![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাস স্ট্যান্ড। রাত ২টা ৩০ মিনিট। জাভেদ সাহেব দাঁড়িয়ে আছেন রাস্তার পাশে ফলের দোকানের সামনে। তিনি “দেশ ট্রাভেলস” এর ১১ টার বাসে ঢাকা থেকে রাজশাহী যাচ্ছেন। অনেকদিন পর ছুটিতে বাড়ি যাচ্ছেন। জাভেদ সাহেব বাংলাদেশ ব্যাংকে আইটি ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করেন। তার বাসা উত্তরায় আর অফিস মতিঝিলে। প্রতিদিন বিকালে অফিস থেকে ট্রেনে করে বিমানবন্দর আসেন। কর্মজীবি অফিসফেরত এই মানুষগুলো সারাদিনের ক্লান্তির পরেও এত কথা বলতে পারে। অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজ, বিজ্ঞান, ধর্ম কিছুই রেহাই পায় না এদের হাত থেকে। জিনিসপত্রের কেন দাম বেশি, ইসলাম কেন শান্তির ধর্ম, বিদ্যুৎ কেন চমাকায়, সরকার কেন দেশ চালাতে পারছে না, তারা যে সবই জানেন ও বুঝেন কিন্তু কেন শুধু বলতে পারেন না, দেশের উন্নতির নামে সরকারি আমলারা তাদের চোখের সামনে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে যাচ্ছেন অথচ তারা কিছুই করতে পারছেন না - এসব মধ্যবিত্ত শ্রেণীর জ্ঞানগর্ভ বিলাপ, দার্শনিকতা কিছুই আমাদের জাভেদ সাহেবকে টানে না। কারণ তিনি নিজের মধ্যে থাকতে পছন্দ করেন। আলোচনা শুনেনও না, করেনও না। তাই তিনি ঠিক করেছেন এবারের ছুটিতে আর ট্রেনে যাবেন না। তিনি বাসে যাবেন। তিনি ট্রেনের উপর ভালোই বিরক্ত।
বাস অর্ধপথে খাবার জন্য যাত্রাবিরতি দিয়েছে। বাস দাড়িয়েছে “ফুড ভিলেজ” এর সামনে। জাভেদ সাহেব যাত্রাপথে আবার কিছু খান না। তার বমির অভ্যাস আছে। তিনি বাস থেকে নেমে টয়লেটে গিয়েছিলেন। এসে দেখেন বাসের গেট লকড। তিনি বিরক্ত হলেন না। বাসস্ট্যান্ডে এই মানুষজন তার ভাল লাগছে। প্রত্যেকে আলাদা আলাদা স্বপ্ন নিয়ে আলাদা আলাদা গন্তব্যে যাত্রা করছে, প্রত্যেকে ঠিক এই মুহুর্তে আলাদা আলাদা চিন্তা করছে, বাবা হয়ত কোলের শিশুকে দেখতে যাচ্ছে, ছেলে হয়ত মায়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে ছুটে এসেছিল-শেষ দেখাটুকু হয়নি-দুঃখ মনে ফিরে যাচ্ছে। বড় আজব দুনিয়া ভাই-পাশ থেকে এক ভদ্রলোক তাকে বললেন। “সিগারেট খাবেন? Esse - দামি সিগারেট। সচরাচর খুব একটা পাওয়া যায় না।” জাভেদ সাহেব হাত বাড়িয়ে সিগারেট নিলেন। কিন্তু ধরালেন না। হাতে ধরে রাখলেন।
