান তাদী।এছাড়াও (১) ফিলিস্তিন ওয়াজিবাতুল উম্মাহ (২) আনতা ওয়া ফিলিস্তিন ও (৩) আল-মুকাতআহ নামক তিনটি বই থেকে কিছু বিষয় সংযোজন করা হয়েছে।

লেখকের নামঃ ড. রাগিব সারজানি
অনুবাদঃ মানসূর আহমাদ
আমার রেটিংঃ ০৮/১০


আপনি যদি লড়াই করতে চান তাহলে প্রথমে আপনাকে আত্মশুদ্ধি সম্পর্কে জানতে হবে।ধরেন, ঢাকার রাস্তায় ফিলিস্তিনিদের মুক্তির জন্য মিছিল বের হলো।মিছিল করতে করতে হঠাৎ স্লোগান উঠলো- "স্বৈরাচারী সরকারের পতন হোক,নাস্তিকরা বিলিন হোক।" ; ব্যাপারটা কেমন হলো তাহলে? এই বইয়ের মূল আলোচ্য বিষয়- ফিলিস্তিনকে বাঁচানোর জন্য কী কী পদক্ষেপ নিতে হবে এবং মুসলিমদের কর্তব্য কীরূপ হওয়া উচিত।যদি জিহাদ পরিপূর্ণ করতে হয় তাহলে রিয়া(লোক দেখানো ইবাদত) ছাড়াতে হবে।ফিলিস্তিন বাঁচাবে তখনি যখন একজন মুসলিম আরেকজন মুসলিমের পেছনে বাঁশ দেয়া বন্ধ করবে; লোভ,ক্ষোভ,হিংসা,অাত্মংকার ছাড়তে হবে।ইহুদি ও মুনাফিকদের সাথে কখনও নম্র ও ভদ্র আচরণ করা যাবে না।তাদের প্রতি অনমনীয় হতে হবে।যদি তাদের অপরাধ থামাতে উগ্রতার আশ্রয় নিতে হয় তবুও পিছপা হওয়া চলবে না।



(০৯)

বইয়ের নামঃ নারী
লেখকঃ হুমায়ুন আজাদ
আমার রেটিংঃ ০৪/১০


এত গবেষণা করে যদি বইয়ে কোরআন আর হাদিসের ভুল বঙ্গানুবাদ ও ব্যাখ্যা করে তাহলে পুরো গবেষণাই পণ্ডশ্রম।লেখকের চোখে মনে হয় এমন এক সফটওয়্যার ইন্সটল করা ছিলো, ওনি যে নারীকেই দেখেন ওই নারীকেই উলঙ্গ অবস্থায় দেখতে পেতেন।তা না হলে এই ধরণের বই লিখা সম্ভব নয়।নারীবাদ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি পুরো নারী জাতিকে রেইপ করে ছেড়ে দিয়েছেন।লেখক চান পুরো নারীজাতি ঘর থেকে বের হয়ে রাস্তায় কাপড়-চোপড় ছাড়া হাঁটুক।বইয়ের প্রত্যেকটা পরতে পরতে নাস্তিকতার ছোঁয়া।যেমন নারী ও কাম অধ্যায়ে লিখেছেন, " নারীর যৌনপ্রত্যঙ্গগুলোর কয়েকটি ব্যাহিক ও কয়েকটি অাভ্যন্তর।তবে এগুলো এমনভাবে বিন্যস্ত যে নগ্ন হ'লেও,স্তন ছাড়া,নারী কখনও নগ্ন নয়।নারী বাহ্যিক যৌনপ্রত্যঙ্গ এলাকার নাম যৌনাঞ্চল [ভালভা]।চমৎকার এলাকা এটি, অাপলিনিয়ের এ-এলাকাকেই বলেছিলেন 'বিশুদ্ধ ত্রিভুজ'।এ-এলাকায় রয়েছে কয়েকটি প্রত্যঙ্গ,যেগুলো পালন করে বিশেষ বিশেষ দায়িত্ব।এগুলো নারীর বাইরের যৌনপ্রত্যঙ্গ।কিন্ত বাইর থেকে দেখা যায় না,দেখার জন্য তাকে হয় কাছ থেকে,দেখতে হয় আঙ্গুল দিয়ে ফুলের পাপড়ির মতো নেড়ে নেড়ে।"

