নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একেবারে সোজা সাপটা ভাষায় নিজের সম্বন্ধে কিছু কথা বলতে চাই;আমি একজন মুসলিম;জন্মসুত্রে এবং উত্তরাধিকার সূত্রে।হানাফি,মালিকি,শাফেয়ী,হাম্বিলি কিংবা আহলে হাদিস,সুন্নী,সালাফী কোন পরিচয়ে পরিচিত হতে আমি অভ্যস্ত নই।জানার ইচ্ছা আমার চিরন্তন।জানানোর ইচ্ছাও ব্যাপক।

মু মাহফুজ আজিম

পৃথিবীর সবচেয়ে আনন্দদায়ক কাজগুলোর একটি হল নিজের সম্বন্ধে লেখা।কাজেই বোঝা যায় মিথ্যা আর তোষামোদে ভরপুর।অনেক দিন অপেক্ষা করেছি এই অংশটা লেখার জন্য। কিন্তু লিখি নাই কারণ আমাদের আশেপাশের লোকজন খুবই যন্ত্রণাদায়ক।একটা মানুষকে তারা ভালবাসবে সেটা যে কারণেই হোক কিন্তু কোনদিন বুঝতে দেবে না।খালি এখানেই শেষ না, যেই কারণে ভালবাসা আবার সেই কারণকেই সবার সামনে নিজের কাছে সবচেয়ে ঘৃণ্য কাজ হিসেবে প্রচার করে।

মু মাহফুজ আজিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘ফুটবল বিশ্বকাপ' এই ইভেন্টটি যেন সমগ্র পৃথিবীকেই এক সুতোয় গেঁথে দেয়।

১৯ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:৩৪

দীর্ঘ ৪ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে আসছে জুন মাসের ১২ তারিখ ব্রাজিল এবং ক্রোয়েশিয়ার ম্যাচটির মধ্য দিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১৪। আবারো চায়ের কাপে ঝড় উঠবে; প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই উড়তে দেখা যাবে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি সহ যার যার পছন্দের ফুটবল দলের জাতীয় পতাকা।বরাবরের মতোই ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা দ্বৈরথ প্রায় আশি ভাগ আলোচনা জুড়ে থাকবে, পেলে- ম্যারাডোনাকে নিয়ে ভাগ হয়ে যাবে আমাদের দেশের ফুটবলপ্রেমীদের দল। সে আলোচনায় যে এবার নতুন মাত্রা যোগ করতে যাচ্ছেন বার্সেলোনার দুই সতীর্থ নেইমার এবং মেসি তা আর কাউকে না বললেও চলে। দেয়ালে দেয়ালে আবারো দেখা যাবে হরেক রকমের শ্লোগান, শুরু হবে ফেসবুকে নিজের পছন্দের দলের গুণগান করা আর অপছন্দের দলকে গালি-গালাজ করার মহোৎসব!

প্রতিটি বিশ্বকাপ ফুটবলই আমাদের সামনে নানা রকম নতুন প্রযুক্তি নিয়ে হাজির হয়। ব্রাজিলে অনুষ্ঠেয় এবারের বিশ্বকাপটিও এর ব্যাতিক্রম নয়। বরং এবারের বিশ্বকাপের শুরুতেই এমন এক অভাবনীয় প্রযুক্তির সাথে দর্শকদের পরিচিত করিয়ে দেয়া হবে যা এর আগে কোনো বিশ্বকাপেই করা হয়নি। অপেক্ষার প্রহর আর না বাড়িয়ে চলুন এবারের বিশ্বকাপ মাতাতে যাওয়া এমন কিছু নতুন প্রযুক্তির সাথেই পরিচিত হওয়া যাক..



