![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
একটি ঐতিহাসিক দিন: বাল সাম্রাজ্যের পতন ছবি অন্তর্জাল থেকে সংগৃহিত।
প্রিয় পাঠক, গতকাল ১০ মে ২০২৫। এই দিনটি কোনো সাধারণ দিন ছিল না। এটি ছিল ঐতিহাসিক এমন একটি দিন, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সোনালি অক্ষরে লেখা থাকবে—যেমন রূপকথার গল্পে ড্রাগনকে শেষমেশ পরাজিত করা হয়, এই অভূতপূর্ব দিনে, নিকৃষ্ট ফ্যাসিবাদ নামক জানোয়ারটির লাগাম টেনে ধরা হয়েছে। হ্যাঁ, আমরা যাকে চিনি "বাল"/ "BAL" অর্থাৎ, (Bangladesh Awami League) "বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ" নামে, সেটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। “নিষিদ্ধ” শব্দটির মধ্যেই যেন এক মুক্তির সুর—বাতাস যেন হালকা হয়ে গেছে। কে জানে, এই জাতি আবার কবে এমন একটি সুসংবাদ শুনতে পারবে? হয়তো যেদিন পদ্মায় সোনার খনি মিলবে, কিংবা ঢাকার ট্রাফিক জ্যাম হঠাৎ নিজে থেকেই ঠিক হয়ে যাবে।
ফ্যাসিবাদ বলতে বোঝানো হয় এমন একটি স্বৈরতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা, যেখানে সরকার ভিন্নমত, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ও জনগণের মতামতকে সম্পূর্ণরূপে দমন করে। মার্কিন ইতিহাসবিদ রবার্ট প্যাকস্টন তাঁর বই The Anatomy of Fascism-এ বলেছেন, “Fascism is marked by obsessive preoccupation with community decline, humiliation or victimhood… and the abandonment of democratic liberties.” অর্থাৎ, “ফ্যাসিবাদ এমন এক মানসিক ও রাজনৈতিক প্রবণতা, যা সমাজের অবনতি, জাতিগত অপমান বা নিপীড়নের আখ্যানকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়—এবং যার পরিণতি ঘটে গণতান্ত্রিক অধিকার ও স্বাধীনতার বিসর্জনের মধ্য দিয়ে।”
গত ১৬ বছর ধরে BAL, দিল্লির প্রভুদের নির্দেশনায়, বাংলাদেশকে শোষন করেছে, এদেশের জীবনীশক্তিকে শুষে নিয়েছে—ঠিক যেন একটি রক্তলোভী মশার মতো। এই স্বঘোষিত অপশাসকরা শাসনকে রূপ দিয়েছে এক করুণ-হাস্যকর নাটকে, যার মূল সুর ছিল, “আজ কতটা লুট করা যায়?” তাদের চিত্রনাট্য রচিত হতো নয়াদিল্লির প্রাসাদে, আর অভিনেতারা ছিল একদল চামচা—আনুগত্যে অটল, মেরুদণ্ডহীন, প্রভুদের সামনে সদা মাথা নত। এরা আমাদের খেয়েছে, আমাদের পড়েছে, এবং তারপর এদেশের সেই চাষাভূষা গরিব অসহায় মানুষদের সঙ্গেই বেঈমানি করেছে, যারা তাদের পুষেছে।
BAL-এর শাসন ছিল শোষণের এক মহাকাব্য। এটি ছিল এক সার্কাস, যেখানে দর্শকদের জোর করে তালি দিতে বাধ্য করা হতো। তারা কেবল লুট করেনি; করেছে অতি দক্ষতায়। নির্বাচন? সেগুলো ছিল কোনো গণতান্ত্রিক অনুশীলন নয়, বরং “ভোয়ালা!”—এক জাদু, যেখানে ব্যালট রাতের অন্ধকারে নিখোঁজ হয়ে যেত, আর ফিরে আসত পূর্বনির্ধারিত ফলাফলে। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সাল- তিনটি জাতীয় নির্বাচনই ছিল ভুয়া, আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনগুলোও একে ‘নির্বাচনের ছদ্মবেশ’ বলে আখ্যা দিয়েছিল। বিচারব্যবস্থা? এক ঝুলন্ত পুতুল, যার সুতো টানতো দলের ক্ষমতাধরেরা। আর অর্থনীতি? ব্যাংকগুলোকে বানানো হয়েছে ব্যক্তিগত গোল্লাব্যাংক—টাকা উধাও, বাজার ধ্বস্ত, রিজার্ভ হাহাকার।
