নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমরা নীতির পেছনে, নেতার পেছনে নই।

মিটুল

মিটুল

বিদেশে আছি দেশের ভালো কোন সংবাদের আশায়। ফিরে যাওয়ার কোন কারন বা অজুহাত খুজে বেড়াই। কিন্তু যত সংবাদ আসে তাতে আর কোনদিন ফেরা হবেনা বলে দিনে দিনে বিশ্বাস গাঢ় হতে থাকে। আত্মীয় স্বজনদেরকে কি করে দেশের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের আশায় না ফেলে রেখে বিদেশে পার করা যায় সেই চেষ্টা করি অবশেষে। জানি এমনি করে একটি দেশের উন্নয়ন আরো পিছিয়ে যায় যখন মেধা পাচার হয়।

মিটুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

(ফান পোস্ট) সংবিধান সংশোধন করা যায় তাহলে একটা চান্স আছে। জিয়াউর রহমান প্রথম রাষ্ট্রপতি আর অন্যরা পতিরাষ্ট্র/দেশপতি/রাষ্ট্রপিতা

৩০ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১:১৪

আমরা প্রতে্যকেই কোনো না কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে যাচ্ছি, যেটা অবশ্যই কোন অন্যায় নয়। তবে প্রত্যেকের ব্যক্তিগত নৈতিকতার সাথে আপোষ কয়বার করা যায় বলুন? আমি ব্যক্তিগতভাবে এই কারণে বাংলাদেশের কোন রাজনৈতিক দলের একতরফা সমর্থন দিতে সক্ষম দিতে পারি না। আমি নতুন দিনের আশাই থাকি বড় কোন পরিবর্তনের। নতুর প্রজন্মের রাজনীতিবীদদের নাম নিতে চাই না। তাদের কয়েকজনের মধ্যে দিন পরিবর্তনের সেই স্বপ্ন জোর করে দেখবার চেষ্টা করেও এখন সম্পূর্ন হতাশ। যাই হোক, বিএনপি-র দাবীর পক্ষে খোঁড়া যুক্তি গুলো বুঝতে খুব বেশী লেখাপড়া জানা বা বুদ্ধি থাকবার দরকার আছে বলে মনে করি না। আবার হতেও পারে যে আমাদের দেশের সাধারন জনগন বুঝেনা বলেই এমন করে খোঁড়া যুক্তি দিয়ে সত্যকে মিথ্যা আর মিথ্যাকে সত্য বানিয়ে ফেলেন।

চায়ের দোকানের গল্প করা এক ইতিহাস আর ডকুমেন্টরী প্রুফ দিয়ে তৈরা ইতিহাস কখনো এক হয় না। বিএনপি-র এহেন দাবী আজ এত বছর পরে উপস্থাপন টা-ই প্রথম যুক্তি যে তাদের দাবী সত্য নয়। যুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রথম সরাসরি জনগণের ভোটে পাশ করা রাষ্ট্রপতির নাম জিয়াউর রহমান (যদিও বিএনপি এভাবে দাবীটি করেনি), এটি একটি সুন্দর এবং সত্য রাজনৈতিক বক্তব্য। যেমন, স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া নাকি মুজিব এই তর্ক হাজার বছরেও শেষ হবার নয় কারণ সত্যি সত্যি জিয়াউর রহমান-ই রেডিও-তে স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষনা দিয়েছিলেন। এখন বিকর্তটা হচ্ছে কার পক্ষ্য থেকে উনি পড়েছিলেন, তার আগে ৭ মার্চের ঘোষণা তবে কি ছিল, ২৬ মার্চ রাতে রেডিও তে ঘোষণার আগেই রাজারবাগ পুলিশ ও ইপিআর এর সদস্যরা প্রতিরোধ শুরু করেছিল কারো নির্দেশ ছাড়ায় ইত্যাদি।

আমার প্রশ্ন জিয়াউর রহমান সাহেব তো প্রত্যক্ষভাবে জনগণকে নিয়ে রাজনীতি করেছেন এরপর তার রাজনৈতিক দলটি উত্তারিকার সুত্রে বেগম খালেদা জিয়া রাজনীতি করছেন। এতো বছরেও এতগুলো মিটিং, মিছিল, সভা, সেমিনার কখনো এভাবে দাবী করতে শুনেছেন (যদিও দাবীটি সত্যি যে, প্রথম জনগণের ভোটে নির্বাচিত রাষ্টপতি হচ্ছেন জিয়াউর রহমান)? অবশ্যই এ নিয়েও স্বাধীনতার ঘোষক কে এর মতো বিতর্ক থাকতো যে, সামরিক বাহীনি থেকে ক্ষমতা নিয়ে হ্যাঁ/না ভোট কতটুকু গ্রহনযোগ্য বা গর্বের বিষয়।



রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা হোক আর প্রধানমন্ত্রী শাসিত হোক সব সরকার ব্যবস্থায় কিন্তু একজন রাষ্ট্রপতি থাকেন এবং আমাদের দেশেও ছিলেন। ক্রমানুসারে নাম নিলে আরো ৬ জন আগেই রাষ্ট্রপতি ছিলেন। তাহলো কিভাবে তাদেরকে রাষ্ট্রপতি হিসাবে গণনার আগেই জিয়াউর রহমানকে প্রথম রাষ্ট্রপতি দাবী করবে বিএনপি? রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থায় জনগণের ভোটে জয়ী রাষ্ট্রপতি আর প্রধানমন্ত্রী শাসিত সরকার ব্যবস্থার নির্বাচিত রাষ্ট্রপতিকে কিভাবে দুই নামে (ভিন্ন পদবী) ডাকবেন?

যদি সত্যিই দুই রকম পদবী দেওয়া যেতো এবং অবশ্যই রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থায় জনগণের ভোটে (হ্যাঁ/না ভোট হলেও চলবে) জয়ী রাষ্ট্রপতিকে শুধু রাষ্ট্রপতি/প্রেসিডেন্ট বলা যাবে আর অন্য ভাবে যারা রাষ্ট্রপতি ছিলেন বা হবেন তাদেরকে পতিরাষ্ট্র/দেশপতি/রাষ্টপিতা ইত্যাদি যেকোনটা দিলেই চলবে। এভাবে যদি সংবিধান সংশোধন করা যায় তাহলে একটা চান্স আছে কিন্তু।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:৫২

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আপনার চমৎকার আইডিয়া!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.