নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একেবারে সোজা সাপটা ভাষায় নিজের সম্বন্ধে কিছু কথা বলতে চাই;আমি একজন মুসলিম;জন্মসুত্রে এবং উত্তরাধিকার সূত্রে।হানাফি,মালিকি,শাফেয়ী,হাম্বিলি কিংবা আহলে হাদিস,সুন্নী,সালাফী কোন পরিচয়ে পরিচিত হতে আমি অভ্যস্ত নই।জানার ইচ্ছা আমার চিরন্তন।জানানোর ইচ্ছাও ব্যাপক।

মু মাহফুজ আজিম

পৃথিবীর সবচেয়ে আনন্দদায়ক কাজগুলোর একটি হল নিজের সম্বন্ধে লেখা।কাজেই বোঝা যায় মিথ্যা আর তোষামোদে ভরপুর।অনেক দিন অপেক্ষা করেছি এই অংশটা লেখার জন্য। কিন্তু লিখি নাই কারণ আমাদের আশেপাশের লোকজন খুবই যন্ত্রণাদায়ক।একটা মানুষকে তারা ভালবাসবে সেটা যে কারণেই হোক কিন্তু কোনদিন বুঝতে দেবে না।খালি এখানেই শেষ না, যেই কারণে ভালবাসা আবার সেই কারণকেই সবার সামনে নিজের কাছে সবচেয়ে ঘৃণ্য কাজ হিসেবে প্রচার করে।

মু মাহফুজ আজিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশ ও শিক্ষা সমাচার

১১ ই মে, ২০১৪ রাত ১:৫১

আমি যখন ষষ্ঠ শ্রেনীতে পড়তাম , তখন থেকে এসএসসি পর্যন্ত একটা কমন রচনা সিলেবাসে ছিল -Population Problem in Bangladesh(বাংলাদেশে জনসংখ্যা সমস্যা) । এই অসুবিধার কথা সবারই জানা। কারণ এই আসুবিধাই আমাদের শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমি যখন সেকেন্ডারি,হায়ার সেকেন্ডারি গন্ডি পার করে অন্ডার গ্রেডুয়েশন(৩য়) বর্ষে পড়ছি এখনকার উপলব্দি পুরোটাই ভিন্ন। আমি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে জনসংখ্যা কোন সমস্যা হিসেবে দেখিনা। Now population is power! প্রতি বছর আমাদের যে পরিমানে রেমিটেন্স পাঠাচ্ছে তাতেই তো আমাদের অর্থনীতি কিছুটা চলছে। আর আমরা যারা তাদের অর্থনীতির উপর নির্ভর কিছুটা শিক্ষিত হওয়ার চেষ্টা করছি তারাই আজ দুর্নীতিগ্রস্থ! আর আমাদের প্রাপ্ত শিক্ষা থেকে আমরা উনাদের সম্মান দিতে পারিনা ।এই দায় জাতি হিসেবে দুর্ভাগ্য আমাদের !



আর তথাকথিত শিক্ষা ব্যবস্থায় বড় হওয়া এই শিক্ষিত সমাজই দেশকে নিয়ে যাচ্ছে কয়েকশত বছর পিছনে। যেমনটি ১৯৭১ সালে পাকিস্থানিরা করেছিল প্রতি সেক্টর ধরে ধরে। ফ্লিম ইন্ডাস্টিকে ধ্বংস করতে হবে - জহির রায়হানকে মারো ।শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে হবে-মুনীর চৌধুরীকে মারো ।সংস্কৃতি ধ্বংস করতে হবে-আলতাফ মাহমুদকে মারো। আজ তাই তো আমরা সকল কিছু থেকে অনেক বছর পিছনে পরে আছি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর যে একটু নিজে শিক্ষিত হয়ে জাতির জন্য কিছু করতে ইচ্ছে পোষন করেন তাকেই উচ্চতর ডিগ্রির নামে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কোন এক উন্নত রাষ্ট্রে।



এতে আমরা আল্টিমেটলি কি পাচ্ছি ! কিছুই না। তাদের মেধার মূল্যায়ন তাদেরস্বদেশ করে না। এমনি একটা নিউজ পেয়েছিলাম গেল কয়েকদিন আগে খররটি ছিল "কিছু ভাইয়া ও আপুরা(আদনান, মুশতাক, ইমতিয়াজ, নাসরিন ও জয়শ্রী )বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গভেষনারত । উনারা দেশের জন্য কিছু করতে চায়, সরকারে কাছে সহযোগিতা চায় কিন্তু তারা সেই সহযোগিতা কখনোই পায়নি। তাই তারা কিছু দিতে পারছেনা দেশকে।



আমি স্টিভ জবের একটা উক্তিতে পড়েছিলাম, ক্যাটাগরি "বি" এর এডমিনিস্ট্রেটর'রা সব সময় তাদের থেকে কম কোয়ালিফাইডের মানুষ কোম্পানীতে চাকরি দেয়। আর এ ধরনের এডমিনিস্ট্রেটররা ধীরে ধীরে কোম্পানীকে ধংসের পথে নিয়ে যায়। আমাদের দেশের চাবিকাঠি যাদের যাদের হাতে তারা সবাই ক্যাটাগরি "বি"। তবে তারা একটু চালাক প্রকৃতির, আর তাই তারা দেশে আপনাদের (আদনান, মুশতাক, ইমতিয়াজ, নাসরিন ও জয়শ্রী)স্টান্ডার্ড কোন গবেষনা প্রতিষ্ঠান রাখে নি, যাতে আপনারা দেশে না আসেন আর দেশের ভেতরে থেকে আপনাদের মেধা দিয়ে ঝামেলার সৃষ্টি করতে না পারেন। এই যদি হয় শিক্ষা ব্যবস্থার নামে মুলো ঝুলানো তাহলেই ত বুঝি দেশটা কিভাবে চলছে!!



আর আমার মনে হয় পৃথিবীতে এই একটা দেশ,যেখানে শিক্ষাকে মূল্যায়ন করা হয়না। আসলে আমরা এমন শিক্ষিত যা "ধার করা শিক্ষার মত"এই শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে আমাদের বের হতে হবে। নবম শ্রেনীতে পড়াকালীন অন্নদা শংকর রায়ের প্রবন্ধ "পারী" তে একটা উক্তি পড়েছিলাম ""তারা(চীন) স্বদেশকে চিনে বলে বিশ্বকে চিনতে পারে।"" তাই স্ব শিক্ষায়( পরিবার ও সামাজিক ম্যানার) শিক্ষিত হয়ে সর্বপ্রথম নিজেকে ভালবেসে নিজের দেশের মানুষকে ভালবাসুন। তাবেই আমাদের শিক্ষা কাজে আসবে।

আজ যদি আমি কাউকে সম্মান দিতে জানি নিশ্চই আগামীকাল আমি কারো সম্মান পাওয়ার আশা করতে পারি। সেটা একমাত্র শিক্ষার(ম্যানার) মাধ্যমেই সম্ভব।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.