নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জ্ঞানী লোকের কাছে প্রতিনিয়ত শিখছি। অজ্ঞের থেকে শেখার কিছু নেই। সম্মান যতটুকু দিবেন ততটুকু ফেরত পাবেন।

এম ডি মুসা

আমি জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব নই। আমি কোন কবিও নই।কবিতা লেখি, শখের বিষয়। জানি ছন্দ জানি মাত্রা এই নিয়ে আমার পথ যাত্রা।। কুসংস্কার এবং অন্যায় বিরুদ্ধে সোচ্চার। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমার বুকের ভেতর মজুদ করা।

এম ডি মুসা › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বাধীনতার ঘোষক কে?

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:২৭

মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ১৯৫৭ সালের কাগমারী সম্মেলনে "আসসালামুয়ালাইকুম" বলে পাকিস্তানকে বিদায় জানানোর ঘটনা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক। তিনি তখন পূর্ব বাংলার জনগণের অধিকার, ভাষা, ও স্বাধীনতার চেতনার ভিত্তি স্থাপন করেন। অনেক ইতিহাসবিদ ও গবেষক মনে করেন, ভাসানীই বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রথম দিককার ঘোষকদের অন্যতম।

তাঁর ঘোষণার মধ্য দিয়ে যে স্বাধীনতার বীজ রোপিত হয়, পরবর্তী সময়ে তা মেজর জিয়া ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাদের নিজ নিজ সময়ে অনুসরণ করেন এবং বাস্তবায়ন করেন। এই ধারাবাহিকতার ফলে বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জন করে।

তবে বর্তমানে মাওলানা ভাসানীর নামের সঙ্গে সরাসরি কোনো রাজনৈতিক দল যুক্ত নেই। যদি থাকত, তাহলে হয়তো তাঁর অবদান আরও প্রবলভাবে তুলে ধরা হতো এবং তিনিও বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে দাবি করতে পারতেন। তাঁর অবদান আজও বাংলাদেশের ইতিহাসে অমূল্য এবং প্রাসঙ্গিক


মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর "আসসালামুয়ালাইকুম" বলার ঘটনা বাংলাদেশের ইতিহাসে এক স্মরণীয় অধ্যায়। ১৯৫৭ সালের ৭-৯ ডিসেম্বর টাঙ্গাইল জেলার কাগমারীতে অনুষ্ঠিত হয় ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলন। এই সম্মেলন ছিল মাওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে আওয়ামী মুসলিম লীগের (পরে আওয়ামী লীগ) একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক মঞ্চ। পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের অধিকার, ভাষা, ও সংস্কৃতির জন্য এটি একটি মোড় পরিবর্তনকারী আন্দোলনের সূচনা করেছিল।

কাগমারী সম্মেলনের পটভূমি:

১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকে পূর্ব বাংলার জনগণ বুঝতে শুরু করে যে তারা পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর দ্বারা শোষিত হচ্ছে। ভাষা আন্দোলন, অর্থনৈতিক বৈষম্য, ও সাংস্কৃতিক নিপীড়ন পূর্ব বাংলার মানুষের মনে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছিল। এসবের পটভূমিতে মাওলানা ভাসানী একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা হিসেবে আবির্ভূত হন।

"আসসালামুয়ালাইকুম" বলার তাৎপর্য:

কাগমারী সম্মেলনের শেষ দিনে মাওলানা ভাসানী পাকিস্তান সরকারের শোষণ ও বৈষম্যের তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি ঘোষণা করেন,

> "পাকিস্তানের শোষণ, জুলুম, এবং দুঃশাসনের অবসান না হলে আমি এই পাকিস্তানকে বিদায় জানাই। আসসালামুয়ালাইকুম!"


এটি মূলত পশ্চিম পাকিস্তানের প্রতি পূর্ব বাংলার ক্ষোভ ও বিচ্ছিন্নতার ইঙ্গিত ছিল। ভাসানীর এই ঘোষণা পূর্ব বাংলার জনগণের স্বাধীনতা আন্দোলনের পথে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হয়।

এর প্রভাব:

১. মাওলানা ভাসানীর এই বক্তব্য পূর্ব বাংলার জনগণের মধ্যে রাজনৈতিক চেতনা জাগ্রত করে।
২. এটি পূর্ব বাংলার স্বাধীনতার আন্দোলনের প্রাথমিক সূচনা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৩. কাগমারী সম্মেলন পূর্ব বাংলার শাসন ব্যবস্থার জন্য স্বায়ত্তশাসনের দাবিকে জোরালো করে তোলে।
৪. এই ঘটনার পর মাওলানা ভাসানী পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর কাছ থেকে একঘরে হয়ে পড়েন, কিন্তু তিনি পূর্ব বাংলার জনগণের কাছে একজন নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন।

মাওলানা ভাসানীর এই সাহসী ঘোষণা পরবর্তী সময়ে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পথ প্রস্তুত করেছিল।
সবাই ঘোষক নিয়ে টানাটানি করে, আমি আমার মত প্রকাশের স্বাধীনতা থেকে লিখছি।


মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:৩৮

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: অনেকদিন পর লিখলেন।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:১৩

এম ডি মুসা বলেছেন: কেমন হয় ঘোষক নিয়ে টানাটানি বন্ধ হত। এটা হলে।

২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:১২

সাইফুলসাইফসাই বলেছেন: সত্য জানলাম

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:১৫

এম ডি মুসা বলেছেন: স্বাধীনতার সর্বদলীয় উপদেষ্টা ছিলেন। তাহলে নয় কেন? ওরা দুই গ্রুপের টানাটানি করুক। আমি মাঝখানে সত্য প্রতিষ্ঠি করি।

৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:২০

নতুন বলেছেন: ১৯৭১ এ স্বাধীনতার পটভুমি সৃস্টির পেছনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর ভুমিকার জন্য তাকে তার প্রাপ‌্য সন্মান দিতে হবে।

তিনি স্বায়ীত্ব শাসন চেয়েছিলেন তাই হয়তো ২৫ মার্চে স্বাধীনতার ঘোষনা দিতে পারেন নাই।

মেজর জিয়া তার বুদ্ধিমত্তায় এবং অন্য অফিসারদের চাপে ঘোষনা দিয়েছিলেন। সেটার জন্য তাকেও তার সন্মান দিতে হবে।

সন্মান দিলেই সন্মান পাওয়া যায়।

আয়ামীলীগ যেমন বঙ্গবন্ধুকে দেবতার আসনে বসাতে চেয়ছে তেমনি বিএনপি বঙ্গবন্ধুর ভমিকা বাদ দিয়ে মেজর জিয়াকে দেবতা বানাতে চেয়েছে।

দুই দলই বিনয় দেখালে এমন মাইনকা চিপায় আমাদের পরতে হতো না।

৫৪ বছর পরেও আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে টানা হেচড়া করে যেতে হয়। :|

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:২৩

এম ডি মুসা বলেছেন: আমার পোস্ট দুজনের নাম আছে। ধন্যবাদ বটবৃক্ষ।

৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:২৯

কামাল১৮ বলেছেন: ভাসানীর বক্তব্যের কোন ফলোআপ ছিলো।আমরা ছাত্রইউনিয়ের ছেলেরা তার পিছন পিছন ঘুরেছি বহুদিন।তার প্রতি সভায় উপস্থিত থাকতাম।পাকিস্তান আমলে রেসকোর্সে যে শেষ সভা করেছিলো সেখানেও হাজির ছিলাম।শেখ মুজিবের সভাতেও ছিলাম।লোক বেশি হয়েছিলো মুজিবের সভায়।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:৪৬

এম ডি মুসা বলেছেন: জনপ্রিয় বিনয় না, ঘোষণা ভাসানীর।

৫| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:০৯

রিফাত হোসেন বলেছেন: ১৯৭১ এর পটভূমি ভাসানীর সময় থেকেই রচিত। সবারই ভূমিকা আছে। এক মুজিব দিয়ে সব কিছু হবে না। আলোচনার সময় ২ পক্ষের কথা শোনা উচিত। ভাসানী ও মুজিব এর ঘোষণা পরোক্ষ ছিল। সরাসরি করেছে মেজর জিয়া তবে উনি মুজিবের পক্ষে ও তাকে নেতা মেনেই কাজ করেছে। কোন সুসংগঠিত কিছুর জন্য কর্মী ও নেতা সবই লাগে। মুজিব ১৯৭১ পূর্ব ও পরবর্তী বিষয় থেকে যাবে। তেমনি মেজর জিয়া আমানতের খেয়ানত করেন নাই কিন্তু ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য কি করেন নাই! সেটাও সঠিক কিছু নয়।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:৪৫

এম ডি মুসা বলেছেন: প্রথম ঘোষণা ভাসানীর।

৬| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৮:৪৯

ক্লোন রাফা বলেছেন: ভাষানীর রাজনীতির কবর রচনা করেছেন তিনি নিজেই।আর এখানেই ক‍্যারিশম‍্যাটিক দক্ষতা দেখিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান । মওলানা সাহেব ভোটের বাক্সে লাথি মেরে নিজেই পাতালে চলে গেছেন।
তার বিপরীতে বঙ্গবন্ধু হাঁটে,মাঠে,ঘাটে ছুটে বেড়িয়েছেন তার ৬ দফা বাঙালির রক্তে ডুকিয়ে দিতে । আবার নির্বিকার চিত্তে ভোট যুদ্ধ করেছেন সিংহের মত‼️
বঙ্গবন্ধু সবাইকে ম্লান করে উদ্ভাসিত হয়েছেন উপমহাদেশে । তার সময়ে তিনিই ছিলেন সেরাদের সেরা ।
ধন্যবাদ ।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:৪৩

এম ডি মুসা বলেছেন: ঘোষক হিসেবে প্রথম ভাসানী আসসালামুয়ালাইকুম বলেছেন। বঙ্গবন্ধু পরে করছেন। ১৯৭১

৭| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: সঠিক ইতিহাস আমি জানি না। জানতে চাইও না।

৮| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:১১

নতুন বলেছেন: রাজীব নুর বলেছেন: সঠিক ইতিহাস আমি জানি না। জানতে চাইও না।
B-)

হাকা ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করুন তিনি আপনাকে আয়ামী ইতিহাস জানিয়ে দেবে।

৯| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৫

কলাবাগান১ বলেছেন: ব্লগার নতুনকে প্রায় দেখা যায় ব্লগার হাকা ভাইকে কটাক্ষ করে কমেন্ট করেন যেখানে হাকা ভাইয়ের ব্যাপারে কোন কথা হচ্ছে না..... এখানে আমি হাকা ভাইকে ক্রেডিট দিব যে উনি ভদ্র লোকের মত চুপচাপ এসমস্ত মোটা দাগের কটাক্ষ কে সয়ে যাচ্ছেন.... পড়ালিখার একটা দাম আছে।

১০| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:১১

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: কাউকে ভগাবান / ইশ্বর বানাতে গিয়ে অনেক ইতিহাস চাপা দেওয়া হয়েছে কিন্তু সত্য কখনো চাপা থাকেনা। সত্য সত্যই


হাকা'র অপর নাম গোয়েবলস। হাজার হলেও পড়ালিখার একটা দাম আছে :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.