এছাড়াও গুম, খুন, ধর্ষণের মতো অপরাধে এরা ছিল রাষ্ট্র মদদপুষ্ট—এ যেন এক ভয়ংকর চিত্রকল্প, যেখানে জনগণ শিকার। তারা শুধু শাসন করেনি; ধ্বংস করেছে। বাংলাদেশকে পরিণত করেছে এক ভোজসভায়, যেখানে খাওয়ার অধিকার ছিল কেবল তাদের।
কিন্তু গতকাল, এই চিত্র পাল্টে গেছে। ড্রাগন এখন কেবল আহত নয়, বন্দী। BAL-এর নিষেধাজ্ঞা কেবল একটি আইনি ঘোষণা নয়; এটি জাতির প্রতি একটি অঙ্গীকার, যে আর কোনো মধ্যরাতের ভোট বা নিখোঁজ কর্মীর গল্পে ঘুম ভাঙবে না। চামচাদের বিদায় জানানো হয়েছে, আর তাদের দিল্লি-রচিত স্ক্রিপ্ট বুড়িগঙ্গায় ছুঁড়ে ফেলা হয়েছে।
অবশ্য BAL-এর অনুসারীরা এখন গণতন্ত্রের উপর আক্রমণের বুলি আওড়াবে। কিন্তু প্রশ্ন হলো—তারা কি আদৌ কখনো গণতন্ত্রকে সম্মান করেছে? যারা ভোটকে ক্যাসিনোর চিপ বানিয়ে তুলেছিল, তারা কি এখন গণতন্ত্রের পাঠ পড়াবে? না, এটি গণতন্ত্রের প্রতিশোধ—বাংলাদেশের মানুষের পক্ষ থেকে উচ্চারিত “চেকমেট।”
তাই, আসুন গতকালের ঐতিহাসিক দিনটির জন্য একটি গ্লাস বোরহানি হয়ে যাক। যেদিনটির সূর্যটা একটু উজ্জ্বল ছিল, বাতাসে ছিল ন্যায়ের সুবাস, আর BAL-এর মিথ্যার দুর্গ বালির প্রাসাদের মতো ভেঙে পড়েছিল। উৎসর্গ করি ভবিষ্যতের জন্য—যেখানে বাংলাদেশ হবে তার জনগণের, কোনো বিদেশি-তোষণকারী ফ্যাসিস্ট গোষ্ঠীর নয়। আর BAL-এর জন্য? যেমন বিদায়বেলায় বলা হয়, “বিদায় ভাই, দরজায় ধাক্কা না লাগে—এই কামনা।”
১১ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬
নতুন নকিব বলেছেন:
চমৎকার মন্তব্য! অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার কথায় ১০ মে ২০২৫ দিনটি স্বৈরশাসনের অবসান ও গণতন্ত্রের জাগরণের প্রতীক হিসেবে চিত্রিত হয়েছে—যেখানে একটি নিষিদ্ধ ঘোষণার মাধ্যমে জাতি ফিরে পেয়েছে মুক্তির নিঃশ্বাস ও ন্যায়ের সাহস।
২| ১১ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭
যামিনী সুধা বলেছেন:
সাময়িক সরকার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করেনি; ইহার কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্হগিত করেছে।
তাদের এই সিদ্ধান্ত ও আপনার এই পোষ্ট ( আপনার মত পোষ্ট ও কয়েক কোটী ফেইসবুক ষ্ট্যাটাস এসে গেছে ) জাতিকে গৃহযুদ্ধের মাঝে নিয়ে গেছে। গৃহযু্দ্ধ শুরু করার জন্য আপনার অবদান গণনা শুরু হলো।
১১ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৪:২০
নতুন নকিব বলেছেন:
গৃহযুদ্ধ শুরু করতে হলেও তো আপনার দেশে আসা দরকার। আটলান্টিকের ঐপাড়ে বসে কিবোর্ডে ঝড় তোলা ছাড়া আপনি আর কিছুই করতে পারবেন না।
দুর্ণীতিবাজ আওয়ামী দুর্বৃত্তদের জন্য আপনার খুব কষ্ট লাগছে?
