নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যে জানে জ্ঞানী গুণী তার কাছে শেখার আছে। মাথামোটার কাছে আমার কিছু শেখার নাই। আচরণে তার বংশের এবং ব্যক্তিক আভিজাত্য প্রকাশ পায়।সম্মান যতটুকু দিবেন ততটুকু ফেরত পাবেন।

এম ডি মুসা

আমি জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব নই। আমি কোন কবিও নই।কবিতা লেখি, শখের বিষয়। জানি ছন্দ জানি মাত্রা এই নিয়ে আমার পথ যাত্রা।। কুসংস্কার এবং অন্যায় বিরুদ্ধে সোচ্চার। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমার বুকের ভেতর মজুদ করা।

এম ডি মুসা › বিস্তারিত পোস্টঃ

মূর্তি আর ভাস্কর্য কি এক?

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৪




মূর্তি আর ভাস্কর্য এটা নিয়ে তৈরি হচ্ছে আজকাল বিভেদ, ফেতনা ফাসাদ মিছিল স্লোগান বাংলাদেশেঃ

সাধারন মতে কোরআনের আয়াত পড়ে যতোটুকু বুঝতে পারলাম, আল্লাহর সাথে শিরক করে‌‌ যদি যেটা হতে পারে সেটাই মূর্তি!

মূর্তি আছে এমন একটি জিনিস, ধর্ম উপাসনালয়ের জন্য ব্যবহার করে, এবং দেব দেবী হিসেবে পূজা করে
তাদের ধর্ম মতে তারা সেটাকে পূজা করে সুষ্ঠু বলে দাবি করে, উদ্দেশ্যমূলক তৈরি করা হয়।

আর ভাস্কর্য এমন একটি জিনিস যেটা মানুষে
ধর্মক্ষেত্রে ব্যবহার করেন না, কোন একজন ব্যক্তির অতীত স্মৃতি হিসেবে তার কৃতকর্মের উপর। কাকে উজ্জ্বলভাবে সাজিয়ে রাখা হয়। তাকে মানুষ স্মরণ করে সে একজন ভালো মানুষ ছিল।

যেটা মানুষ পূজা করেনা সেটা শিল্প হতে পারে সেটা মূর্তি হতে পারে না! বর্তমান আলেম সমাজ! এটা নিয়ে কি চিন্তা করেন না! যখন এটাকে পূজা করবে তখন আপনারা আন্দোলন করবেন।

একজন ভালো মানুষের কৃতকর্ম জাগিয়ে তুলবে
তাকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা হবে তার অতীতের কর্ম নিয়ে! ভাস্কর্য হিসাবে সবাই সেটা কে সম্মান করবে। উল্লেখ্য যে দেশে একজন ভালো মানুষ ছিল তাদের মত তোমরাও ভাল মানুষ হও। আদর্শ উত্তম চরিত্রের মানুষ ছিলেন। এটাই হলো একটি ভাস্কর্য উদ্দেশ্য আমার মনে হয়।

ভাস্কর্য মূর্তি কি এক হলো, এবার আপনারাই বলবেন?

মূর্তি ইসলামের অনুসারী মূর্তি বানিয়ে সেটাকে পূজা করাকে আল্লাহর সাথে শরীক করা কে জঘন্য অপরাদ আল্লাহ কোরআনের আয়াতে শিরক-কারী কে বিভিন্ন আয়াতে বলেছেন জঘন্য শাস্তি রয়েছে,

আল্লাহর সাথে কাউকে শরিক করা সমতুল্য ভেবে কাউকে পূজা সেটাই শিরক!
শিরক সম্পর্কে আল্লাহতায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেন- ‘

আল্লাহর সঙ্গে শরীক করো না। নিশ্চিত জেনে রেখো শিরক হচ্ছে অতি বড় জুলুম।’ (লুকমান ১৩)

আল্লাহ বলছেন আমি শিরক কারী কে কখনো ক্ষমা করবন না কোরআনের আয়াতে উক্ত গণনা অনুসারে বুঝা যায়, আল্লাহ তা'আলা বলেন

‘নিশ্চয় জেনো, আল্লাহর সঙ্গে শরীক বানানোর যে পাপ তা তিনি ক্ষমা করেন না। এ ছাড়া অন্য যে কোন পাপ তিনি যাকে ইচ্ছা মাফ করে দেবেন। বস্তুত যে ব্যক্তি আল্লাহর সঙ্গে শরীক করে, সে তো উদ্ভাবন করে নিয়েছে এক গুরুতর মিথ্যা।’ (নিসা ৪৮)।

আল্লাহ বলছেন তার কোনো ইলাহ নেই এবং তিনি এক, এ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা কুরআনে বলেন

‘আল্লাহ তো একমাত্র ইলাহ। সন্তানাদি থেকে তিনি সম্পূর্ণ পবিত্র। আসমান ও যমিনে যা কিছু আছে সবই তো তাঁর।’ (নিসা ১৭১)

এছাড়া আল্লাহতালা সূরা যুখরুফ এবং সূরা আনআমের সূরা নিসা বর্ণনা দিয়ে বলেন

‘লোকেরা তাঁর কতিপয় বান্দাকে তাঁর অংশ মনে করে নিয়েছে। প্রকৃত কথা এই যে, মানুষ সুস্পষ্টরূপে অকৃতজ্ঞ।’ (যুখরুফ ১৫)

‘তিনি তো আসমান ও যমিনের উদ্ভাবক। কি করে তাঁর সন্তান হতে পারে অথচ তার তো জীবন সঙ্গিনিই কেউ নেই? তিনি সব জিনিস সৃষ্টি করেছেন।’ (আনআম ১০১)

