নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যারা ইমান আনে এবং সৎকাজ করে তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত যার নিচ দিয়ে প্রবাহিত রয়েছে নহর সমূহ ( আল কুরআন)“সত্য ও সুন্দরকে ভালবাসি, অন্যায়- অবহেলা দেখলে খারাপ লাগে, তাই ক্ষদ্র এ প্রয়াস “

মোঃ খুরশীদ আলম

মোঃ খুরশীদ আলম, চট্টগ্রাম

মোঃ খুরশীদ আলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রসঙ্গঃ রমযানে গজিয়ে উঠা হিন্দু হোটেল

০৩ রা জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৫১

প্রসঙ্গঃ রমযানে গজিয়ে উঠা হিন্দু হোটেল

আমাদের সমাজে একটা বাক্য খুবই প্রচলীত যে,

“ আপনি মদ মনে করে জল পান করলে তাকে মদ হিসাবেই গণ্য করা হবে।”

ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি চর্চার গুরুত্বারোপ করে এমনটি বলা হয়।

ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি মানুষের জীবনকে সহজ-সরল পথে চলতে সাহায্য করে। জীবনকে সুন্দর করে, শৃঙ্খলাবদ্ধ করে।

মাহে রমযান আসন্ন; মুসলিমদের সবচেয়ে বড় ও দীর্ঘতম সময়ব্যাপী এবাদতের মৌসুম। প্রত্যেকটি পেশার একটি নির্দিষ্ট “জো” (কাজে ব্যস্ততার সময়) আছে, তেমনি মাহে রমযান হলো মুমিনদের ইবাদতের “জো” বা ইবাদতে অধিক মনোযোগী হবার সময়। মুমিনগণ সারা বছর কায়মোনবাক্যে আল্লাহর দরবারে হায়াত (আয়ু) প্রার্থনা করে যেন মাহে রমযান পর্যন্ত সুস্থ থেকে এবাদতে মশগুল হতে পারে।
► মুসলমানদের নিটক এ মাস অত্যন্ত পুতঃ-পবিত্র;
► এ মাসে এমন একটি রজনী রয়েছে যা হাজার মাসের চেয়ে উত্তম।
প্রত্যেক মুসলমান চায় এ রাতে এবাদত বন্দেগী করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে।
► অন্যান্য মাসের নফল এবাদত এমাসে ফরয এবাদতের সমান মর্যাদা লাভ করে ।
► মহাগ্রন্থ আলকোরান নাযিলের মাস হিসাবে রমযান মাস অন্যান্য মাসের চেয়ে বেশি মর্যাদাবান।
► রমযান মাস রহমত নাযিলের মাস;
► রমযান মাস বরকত নাযিলের মাস;
► রমযান মাস মাগফিরাতের মাস, ক্ষমা চাওয়ার মাস, ক্ষমা পাওয়ার মাস ।
রমাযান মুসলমানের ধর্মীয় এবাদত কিন্তু এ মাসে সকল ধর্মের মানুষের ব্যস্ততার সীমা থাকে না। রমযানকে কেন্ত্র করে ব্যবসায়ীদের ব্যবসাসহ অন্যান্য পেশার মানুষেরা বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা লাভ করে থাকে।
রমাযান মাসকে সঠিক ব্যবহারের জন্য মুমিনেরা তাসবিহ তাহলিল, দানসদকা, জিকির আযকার, সংযম, ধৈর্য়্য, তারাবি, ইফহার আর সেহেরির সঠিক পন্থা অবলম্বন করে। পক্ষান্তরে একশ্রেণীর সবিধাবাদি বান্দারাও এমাসকে তাদের অর্থউপার্জনের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে থাকে। রমযানে দ্রব্যমূল্য ক্রয়ক্ষমতার বাইরে থাকা, মার্কেটগুলোকে প্রয়োজনের অতিরিক্ত আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা, দিনের বেলা হোটেল রোস্তরা ইত্যাদি খোলা রাখা ইত্যাদি রমযানের পবিত্রতা নষ্ট করে।
কোন কোন এলকায় হীন্দু হোটেল নামীয় হোটেল তৈরী হয় যেখানে দেখা যায় যে, মুসলমানেরাই পরিচালক। আশ্চার্য্ হলো কোন হীন্দু এসব হোটেলে মুসলমানের সংযম নষ্ট করতে আসেনা বরং রোজাদারদের সামনে যাবতীয় পানাহার থেকে বিরত থাকে। দাওয়াত কার্ড, ভিউকাড্রের দোকানগুলোতে অশ্লিল ছবি প্রদর্শনী করা রমাযানের পবিত্রতা নষ্ট করার শামিল। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় মুসলমানের সন্তান এসব কাজে লিপ্ত।
ছোট বেলায় দেখতাম মসজিদের ইমাম সাহেবের নেতৃত্বে মুসল্লিরা লাঠিসোটা হতে এসব হোটেল ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিত। এখন সেই সাচ্চা ইমানদার ইমান সাহেব দেখিনা। মসজিদ কমিটিগুলোও এখন রাজনীতি চর্র্চায় ব্যস্ত। কমিটির বাইরে কথা বলা ইমাম সাহেবের দায়িত্বে পড়ে না; এমনটাই এখন রীতিতে পরিণত হয়েছে।
পরিশেষে, পূর্বের কথায় ফিরে আসি। দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়ে বলেছিলাম এজন্য যে, রমযানে গজিয়ে উঠা তথাকথিত হীন্দু হোটেলে (যা হিন্দুদের দ্বারা পরিচালিত নয়) কোন মুসলমান যদি ভোগাহারে লিপ্ত থাকে তবে সে মুসলমান কিনা প্রশ্ন থেকে যায়, প্রশ্ন তৈরী হয় তার মুসমানিত্ব কতটুকু আর অবশিষ্ট থাকে।
আসুন,
► যাবতীয় বাজে কাজ পরিহার করি;
► টাকা কামানোর নামে আমার-আপনার সন্তান ইমান বিধ্বংসী, রমযানের পবিত্রতা নষ্টকারী কোন কাজে লিপ্ত হলো কিনা তা তদারক করি,
► সন্তান যেন রোযা রাখে, একসাথে মা-বাবার সাথে ইফতার করে, বাবার সাথে একত্রে তারাবি পড়তে মসজিদে যায় সেদিকে নজর দিই;
► এসব ক্ষেত্রে সন্তানের কোন অযুহাত গ্রহণযোগ্য হবে না।
আমার-আপনার সন্তান প্রথম ভদ্রতা যেমন পরিবার থেকে শিখে তেমনি নষ্ট হওয়ার প্রথম সিড়িতে পা রাখে কিন্তু আমার-আপনার ঘর থেকেই ।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩১