৩| ১১ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৮
নতুন বলেছেন: আয়ামীলীগের কার্যক্রম ৫ বছরের জন্য নিষেধ করার দরকার ছিলো।
কিন্তু গোলাম আজমের বাংলায় আয়ামীলীগের ঠাই নাই এই স্লোগানে পুরো জিনিসাটাই নস্ট করে ফেলেছে।
জামাত/শিবির কে এতো প্রস্রয় দেওয়া উচিত হচ্ছেনা এনসিপির। নতুবা তারাও আস্তুকুড়ে যাবে।
১১ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৪:২১
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনি ঠিক বলেছেন। এনসিপির আরও সংযত হয়ে সতর্কভাবে কাজ করা উচিত।
৪| ১১ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৪:০৩
যামিনী সুধা বলেছেন:
দুষ্ট আওয়ামী লীগের পতন হয়েছে; নতুন আওয়ামী লীগের ফেরত আসার দিন গণনা শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগের সাথে জাতির বিশ্বাস ঘাতকেরা (১৯৭১ সালের পরাজিত শক্তি ) কখনো পারেনি, এবারো পারবে না।
১১ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৪:২৩
নতুন নকিব বলেছেন:
নতুন আওয়ামীলীগ কাহারা? উহাদের নাম পরিচয় বলুন।
৫| ১১ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৪:১৬
সাইফুলসাইফসাই বলেছেন: BAL
১১ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৪:২৪
নতুন নকিব বলেছেন:
জ্বি, BAL হচ্ছে Bangladesh Awami League এর সংক্ষিপ্ত রূপ। খুব সুন্দর নাম।
৬| ১১ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৪:২০
কাঁউটাল বলেছেন:
বাল কুকুরের নৃত্যকলা
ভাদা কুকুরের ছাল
১১ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৪:২৫
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে।
৭| ১১ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৪:২৫
কাঁউটাল বলেছেন: "পভুপাদ মুদির দেশ ভঁড়ত" পশ্চিম সীমান্তে থাপ্পড় খাওয়ার দিনে, পূর্ব সীমান্তে এদের এক পুরাতন লেজ "বাল" খসে পড়ল। ১০ মে ২০২৫ ভঁড়ত মোতার সেবকদের জন্য অন্ধকার একটা দিন। দুই ফ্রন্টে একসাথে পোংগা খাওয়ার দিন।
এনিওয়েজ, হলুদ আলো অফিসে নাকি কয়েকদিন ধরে কান্নাকাটি লেগে আছে। ঘটনা সত্য নাকি?
১১ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৪:৩১
নতুন নকিব বলেছেন:
হলুদ আলো অফিসে নাকি কয়েকদিন ধরে কান্নাকাটি লেগে আছে। ঘটনা সত্য নাকি?
-কী কারণে কান্নাকাটি লেগেছে? ফ্যাসিবাদের দোসর হওয়ার কারণে? যদি তাই হয় তাহলে লাগতেই পারে। কারণ, তারা এদেশে জঙ্গি নাটকসহ ভারত মাতার প্রেসক্রিপশনে অনেক অপরাধ সংঘটন/ বাস্তবায়নের অন্যতম ঠিকাদার ছিল।
৮| ১১ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৪:৩২
যামিনী সুধা বলেছেন:
নতুন আওয়ামীলীগ কাহারা? উহাদের নাম পরিচয় বলুন।
-আমি
১১ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৪:৪০
নতুন নকিব বলেছেন:
আমি
-আপনি একাই নতুন আওয়ামীলীগ? যাক, আপনার সাথে আর কেউ না থাকলে আমি প্রয়োজনে আপনার সঙ্গী হবো। নতুন আওয়ামীলীগ গড়ে তুলতে চলে আসুন। সাহস করে দেশে আসুন। শাহবাগের মোড়ে দাঁড়িয়ে কোলাকুলি করি।
৯| ১১ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৬
কু-ক-রা বলেছেন: উহা (যামিনী সুধা) "নতুন বাল" নহে, উহা "পাঁদগাজী"
১১ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৪:৫২
নতুন নকিব বলেছেন:
উহা (যামিনী সুধা) "নতুন বাল" নহে, উহা "পাঁদগাজী"
-অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। উহাকে আমি জানি। আমি উহার দুঃসহ অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছি মাত্র।
১০| ১১ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৫
কাঁউটাল বলেছেন:
১১ ই মে, ২০২৫ রাত ৯:৫৯
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে।
১১| ১১ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৯
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: ফ্যাসিবাদ রুখতে গিয়ে
ফ্যাসিবাদ কায়দায় ফরমান জারি হলো
.............................................................
