![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তবুও আমরা সফল ◄
মাঝে মাঝে সাহায্যকারী পথিক, বটগাছ আর সেই দুষ্ট শিয়ালের গল্প মনে পড়ে। আমাদের আচরণে অনেকটাই সুচতুর-পন্ডিত শিয়াল, অসহায় পথিক এবং অসহায় বটগাছ এর চরিত্র ফুটে উঠে। একসময় ছিল যখন মানুষ তার শত্রুকেই শত্রু মনে করতো কিন্তু সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে এখন মানুষ তার পরিক্ষিত বন্ধুকেও শত্রুর তালিকায় যোগ করে। মানুষ এক সময় পিছনে আঘাত করতো এখন পিছনেতো করেই, সুযোগ পেলে সামনে (একেবারে বুকে) আঘাত করতেও দ্বিধাবোধ করেনা । কোন এক সময় মানুষ বাজে কাজ, খারাব কাজে আশ্চর্য্ হতো আর শুভ কাজে স্বাভাবিক থাকতো। কখনো মানুষ ভালো কাজের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত থাকতো আর এখন অহিতকর কর্মে মানুষ প্রতিযোগিতা করে। কেননা, মানসিকতার পরিবর্তন হয়েছে। মানুষ এখন খারাব কাজে স্বাভাবিক থাকে আর ভালো কাজে আশ্চার্য্ হয়। মনে পড়ে-
“ লেখাপড়া করে যে গাড়িঘোড়ায় চড়ে সে” বা
“ মাষ্টার সাব আমি নাম দস্তখতখানি শিখতে চাই” বা
“ আফায় কইছে আমারে বাল্যশিক্ষা কিনা দিব” ইত্যাদি।
এখন আর সেই সব গান বা ছড়া শোনা যায়না । উঠে গেছে মানুষের মন থেকে। পরিবর্তন হতে হতে এমন হয়েছে যে, এখন শিক্ষকরা উল্টো শিক্ষার্থীর কাছ হতে আদব-কায়দা শিখতে হয়। ছাত্রদের নিকট হতে জানতে হয় “ বেত্রাঘাত আইনে নিষিদ্ধ” বেচারা শিক্ষক বাধ্য হয়ে গিলতে হয় উপদেশ নয়তো ক্লাশের বাইরে কোন অপ্রিতীকর ঘটনার মুখোমুখি হতে হয় ।
সবত্রই পরিবর্তনের ছোঁয়া । পরিবর্তনের ছোঁয়ায় মানুষের কোমল মন পাথরে পরিণত হয়েছে। জন্তু-জানোয়ারেরাও তাদের চরিত্রে পরিবর্তন এনেছে। কুকুর দেখলে এখন বিড়াল দৌঁড়ে না, বিড়াল দেখলে কুকুর ঝাঁপিয়ে পড়ে না। বরং এক পাতে খাবার খায়, যেন জন্ম জন্মান্তরের বন্ধু। আর মানুষ?
শিক্ষিতের হার বেড়েছে, পয়সাওয়ালা বেড়েছে, উৎপাদন বেড়েছে শস্যে-মৎসে, পানীয়ে-দুগ্ধে, নেতা বেড়েছে পাড়ায়-মহল্লায় (বড় ভাই, ছোট ভাই, মেঝ ভাই, পিচ্ছি ভাই আরো কতো পদের ভাই তার হিসাব রাখে কে?)। বাড়তী কথা বলার মানুষও বেড়েছে। টক শো আর চায়ের দোকানে আলোচনার ঝড় বেড়েছে।
ঋণগ্রহীতা বেড়েছে, ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানও বেড়েছে আর বেড়েছে ঋণখেলাপীও । উপকারীর ক্ষতিসাধনের মানসিকতা বেড়েছে তড়তড় করে । মানুষ এখন উপকার করে পিঠে ছালার বস্তা (চটের বস্তা) বেধে রাখতে হয় । পাওনা চাইতে গিয়ে খুন-গুমের আতংকও বেড়েছে । ধর্মকর্মে মনোযোগ বেড়েছে, শিয়া-ছুন্নি, তাবলিগ, পীর-মুরিদী, মাজহাবি-লা-মাজহাবি, মাজার ভক্তি সবক্ষেত্রেই উন্নতির জোয়ার বেড়ে প্লাবনের রূপ গ্রহণ করেছে । মানুষের চরি্ত্রে অমানুষের প্রবণতা বেড়েছে, খাই-খাই, নাই-নাই রব বেড়েছে । ভুক্ত-অভুক্ত বেড়েছে সমানতালে । পাহাড় খেকো, নদী খোকো কোথাও কমেনে বরং বেড়েছে তড়তড় করে । ফলে চুরি- ছিনতাই, হত্যা-আত্নহত্যা, হতাশায় হাজার মানুষ মরেছে ।
তবুও আমরা সফল, কারণ আমাদের সফলতার হার বেড়েছে আগের চেয়ে অনেক গুণ।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৩
মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: ভাই বাংলার ফেসবুক, হতাশার কথা বলতে নেই, আমরা সবাই বর্তমানে বাস করি, অতীতে বা ভবিষ্যতে নয়, ভবিষ্যতে কি হবে তা না ভেবে বরং আমাদের সন্তানদের জন্য অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে বর্তমানে সবাই সবার জায়গা থেকে এগিয়ে আসি। সবাই সবার দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হই। আপনাকে ধন্যবাদ, সুন্দর করে মনের অভিব্যক্তি তুলে ধরেছেন। আমি হলে পারতাম না।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৪৬
বাংলার ফেসবুক বলেছেন: ভাইরে সময়ের বিবতণে এখন সভ্য মানুষ গুলো অসভ্য প্রাণীতে রূপ নিয়েছে। চারিপাশ্বের পরিবেশ দুষোণ করছে। আগামী প্রজন্ম এর মধ্যে কেমনে বসবাস করবে। কি ভাবে তারা দেশ সেবা করবে। বাবা কাকাদের আচারণ দেখে শিক্ষকের আদর্শবাণী ভুলে যাবে। কলমের বদল দা কুড়াল হাতে নিয়ে সন্ত্রাসীর ট্রেনিং নিবে।