বৃষ্টি হয়ে গেছে কিছুক্ষণ আগে। আকাশ পরিষ্কার। চাঁদ দেখা যাচ্ছে। আজকে চাঁদ এত বড় লাগছে কেন? ও হ্যাঁ, সুরমা বলেছিল আজ পূর্ণিমা। সুরমা তাঁর স্ত্রী। বাবার বাড়ি থাকেন। বিয়ে করেছেন নতুন। সংসারে নতুন সদস্য আসে নি এখনো। তার স্ত্রী সন্তানসম্ভবা।
বাসের দরজা খুললে জাভেদ সাহেব উঠে তার জানালার পাশে সিটে বসেন। জানালা দিয়ে হালকা বাতাস আসছে। ঘুমে চোখ জুড়িয়ে আসছে। বাস যেখানে দাঁড়িয়ে আছে সেখানে একটা আপেল গাছ লাগানো আছে। গাছের পাতার ফাক দিয়ে পূর্ণিমার চাঁদ দেখতে তার খুব ভাল লাগছে।
পাতা আস্তে আস্তে ঘন হতে হতে যেন বনের মত হয়ে যেতে থাকে। চারিদিকে ঘন বন। জাভেদ সাহেব নিজেকে দেখতে পেলেন বনের মধ্যে কুঠার হাতে। ঘেমে একাকার। গা দিয়ে দরদর করে ঘাম পড়ছে। তিনি মনে করার চেষ্টা করলেন তার নাম রইস মিয়া না জাভেদ আলি। ধুর ছাই, জাভেদ-ফাভেদ কোত্থেকে আসল? তার নাম তো রইস মিয়া। তার দাদীজান কত শখ করে এই নাম রেখেছিলেন। যা রোদ পড়েছে। তিনি সূর্য দেখে বুঝলেন অনেক বেলা হয়ে গেছে। সেই ভোরবেলায় এসেছেন। তাকে এই কয়টা কাঠ কাটতেই হবে। ঘরে তার বড় মেয়ে অপেক্ষা করছে। আরও তিনটা ছোটছোট ছেলেমেয়ে আছে ঘরে। ঘর আর কি- এই ছন টন দিয়ে সমুদ্রের তীরে একটা বাড়ি বানিয়ে একটা দ্বীপে একলা থাকেন। গাছ কাটা তার পেশা। তিনি হাতের উল্টোপিঠ দিয়ে ঘাম মুছে আবার কাঠ কাটায় মনোযোগ দিলেন।
খড়িগুলো নিয়ে তিনি ঘরে ফিরছেন। ক্লান্তিতে অবসন্ন হয়ে আসছে তার দু’চোখ। তবু পিঠে করে খড়ি বয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। পায়ের নিচে পথ এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। সামনের সমুদ্র ফিকে হয়ে আসছে। চোখের সামনের সবুজ পাহাড় টিভির দৃশ্যের মত ঝিরঝিরে হয়ে আসছে। তিনি পড়ে যাচ্ছেন। প্রচন্ড পানির পিপাসা পেয়েছে তার। আর কিছু মনে নেই।
যখন জেগে উঠলেন তিনি তখন একটা নৌকায়। তিনি খুবই অভ্যস্ত ভঙ্গিতে উঠে বসলেন। ঘুমানোর আগে মাথার ডান পাশে তিনি কলসিতে পানি রাখেন। একটা দুঃস্বপ্ন দেখে ঘুম ভেঙ্গে গেছে বলে মনে হলো। স্বপ্নে পাহাড়-বন-জঙ্গল কী কী সব দেখছিলেন। তিনি পানি খেলেন। একটা লাল-সবুজ গামছা গোলা করে পেচায়ে মাথার নিচে দিয়ে তিনি ঘুমান। সেটাতে আয়েশ করে মুখ মুছলেন। নৌকা ঢেউয়ে বাড়ি লেগে দুলছে। এই দুলুনি তার ভাল লাগছে। তার বাবার কথা মনে পড়ল। মা মারা গেছে সেই ছোটবেলায়। বাবা তাকে নিজের হাতে নৌকা চালানো শিখিয়েছেন। ছোটবেলায় দুঃস্বপ্ন দেখে ঘুম ভেঙ্গে গেলে তার বাবা তাকে কোলে নিয়ে বসতেন। বলতেন, “ও ব্যাটা, ভয় পাও কেন? ভয় পাইলে চলব? মাঝির ব্যাটার অইবো এত্ত বড় বুকের পাটা”। বাবা দুই হাত প্রসারিত করে ‘এত্ত বড়’ দেখাতেন। বাবা তখন রূপকথার গল্প বলতেন, পাখিদের গল্প বলতেন, সমুদ্রের তলায় তিমি মাছের সংসারের গল্প বলতেন।