১। ফুটবলে কিক্ করবেন এক পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগী! আমরা সবাই শুধু জানি, ১২ জুন ব্রাজিল- ক্রোয়েশিয়া ম্যাচটির মধ্য দিয়ে ফুটবলের ইতিহাসে যোগ হতে যাচ্ছে নতুন এক অধ্যায়, একটি নতুন বিশ্বকাপ। কিন্তু এ ম্যাচটি শুরু হবার কয়েক মিনিট আগে এমন এক ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে যা কেবল ফুটবলের ইতিহাসেই নয় বরং মানবজাতির ইতিহাসেই স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। এদিন খেলা শুরু করার কিছুক্ষণ আগে পক্ষাঘাতগ্রস্ত একজন স্বেচ্ছাসেবক শুধুমাত্র চিন্তার সাহায্যে নিয়ন্ত্রণ করা যায় এমন এক এক্সো-স্কেলেটন গায়ে জড়িয়ে কিক্ করতে যাচ্ছেন ফুটবলে! ব্যাপারটি চিন্তা করা আসলেই বেশ কষ্টকর। তবে এ কঠিন বিষয়টিকেই বাস্তবে রূপ দিতে যাচ্ছেন ব্রাজিলের নিউরোসায়েন্টিস্ট মিগুয়েল নিকোলেলিস এবং তার দল।

যদিও স্বেচ্ছাসেবক কে হতে যাচ্ছেন সে ব্যাপারটি এখনো ঠিক করা হয়নি তবে তিনি যে সেই এক্সো-স্কেলেটনটি পড়ে ধীরে ধীরে হেঁটে গিয়ে মাঝ মাঠে রাখা বলটিতে কিক্ করতে যাচ্ছেন এ ব্যাপারটি একরকম নিশ্চিতই বলা যায়। আর এ ঐতিহাসিক ঘটনাটিই ফুটবল বিশ্বকাপ ২০১৪ এর অফিসিয়াল উদ্বোধন ঘোষণা করবে।

ব্রাজিল সরকারের অর্থায়নে পরিপুষ্ট এ প্রজেক্টটির নাম – ‘WALK AGAIN’। নিকোলেলিসের মতে, “এ কিক্টি আসলে নিউরোসায়েন্সের এক নতুন যুগের সূচনা করতে যাচ্ছে”। নিকোলেলিস যে একদমই ভুল বলেননি তা আর না বললেও চলে। তবে তার আগে অনুমান করুন তো সেই মানুষটির কথা যিনি কখনো আবার চলাফেরা করার কথা স্বপ্নেও ভাবেননি সেই তিনিই কিনা বিশ্বের সবচেয়ে বড় উৎসবটির সূচনা করতে যাচ্ছেন! তার আনন্দ কি কখনো ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব?



২। ব্রাজুকা – ২০১৪ বিশ্বকাপ ফুটবলের অফিসিয়াল বল প্রতিটি বিশ্বকাপ ফুটবলের মতো এবারের আসরেও আছে এক অফিসিয়াল ফুটবল, নাম যার 'ব্রাজুকা’। একেবারে ভোটের মাধ্যমেই এ নামটি নির্বাচন করা হয়েছে। 'ব্রাজুকা’ শব্দটি ব্রাজিলের জনগণ তাদের ‘জাতীয় সম্মানবোধ’কে বোঝাতেই বেছে নিয়েছেন। আর বিগত কয়েকটি বিশ্বকাপের মতো এবারও ফুটবলটি এলো অ্যাডিডাসের হাত ধরেই।

তবে এবারের বলটি বানাতে গিয়ে বেশ সতর্কই থাকতে হয়েছে অ্যাডিডাসকে, এর কারণ গত বিশ্বকাপের বল ‘জাবুলানি’কে নিয়ে তীব্র সমালোচনা। জাবুলানির গতি আর গতিপথ দুটোই গতবার বেশ ভুগিয়েছে গোলরক্ষকদের। এর সমালোচনা করে ইতালির গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি বুফন তাই বলেছিলেন- “এর গতিপথ অনুমান করা অসম্ভব”। আর ব্রাজিলের স্ট্রাইকার লুইস ফ্যাবিয়ানো একে আখ্যায়িত করেছিলেন 'সুপারন্যাচারাল’ হিসেবে। তাদের মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়েরাই যখন এসব কথা বলছেন তাহলে বোঝাই যাচ্ছে যে অ্যাডিসাসের গতবারের নির্মাণ কৌশলে কিছু ত্রুটি ছিলো। আর সে ত্রুটিগুলোই কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করা হয়েছে এবার।