পাউডার বলেছেন: হে মূর্খ, আগে নিজে জ্ঞান লাভ কর, এবং তার পর বিতরণ করার চিন্তা কর।

১। তুমি বলেছ দিনের বেলা হোটেল রোস্তরা ইত্যাদি খোলা রাখা রমযানের পবিত্রতা নষ্ট করে। কেউ খেলে রমজানের মর্যাদা যায় না। তোমার জানা উচিত বিশ্বে ৫০০ কোটির বেশি মানুষ রোজা রাখে না। তাই বলে রমজান মিথ্যে হয়ে যাবে না।

২। তুমি লাঠি ওয়ালা ইমানদার দেখতে চেয়েছ। অথচ সুরা বাকারার ২৫৬ নাম্বার আয়াতে আল্লাহ বলছেন, "দ্বীনের ব্যাপারে কোন জবরদস্তি বা বাধ্যবাধকতা নেই।" অতএব লাঠিওয়ালা ইমানদার এবং তুমি আল্লাহর আইন অমান্য করছ।

৩। তুমি বার বার হিন্দু হোটেল হিন্দু হোটেল বলে ঘৃণা ছড়ানোর চেষ্টা করছ। বিদ্বেষ ইসলামের অংশ নয়। কোন হিন্দু এসে তোমার বাবার পাছায় লাঠি মেরে বলেনি যে বেটা রোজা ভেঙ্গে ফেল।

শেষ কথা যে আল্লাহকে মানবে সে আল্লাহর হুকুমে রোজা রাখবে। জোর খাটানো ইসলাম নয়।

০৩ রা জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৫

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: হম, বুঝলাম।

২| ০৩ রা জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৫

আহলান বলেছেন: আমরা রোযায় উপবাসকে গুরুত্ব দেই, হালাল হারামকে তত গুরুত্ব দেই না ...

০৩ রা জুন, ২০১৬ রাত ১১:৪৮

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: গুরূত্ব দিতেই হবে, নইলে উপায় নাই।

৩| ০৩ রা জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪০

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: যে রোজা না রাখ‌তে চাই‌বে সে এম‌নি‌তেই রাখ‌বেনা। হো‌টেল খোলা থাক বা না থাক।
ত‌বে যে ব্যবসার জন্য নি‌জের দ্বীন‌কে বিসর্জন দি‌বে হিন্দু হো‌টেল ব‌লে তার রোজা ও ঈমান টি‌কে থাক‌বে কিনা আল্লাহই জা‌নেন।

০৩ রা জুন, ২০১৬ রাত ১১:৫১

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: সত্য উপলব্ধির সময় এসেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.