তার চমক ভাঙ্গে পাশের নৌকার মাঝির গলায়। “মরছ নাকি কলিম মাঝি? ঝড় আইতাছে। নৌকা ভাসাও। বাইন্ধ্যা রাখছ ক্যান?” তিনি সভয়ে চমকে উঠেন। তার মনে পড়ে তার নামই তো কলিম মাঝি। বিপদে বাপের নাম ভুলে যাওয়ার কথা তিনি শুনেছেন, এ দেখি তার নিজের নামই ভুলে যাচ্ছেন। তিনি নৌকার ছই থেকে বাইরে আসেন। তাইতো-বাইরে বিষম ঝড়। নদী ফুলে ফেঁপে উঠেছে। এমন উত্তাল ঝড় তিনি ছোটবেলায় একবার দেখেছেন, যেবার তার বাবা মারা গেলেন।
ঝড় খুব ভয়ানকভাবে এসেছে। নৌকার উপরে ঢেউ আছড়ে পড়ছে। নৌকার এক মাথা ভেঙ্গে গেছে। তিনি লাফ দিলেন নদীতে। মনে হলো নৌকা যেন উলটে এসে বাড়ি খেল তার মাথার উপর। তিনি জ্ঞান হারাচ্ছেন। হারাচ্ছেন। নাকে-মুখে পানি ঢুকছে। উত্তাল নদী তাকে গ্রাস করে নিচ্ছে। তিনি মনে প্রাণে কোনমতে এক মুঠো ডাঙ্গা খামচে ধরতে চান।
জমির আলি শুয়ে আছেন মাটির ঘরে শীতলপাটি বিছিয়ে। আজ গরম পড়েছে খুব। জৈষ্ঠ্য মাসের আম পাকানো গরম। তিনি স্বপ্ন দেখছিলেন। স্বপ্নে দেখছিলেন, তিনি নদীর মাঝে একা। ঝড় এসেছে। নৌকা ডুবিয়ে দিচ্ছে। তিনিও ডুবে যাচ্ছেন। তিনি তার স্ত্রীকে ডাক দিলেন, “রাণুর মা, ও রাণুর মা। পাঙ্খাডা লইয়া এদিকে আসো তো”।
-কি হইল? বুলান ক্যান?
-বউ বাতাস করো। মনডা বড়ই আনচান করতেছে। স্বপন দেখছি। খুবই খারাপ স্বপন।
-জোয়ান পুরুষমানুষ। কুনো কাম-কাজ নাই। ঘরে শুইয়া স্বপন দেখেন। দেখেন, স্বপনই দেখেন।
-বউ, এমন করো ক্যান? কি স্বপন শুনবা?
-কি?
-দেখি কি, আমি এক বিশাল জাহাজের নাবিক। ম্যালা মানুষ আমার জাহাজে। হগলে আমার সম্মান করে। জাহাজ লইয়া সমুদ্র পার হইতাছি। হটাত আসলো ঝড়। আমার জাহাজ গেলো ডুইবা। আমি গেলাম পানিতে পইড়া। এক বিশাল হাঙ্গর মাছ আমারে খাইতে আসতাছে। আমি হাঙ্গর মাছের লগে দিলাম ফাইট।
-বন্ধ করেন তো আজাইরা প্যাচাল। ঘরে কাম আছে। কাম করুম। লন আপনার পাঙ্খা। বাতাস করেন আর খোয়াব দেহেন।
-চইলা যাও ক্যান বউ? বহো। দুইডা গল্প করি।
-আআআহঃ পিরীত!! প্যাটে নাই ভাত আর পিরীত মারান।
-আহারে! বউডা আমার শুকায় কাঠ হইয়া যাইতাছে।
-আহ! হাত ছাড়েন। কি করেন দিনে দুপুরে। বাড়ি ভর্তি মানুষজন। রাণু আইসা পড়ব।
-রাণু কই?