ব্রাজিলকে আবহাওয়ার বৈচিত্রে পরিপূর্ণ এক দেশ বললে মোটেও ভুল হবে না। আর এমনই একটি দেশের মোট ১২টি শহরে চলবে এবারের খেলা। ফলে খেলোয়াড়দের যেমন কখনো কখনো বেশ গরমের মাঝে খেলা লাগবে, তেমনি কখনো আবার কনকনে ঠান্ডার মাঝেও খেলা লাগবে। সেই সাথে বৃষ্টির ব্যাপারটি তো আছেই। এসব বিষয় মাথায় রেখেই বানানো হয়েছে ‘ব্রাজুকা’কে।

এটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে আবহাওয়ার তারতম্য এর ওজন এবং আঘাত খেয়ে লাফিয়ে ওঠার ব্যাপারকে প্রভাবিত না করে। পলিইউরিথেন দিয়ে তৈরি একই রকম প্রপেলার আকৃতির ছয়টি প্যানেলকে থার্মাল বন্ডিং প্রযুক্তির সাহায্যে জোড়া লাগিয়ে তৈরি করা হয়েছে ‘ব্রাজুকা’কে। থার্মাল বন্ডিং-এর ফলে বলটির পানি শোষণ ক্ষমতা নেমে এসেছে ০.২%-এরও নিচে যেখানে ফিফার নির্দেশনা মোতাবেক তা থাকতে হবে ১০% এর নিচে।

পুরো বল জুড়ে রাখা হয়েছে মোট ৫০,০০০ এর মতো বাম্প

(Bump) যার কারণে জাবুলানির গতি নিয়ে যে ঝামেলা হয়েছিলো সেটি অনেকটাই কাটানো গিয়েছে। জাবুলানির মূল সমস্যা- এটি ছিলো একটু বেশিই গোল, সেই সাথে পৃষ্ঠদেশ ছিলো বেশ মসৃণ। ফলে বাতাসের মধ্য দিয়ে যাবার সময় Knuckling Effect এবং মসৃণতার জন্য এর গতিপথ অনুমান করা বেশ কঠিন হয়ে পড়তো গোলরক্ষকদের জন্য। তবে এবার ‘ব্রাজুকা’র পৃষ্ঠদেশে রাখা অমসৃণতা এ সমস্যার অনেকটাই সমাধান দেবে বলে আশ্বস্ত করেছেন নাসার Ames Research Centre এর ব্রাঞ্চ চিফ এবং অ্যারোডাইনামিকস বিশেষজ্ঞ ড. রবি মেহতা। সেই সাথে ছয়টি প্যানেলের আকৃতি এবং জোড়া লাগানোর কৌশলও বলটিকে তার যাত্রাকালে স্থিতিশীলতা দেবে বলে জানানো হয়েছে অ্যাডিসাসের পক্ষ থেকে। সব মিলিয়ে এবারের ব্রাজুকা যে তার পিঠাপিঠি বড় ভাই জাবুলানির সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠতে পারবে তা বিশেষজ্ঞদের কথায় স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে।



৩। বিচিত্র এক জোড়া বুট একইসাথে খেলোয়াড়দের স্বাচ্ছন্দবোধ এবং বলের উপর ভালো নিয়ন্ত্রণের কথা মাথায়

রেখে এবার এমন বুট তৈরি হয়েছে যার নমনীয়তা একেবারে মোজার মতোই, কিন্তু এটি আবার জুতার মতোই মজবুত! অ্যাডিডাস, নাইকির মতো কোম্পানিগুলোই এ ধরণের বুটজোড়া বাজারে এনেছে।