মনে হচ্ছে বাল / আবাল সবার মাথায় ফ্যাসিবাদ
রক্তবীজ থেকেই যাচ্ছে
যা থেকে আবার ফ্যাসিবাদ দেখতে পাবো ।
১১ ই মে, ২০২৫ রাত ১০:০৪
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। বাস্তবতা হলো—নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতির মধ্য দিয়েই সরকারের নির্বাহী আদেশে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটি আদালত বা সংবিধানের নির্ধারিত কাঠামোর বাইরে নয়, বরং বিদ্যমান আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে নেওয়া পদক্ষেপ।
১২| ১১ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৫:০২
কাঁউটাল বলেছেন: স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: ফ্যাসিবাদ রুখতে গিয়ে
ফ্যাসিবাদ কায়দায় ফরমান জারি হলো
মোটেও না। বরং ফ্যাসিস্টদের রেখে যাওয়া দালালদের আন্দোলনের মাধ্যমে চাপের মুখে ফেলে এই দাবি আদায় করা হয়েছে। এখানে গনতান্ত্রিক পন্থায় আংশিক দাবি আদায় করা হয়েছে মাত্র।
সবাইকে সতর্ক দৃষ্টি খোলা রাখতে হবে, ভঁড়তের দালাল হাউয়ামী লীগকে আর বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফিরতে দেওয়া যাবে না।
১১ ই মে, ২০২৫ রাত ১০:০৬
নতুন নকিব বলেছেন:
ব্লগার স্বপ্নের শঙ্খচিলের বক্তব্যের উত্তর দেয়ার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
১৩| ১১ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৫:০২
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সরকার দেশকে সংঘাতের হাত থেকে রক্ষা করেছে। প্লান ছিলো জুন/জুলাইয়ে বড়ো বড়ো মিছিল করার। সব ঢাকায় এসে জমা হচ্ছে।
১১ ই মে, ২০২৫ রাত ১০:০৯
নতুন নকিব বলেছেন:
গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যে ধন্যবাদ আপনাকে। আপনি সঠিকভাবে বিষয়টি তুলে ধরেছেন—সরকার সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশকে সম্ভাব্য সংঘাত ও বিশৃঙ্খলা থেকে রক্ষা করেছে। পরিস্থিতির বিশ্লেষণ দেখে বোঝা যায়, বড় পরিসরের কর্মসূচি কেন্দ্র করে রাজধানীকে অস্থির করার পরিকল্পনা ছিলো, যা প্রতিহত করাটা জরুরি ছিলো।
১৪| ১১ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাংলাদেশের মানুষের জন্য একটা ঐতিহাসিক দিন।
১১ ই মে, ২০২৫ রাত ১০:১১
নতুন নকিব বলেছেন:
একেবারেই সঠিক কথা। ধন্যবাদ আপনাকে।
১৫| ১১ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১১
যামিনী সুধা বলেছেন:
১৯৭১ সালে রাজাকরেরা পাকিস্তান রক্ষার জন্য যুদ্ধ করেছিলো।
হামাস যেভাবে ফিলিস্তিন স্বাধীন করেছে, হুতি যেভাবে ইয়েমেনে গণতন্ত্র ফেরত এসেছে, হেজবুল্লাহ যেভাবে লেবাননে শিয়া ইসলামিক শাসন কায়েম করেছে, আপনারা সেইভাবে গতকাল গণতন্ত্র শুরু করেছেন; আপনারা জানেন না, পাকিস্তানী আইএস আপনাদের দ্বারা কি কাজ করায়ে নিচ্ছে।
আপনার কোন পোষ্টে জাতির ভালোর জন্য কিছুই ছিলো না।
১১ ই মে, ২০২৫ রাত ১০:১৪
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার মন্তব্যে ইতিহাস বিকৃতি ও বিভ্রান্তি আছে। ১৯৭১-এর রাজাকারদের সাথে আজকের গণতন্ত্রকামী জনগণের তুলনা অপমানজনক। আমরা কোনও উগ্র গোষ্ঠীর দোসর নই—আমাদের আন্দোলন দেশ ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। ফ্যাসিবাদের পক্ষে সাফাই গেয়ে সত্য চাপা দেওয়া যাবে না।
১৬| ১১ ই মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৫
জুল ভার্ন বলেছেন: এটাই হলো স্রষ্টার খেলা।