-খেলতাছে রান্নাঘরে।
“মা গো” বলে জমির আলির মেয়ের চিৎকার শোনা যায়। তার বুড়ি মাও ছ্যানছ্যানে গলায় চিৎকার করে উঠেন- “জমির রে, তোর মাইয়া পুইড়া গেলো রে! ওরে বাঁচারে”।
রাণু রান্নাঘরে বসে ছিল। ওর মা চলে যাওয়ার পর চুলার আগুন বাইরে এসে খড়ের রান্নাঘর। রাণু তখন রান্নাঘরের ভিতর। রান্নাঘর থেকে পুরো বাড়ি। এক নিমিষে পুরো খড়ের বাড়ি আগুনে ছেয়ে যায়। আগুন জমিরের ঘর পর্যন্ত আসে। চোখের সামনে পুরো বাড়ি পুড়ে যেতে থাকে। খড়ের ছাউনি ভেঙে পড়তে থাকে। সকল দৃশ্য ঝাপসা হয়ে আসতে থাকে।
জমির আলি “রাণু” বলে রান্নাঘরে ছুটে যেতে থাকেন। রাণুকে কোলে করে নিয়ে বের হয়ে আসেন।
কলিম মাঝির ঘোর কাটে। কি সব আগুন-বাড়ি এতক্ষণ ভাবছিলেন। নদীতে ভাসতে ভাসতে তিনি ডাঙ্গায় চলে আসেন। ঝড় কিছুক্ষণের মধ্যেই থেমে গিয়েছিল। নদী শান্ত হয়ে এসছিল। কলিম মাঝি উঠে দাঁড়ান।
রইস মিয়ার মুখে বৃষ্টির পানির ছাঁট লাগতে থাকে। বৃষ্টি এসেছে। তার চেতনা ফিরে আসে। তিনি অজ্ঞান অবস্থায় নদী-পানি-ঝড় কীসব চিন্তা করছিলেন। রইস মিয়া উঠে দাঁড়ালেন। তাকে বাড়ি যেতে হবে। তিনি হাঁটতে থাকেন বাড়ির উদ্দেশ্যে।
বাসের সুপারভাইজারের গলায় জাভেদ সাহেবের ঘুম ভাঙ্গে। রাজশাহী কাউন্টার চলে আসছে ভাই, লাস্ট স্টপেজ। নামেন।
জাভেদ সাহেবের হাতে তখনো সিগারেট ধরা। সিগারেটটি তিনি ফেলে দেন। তিনি চোখ মুছেন। তার প্রচন্ড তৃষ্ণা পেয়েছে। বাসায় গিয়ে আগে ঠান্ডা পানি খাবেন। বাড়িতে গিয়ে স্ত্রীকে নিয়ে পদ্মা নদীতে নৌকাভ্রমণের কথা ছিল। কালকে সময় করে একবার বেড়াতে যাবেন। তার ছোট্ট একটা ফুটফুটে মেয়ে হবে বলে তার ধারণা। তিনি ঠিক করেন তাকে সবসময় বুকে আগলে রাখবেন।
জাভেদ সাহেব বাসার সদর দরজায় টোকা দেওয়ার সময় ভাবলেন, আচ্ছা, কোন পৃথিবী সত্য বা বাস্তব? কাঠুরে রইস মিয়ার পৃথিবী, নাকি নৌকার কলিম মাঝির নৌকা, নাকি জমির আলির সংসার? নাকি এই যে দরজায় টোকা দিচ্ছেন এই কাঠের দরজা? হবে কোন একটা। অথবা সবগুলোই। বাস্তব বলে কি আসলেই কিছু আছে? আমরা কি সবসময়ই অনিশ্চয়তার জগতে বাস করি না? তিনি হাসলেন। তার মায়ের পায়ের আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। তিনি এসে দরজা খুলে দিলেন।
মোঃ জাহিদ হাসান
৩য় বর্ষ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়
৩১ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৫:১৩
Z@hid বলেছেন: ধন্যবাদ। সত্তা অবিনশ্বর, বিভ্রম চিরন্তন।
২| ৩১ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৮
