নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

উচ্চমাধ্যমিকে অধ্যয়নরত আছি, ঢাকা\'তে। পড়াশোনার পাশাপাশি রোর বাংলা\'য় ফিচার লেখক হিসেবে যুক্ত আছি। দৈনিক সমকালে একাধিক ফিচার লিখেছি, লিখছি। রুবিক্স কিউব আর ভ্রমণে চরমভাবে আসক্ত। এছাড়াও বই পড়তে আর গবেষণা করতে ভালো লাগে। জানার চেষ্টা করি, জানাতে ভালোবাসি!

মোঃ তন্ময় হাসান সিয়াম

ফুল টাইম বেকার, পার্ট টাইম নগণ্য লেখক!

মোঃ তন্ময় হাসান সিয়াম › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিশুর জন্য ডিমের উপকারিতা

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৪১



পুষ্টি উপাদানে ভরপুর প্রাকৃতিক খাদ্যের মধ্যে ডিম অন্যতম। প্রোটিন ও পুষ্টি উপাদানের শক্তির উৎসও বলা হয়ে থাকে এটিকে। খাদ্য শিল্পের মধ্যে কম খরচে শিশুর দ্রুত বৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় হলো ডিম। তাই শিশুর খাদ্য তালিকায় অবশ্যই ডিম রাখতে হবে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, শিশুর দুই বছর বয়স পর্যন্ত লম্বা হওয়ার পরিপূর্ণ সময়। শিশু লম্বা না হওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে শিশুর খাদ্যে পুষ্টির অভাব। যখন শিশুর খাদ্যে পুষ্টির অভাব হয় তখন স্বাভাবিকের তুলনায় শিশু লম্বা হওয়া থেকে বঞ্চিত হয়। বিশ্ব সাস্থ সংস্থার জরিপ অনুযায়ী, বিশ্বের মধ্যে ৫ বছর বয়সের নিচে প্রায় সাড়ে ১৫ কোটি শিশু খাদ্যে পুষ্টির অভাবের কারণে দুর্বল হয়ে পড়ছে। জন্ম হওয়ার ছয় মাসের পর থেকে দুধের পাশাপাশি শিশুকে পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতে হবে এতে করে দ্রুত বিকাশ গঠনে সহায়তা করে এবং শিশুর বৃদ্ধি দ্রুত নিশ্চিত করা যায়। তাছাড়াও একটি ডিম শিশুকে সারা দিনের জন্য সতেজ রাখে।

গবেষকদের মতে, অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের দিনে একটি করে ডিম খাওয়ালে তারা দ্রুত লম্বা হয় এবং তাদের মানসিক বৃদ্ধি সাধনে ভুমিকা রাখে।

ডিমে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, আয়রন, তামা, খনিজ পদার্থ, সেলেনিয়াম এবং ভিটামিনও রয়েছে যার মধ্যে ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই ও ভিটামিন B১২ অন্যতম।

তাছাড়াও ডিমের ভিতরে বিদ্যমান পুষ্টির তালিকায় :-

• সোডিয়াম : ৬৩ মিলি গ্রাম
• ফ্যাট : ৫ গ্রাম
• ক্যালোরি : ৭২ গ্রাম
• প্রোটিন : ৬.৩ গ্রাম
• কার্বোহ্রাইড্রেট : ০.৬ গ্রাম
• কোলেস্টোরল : ২১৩ মিলি গ্রাম

ডিম আমরা কমবেশি সবাই খেতে পারি তবে বড়দের তুলনায় শিশুদের নিয়মানুসারে খেতে হবে। শিশুকে প্রতি সপ্তাহে ৩-৪ টি ডিম খাওয়ানোর চেষ্টা করুন কিন্তু যদি ৩-৪ টির অধিক ডিম খাওয়াতে চান তাহলে অবশ্যই কুসুম ছাড়া ডিমের সাদা অংশ খাওয়াবেন। কেননা অতিরিক্ত ডিমের কুসুম শিশুর সাস্থের জন্য ক্ষতিকর ও মারাত্মক প্রভাব পরে। প্রয়োজনে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।

শিশুর জন্য ডিমের উপকারিতাঃ-

হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখে : ডিমের কুসুমে ফসফোলিপিড উপাদান রয়েছে, যা শিশুর হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখে।
চোখ সুস্থ রাখে : ডিমের কুসুমে রয়েছে জাক্সাথিন ও লুটেইন নামে গুরুত্বপূর্ণ দুটি এন্টি অক্সিডেন্ট যা শিশুর চোখকে সতেজ রাখে।
হাড় মজবুত রাখে : ডিমে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন উপাদান রয়েছে যার মধ্যে ভিটামিন B১২, ভিটামিন কে, ভিটামিন ই, ভিটামিন এ ও ভিটামিন ডি অন্যতম। এতে করে শিশুর হাড়কে মজবুত ও বিকাশ গঠনে সহায়তা করে।
শিশুকে সতেজ রাখে : ডিমের সাদা অংশে রাইবোফ্লোবিন উপাদান রয়েছে যা কিনা কার্বোহাইড্রেট থেকে শিশুর শরীরে এনার্জি উৎপন্ন করে এতে শিশু বেশ আরাম পায়।
লিভারের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে : ডিমে অধিক পরিমানে ভিটামিন B১২ এবং সালফার রয়েছে যা লিভারের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং লিভারকে করে তোলে শক্তিশালী।
মস্তিষ্কের বিকাশ সাধন: ডিমে রয়েছে কোলাইন এবং কোলেস্টেরল যা শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে সম্পৃক্ত। তাছাড়াও কোলেস্টেরল হজম শক্তি বৃদ্ধি এবং শরীরে হরমন তৈরি করে।


সতর্কতাঃ

১. ডিমের সাদা অংশ প্রচুর পরিমানে খাওয়ার পর অনেকের এলার্জি হয়ে থাকে, যদি শিশুর ক্ষেত্রে এলার্জি হওয়ার ভাব আসে তবে তাৎক্ষণিকভাবে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
২. ডিম অর্ধেক সিদ্ধ কিংবা কাঁচা ডিম কখনোই আপনার বাচ্চাকে খাওয়াবেন না। যদিও এতে বেশ পুষ্টি পাওয়া যায়। তবে কাঁচা ডিমের কুসুমের ভিতরে বিদ্যামান সালমনেল্লা নামক ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে যা শিশুর শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।

ছবিঃ Edited by Author




মন্তব্য ৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: গুড পোস্ট।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৪১

মোঃ তন্ময় হাসান সিয়াম বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ! ভালো থাকবেন।

২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:০০

বিটপি বলেছেন: ডিমের সবচেয়ে বড় উপকারিতা হল 'দিস ইজ দ্যা চিপেস্ট সোর্স অফ প্রোটিন'। এর উপরে আর কিছু বলা লাগেনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.