‘তোমরা কেবলমাত্র আল্লাহরই দাসত্ব ও ইবাদত করো। আর অন্য কোন কিছুকেই তাঁর সঙ্গে শরীক করো না।’ (নিসা ৩৬)

সুরা বাকারার (১৯১) আয়াতে আল্লাহ বলেছেন
কিছু সংক্ষিপ্ত কথা, বললাম, ফেতনা সৃষ্টি করা হত্যার চেয়েও জঘন্য।

ধরেন আপনার মোবাইল ফোনে ছবি করছেন
সেই ছবিগুলি প্রতিমুহূর্তের ধারণ করা ছবি
কেউ গুগল ড্রাইভে রাখেন কেউ কম্পিউটারে রাখেন
কেন রাখেন! সেগুলি কি ভাস্কর্য না আপনার চোখে
না সেগুলি জীবন্ত?
তাহলে দেখেন জারা আরো দশ বছর আগে বক্তা
ছবি করে গেছেন! এখন তিনি আর নেই, সেটা কি ভাস্কর্য না! আপনার মোবাইল ফোনের আপনার স্মৃতির!
একটি উদাহরণ দেই, কেউ বিব্রত হবেন না, ধরেন একজন বক্তা মারা গেল আলেম সমাজের, তার অনেক ওয়াজ ইউটিউব এ দেওয়া আছে! সেগুলি কি ভাস্কর্য না, সেগুলি মৃত ব্যাক্তিরা দাঁড়িয়ে আছে ওয়াস করতেসে সবাই দেখতেছে!
এমন সকল ক্ষেত্রেই-
তাহলে এবার বলেন মূর্তি আর ভাস্কর্য এক না!!
মূর্তি হচ্ছে ভিন্ন আর ভাস্কার্য হচ্ছে ভিন্ন!!
এটা মানুষের স্মৃতি!!

এবার বলেন যে মূর্তি আর ভাস্কর্য কি এক হলো?
শেষবার বলি মূর্তি হলো এমন একটি জিনিস যেটাকে পূজা করার জন্য ব্যবহার করে! সেটা হতে পারে আল্লাহর সাথে শিরক করা হতে।

আল্লাহর সাথে যেটা শিরক হয় না তাহলে সেটা ভাঙার জন্য আপনারা মিছিল ফেতনা-ফাসাদ স্লোগান মিছিল তৈরি করছেন কেন?

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:


আল্লাহ আপনাকে অনেক কিছু বলছে, উনি আপনাকে ২/১ কবিতা লিখে নিজ হাতে দিলে ভালো হতো।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:০৮

এম ডি মুসা বলেছেন: দূর মিয়া, মজা, আপনি তো, মজাই জানেন

২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৪

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: “কি করে তার সন্তান হতে পারে” সন্তানের জন্য সঙ্গিনী লাগে না।
মরিয়মের জীবন সঙ্গিনী ছিল না,কিন্তু সন্তান ছিল।

৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:২০

মরুর ধুলি বলেছেন: মুর্তি আর ভাস্কর্য এক নয়- তার স্বপক্ষে দলিল কি? মূর্তি শব্দের অর্থ, ভাস্কর্য শব্দের অর্থ আরবীতে কি হয়?
লেখায় আপনার যুক্তির স্বপক্ষে দালিলীক সাক্ষী থাকলে সেটা ভাল হতো।
পাবলিককে এতো বোকা ভাবেন আপনারা। যা বলবেন তাই গিলবে পাবলিক?
কোন তথ্য বা দালিলীক ব্যাখ্যা নাই যে লেখায় সেটা অগ্রহণযোগ্য। যুক্তি কোন কাজের বৈধতা অবৈধতা নির্ধারণ করে না। ধন্যবাদ। সুস্থ থাকুন।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০৮

এম ডি মুসা বলেছেন: কোরানের আয়াতগুলো কি দলিল না, ধন্যবাদ আপনি থাকেন সুস্থ থাকেন।

৪| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্মের প্যানপানামি আর ভালো লাগে না।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:০৭

এম ডি মুসা বলেছেন: ঠিক বলেছেন

৫| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ২:০৮

জিকোব্লগ বলেছেন:



বর্তমানে হঠাৎ করে উদীয়মান ভাস্কর্য ইস্যুর মূলে ধর্ম নয়, রাজনীতি
কাজ করছে। আর রাজনীতি এখানে কৌশলে ধর্মকে ব্যবহার করছে।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:০৬

এম ডি মুসা বলেছেন: ঠিক হতে পারে

৬| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৩:০৯

ফটিকলাল বলেছেন: ক্বওমী আলেমরাই যে ধর্মকে রাজনীতি হিসেবে ব্যাবহার করছে এটা তো দৃশ্যমান

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:০৬

এম ডি মুসা বলেছেন: হতে পারে ব্যাপারটা

৭| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৩৪

মরুর ধুলি বলেছেন: ইসলাামে কি রাজনীতি নাই?
ইসলাম রাজনীতি করতে নিষেধ করেছে?

৮| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৭

মরুর ধুলি বলেছেন: প্রতিবেশী দাদারাও জানে ভাস্কর্য আর মূর্তি এক কিন্তু জানেনা আমার দেশের ভাইজানেরা। জেগে জেগে ঘুমালে যা হয় আরকি ।
https://www.anandabazar.com/international/dhaka-high-court-ordered-to-protect-every-sheikh-mujibur-rahman-s-idol-across-the-country-1.1240301

এখন কি বলবেন চেতনাধারীরা ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.