নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব নই। আমি কোন কবিও নই।কবিতা লেখি, শখের বিষয়। জানি ছন্দ জানি মাত্রা এই নিয়ে আমার পথ যাত্রা।। কুসংস্কার এবং অন্যায় বিরুদ্ধে সোচ্চার। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমার বুকের ভেতর মজুদ করা।
কেমন দেশটা চাই আহা বাংলাদেশ
মন্দের শেষটা চাই কল্যাণে অশেষ,
কতটা সংগ্রাম থেকে মুক্তি অবশেষ
কত জীবন দিয়েছে কী ধ্বংসাবশেষ।
কেমন দেশটা হলো কার হাতে জিম্মি
কার হাত ধরে চলে নয়তো আরেক,
দমন পীড়ন যেন বিবেক সংকেত
একি বাংলাদেশ ভাই ধ্বংসের পেরেক।
স্বাধীন বাংলাদেশের সন্ত্রাসী ভূমিকা
মুক্তি চাই মাগো মুক্তি মোর অনুরক্তি,
সবুজ শ্যামল জুড়ে বাঁচার আসক্তি
ভালোবাসি এই দেশ চাইনা বিরক্তি।
পাখির কণ্ঠে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়
নদীর শীতল জলে শরীর জুড়ায়,
জাগ্রত ফসল বিলে নয়ন হারায়
অপূর্ব সুন্দর দৃশ্যে তৃষ্ণার্ত পুরায়।
বাঙালি বাঙালি নেই হিংস্রতা প্রকাশ
স্বার্থের কারণে যেন নেই কষাঘাত,
দলীয় প্রভাব মুক্ত মাটির মানুষ
পেট নীতি নিষ্ঠাবোধ থাকবে বরাত।
একটি বাংলাদেশের গৌরব অর্জন
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯
এম ডি মুসা বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
বাংলাদেশে এক সময় সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ছিল সর্বোচ্চ ২৭ বছর আর অবসরের বয়সসীমা ছিল ৫৭ বছর। এটা হয়তো সেই সময়ের জন্য সঠিক ছিল। পরবর্তী কালে সময়ের প্রয়োজনে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ করা হয় আর অবসরের বয়স করা হয় ৫৯ বছর। আমার কাছে মনে হয়েছে এটা যথেষ্ট নয়।
যেহেতু সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩ বছর বৃদ্ধি করা হয়েছে সেহেতু অবসর গ্রহণের বয়সও ৩ বছর বৃদ্ধি করা যুক্তিসঙ্গত। কেননা আগে কেউ চাইলেই সর্বনিম্ন ( ৫৭-২৭)=৩০ বছর চাকরি করতে পারতো। আর বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩০ আর অবসরের বয়স ৫৯ বছর করাতে এখন সর্বমোট চাকরি করতে পারবে ( ৫৯-৩০)= ২৯ বছর। অর্থাৎ ধরেই নেয়া যায় চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩০ আর অবসরের বয়স ৫৯ বছর করাতে এখন সর্বমোট চাকরি করতে পারবে আগের চেয়ে ১ বছর বছর কম। এটা অনেকের জন্যই পীড়াদায়ক ব্যাপার বলে মনে হয়েছে। সম্ভবত এটি আগে কারো নজরে আসেনি।
ইদানিংকালে তরুণ সমাজের পক্ষ থেকে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বশেষ বয়সীমা ৩০ বছর থেকে আরো বৃদ্ধি করারও দাবি ওঠেছে। আমি মনে করি এটা খুবই ন্যায্য ও সময় উপযোগী দাবি। সময়ের প্রয়োজনেই এখন চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়সসীমা আরো বৃদ্ধি করা সমীচীন হবে। বর্তমানের বাস্তবতাও তাই।
বাংলাদেশ এখন আগের চেয়ে অনেক অনেক বেশী উন্নত একটি রাষ্ট্র। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন দৃশ্যমান। এখন স্মার্ট বাংলাদেশের পথে এগয়ে যাচ্ছে আমাদের সকলের প্রিয় মাতৃভূমি। পৃথিবীর অনেক দেশের সাথে তাল মিলিয়ে চলার সক্ষমতা বাংলাদেশের আছে।
আমেরিকা, কানাডাসহ পৃথিবীর বেশীর ভাগ উন্নত দেশেই চাকরিতে প্রবেশের ও অবসর গ্রহণের কোন বয়সসীমা নেই। মানুষ তার প্রয়োজনের তাগিদে যার যত বছর খূশী চাকরি করে। রাষ্ট্রকে ট্যাক্স দেয়। এই প্রথা বাংলাদেশেও থাকা উচিত। আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এই সব দেশে চাকরিতে প্রবেশ আর অবসরের কোন বয়সসীমা যদি না থাকে তাহলে স্মার্ট বাংলাদেশেও এটা থাকা বেমানান।
জ্ঞান বিজ্ঞানের অভূতপূর্ব উন্নতির ফলে পুরো পৃথিবীটাই এখন একটা গ্লোবাল ভিলেজে পরিণত হয়েছে। ব্যাপক উন্নয়নের সুফল ভোগের কারণে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ও কর্মক্ষমতা উভয়ই আগের চেয়ে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের বর্তমান গড় আয়ু বেড়ে প্রায় ৭২ বছর হয়েছে। কয়েক বছর আগেও এই গড় আয়ু ছিল ৭০ বছরের নীচে। সেই বিবেচনায় অবসর গ্রহণের বয়সসীমা এখন কমপক্ষে ৬৫ বছর করা যেতে পারে। এতে বিরাট সংখ্যক সরকারি কর্মচারী উপকৃত হবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। অবসরের পর মানুষের হাতে কোন কাজ থাকে না। সীমিত আয়ে সংসার চলে না। মানুষ বিরাট হতাশায় দিন অতিবাহিত করে।
বিষয়টি অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিধায় ব্যাপক জনমত গড়ে তোলা প্রয়োজন।