১১ ই মে, ২০২৫ রাত ১০:১৬
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ, জুল ভার্ন ভাই। সত্যিই, অনেক সময় ঘটনাপ্রবাহ এমনভাবে ঘটে যে মনে হয় এটি স্রষ্টারই মহাপরিকল্পনা—অদৃশ্য এক সুবিচারের পথে এগিয়ে যাওয়া।
১৭| ১১ ই মে, ২০২৫ রাত ৮:২৭
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
পোস্টের বক্তব্য সময়োপযোগী হয়েছে।
তবে, তাদের লোগো ব্যবহার করা উচিৎ হয় নাই। এতে প্রচার পাচ্ছে তারা।
জানি, আপনি সৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেছেন। কিন্তু, জনগণকে অত্যাচারীদের এই প্রতীক ভুলে যেতে সাহায্য করতে হবে।
১১ ই মে, ২০২৫ রাত ১০:২৩
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ, আপনাকে। আপনার মন্তব্য গভীর ও গঠনমূলক। আপনি ঠিকই বলেছেন—অত্যাচারীদের প্রতীক যেন আমাদের চেতনায় গেঁথে না থাকে।
তবে, আমরা যদি ওদের সামান্য প্রচার না করি তাহলে করবেটা কে? দেখছেনই তো যামিনী সুধা একা পেরে উঠছেন না।
১৮| ১১ ই মে, ২০২৫ রাত ৮:২৮
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচার কার্যসম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই অভ্যুত্থানের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাস বিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেস-সহ আওয়ামী লীগ এর যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
আশা করব যে ব্লগ কতৃপক্ষ সাইবার স্পেসে আওয়ামী লীগ এর যাবতীয় কার্যক্রম অবিলমে বন্ধ করার উদ্যোগ নিবে। সামু ব্লগের ব্লগার একজন নিরুদ্দেশ পথিক এখন তথ্য মন্ত্রনালয়ে আছে। উনার পোস্ট থেকে উপড়ের অংশটুকু নেয়া।
১১ ই মে, ২০২৫ রাত ১০:২৫
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে। আপনি যে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের অংশ বিশেষ তুলে ধরেছেন, তা বর্তমান পরিস্থিতিতে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। একটি সংগঠনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার চলমান থাকলে, তার কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যুক্তিসঙ্গত।
আশা করি, ব্লগ কর্তৃপক্ষও এই বাস্তবতা উপলব্ধি করে সাইবার স্পেসে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে।
১৯| ১১ ই মে, ২০২৫ রাত ৮:৫৫
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
আওয়ামী নিয়ে উপন্যাস লিখুন।
১১ ই মে, ২০২৫ রাত ১০:৩০
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার পরামর্শ ভালো লেগেছে। আওয়ামী লীগকে ঘিরে উপন্যাস লেখার মতো উপাদান ইতিহাসে যথেষ্ট আছে—রাতের আঁধারে শাপলা চত্বরের গণহত্যা, পিলখানার হত্যাযজ্ঞে সাফল্য, ১৬ বছরের গণতন্ত্র হরণের ধারাবাহিক ব্যর্থতা, আর অনন্ত বিতর্ক। ভাবনার খাতা খুলে রাখলাম। সময় ও সাহস পেলেই কলম ধরবো।
২০| ১১ ই মে, ২০২৫ রাত ৯:২১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এইটা পুরাপুরি পতন না, সাময়িক। বিএনপি ক্ষমতায় আসলেই আবার স্বমহিমায় ফিরে আসবে।
''বাল'' কোন রাজনৈতিক দল না, এইটা একটা ডাকাতদের দল। সন্ত্রাসী বা মাফিয়া গোষ্ঠির কোন অধিকার নাই দেশের রাজনীতির মতো গুরুত্বপূর্ণ নীতিনির্ধারনী বিষয়ে অংশগ্রহন করার। এই সন্ত্রাসী চক্রটাকে চিরতরে নিষিদ্ধ করা উচিত ছিল জার্মানী ন্যাজি পার্টির মতো করে। অবশ্য এরা এখন এদের বি-টিম বিএনপি'র মাধ্যমে আবার ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা করবে। ভারত এতো সহজে হাল ছেড়ে দিবে, ভাবার কোন কারন নাই।
