নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন গুনাহগার,আল্লাহর গোলাম। আলহামদুলিল্লাহ্ ,একজন মুসলমান হিসেবে নিজেকে ধন্যমনে করি ।সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠমানব,সকল নবীদের শ্রেষ্ঠ নবী হযরতমুহাম্মাদ সাঃ এর উম্মতহতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করি।দ্বীনের পথে চলতে চেষ্টা করি।

md yousuf rana

আমি এক জন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান

md yousuf rana › বিস্তারিত পোস্টঃ

পীর

১০ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:২৭

একটা এস্কুলুসিব স্টেটাস দেওয়া হইল, আশাকরি ইমানী বুঝ পেয়ে যেতে পারেন, সবাই পড়ুন, যাযাকাললাহ

প্রশ্ন :- অনেকে বলে থাকে ইসলামে খলিফার কথা বলা হয়েছে ,পীরের কথাতো ইসলামে নাই, তাহলে পীরের কাছে বাইয়াত হবো কেনো ?????

উওর:- আগে আমরা জেনে নেই পীর কাহাকে বলে ? পীর ধরতে হবে এ ব্যাপারে পবিত্র কোরআন শরীফে কোন নির্দেশ আছে কিনা ? উত্তরঃ হ্যাঁ, পীর ধরতে হবে, এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআন পাকে বহু নির্দেশ আছে । তবে পীর শব্দটি পবিত্র কোরআন পাকে নেই । কারন পীর শব্দটি ফার্সি ভাষা হতে বাংলা ভাষায় প্রবেশ করেছে । যেমনঃ নামাজ, রোজা, ফেরেশতা ,খোদা, ইত্যাদি শব্দগুলো কোরআন শরীফে-এ নেই । কারন উহা ফার্সি শব্দ , তবে এর প্রতিটি ফার্সি শব্দেরই প্রতিশব্দ কোরআন শরীফ আছে, যেমনঃ নামাজ- সালাত, রোজা- সাওম, ফেরেশতা-মালাকুন ইত্যাদি । আবার সালাত আরবি শব্দটি স্থান বিশেষ বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয় । অনুরূপভাবে পীর ফার্সি শব্দের প্রতিশব্দ পবিত্র কোরআন শরীফের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন শব্দে প্রকাশ করেছেন, যথাঃ 'অলি' বহুবচনে আউলিয়া, মুর্শিদ, ইমাম, বহুবচনে আইম্মা, হাদি, ছিদ্দিকিন, ইত্যাদি ।

স্মরণ কর! সেই দিনকে যেদিন আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়কে তাঁদের (ইমাম) নেতা সহ আহ্বান করব । (বনি ইসরাইল, আয়াতঃ ৭১ )

মুমিন পুরুষ ও মুমিনা মেয়েলোকের ভিতর হতে কতেক কতেকের বন্ধু । (সুরাঃ তাওবাহ, আয়াতঃ ৭১)

অনুস্মরণ কর তাঁদের যারা তোমাদের নিকট কোন প্রতিদান চাহে না, এবং যারা সৎ পথ প্রাপ্ত । (সুরাঃ ইমায়িন, আয়াতঃ ২১)

যে বিশুদ্ধ চিত্তে আমার অভিমুখি হয়েছে তাঁর পথ অনুস্মরণ কর সুরাঃ লোকমান, আয়াতঃ ১৫)

জিকির সম্বন্ধে তোমাদের জানা না থাকলে যিনি জানেন তাঁর নিকট হতে জেনে নাও । (সুরাঃ আম্বিয়া, আয়াতঃ ৭)

হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং (ছাদেকিন) সত্যবাদী গণের সঙ্গী হয়ে যাও । (সুরাঃ তাওবাহ, আয়াতঃ ১১৯)

নিশ্চয়ই আল্লাহ্ পাকের রহমত (মুহসিনিন) আউলিয়া কিরামগনের নিকটবর্তী । (সুরাঃ আরাফ, আয়াতঃ ৫৬)

আল্লাহ্ যাকে সৎপথে পরিচালিত করেন, সে সৎপথ প্রাপ্ত হয় এবং তিনি (আল্লাহ্) যাকে পথভ্রষ্ট করেন, তুমি কখনো তাঁর জন্য কোন পথপ্রদর্শনকারী (অলি-মুরশিদ) পাবে না । (সুরাঃ কাহাফ, আয়াতঃ ১৭)

সাবধান! নিশ্চয়ই আল্লাহ্র অলিগণের কোন ভয় নেই, এবং তারা কোন বিষয় এ চিন্তিতও নহে । তাঁদের জন্য আছে সুসংবাদ দুনিয়া ও আখেরাতে, আল্লাহ্র কথার কোন পরিবর্তন হয় না, উহাই মহা সাফল্য । (সুরাঃ ইউনুছ, আয়াতঃ ৬২-৬৪)

ইসলামে পীর বা মুরশেদ আছে, (ওয়ালিয়াম মুরিশীদা) তথা আল্লাহ যাকে গুমরা করেন তাকে পীর বা মুরশেদ ছাড়াই গুমরাহ করেন ।সুরা কাহাফ-আয়াত নং১৭)

