![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভর্তিযুদ্ধে অন্যায়ের আশ্রয়
=== মোঃ খুরশীদ আলম
ন্যয় অন্যায় প্রার্থক্য করার ক্ষমতা লোপ পেয়ে এখন বোধশক্তির আমূল পরিবর্তনে অন্যয়টাই ন্যয় আর ন্যয়টাই অন্যায় হিসাবে সাব্যস্থ ও প্রতিষ্ঠিত সত্য হিসাবে প্রকাশ পেয়েছে । অণৈতিকতা প্রকাশে এখন আর মানুষ রাখঢাক অবশিষ্ট রাখেনা । প্রকাশ্যে দুনম্বরী করা এখন অনেকটাই যোগ্যতার মাপকাঠি । সন্তানের জন্ম নিবন্ধন, পাঠশালায় ভর্তি, চাকুরীর নিয়োগ সবখানেই এখন দুর্নীতি চেপে বসেছে । দুর্নীতি চেপে বসেছে আমাদের মানসিকতায় । পাঠশালায় ভর্তির সুবিধার্থে জন্ম নিবন্ধনে বয়স কমিয়ে উল্লেখ করা, ভবিষ্যতে চাকুরীর সুবিধার জন্য জন্ম নিবন্ধনে বয়স কমিয়ে দেয়া, ভর্তির সময় দেন-দরবার করে উৎকোচ প্রদান করা ইত্যাদি কারো অজানা নয় । যেসব অভিভাবকরা তাদের সন্তানের সঠিক তথ্য উপস্থাপন না করে ভুল তথ্যাদি দিয়ে সুবিধা পেতে চান তাদের কাছে আমার প্রশ্ন – এতে করে কি সন্তানের মঙ্গলের চেয়ে অমঙ্গল বেশী হবে না? জীবনের প্রথম অধ্যায়েই যদি সন্তানকে দুর্নীতিতে জড়িয়ে ফেলি তাহলে বাকি জীবনতো পড়েই আছে , তখন কি করবো ভেবেছেন কি । ভাল বিদ্যালয়ে সন্তানকে ভর্তির সময় আমরা সবাই যদি দৃঢ়ভাবে অন্যায়কে অর্থাৎ যে কোন তদবিরকে রুখে দেই, অন্যায় থেকে দূরে থাকি, তাহলে মেধার সঠিক মূল্যায়ন হবে । যোগ্য সন্তানটি আসন পেতে সমস্যা হবে না । কারণ কোন কম মেধার শিক্ষার্থীর তদবিরের কারণে হয়তো অভাবগ্রস্থ কোন মেধাবী শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ হতে বঞ্চিত হতে পারে । এভাবে সমাজ ও দেশ একজন মেধাবীকে হারালে তাতে কি আপনার আমার চূড়ান্ত কোন লাভ হবে? বিবেগকে প্রশ্ন করুন, আশা করি সঠিক উত্তর পেতে বেগ পেতে হবে না ।
©somewhere in net ltd.