![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
‘নো ওয়ার নো হাঙ্গার’ স্লোগানে বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামে নানা আয়োজনে পালিত হলো বিশ্ব এতিম দিবস। শোভাযাত্রা,
আলোচনা সভা, সংবাদ সম্মেলন, এতিমখানায় খাবার ও বস্ত্রসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ওয়ার্ল্ড অরফান সেন্টার।
বুধবার (২০ এপ্রিল) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
বক্তব্য রাখছেন চসিক মেয়র আ জ ম নাসির উদ্দিন
তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৪৪ বছর পেরিয়ে গেলেও বাঙালির চিরকালীন লক্ষ্যে আমরা আজো পৌঁছতে পারিনি। সামাজিক দায়বদ্ধতা, দেশপ্রেম, মানবতাবোধে আমরা এখনো অনেক পিছিয়ে। আমাদের সমাজে অনেকেই বিত্তবান, কিন্তু এতিমদের আশ্রয়, সহযোগিতা প্রদানের মানসিকতা ক’জন বিত্তবানের আছে। সরকারি, বেসরকারি বা এতিমখানা পর্যায়ে অনাথরা প্রতিপালিত হয়ে আসলেও মূলত দৈন্যদশাতেই কাটছে তাদের জীবন। তাদের অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা চাহিদা নিশ্চিতকরণে সরকার, সমাজদরদি, এতিমখানা বা কিছু সামাজিক সংগঠনের ভূমিকা পালিত হলেও এর পাশাপাশি অপরাপর বিত্তবানদের কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। এই এতিম বা অনাথরা আমাদেরই কারও না কারও সন্তান।
তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম ওয়ার্ল্ড অরফান সেন্টার এতিমদের নিয়ে কাজ করছে এবং তাদের মাধ্যমেই আজ এ কার্যক্রম দেশ ছাড়িয়ে বিদেশে সমাদৃত হয়েছে। আমি আয়োজক সংগঠনের এই যাত্রার ধারাবাহিক সুদূর প্রসারতা প্রত্যাশা করছি। দিবসটি উপলক্ষে তিনি বলেন, “দেশে ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দিবসটিকে নিয়ে যেতে চাই।
প্রোগ্রামে উপস্থিতির একাংশ
ওয়ার্ল্ড অরফান সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আমান উল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামাল খান ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন।
দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে ওয়ার্ল্ড অরফান সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আমান উল্লাহ জানান, আবুল খায়ের স্টিল মিলস লিমিটেডের সহযোগিতায় ওয়ার্ল্ড অরফান সেন্টার এবার এতিম দিবস পালন করছে। ২০১৪ সালের ২০ এপ্রিল বিশ্ব এতিম দিবস ঘোষণা করে ওয়ার্ল্ড অরফান সেন্টার। ২০১৪ ও ২০১৫ সালে নিয়মিতভাবে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এবং বিশ্বের একশ’টিরও বেশি দেশে দিবসটি পালিত হয়। ২০১৬ সালে আমরা বিশ্বের ১২০টি দেশের সোশ্যাল মিডিয়ায় ইভেন্ট করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৩০টি দেশ ইতোমধ্যে সাড়া দিয়েছে এবং বিভিন্ন স্থানে (মালয়েশিয়া, কেনিয়া, সৌদি আরব, সোমালিয়া) এ দিবস পালিত হচ্ছে।
woc সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফ করছেন woc এর প্রতিষ্টাতা জনাব আমান উল্লাহ ।
বুধবার এ দিবস পালন উপলক্ষে ঢাকা-চট্টগ্রামের ২০টির বেশি এতিমখানায় খাবার ও বস্ত্র উপকরণ বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয় । দুই শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক ও শুভেচ্ছাদূত এতে অংশ নেন।
তিনি বলেন, দেশে ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দিবসটিকে নিয়ে যেতে চাই। বিশ্বে এতিম ও পথশিশুদের ক্ষুধা ও তাদের অধিকার বাস্তবায়নে ২০০৭ সালে ওয়ার্ল্ড অরফান সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই প্রতিষ্ঠানটি এতিম ও পথশিশুদের অধিকার বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
প্রোগ্রাম শেষে দেয়া হয় সার্টিফিকেট
প্রোগ্রামের পূর্বে অনুষ্টিত র্যালি
ছবিতে woc এর বিভিন্ন কার্যক্রম
২| ১৫ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:২৮
মু. সাদ উদ্দিন বলেছেন:
-দেশের এতিমদের পালন ও শিক্ষা দেয়ার দায়িত্ব কার, সরকারের, নাকি বিত্তবানদের?
অবশ্যই সরকারের । তবে সরকারের একার পক্ষে তো আর সবকিছু সম্ভব না ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই মে, ২০১৬ রাত ৩:২৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
"আমাদের সমাজে অনেকেই বিত্তবান, কিন্তু এতিমদের আশ্রয়, সহযোগিতা প্রদানের মানসিকতা ক’জন বিত্তবানের আছে। "
-দেশের এতিমদের পালন ও শিক্ষা দেয়ার দায়িত্ব কার, সরকারের, নাকি বিত্তবানদের?
এই লোক মেয়র হয়েছে, কিন্তু কিছু বুঝে বলে তো মনে হয় না।