নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একেবারে সোজা সাপটা ভাষায় নিজের সম্বন্ধে কিছু কথা বলতে চাই;আমি একজন মুসলিম;জন্মসুত্রে এবং উত্তরাধিকার সূত্রে।হানাফি,মালিকি,শাফেয়ী,হাম্বিলি কিংবা আহলে হাদিস,সুন্নী,সালাফী কোন পরিচয়ে পরিচিত হতে আমি অভ্যস্ত নই।জানার ইচ্ছা আমার চিরন্তন।জানানোর ইচ্ছাও ব্যাপক।

মু মাহফুজ আজিম

পৃথিবীর সবচেয়ে আনন্দদায়ক কাজগুলোর একটি হল নিজের সম্বন্ধে লেখা।কাজেই বোঝা যায় মিথ্যা আর তোষামোদে ভরপুর।অনেক দিন অপেক্ষা করেছি এই অংশটা লেখার জন্য। কিন্তু লিখি নাই কারণ আমাদের আশেপাশের লোকজন খুবই যন্ত্রণাদায়ক।একটা মানুষকে তারা ভালবাসবে সেটা যে কারণেই হোক কিন্তু কোনদিন বুঝতে দেবে না।খালি এখানেই শেষ না, যেই কারণে ভালবাসা আবার সেই কারণকেই সবার সামনে নিজের কাছে সবচেয়ে ঘৃণ্য কাজ হিসেবে প্রচার করে।

মু মাহফুজ আজিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফেলে আসা শৈশব কালের ফ্ল্যাশব্যাকে আমরা সবাই খুব দুর্বল !

১১ ই মে, ২০১৪ রাত ২:১৫

মনে পড়ে সেই ফেলে আসা দিনগুলোর কথা ?

কতই না আনন্দে ভরপুর ছিলো সেই সময় !

যখন ইচ্ছে খোলা আকাশে ডানা মেলে

পাখির মতো উড়তে পারতাম।

সেখানে ছিলো না কোন বাঁধা

ছিলো না কোন মানা



সেই হারানো দিনগুলো আর ফিরে পাবো না:((

মনটা আবার ফিরে যেতে চায় হারানো নেই শৈশবে

স্বপ্নের চেয়েও মধুর সেই দিনগুলোতে ।:)



তবে কষ্ট হচ্ছে আমার স্মৃতির পটকের কথা ভেবে, আগামীর দিনগুলো নিয়ে আমার ভাবনার আকাশে রকমারি চিন্তা-দুশ্চিন্তার ঘনঘটা সেই পুরনো পথে যাওয়া হয়, পুরনো দিনে আর ফিরে যাওয়ার উপায়হীন বর্তমান। মন থেকে হুহু করে দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে যায়।:((

সবার কথা জানি না, কিন্তু এই আমার, এতোদিন পরে এসেও আজ হটাৎ ফিরে যেতে ইচ্ছে হচ্ছে সেই শৈশবে । বলাই বাহুল্য, সেই সময়টায় মনে হতো কবে বড় হবো , আর সবার মতো যা খুশি তা করতে পারবো, কিন্তু এখন, এই এতগুলো দিন পেরিয়ে এসে মনে হয়, বড় ভালো ছিলাম তখন … তখন ভাবনা থাকতো না সিজিপিএ ভালো করতে হবে , পরশু এটার প্রেজেন্টেশন দিতে হবে, এটা করতে হবে সেটা করা যাবে না। কেন জানি ভীষণ ধরণের মনে পড়ে স্কুলটাকে, শত নিয়মের বেড়াজালে পড়েও কোথায় জানি শিক্ষকদের স্নেহ আর শাসনগুলো(লেইজার পিরিয়ডের পরেই মকবুল স্যারের বাংলা ক্লাস । জানি হোমওয়ার্কে কোন ভুল হয়নি তারপরও কিসের জানি ভয় !! বন্ধুদের মারাই যেন ওনার বিশেষ নিয়তি বিশেষ করে হোম ওয়ার্কের নিচে কবরের জায়গা !! মাঝে মাঝে দোয়া করতাম স্যার যেন না আসে ! সেই দিনগুলো ছিল আতঙ্কের কিন্তু আজ স্মৃতি , না ভুলা স্মৃতি ! ইস কি দিন ছিল তখন !) খুব বেশি মনে পড়ে।



অসাধারণ কিছু মানুষ, যারা আমাদের শিখিয়েছিলেন মানুষ হতে, কখনো বলতেন না বড় হয়ে কী হবি, বলতেন যাই হস বড় হয়ে, ভালো মানুষ থাকিস । আজ থেকে এক যুগ( প্রাইমেরী স্কুলে পড়াকালীন) আগে। কত স্মৃতি, কত দুষ্টমি ভরা দিনগুলো । একটু-আধটু খুনসুটিও হতো মাঝে মাঝে, সেই দুরন্ত শৈশব। আমার ছেলেবেলা। দুপুরে ফুটবল খেলে বেগম জামিলার পিছনের পুকুরে উড়ন্ত ঝাঁপ ! ঝোপে-ঝাড়ে, গাছের ডালে পাখির বাসা খোঁজার নৈঃশব্দময় সময়গুলো। সূর্য মাথায় নিয়ে পুকুরের পানিতে ডুবোডুবি, সেই রক্তচক্ষু করা দুপুরগুলো।



আজ সেই স্মৃতি এক অবলোকন করতেই - কত বকেছি দিনের পড়ন্ত সূর্যটাকে,ভালোবাসার পৃথিবীটাকে আর বর্তমান সময়টাকে ।বেশ তো চলছে , অ-দেখায় কেটে যাচ্ছে জীবনের এই সময়।

একটাই কারণ আজ কত দূরে চলে এসেছি ! সময়ের ফুঁড় যে চলে গেছে তখনই!

আজ শৈশবেরে স্মৃতি লিখতে বসে হাজার হাজার ছোট ছোট ঘটনা মনে পড়ে যাচ্ছে। কিছু ঘটনা অনেক মজার কিন্তু বলা যাচ্ছে না। সবকিছু লিখতে গেলে হয়ত মাসের পর মাস চলে যাবে তারপরও মনে হবে ওহ ওইটা তো বলা হল না। সেদিনগুলোর কথা যখনি মনে আসে শুধু বুকের মাঝে কোথায় যেন কিছু জায়গা খালি মনে হয়। মানুষকে যদি যেকোন ইচ্ছে সত্যি করে পাওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হত, শৈশবকে আরেকবার পাওয়ার ইচ্ছেটা সবাই তালিকার উপরের দিকেই রাখত।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.