আওয়ামী নিষিদ্ধে বিএনপি'র চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ছাগল এ্যাড. (এইটা এ্যাড. হইলো কেমনে আমার বুঝে আসে না। আবার সে নাকি উপদেষ্টা!!! হোয়াট এ জোক!!! এই মাল কি উপদেশ দেয়? ) ফজলুর রহমানের বক্তব্য থেকেই বোঝা যায়, মানসিকভাবে তারা কতোটা কষ্টে আছে। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের পাশাপাশি বিএনপি'র মতো একটা মেরুদন্ডহীন অপদার্থ দলকেও অকার্যকর করে দেয়া উচিত।
১১ ই মে, ২০২৫ রাত ১০:৩৪
নতুন নকিব বলেছেন:
ভুয়া মফিজ ভাই, আপনার বক্তব্যে জনঅভিমতের প্রতিফলন ঘটেছে। আওয়ামী লীগ বা বিএনপি—যে দলই হোক, জনগণের রায়ই তাদের ভবিষ্যত নির্ধারণ করবে। যারা গণতন্ত্রের নামে সন্ত্রাস, লুটপাট ও দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত, তাদের জন্য রাজনৈতিক পরিণতি অবশ্যই আসবে—এটাই ইতিহাসের শিক্ষা। তবে, তা হতে হবে আইন ও ন্যায়বিচারের পথে। ধন্যবাদ আপনাকে।
২১| ১১ ই মে, ২০২৫ রাত ৯:৩৯
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: ভুম ভাইয়ের সাথে একমত। বিএনপিকে অকার্যকর না করলে বিএনপি লীগের পুনর্বাসন করে নিজেরাও ডুববে , আর দেশকেও ডুবিয়ে মারবে। তবে এনসিপির নেতা নেত্রীরা টকশোতে যেভাবে নাস্তানাবুদ করছে বিএনপি নেতৃবৃন্দদের তাতে বুঝতে পারছি যে হাজারো রক্তের বিনিময়ে অর্জিত জুলাই বিপ্লবকে এরা ব্যার্থ হতে দেবে না কোন অবস্থাতেই। হাসনাত, নাহিদ, সারজিস , সারোয়ার তুষার, তাসনিম জারা্রা একেকজন আগুনের গোলা। আর পিনাকি ভট্টাচার্য যেহেতু বিএনপির পেছনে লেগেছে , বিএনপির খবরই আছে।
১১ ই মে, ২০২৫ রাত ১০:৩৬
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ, প্রিয় মেঠোপথ২৩। আপনি সঠিকভাবে তুলে ধরেছেন—যদি বিএনপির ভূমিকা নিরপেক্ষ না হয় এবং তারা পুরনো চক্রকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করে, তবে তা দেশের ভবিষ্যতের জন্য হুমকিস্বরূপ হতে পারে। জুলাই বিপ্লব যে আত্মত্যাগের মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে, তা ব্যর্থ হতে দেওয়া চলবে না। এনসিপির নেতৃত্বে যে স্পষ্টতা, সাহসিকতা এবং যুক্তিভিত্তিক বক্তব্য আমরা দেখছি, তা সত্যিই আশাব্যঞ্জক। সময় এসেছে, যখন সঠিক দিকনির্দেশনা ও রাজনৈতিক দৃঢ়তাই দেশকে নতুন পথে এগিয়ে নিতে পারে।
২২| ১২ ই মে, ২০২৫ রাত ২:০৮
এইচ এন নার্গিস বলেছেন: কি বলবো ? একটা কথায় বারে বারে মনে আসছে আমরা অভাগা বাঙ্গালী জাতী ।
২৩| ১২ ই মে, ২০২৫ সকাল ৮:৩৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আপনি হুইস্কি, বিয়ার, ওয়াইন দিয়ে সেলিব্রেট করতে থাকেন।
এই দিন দিন নয়।
আরো দিন আছে।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৯
ইয়া আমিন বলেছেন: ১০ মে ২০২৫—বাংলাদেশের ইতিহাসে এক নতুন ভোরের নাম। এই দিন ছিল স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গণজাগরণের প্রতীক, অন্যায়ের গা ঘেঁষে হাঁটা এক ক্লান্ত জাতির পায়ে সাহসের জুতো পরিয়ে দেওয়ার দিন। ফ্যাসিবাদের জাল ছিঁড়ে, বাতাসে ফিরেছে মুক্তির সুবাস। এ দিন শুধু একটি রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ হওয়ার নয়, এটি ন্যায়, গণতন্ত্র ও মানুষের শ্বাস ফিরে পাওয়ার একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।