![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবনের বাস্তবই হচ্ছে সত্য।
শাবান মাসের ১৪তম দিবাগত রাত হচ্ছে, ‘শবে বরাত’ শবে বরাত শব্দটি ফারসি।
আমাদের প্রিয় নবী হযরত (সঃ) এই দিনে বেশী বেশী পাঠ করতেনঃ আল্লা-হুম্মা বা-রিকলানা ফী-রাজাবা ও শ’বানা ওয়া বাল্লিগনা রামাযানা। হে আল্লাহ্! আমাদের জন্য রজব ও শ’বান মাসের বরকত নাযিল করো আর আমাদেরকে রমজান পর্যন্ত পৌছিয়ে দাও, যাতে করে আমারা রমজান মাসের বরকত হাসিল করে নিজেদের ধন্য করতে পারি।
শব্দ। শব শব্দের অর্থ- রাত, রজনী, নক্ত, প্রদোষ, ক্ষপা, বরাত অর্থ- ভাগ্য, পরিণতি, বসিব, তকদির, কিসমত। শবে বরাত শব্দের অর্থ-ভগ্যের রজনী, আরবীতে শবে বরাতকে “লাইলাতুল বরাত যা মুক্তির রাত বলা হয়। পবিত্র কুরআনে এ রাতকে “লাইলাতুম মুবারাকা-বরকত ময় রজনী” হাদিসের ভাষায় এ রাতকে “লাইলাতুন নিসফি। হাদিসের ব্যাখ্যায় শবে বরাতের আরো অনেক নাম করন রয়েছে যেমন বলা যায়। ১. লাইলাতুল কিসমা-ভাগ্যের রজনী, ২. লাইলাতুত তাসবীয়- রিজিক বণ্টনের রাত, ৩. লাইলাতুল ফায়সালা- তকদীর নির্ধারণের রাত, ৪. লাইলাতুল তাউফ- ক্ষমা প্রাথনার রাত, ৫. লাইলাতুল কারামি- দয়াময় রাত, ৬. লাইলাতুল তাওবা- তাওবাকরার রাত, ৭, লাইলাতুল নাদামাহ- বিনয় মিনতির রাত, তবে সবছেয়ে বড় কথা হোল আমাদের প্রিয় নবী হযরত (সঃ) রমজান মাস ছাড়া অন্য অন্য মাসের তুলনায় এ মাসে সবছেয়ে বেশী বেশী রোজা পালন করতেন এবং এই মাসকে রমজানের প্রস্তুতি মান বলা হয়। আমাদের প্রিয় নবী হযরত (সঃ) বলেন হে আয়শা (রাঃ) আজকের রাত সম্পর্কে যেনে রাখ মহান আল্লাহ্ তায়ালা এ রাতে দুনিয়ার প্রথম আকাশে আসেন এবং এ রাতে মহান আল্লাহ্ বান্দার সবছেয়ে বেশী গুনাহ ক্ষমা করেন। অন্য একটি হাদিসে আমাদের প্রিয় নবী হযরত (সঃ) বলেন শাবান মাসের ১৪তম দিবাগত রাতে রাত ভর নামায পড়বে, দুরূদ পাঠ করবে, আল্লাহ্র নামে তাসবিহ পাঠ করবে, কেননা সে দিন মহান আল্লাহ্ তায়ালা সূযাস্তের সাথে সাথে দুনিয়ার নিচের আকাশে চলে আসেন আর বলতে থাকেন হে আমার প্রিয় বান্দারা তোমারা আজ আমার কাছে যা ছাইবে আমি তাই দিব, আজ তোমরা আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর, আমি তোমাদের ক্ষমা করবো, আজ আমার প্রিয় বান্দাদের ভাগ্য নির্ধারণ করবো,
এ রাতটি আমারা যে ভাবে পালন করবো আজ আমারা সবাই মিলে বেশী বেশী নফল নামাজ আদায় করবো, বিশেষ করে যদি সম্বব হয় সালাতুস তাসবিহ নামাজ আদায় করবো, দুই রাকাত করে নফল নামাজ আদায় করে চার রাকাত আদায় শেষে দুরূদ পাঠ করা, এ রাতে বেশী বেশী মাহান আল্লাহ্কে স্মরণ করা মাহান আল্লাহ্র নামে তাসবিহ পাঠ করা কান্না জড়িত কণ্ঠে মুনাজাতের মাধ্যমে মাহান আল্লাহ্র ক্ষমা প্রার্থনা ছাওয়া এমন আকুতি বিনয়ি ভাবে ক্ষমা প্রার্থনা চাইতে হবে মহান আল্লাহ্ ছাড়া আর কোন মাহবুদ বা ইলাহ নাই, আমাদের পিতা-মাথা, আত্মীয় স্বজনের কবর জিয়ারিত করা। তবে আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে আমার কারনে অন্যের ইবাদাতের ক্ষতি যাহাতে না হয়, নফল ইবাদাতের কারনে ফজরের ফযর নামাজ যাহাতে বাদ বা পরে যায়। তবে মহান আল্লাহ্ তায়ালা সঠিক ইবাদাত পালনের, মাধ্যমে এ রাতের বরকত ও ফযিলতকে বৃদ্ধি করে তোমাদের আমাদের জীবনের সকল জানা অজনা সকল অপরাধ ক্ষমা করে নেয়। যদি সম্ভব হয় সকলের উচিৎ পরের দিন নফল রোযা পালন করা।
০২ রা জুন, ২০১৫ দুপুর ২:২৩
মোঃ এন জামান বলেছেন: ধন্যবাদ আমার শুভেচ্ছা নিবেন আপনিও ভালো থাকবেন।
২| ০২ রা জুন, ২০১৫ দুপুর ২:০৭
ছাসা ডোনার বলেছেন: মাশাল্লাহ, খুব ভাল লাগলো পড়ে। আল্লাহ আপনাকে মংগল করুন।
০২ রা জুন, ২০১৫ দুপুর ২:২৫
মোঃ এন জামান বলেছেন: মহান আল্লাহ্ তায়ালা আপনারও মঙ্গল করুক।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা জুন, ২০১৫ দুপুর ১:৫৬
বাদশা নামদার বলেছেন: অনেক সুন্দর একটি লেখা পড়লাম। আশা করব এখন থেকে নিয়মিত লিখবেন । ভাল থাকবেন।