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ভালো গল্প বলেছেন। পাঠক ধরে রাখার ব্যবস্থা আছে লেখনিতে। ভালো লাগলো।
আমি তো আগুনে পুড়া বাড়ির আর্তনাদ কল্পনা করছিলাম, রইস মিয়ার ঘোর কেটে গেলো! আমি বুঝলাম মানুষ এরকম চিন্তাও মগ্ন থাকে মাঝেমধ্যে।
শুভকামনা রইল ভাই।
৩১ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৫:০৮
Z@hid বলেছেন: ধন্যবাদ।
দোয়া করবেন, যেন আরো ভালো লিখা উপহার দিতে পারি।
৩| ৩১ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৩
এস,এম,মনিরুজ্জামান মিন্টু বলেছেন: কোন পৃথিবী সত্য বা বাস্তব? কাঠুরে রইস মিয়ার পৃথিবী, নাকি নৌকার কলিম মাঝির নৌকা, নাকি জমির আলির সংসার? নাকি এই যে দরজায় টোকা দিচ্ছেন এই কাঠের দরজা? হবে কোন একটা। অথবা সবগুলোই। বাস্তব বলে কি আসলেই কিছু আছে? আমরা কি সবসময়ই অনিশ্চয়তার জগতে বাস করি না?
চমৎকার উপলব্ধি। পড়তে ভালো লেগেছে।
শুভকামনা রইল।
৪| ৩১ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: কাঠুরে রইস মিয়ার পৃথিবী, নৌকার কলিম মাঝির নৌকা, নাকি জমির আলির সংসার সব ছাপিয়ে জাভেদ আলী র বাস্তবতা !
লেখা ভালোলেগেছে ; শুভ কামনা
৫| ৩১ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
মাথায় যা এসেছে সব টাইপ করে দিয়েছেন; এ ধরণের হাজার কাহিনীর প্লট থেকে এটা সেটা মিলে কিছু লাইন হয়েছে, গল্প ইত্যাদির কাছেও যায়নি।
৬| ৩১ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫১
কলাবাগান১ বলেছেন: আপনি বুয়েটের হওয়াতেই চাদগাজীর এমন মন্তব্য
৭| ৩১ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
@কলাবাগান১ ,
এই গল্পটি আপনার জন্য বিশাল কিছু হয়তো; আমার মতে, এই গল্পের "নিজস্ব কোন বৈশিষ্ঠ্য" নেই; কোন কিছুর উপর আলোকপাত হয়নি; এধরণের গল্পের অভাব নেই! আমাদের চাওয়া পাওয়া সমান নয়।
গতকাল ব্লগে, এক কবির কবিতায়, "রাখালীর মধুর বাঁশীর সুরে" কবি বিমোহিত হওয়ার অনুভুতি প্রকাশ করেছেন; আমার কাছে খারাপ লেগেছে; আজ, কবি নিজে বিরাট প্রফেশানে আছেন, অথচ বাংলার "কোন হতভাগা সন্তানকে রাখাল" হতে হচ্ছে এই যুগে; আপনার মতো লোকেরা কবির পংক্তিতে বিমোহিত হচ্ছেন, আমি আহত হয়েছি; এখানে পাঠক হিসেবে আমরা আলাদা
৮| ৩১ শে মে, ২০১৭ রাত ৮:৪৫
সুমন কর বলেছেন: মোটামুটি লাগল।
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৮
বেনামি মানুষ বলেছেন: বাহঃ
সবগুলো সত্তার অসামান্য সামঞ্জস্য হয়েছে!!!