![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
“ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ছাটাই প্রকল্প চালু করা হোক ”
- গোলাম কিবরিয়া মজুমদার
একজন মুক্তিযোদ্ধার আকুতি সহ্য করতে কষ্ট হয়।স্বাধীনতার 44 বৎসরেও একজন মুক্তিযোদ্ধার মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে স্বীকৃতি মেলেনি অথচ মুক্তিযুদ্ধের ধারে কাছেও যায়নি এমন লোকেরা মুক্তিযোদ্ধা বনে গেল। এই পরিস্থিতি সকল মুক্তিযোদ্ধাদের আহত করে। যারা মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও যোদ্ধা বনে গেছে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধা সংগঠনগুলোর নেই । কারণ তথাকথিত মুক্তিযোদ্ধারা দলবাজি, চ্যানেল বাজি করে উচ্চ পর্যায়ের রুই কাতলাদের সহযোগিতায় তাদের অবস্থান টিকিয়ে রেখেছে। তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারাই রীতিমত ভীত সন্ত্রস্ত ও কোন কোন কারণে বিব্রতও বটে। মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে এখন আর অস্ত্র নেই যে কোন আক্রমণ প্রতিহত করবে।অনেকেই ইহধাম ত্যাগ করেছে।অবশিষ্টরা বয়সের ভারে ভারাক্রান্ত। যাদের দেখতাম অন্যায় অনিয়ম দেখলে বিজলীর মত জ্বলে উঠত, বজ্রের মত হানা দিত । তাদের এখন দেখা যায় নির্জীব।
তবে, এই অবস্থায় চুপ করে থাকলে সমস্ত জাতির প্রতি অবিচার করা হবে। কারণ মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যানের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একের পর এক উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক ভাতা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এই ভাতা সমগ্র জাতির প্রদত্ত ট্যাক্স থেকেই যোগান দেয়া হয়। জনগণের সেই কষ্টের অর্থ নির্বিচারে ব্যয় হওয়া কোন ভাবেই কাম্য নয়। সদাসয় সরকারও নির্বিচারে ব্যয়ের জন্য এই অর্থ বরাদ্দ করেন না। মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরনীয় করে রাখার জন্য রাস্তার নামকরণ করা হচ্ছে। দেখা যাবে তথাকথিত মুক্তিযোদ্ধার নামেও একটি রাস্তার নামকরণ করা হয়ে গেছে। মুক্তিযোদ্ধা সংগঠনের নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য উপস্থিত হলাম। দেখলাম, তথাকথিত মুক্তিযোদ্ধারাই প্রাধান্য বিস্তার করছে। তালিকাভূক্তি হতে বঞ্চিত মুক্তিযোদ্ধারা ফেল ফেল করে তাকিয়ে আছে। এ যন্ত্রণাকর পরিস্থিতি হতে উত্তরণ প্রয়োজন। মুক্তিযোদ্ধার সৃষ্টি হয়েছিল জাতির মুক্তির জন্য। তাই, মু্ক্তিযোদ্ধাদের যন্ত্রণামুক্ত করার দায়িত্ব এখন জাতির উপরই ন্যাস্ত। একজন সচিব যেখানে জালিয়াতির মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার বাসনা রাখে সেখানে সাধারণ মানুষের মধ্যে এ প্রবণতা থাকাও অসাধারন নয়। মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের অস্তিত্ব মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যকেই ব্যহত করবে। তাই, বিষয়টি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি “ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ছাটাই প্রকল্প” চালু করার প্রস্তাব করছি।
আমার প্রস্তাবঃ
1। “ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ছাটাই প্রকল্প” নামে একটি প্রকল্প মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে খোলা যোতে পারে।
2। প্রকল্পের অধীনে একটি কমিটি থাকবে। কমিটিতে সদস্য সংখ্যা থাকেবে 7 জেলা থেকে 7 জন।
3। এই সদস্যের কর্মকাল হবে 6 মাস। 6 মাস পর অন্য 7 জেলার 7 সদস্য দ্বারা প্রতিস্থাপিত হবে। এই পদ্ধতিতে 6 মাস পর পর পরিবর্তিত হবে।
