নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানিনা কি জন্য ব্লগ লিখতে শুরু করেছি। হয়তো আমার ভাবনা গুলো প্রকাশ করতে চাই। হয়তো আমার না বলা কথাগুলো, অনুভূতিগুলো অজানার কাছে চিৎকার করে বলতে চাই।প্রকাশ জিনিষটা একটুও সহজ না যখন আপনি একজন ইন্ট্রোভারট। জানিনা কতোটুকু পারবো, কতোদিন পারবো।

একান্ত নিনাদ

বাংলাদেশে জন্ম, কৈশোর ও তারুণ্য। রিটায়র্ড বাবা ও গৃহিণী মায়ের তিন ছেলের মাঝে দ্বিতীয়। বাবার আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘ ৩৩ বছর চাকরির কারনে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত দেখার সুযোগ হয়। একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করছি, বর্তমানে সস্ত্রীক যুক্তরাষ্ট্রের টেকসাস অঙ্গরাজ্যের হিউসটন শহরে বসবাস। ভালো লাগে বেড়াতে, ছবি তুলতে, পড়তে, ভাবতে, লিখতে।

একান্ত নিনাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিশোর বেলা।

১৩ ই জুন, ২০১৯ রাত ২:৩২

ক্লাস সেভেন-এর অলস দুপুর। সম্ভবত তখন বের হয়েছে প্রথম বা দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষার ফল, হাতে অফুরন্ত অবসর। দিনমান কেটে যেত এদিক সেদিক ঘুরে বেরিয়ে। টো টো করে অকারনে ঘুরলে যা হয়, বেরসিক জ্বর এসে কাবু করলো হঠাৎ। প্রথম কয়েকদিন তো জ্বরের প্রকোপ কমেই না। ছুটি হওয়া সত্যেও স্কুলের মাঠে যখন বন্ধুরা সকাল বিকাল ছক্কা পিটিয়ে যাচ্ছে তখন আমি কিনা শুয়ে বসে দিন কাটাচ্ছি। কেমনটা লাগে? এমনই একদিন বাসার বুক শেল্ফে আবিষ্কার করলাম পেপারব্যাকের কয়েকটি বই। মনে পড়লো চাচাতো ভাইয়ের বাসা থেকে সেবার পড়বো বলে এনেছিলাম কয়টা বই। একটার ওপর নীল তিমির ছবি, বড় বড় হরফে লেখা-তিন গোয়েন্দা , ভলিউম তিন এর এক। এর আগে থ্রিলার টাইপ কিছু বই পড়েছিলাম বটে, কিন্তু সেভাবে বুঁদ হইনি তখনো। বইটা যেন আমার জগৎটাকে হঠাৎই এলোমেলো করে দিল। নাওয়া খাওয়া ভুলে পড়ে ফেললাম বেশ কয়টা বই। কখনো কিশোর, মুসা, রবিনদের নিয়ে চলে যাচ্ছি শ্বাপদসংকুল ভীষণ অরণ্যে, কখনো এনথনি শোঁপাকে তাড়া করতে করতে খুলতে হয়েছে সাতটি কাকাতুয়ার দুর্বোধ্য সব রহস্যের গেরো। আবার কখনো খুলতে হয়েছে রাইমিং স্ল্যাঙের জট। কয়েকটি দিন যেন স্রেফ উড়ে গেল । কিশোর, মুসা আর রবিনরা কখন যে সবাইকে ভুলিয়ে আমার একমাত্র আর কাছের বন্ধু হয়ে গেল টেরই পেলামনা।

