নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ থেকেই মানুষ আসে, বিরুদ্ধতার ভিড় বাড়ায়।তোমরা মানুষ আমরা মানুষ, তফাৎ শুধু শিঁড়দাড়ায় ।

মো: মহসীন

মো: মহসীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিজেকে নিজে বোঝানো

০২ রা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ২:৪০

যখন দুটি বিপরীত বাক্য একইসাথে নিজেকে প্রশ্ন করতে শুরু করে আমরা সাধারণত তখনই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়ি। যেমন, চাকরী কি পাব ? নাকি পাব না ? সে কী আসবে ? নাকি আসবে না ? কাজটা কী হবে ? নাকি হবে না।
মনোবিজ্ঞানের ভাষায় অটোজেনিক ট্রেনিং বলে একটা ব্যাপার আছে। অর্থাৎ নিজেকে নিজে বোঝানো। আপনার খারাপ দিন গুলোতে আর কেউ আপনার সাথে থাকুক আর না থাকুক আপনাকে কিন্তু আপনার সাথে থাকতেই হবে। আপনার কাছ থেকে আপনার কোন মুক্তি নেই। গর্তে ঢুকে পড়লে যখন টেনে তুলবার মত কাউকে পাবেন না তখন নিজেই নিজেকে ধরে টেনে তুলতে হবে।
পৃথিবীর সব থেকে সেরা মনোবিজ্ঞানী এসেও আপনাকে ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি দিতে পারবে না, যদি না আপনি নিজে নিজেকে সাহায্য না করেন।
আমি একজন মানুষকে চিনি যিনি কথায় কথায় একটা কথা বলতেন, ''কোন কিছুতেই আমার কিছু আসে যায় না''। বাক্যটির ভেতরে একটা আশ্চর্য রকমের সন্মহোন শক্তি কিন্তু আছে।
যতবার এ বাক্যটি শুনেছি ততবার আমার স্নায়ু শ্রবণকেন্দ্র অবতচেতন মনের কাছে একটি তথ্যই পৌঁছে দিয়েছে, কোন কিছুতেই আমার কিছু আসে যায় না। আমার অবচেতন মন নিজ থেকেই প্রস্তুত হতে শুরু করেছে, যাই হোক না কেন কিছুই আসে যায় না।
একজন সফল মানুষ এবং হতাশাগ্রস্ত মানুষ তারা দুজন একই ধরনের সমস্যায় পড়লে কিন্তু একই রকম আচরণ করবে না।
একদল বড় সমস্যাকে ছোট করে দেখে এবং ছোট সমস্যাকে বড় হতে দেয় না। এবং অন্যদল ছোট সমস্যাকে বড় করে দেখে এবং বড় সমস্যায় ভেঙ্গে চিত হয়ে শুয়ে পড়ে।
একবার বিষণ্ণতা নিয়ে ভাবতে শুরু করলে সেটি চক্রের মত মধ্যমস্তিস্কে ঘুরতেই থাকবে। একই চিন্তা ঘুরে ফিরে বার বার আসতে শুরু করবে।
প্রবলেম কে 'নো প্রবলেম' বলতে শিখুন। উইলিয়াম ডি এলিস ' মেক ওয়ে ফর দ্যা নো - প্রবলেম গাই' গ্রন্থে প্রমাণ করেছেন মাত্র দুটি শব্দ কীভাবে জীবনের সব বিষণ্ণতা থেকে মুক্তি দিতে পারে।
হয়ত এমন কিছু ঘটনা আপনার সাথে হয়েছে যেটা কোন ভাবেই ভুলতে পারছেন না। ঘুম ভাঙ্গার পর প্রথমেই এমন একটা কষ্টের কথা আপনার মনে পড়ে যেটা আপনাকে গতরাতে ঠিকভাবে ঘুমাতেই দেয়নি।
নিজের অসহায়ত্ব কাউকেই বোঝাতে পারছেন না। কিছু কিছু কষ্ট আছে; একান্ত আপনার জন্যই এসেছে। দুএকজন খামাখা আপনাকে সান্ত্বনা দেবার জন্য ভান করবে সে কষ্টটা আপনার মত করেই অনুভব করতে পারছে। আপনি ছাড়া কেউ এর রেশটাও বুঝবে না কোনদিন।
দুনিয়ার সবাই আপনার উপর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেও , দুনিয়ার সব মনোবিজ্ঞানী আপনাকে শান্ত করতে না পারলেও ভরসা রাখুন তার প্রতি যিনি বলেছেন...
"মনে রেখো, প্রতিটি কষ্টের পরেই রয়েছে স্বস্তি। নি:সন্দেহে প্রতিটি কষ্টের পরেই আছে স্বস্তি!"
-সুরা ইনশিরাহ, আয়াত (৫-৬)

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৩:৪৩

নিহত ভবিষ্যৎ বলেছেন: একদল বড় সমস্যাকে ছোট করে দেখে এবং ছোট সমস্যাকে বড় হতে দেয় না। এবং অন্যদল ছোট সমস্যাকে বড় করে দেখে এবং বড় সমস্যায় ভেঙ্গে চিত হয়ে শুয়ে পড়ে।[/sb

যতার্থই বলেছেন মহসিন ভাই।

অনেকটা অনুপ্রেরণা পেলাম। ধন্যবাদ

০২ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:২৩

মো: মহসীন বলেছেন: ভাই আমার এই রকম লেখার পিছনে আপ্নারি অবদান বেসি।

২| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৭:০৩

অঞ্জন ঝনঝন বলেছেন: ভাল লিখছেন। নিজেকে নিজে সাপোর্ট দেয়া জরুরী

০২ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৩১

মো: মহসীন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.