নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ মুনাব্বির হোসেন

I shall write some time later....

মোঃ মুনাব্বির হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছন্দ হিল্লোল সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত

২১ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৮:৩৭

মেঘলা থম্‌ থম্‌ সূর্য-ইন্দু
ডুবল বাদ্‌লায় দুল্‌ল সিন্ধু!
হেম-কদম্বে তৃণ-স্তম্বে
ফুট্‌ল হর্ষের অশ্রু বিন্দু!

মৌন নৃত্যে মগ্ন খঞ্জন,
মেঘ-সমুদ্রে চল্‌ছে মন্থন!
দগ্ধ-দৃষ্টি বিশ্ব-সৃষ্টির
মুগ্ধ নেত্রে স্নিগ্ধ অঞ্জন!

গ্রীষ্ম নিঃশেষ! জাগছে আশ্বাস।
লাগছে গায় কার গৈরী নিঃশ্বাস!
চিত্ত-নন্দন দৈবী চন্দন
ঝরছে, বিশ্বের ভাস্‌ছে দিশ্‌পাশ।

ভাস্‌ছে বিলখাল ভাস্‌ছে বিলকুল্‌!
ঝাপ্‌সা ঝাপ্‌টায় হাস্‌ছে জুঁই ফুল!
ধান্য শীষ্‌ তার কর্‌ছে বিস্তার—
তলিয়ে বন্যায় জাগ্‌ছে জুল্‌জুল!

সান্দ্র বর্ষণ হর্ষ কল্লোল!
ঝিল্লী-গুঞ্জন মঞ্জু হিল্লোল!
মূর্চ্ছে বীণ্‌ আর মূর্চ্ছে বীণ্‌কার—
মূর্চ্ছে বর্ষার ছন্দ-হিল্লোল!

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:০৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: বেশ কঠিন শব্দে ভরপুর,

২১ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:৫০

মোঃ মুনাব্বির হোসেন বলেছেন: তাই কঠিনেরে ভালবাসিলাম।

ধন্যবাদ আপনাকে।

২| ২১ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:২৮

শায়মা বলেছেন: সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের কবিতা পড়ে সত্যিই অবাক হয়ে যাই ভাইয়া।

৩| ২১ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:২৯

শায়মা বলেছেন: ইলশে গুঁড়ি! ইলশে গুঁড়ি
ইলিশ মাছের ডিম।
ইলশে গুঁড়ি ইলশে গুঁড়ি
দিনের বেলায় হিম।
কেয়াফুলে ঘুণ লেগেছে,
পড়তে পরাগ মিলিয়ে গেছে,
মেঘের সীমায় রোদ হেসেছে
আলতা-পাটি শিম্।
ইলশে গুঁড়ি হিমের কুঁড়ি,
রোদ্দুরে রিম্ ঝিম্।
হালকা হাওয়ায় মেঘের ছাওয়ায়
ইলশে গুঁড়ির নাচ, –
ইলশে গুঁড়ির নাচন্ দেখে
নাচছে ইলিশ মাছ।
কেউ বা নাচে জলের তলায়
ল্যাজ তুলে কেউ ডিগবাজি খায়,
নদীতে ভাই জাল নিয়ে আয়,
পুকুরে ছিপ গাছ।
উলসে ওঠে মনটা, দেখে
ইলশে গুঁড়ির নাচ।
ইলশে গুঁড়ি পরীর ঘুড়ি
কোথায় চলেছে,
ঝমরো চুলে ইলশে গুঁড়ি
মুক্তো ফলেছে!
ধানেক বনে চিংড়িগুলো
লাফিয়ে ওঠে বাড়িয়ে নুলো;
ব্যাঙ ডাকে ওই গলা ফুলো,
আকাশ গলেছে,
বাঁশের পাতায় ঝিমোয় ঝিঁঝিঁ,
বাদল চলেছে।

মেঘায় মেঘায় সূর্য্যি ডোবে
জড়িয়ে মেঘের জাল,
ঢাকলো মেঘের খুঞ্চে-পোষে
তাল-পাটালীর থাল।
লিখছে যারা তালপাতাতে
খাগের কলম বাগিয়ে হাতে
তাল বড়া দাও তাদের পাতে
টাটকা ভাজা চাল;
পাতার বাঁশী তৈরী করে’
দিও তাদের কাল।

খেজু পাতায় সবুজ টিয়ে
গড়তে পারে কে?
তালের পাতার কানাই ভেঁপু
না হয় তাদের দে।
ইলশে গুঁড়ি – জলের ফাঁকি
ঝরছে কত বলব তা কী?
ভিজতে এল বাবুই পাখী
বাইরে ঘর থেকে; –
পড়তে পাখায় লুকালো জল
ভিজলো নাকো সে।

ইলশে গুঁড়ি! ইলশে গুঁড়ি!
পরীর কানের দুল,
ইলশে গুঁড়ি! ইলশে গুঁড়ি!
ঝরো কদম ফুল।
ইলশে গুঁড়ির খুনসুড়িতে
ঝাড়ছে পাখা – টুনটুনিতে
নেবুফুলের কুঞ্জটিতে
দুলছে দোদুল দুল্;
ইলশে গুঁড়ি মেঘের খেয়াল
ঘুম-বাগানের ফুল।



আজকে ইলশেগুড়ি বৃষ্টি এখানে!!!!!!!

২১ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৯

মোঃ মুনাব্বির হোসেন বলেছেন: আপনার মন্তব্যও আপনার পোস্টের মত চমৎকার।

৪| ২১ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:০৭

শায়মা বলেছেন: :)

৫| ২১ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৯

এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন:
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: বেশ কঠিন শব্দে ভরপুর,

তার পরও কবিতাটি কত সুন্দর পড়তে পড়তে যেন অন্তর থেকে ছন্দ বেরিয়ে আসে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.