নাইকির কথাই যদি বলি, তারা প্রথমে এ ধরণের বুট বানিয়েছিল শুধুই দৌড়ানোর জন্য। এর উপরের অংশটি কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত 3D Knitting Technology ব্যবহার করে বানানো। এখানে ব্যবহার করা হয়েছে পলিয়েস্টারের তন্তু যাতে করে নমনীয়তার ব্যাপারটি নিশ্চিত হয়। পরবর্তীতে শক্তির ব্যাপারটি নিশ্চিত করার জন্য এর সাথে নানা রকম শক্তিশালী তন্তুও ব্যবহার করা হয়েছে।

কিন্তু ফুটবল খেলার ব্যাপারটি আরেকটু আলাদা। এখানে সাধারণ দৌড়াদৌড়ির চেয়ে পায়ের বিভিন্ন অংশে চাপ বেশি পড়ে। সেজন্য নাইকির আগের বুটের ডিজাইনে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়। তারা এর গোড়ালি এবং পায়ের সামনের অংশের সহনশীলতার ব্যাপারটি নিশ্চিত করেন। এছাড়া বলের

আরো ভালো ড্রিবলিং এবং অন্যান্য কলাকৌশল যাতে খেলোয়াড়েরা সহজে দেখাতে পারেন সেজন্য এর পৃষ্ঠদেশ বেশ অমসৃণ করা হয়েছে। আর বৃষ্টির পানি থেকে রক্ষার জন্য এর চারদিকে আছে পলিইউরিথেনের ০.১ মিলিমিটার পুরু এক আস্তরণ। আমাদের পছন্দের খেলোয়াড়েরা এই বিশেষ বুট জোড়া পড়ে আমাদের কতটুকু আনন্দিত করতে পারেন সেটিই এখন দেখার বিষয়।



৪। শরীর মালিশ করে দেয়া জার্সি!এবারের বিশ্বকাপের জার্সির ডিজাইনে Puma এক অত্যাধুনিক থেরাপিউটিক টেপ ব্যবহার করতে যাচ্ছে।আধুনিক এ টেপগুলো উচ্চমানের তুলা থেকে তৈরি যা কি না বেশ স্থিতিস্থাপক। ফলে Puma দাবি করছে যে তাদের এ জার্সিটি পরিধান করলে ব্যাথার অনুভূতিও বেশ হ্রাস পাবে।এ বিশেষ ধরণের টেপগুলো থাকবে জার্সির ভেতরের দিকে। দৌড়ানোর সময় খেলোয়াড়েরা এক ধরণের মালিশ করার মতো অনুভূতি পাবেন তাদের শরীরে। ফলে মাংসপেশীতে হবে বাড়তি শক্তির সঞ্চার। তাদের এ দাবি সত্য কি না এটি নিয়ে অনেকের সন্দেহ থাকলেও গত লন্ডন অলিম্পিকে তাদের তৈরি এ ধরণের

জার্সির বিপুল ব্যবহার এর জনপ্রিয়তাকেই প্রমাণ করে। Puma এবার আটটি দেশের জন্য এ ধরণের জার্সি তৈরি করছে; এরা হলো- ইতালি, সুইজারল্যান্ড, আলজেরিয়া, ক্যামেরুন, চিলি, ঘানা, উরুগুয়ে এবং আইভরি কোস্ট।