4। এই কমিটিতে সভাপতিত্ব করবেন একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি।
5। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের তথ্য পাওয়া মাত্র তাকে কমিটির সামনে হাজির হওয়ার নির্দেশ সম্বলিত নির্দেশ দেওয়া হবে।
6। যদি অনাকাঙ্খিতভাবে কোন অভিযুক্ত ও কোন সদস্যের নিজ জেলা এক হয়ে যায়, তবে ঐ সদস্য ঐ ব্যক্তির সাক্ষাতকার পর্বে উপস্থিত থাকবে না।
এই ব্যবস্থার মনোস্ত্বাত্বিক দিক হলো ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা 7 সদস্যের একটি কমিটির সামনে হাজির হওয়ার সাহস পাবে না।
অতএব জনস্বার্থে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় একটি “ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ছাটাই প্রকল্প” চালু করার ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদয় মর্জি হয়।
বিনীত নিবেদক
গোলাম কিবরিয়া মজুমদার
মুক্তিযোদ্ধা
গ্রামঃ হাসানপুর, পোঃ আনন্দপুর
উপজেলাঃ ফুলগাজী, জেলাঃ ফেনী।
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:১৪
মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: বুঝতে পারিনি আপনার প্রশ্ন । খোলামেলা করে বলুন ।
২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:২০
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: মানে প্রস্তাবিত প্রকল্পটা বাস্তবে কি সম্ভব?? আর মিঃ মজুমদারের লেখাটি কি শেয়ার করেছেন না আপনারই প্রস্তাবিত??
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৩৩
মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: প্রস্তাবিত প্রকল্পটা বাস্তবায়ন করা সম্ভব যদি আপনি আমি সবাই সচেতন হয়ে প্রচারনা চালাই। প্রস্তাবটি মাথায় রেখে আমরা যে যেখানে আছি সেখান হতে উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারি । আপনি আপনার মতো করে, আমি আমার মতো করে প্রচারনা চালাতে পারি। আমার ব্লগে উনার লেখাটি ছাপানোটা ঐ প্রচারেরই অংশ। মিঃ মজুমদার তার এ লেখাটি বিভিন্ন প্রত্রিকায় পাঠিয়েছেন আাজ হতে প্রায় আরো ৩ মাস আগে। অবশ্য আমি লেখাটি টাইপ করে দিয়েছিলাম। উনি খুব আশাবাদী যে উনার এ প্রস্তাবটি সদাসয় সরকার আজ হোক, কাল হোক সময়ের প্রয়োজনে বাস্তবায়িত করবে। আর একটা কথা, কোনটি বাস্তবায়িত হবে আর কোনটি হবে না সেটা বিবেচনা করে কিন্তু কাজ করা যাবে না। আপনি যখন একটা গাছ লাগান নিশ্চয় নিশ্চিত হন না যে, গাছটি বড় হয়ে আপনাকে ফল দিবে। তবে, আপনি যা করেন তা হলো তার পরিচর্যা করেন, যত্ন করেন। এটাও তেমন মনে করবেন। আমরা চেষ্টা করতে পারি মাত্র , নুন্যতম দায়িত্ববোধ থেকে। নয়তো সত্য প্রকাশিত হবে কিভাবে বলুন? “ পুরুষ্কার তো পরিশ্রমের উপরই নির্ভর করে ।”
৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:১২
Tas DE Sun বলেছেন: কঠা যুক্তি সংগত। আমাদের ইউনিয়নের কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা চিনি যাদের কাছের মানুষ রাজনৈতিক দলের সাখে কোন না কোন ভাবে সংযুক্ত। এখন তারা সরকার দলীয় রাজনীতি তে ব্যস্ত,।তবে লোক মুখে শুনি তারা মুক্তিযুদ্ধ তো দূরের কথা সে সময় এলাকা ছেরে পালিয়েছিলো,।।।।।
এ সত্যিই লজ্জা জনক,কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা দেরই কোন প্রতিক্রিয়া নেই,,তারা সরকারের লেবুর বৃত্তি করতে ব্যস্ত তবে আমার ধারনা সেকল মুক্তিযোদ্ধাই লেজুরবৃত্তি করে যারা সত্যিকার অর্থে মুক্তিযোদ্ধা ছিলো না।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:১২
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাধা বরং এর চেয়ে সহজ।।
আপনি কি শেয়ার করেছেন??