আসল কথা হলো ,খেলাফত ছাড়া কেউ পীর হতে পারেনা, আর খলিফারা খেলাফত ছাড়া খলিফা হতে পারেনা এবং মুরিদও করতে পারেনা, আর যে ব্যক্তি খেলাফত পায় তাকেই ইসলামে বলা হয় শায়েখ/মোর্শেদ বা পীর, আর তখনি একজন খলিফা/ পীর তখন বাইয়াত/মুরিদ করতে পারে, তবে বাইয়াত হতে হবে ইসলামের জন্য, আর এ বাইয়াতের ছিলছিলা আসতে হবে রাসুলুললাহ (সা:) এর কাছ থেকেই, আর এভাবেই কেয়ামত পর্যন্ত পীরের কাছে বাইয়াত হওয়ার ছিলছিলা জারি থাকবে ইনশাআল্লাহ ,

এখন আসুন যে, জায়গায় জায়গায় এত পীর/শায়েখ / খলিফা কেনো ? নবী করিম (সা:) যাকে খলিফা হিসাবে যেই যায়গায় পাঠাইছেন , সেই যায়গায় সেই সাহাবা (রাদি:) লোকদেরকে নবী(সা:)এর তরীকায় বাইয়াত করাতেন এবং ঐ সাহাবা (রাদি:) ওনিও ওনার এলাকায় বা ওনার প্রতিনিধি হিসাবে খেলাফত দিয়ে অন্য এলাকায় পাঠাতেন, রাসুলুললাহ (সা:) একসাথে এরকম অনেককে বাইয়াত করে অন্য এলাকায় মানুষের ইসলাহ বা ইছলাম প্রচারের জন্য, যেমন রাজা নাজজাশীর কাছে নবী (সা:) এর চিঠি নিয়ে গিয়েছিল এক ছাহাবা (রাদি:) ইসলামের দাওয়াত নিয়ে , তখন রাজা নাজজাশী কালেমা পড়ে মোসলমান হয়ে যান এবং ঐ সাহাবা (রা:) এর কাছে বাইয়াত হন, এভাবে কেয়ামত পর্যন্ত একের পর এক বাইয়াতের ছিলছিলা জারি থাকবে, আর এখনকার হক্কানী পীর-মাশায়েখদের কাছে নবী (স:) এর বাইয়াতের ছিলছিলা চলে এসেছে এবং এভাবেই কেয়ামত পর্যন্ত চলতে থাকবে,

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্ল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্ল্লাম বলেছেন, বনী ইসরাইলের একের পর এক নবী আসতেন, কিনতু আমার পর আর কোন নবী আসবেন না। তবে প্রতি যুগে আমার অনেক প্রতিনিধি ও খলিফা আগমন করবেন। এ কথা শুনে সাহাবা কেরাম (রা.) বললেন, তখন আমরা কি করব? উত্তরে তিনি বললেন, আমার খলিফাগণের কাছে মুরিদ হতে থাকবে ও তাদের কাছে মুরিদ হওয়ার হকও আদায় করতে থাকবে এবং তাদের প্রাপ্য হকও দিতে থাকবে। কেননা তাদের অধীনস্তদের সম্পর্কে কেয়ামতের দিন তাদেরকেই জবাবদিহী করতে হবে।

(মুসলিম শরিফ ইমারাত অধ্যায় ২খ. ৬২১পৃ.)

"সরদারে দুজাহান রাসুলুললাহ (সা:) এর আদেশ হইল খলিফা/পীর/ওস্তাদ/ শায়েখের কাছে বাইয়াত/ওয়াদা/শিশশ্/ মুরিদ হওয়া" এখন আপনি কার কাছে বাইয়াত/মুরিদ হইছেন ?

মানতে হবে - কুরআন ও সুন্নাহর মত করে । এক হাতে তোমার পীর ,তোমার দাদা ,বউ , নেতা , নেত্রী , মুহাদ্দিস , হুজুর , আরেক হাতে কুরআন ও হাদিস রেখে বিবেক, জ্ঞান দিয়ে যাচাই করে মানতে হবে ।
সুতরাং এবার আপনিই বিবেচনা করুন। এবার আপনার ইচ্ছা , আপনি কার কথা মানতাছেন ? কপি

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৫২

আহলান বলেছেন: মান্য করার মতো হাক্কানী পীর এখন পাবেন কই? বহুত কিছু অবলোকন যাচাই বাছাই করে তবেই বয়াত গ্রহণ করতে হয় .... এতো সম্তা না মিঞা সাব ....! যিনি কোরআন হাদিস সুন্নাহকে পুরাপুরি অনুসরণ করেন এবং আল্লাহ ও তার রাসুলের আদর্শ ব্যতীত অন্য কোন মতাদর্শকে অনুসরণ করেন না- এমন মানুষ এখন কই পাবেন? এই লাইনের শতকরা ৯৯.৯৯ % তো ভন্ডামো করে পেট চালায় ....

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.