১৯৯৫ সালে বইটি নিষিদ্ধ করা হয়।২৯ ফেব্রুয়ারি ২০০০-এ বইটি ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম এক ডিভিশন বেঞ্চে নারী'র মামলাটি গ্রহণ করার আবেদন করেন এবং তার আবেদন গৃহীত হয়ে যায়। ৭ই মার্চ ২০০০-এ দুজন বিচারপতি রায় দেন যে নারী নিষিদ্ধকরণ আদেশ অবৈধ।আমি মনে বইটি বন্ধ করে দেয়া উচিত ছিলো।কারণ বইটির মাধ্যমে লেখক ইসলাম ও নারীকে চরমভাবে অবমাননা করেছেন।



(১০)

বইয়ের নামঃ কবি
লেখকের নামঃ তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
আমার রেটিংঃ ০৭/১০


উপন্যাসের প্রধান চরিত্র নিতাইচরণ।সে ডোম বংশ থেকে উঠে আশা একজন কবিয়াল।নিম্নবংশের হওয়ার কারণে লোকে তাকে আড় চোখে দেখে।তবুও সে দমে যায় না।নিজের মেধা ও স্পৃহায় এগিয়ে যায় আপন গতিতে।কবিয়াল নিতাইয়ের সবচেয়ে বড় গুণ-উপস্থিত পদ রচনা করা।অন্য কবিয়ালের পদ আসরে সে কমই উপস্থাপন করে।নিতাই ভালোবেসে ঘর বাঁধে বসন্তের সাথে।একসময় সেই ভালোবাসাই বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়।এর আগে ঠাকুরঝির প্রেমে পড়লেও সে প্রেম টিকেনি।তারপর প্রেম ও মৃত্যুর মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকা নিতাইচরণে কি হয়েছিল তা জানতে আপনাকে উপন্যাসটি পড়তে হবে।সত্যিই তো,জীবন এত ছোট কেনে?

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:৫০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ধন্যবাদ। কিছু ভালো বইয়ের নাম পাওয়া গেল।

২৭ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:৫৪

মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম নাদিম বলেছেন: আসসালামু আলাইকুম। আপনাকেও ধন্যবাদ।

২| ২৭ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:৪৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ১, ৩, ৯ পড়েছি শুধু

২৭ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:৫৭

মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম নাদিম বলেছেন: আসসালামু আলাইকুম। বাকিগুলো শীগ্রই পড়ে ফেলুন।আপনাকে ধন্যবাদ।

৩| ২৮ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১:১৭

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: প্রথম ৩ টা আর লাস্টের ২ টা পড়েছি।

এখনকার জেবারেশন আর আগের মত পড়ে কিনা জানিনা।

২৮ শে আগস্ট, ২০২১ ভোর ৫:৪৭

মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম নাদিম বলেছেন: আসসালামু আলাইকুম।এখনকার জেনারেশন অনলাইনে বেশি সময় কাটায়।তারা অনলাইনে বিভিন্ন কোর্স করে।তবে কোনো দিন হয়তো অনলাইন কোর্স বেরোবে "অনলাইন ছেড়ে বই পড়ার কৌশল", কোর্স ফি ১০০০ টাকা।

৪| ২৮ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো একটি পোষ্ট দিয়েছেন।

২৮ শে আগস্ট, ২০২১ ভোর ৫:৫৪

মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম নাদিম বলেছেন: আসসালামু আলাইকুম ভাই।আপনাকে ধন্যবাদ।

৫| ২৮ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৩:০৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আপনি একজন সজ্জন মানুষ ভালো বই পড়েন

২৮ শে আগস্ট, ২০২১ ভোর ৫:৫১

মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম নাদিম বলেছেন: আসসালামু আলাইকুম ভাই।একটু মন-মানসিকতা ভালো রাখতে চেষ্টা করি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.