![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বন্ধু হতে চেয়ে তোমার শত্রু বলে গণ্য হলাম
========মোঃ খুরশীদ আলম
কৌশলে জিজ্ঞাসা এড়িয়ে যাওয়া অন্যায় কিনা তার ব্যাপারে বিস্তারিত জ্ঞান নাই। তদুপরি এটা নিশ্চিত করে বললে পারি যে, আপনি কারো জিজ্ঞাসা এড়িয়ে হয়তো চাতুরতার পরিচয় দিয়েছেন কিন্তু আপনি আপনার মনের অজান্তেই প্রশ্নকর্তার আন্তরিকতার হতে যোজন দূরে অবস্থানের বীজ বপন করেছেন। প্রশ্নকর্তা আপনার ধূর্ততা বুঝতে সক্ষম হবে সেটা বড় কথা নয়। বড় কথা হলো জিজ্ঞাসাকে এড়িয়ে যাওয়া হবে তার জন্য চরম অবমাননাকর, অপমান, লজ্জারও বটে। আপনার যদি আবেগ উপলব্ধি করার মতো ছোট্ট একটা মন থাকে তবেই আপনি আপনার সঙ্গীর হৃদয় ভাঙ্গার শব্দ শুনতে পাবেন, তাকে উপলব্ধি করতে সক্ষম হবেন, অন্যথায় নয়। আবশ্য এমনযে সবসময় হয় তা নয়, কখনো কখনো হয়। বিশেষত প্রশ্নকর্তা আর উত্তরদাতা যদি হৃদয়ের বন্ধনে আবদ্ধ থাকেন। আপনার এড়িয়ে চলাকে তিনি যদি ধর্তব্য মনে করেন আর আপনি যদি তার পূর্বোক্ত জিজ্ঞাসার কূলকিনারা না করে থাকেন তবে তিনি গো ধরতে পারেন, গোমরা মুখে থাকতে পারেন, এটুকু অধিকার তার নিশ্চয় আছে।
যেখানে আবেগ যত বেশী সেখানে প্রেম ততো বেশী। যেখানে প্রেম যতো বেশী সেখানে বাদানুবাদও তত বেশী। আপনার সঙ্গীর সেরা গোলাপটা আপনি আশা করতে পারেন, তার দীর্ঘমেয়াদি চাহনিও আপনার দাবী হতে পারে। কিন্তু আপনার সঙ্গী যখন আবিস্কার করেন যে, তৃতীয় কোন কারণে তার আশা আকাঙ্খার বুকে ছুঁরি চলছে তখন তিনি বিভিন্নভাবে পতিক্রিয়া দেখাতে পারেন যার ক্রিয়া হয়তো আপনার ভাল নাও লাগতে পারে। কারণ আপনাকে নিয়েই তার রাজ্য, রাজত্ব। তাই তিনি চাইবেন না তার রাজত্বে কেউ বাঁধা হয়ে পড়ুক। তার স্বপ্ন যেহেতু আপনাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠে তাই আপনার প্রতিকূলে অশালীন বক্তব্য, কমেন্টস তার হৃদয়ে ক্ষত সৃষ্টি করবে, মানাভিমান রচনা করবে, এটাইতো স্বাভাবিক। স্বাভাবিক এই আচরণ আপনাকে যদি ব্যথিত করে তবে সেটা মঙ্গলজনক নাও হতে পারে। তাই আপনাকে উদ্যোগি হয়ে তাকে ফিরিয়ে আনতে হবে কেননা আপনাকে নিয়েই তার ভুবন জয়ের স্বপ্ন ছিল।
আজকাল মানুষ আগের মতো করে ভাবেনা, ভাবতে চায়ওনা । চলনে-বলনে, আচরণে মানুষ আজ অনেকটা যান্ত্রিক সরঞ্জামে পরিণত হয়েছে। একই সাথে এখন মানুষ অনেকের বন্ধুত্বে আবদ্ধ হচ্ছে। তাই ভাল মন্দ বিচার বোধ হারাচ্ছে অনেক সময়। তবে সবাই নয়, কারা নয়? তিনি নয় যিনি কথায় কথায় আপনাকে সুধরাতে গিয়ে আপনার চক্ষশূলে পরিণত হয়েছেন। অজানা আকাঙ্খায় যিনি সর্বদা আপনাকে সতর্ক করেন, করতে চান, তিনিই যান্ত্রিকতার বাইরে। যিনি সর্বদা আঠার মতো করে লেগে থাকেন, আপনার প্রত্যেকটা পদক্ষেপ যার আন্তরে ঠক ঠক করে শব্দ করে জানান দেয় আপনাকে সুধরানোর প্রয়োজনীয়তা। নিঃসন্দেহে আপনার উচিত হবে শোকরিয়া আদায় করা। কারণ যারা মেকী ভালবাসায় অভ্যস্থ তারা শাসন করেনা, বারণ করেনা, বরং তারা মধুর মধুর কথা বলে আর আপনার বারটা বাজানোর সুযোগের সন্ধানে থাকে। সুতরাং যে আপনাকে নিয়ে সদা ব্যাতিব্যস্থ তাকে বন্ধু ভাবুন শত্রু নয়।
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪১
মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: সত্যিই বড় আজিব! ভাল বলেছেন।
২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: প্রেম ভালোবাসা জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ন কিছু না।
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৮
মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: এতোটা অমানবিক উত্তর আশা করিনি। তবুও ভাল যে, আপনার মতো ব্যতিক্রমি কেউ আছে। শুভ কামনা জানবেন ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০৭
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: মানুষরে ভালো কথা বলতে গেলেই ক্যাক করে উঠে! বড়ই আজিব!