৫। গোললাইন টেকনোলজি : গত বিশ্বকাপে জার্মানি আর ইংল্যান্ডের বিতর্কত সেই ম্যাচের কথা কি মনে আছে? ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের একটি স্পষ্ট গোল শুধুমাত্র রেফারির দেখার ভুলের জন্য বাতিল হয়ে যায়, ইংল্যান্ড হেরে যায় ৪-১ গোলের বিশাল ব্যবধানে। অনেকে এখনও মনে করেন,সেদিন যদি ল্যাম্পার্ডের ঐ গোলটি বাতিল করা না হতো তাহলে হয়তো খেলার ফলাফল অন্যরকম হতে পারতো... ৪ বছর আগের ঐ ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়েই বোধহয় এবারের বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে গোললাইন টেকনোলজির বিশ্বকাপ। আর এতে ফিফার সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে জার্মান কোম্পানি GoalControl ।কোম্পানিটি মাঝ মাঠ থেকে শুরু করে গোলপোস্টের পেছনে পর্যন্ত সারা মাঠে মোট ১৪টি ক্যামেরা লাগাবে।এ ক্যামেরাগুলো 500 fps হারে বিভিন্ন ঘটনা ধারণ করতে পারবে। ফলে বিভিন্ন সময় বলের নিখুঁত অবস্থান জানতে পারবেন ম্যাচ অফিসিয়ালরা। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো, যখনই বলটি গোললাইন পেরোবে তখনই ম্যাচ অফিসিয়ালদের হাতের ঘড়িতে চলে যাবে একটি ভিডিও সিগনাল এবং ভাইব্রেশন। পরবর্তীতে মাঠের বড় LED স্ক্রিনে বিভিন্ন ধারণ করা দৃশ্যও 3D প্রযুক্তিতে দেখানোর ব্যবস্থা থাকছে দর্শকদের। ফলে একইসাথে গোলের ব্যাপারে নির্ভুল সিদ্ধান্ত আর 3D প্রযুক্তির ছোঁয়ায় এবারের বিশ্বকাপ হয়ে উঠতে যাচ্ছে সত্যিই অসাধারণ।



৬। 4K রেজুলেশন! : এবারের বিশ্বকাপের অন্যতম আকর্ষণ হতে যাচ্ছে রাউন্ড ১৬ এর ১টি ম্যাচ (২৮ জুন),কোয়ার্টার ফাইনালের ১টি ম্যাচ (৪ জুলাই) এবং ফাইনাল ম্যাচ (১৩ জুলাই)।কারণ এ ম্যাচগুলো ফিফা এবং সনির চুক্তি অনুযায়ী 4K রেজুলেশনে সম্প্রচার করা হবে। এখন প্রশ্ন হলো 4K রেজুলেশন কি? 4K রেজুলেশন (যাকে Ultra High Definition-ও বলা হয়) এক ধরণের প্রযুক্তি যেখানে কোনো কিছু ৪০০০ পিক্সেল প্রস্থ এবং ২০০০ পিক্সেল উচ্চতার রেঞ্জে সম্প্রচার করা হয়। তুলনা করার জন্য বলা যায়,

সাধারণ কম্পিউটার মনিটরগুলো ১৫০০ পিক্সেল প্রস্থ এবং ৮০০ পিক্সেল উচ্চতার রেঞ্জের হয়ে থাকে। তাহলে বোঝাই যাচ্ছে যে এসব ম্যাচ দেখেও অসাধারণ মজা পাওয়া যাবে। তবে আসল কথা হলো, এগুলো তো আর সাধারণ টেলিভিশনে দেখা যাবে না। 4K রেজুলেশন মানের ভিডিও দেখার জন্য কিন্তু সেটা সাপোর্ট করে এমন টেলিভিশনও লাগবে! বিশ্বের কয়েকটি সিনেমা হলে এ উচ্চ প্রযুক্তির ফুটবল ম্যাচগুলো সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। তবে কারো যদি 4K টেলিভিশন থাকে তাহলে তো কথাই নেই! ফাইনাল দেখার আনন্দই তখন অন্য এক মাত্রায় চলে যাবে... এতক্ষণ ধরে এবারের ফুটবল বিশ্বকাপের নানা ধরণের নতুন নতুন প্রযুক্তির কথা জানা গেলো। এখন কেবল অপেক্ষা ১২ জুনের জন্য; যেদিন শুরু হতে যাচ্ছে পুরো বিশ্বকে এক করে দেয়ার এক মহোৎসব। সবার জন্য রইলো অসংখ্য শুভ কামনা। তবে আর্জেন্টিনা দলটির জন্য আরেকটু বেশি !



তথ্যসুত্রঃ

১। Science Uncovered Magazine

২। http://www.bbc.com

৩। http://www.theguardian.com

৪। http://www.fifa.com

৫। http://www.telegraph.co.uk

Courtasy : জিরো টু ইনফিনিটি

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.