বুঝতে পারলাম মায়াবী এক রহস্যের চাবি দিয়ে কোথায় যেন প্রবেশ করেছি, যে দরজা দিয়ে একবার ঢুকলে বের হয় কার সাধ্যি? এর পর থেকে ওদের বাসায় গেলেই হাতে করে নিয়ে আসতাম নিত্যনতুন সব সেবার বই। ট্রেজার আইল্যান্ড, টোয়েনটি থাউজ্যান্ড লিগ আন্ডার দ্য সির মতো বইগুলো ওঁর কাছ থেকেই পড়া। ঈদের সময় পাওয়া সালামির টাকা আম্মুর কাছে জমা রাখতাম। বই মেলা হলেই যেয়ে কিনলাম তিন গোয়েন্দা ছাড়াও সেবার আরও বই - রবিন্সন ক্রুসো, সুইস ফ্যামিলি রবিন্সন, হাকল বেরি ফিন। সারা বছরের টাকা জমিয়েও যেন অল্প কয়টার বেশি বই কিনতে পারতাম না বই মেলা এলেও। বাসায় নিয়ে আসতাম সেবার বুক ক্যাটালগ আর মার্ক করে রাখতাম আগামিবার কি কি বই কিনবো, আর কতো টাকা আমাকে জমাতে হবে ঐ বইগুলোর জন্য।
বইপড়ার পাঠটা আরো আগে পেয়েছিলাম মামাদের কাছ থেকে। আরও যখন ছোটো ছিলাম, মনে পড়ে, বড় মামা আমাদের একবার জন্মদিনে একসাথে মনে হয় গোটা বিশেক বই একবারে গিফট করেছিলেন। ছোট মামা, ছোট খালা যখন নিজেরাই স্টুডেন্ট ছিল, মনে আছে ইউনিভার্সিটি থেকে আসার সময় প্রায়ই নীলক্ষেত বা শাহবাগ থেকে গল্পের বই নিয়ে আসতো আমাদের জন্য। ছোট মামার কাছেই প্রথম শুনেছিলাম ব্রাম স্ট্রোকারের ড্রাকুলা আর বাস্কার ভিলের হাউন্ডের কথা, সম্ভবত তাঁর হাত ধরেই প্রথম বই মেলাতেও গিয়েছিলাম।
আব্বুর কাজের কারনে অনেকদিন ঢাকার বাহিরে থাকতে হয়েছিল বলে সবসময় নতুন বই পড়া হতোনা আমাদের। ক্লাস সেভেনে ঢাকায় পুরোপুরি চলে আসার পর বন্ধুরা বলত মাসুদ রানার কথা। শুনেছিলাম এটা নাকি "বড়দের বই"। বড়দের বই,সেটা আবার কী জিনিস? ভেতরে ভেতরে পড়ার জন্য দুর্মর আগ্রহ হত, কিন্তু তখনো আমি তিন গোয়েন্দাতেই ডুবে ছিলাম।কতো কতো বিকেল আর দিন যে গড়িয়ে গিয়েছিল রকি বিচের স্যাল্ভেজ ইয়ার্ডটার কথা ভাবতে ভাবতে। অনেক ইচ্ছা আমার, যদি কোনোদিন পারি, একবার, একদিনের জন্য হলেও ক্যালিফরনিয়ার রকি বিচে যাবো স্যাল্ভেজ ইয়ার্ডটার খোঁজে।
তিন গোয়েন্দার পর ভাইয়া পড়তে দিয়েছিল সত্যজিতের ফেলুদা।এ যেন আরেক জগত।কল্পনাতেই নিজেকে ভাবতে শুরু করলাম তোপসে! মাঝে আরও পড়লাম শাহরিয়ার কবিরের হারিয়ে যাওয়ার ঠিকানা, নুলিয়াছড়ির সোনার পাহাড়, পাথারিয়ার খনি রহস্য এসব। এরি মাঝে পরিচয় হলো জাফর ইকবাল স্যারের আমার বন্ধু রাশেদ আর সাইন্স ফিকশন গল্পগুলোর সাথেও। ও বলাই হয়নি, আমার বন্ধু রাশেদ যখন প্রথম বড় পর্দায় এলো ছোট মামাই প্রথম নিয়ে গিয়েছিল সিনেমা হলে। মনে আছে সেই যে কি কি দিনটা ছিল। দেখতে দেখতে উত্তেজিত হয়ে উঠছিলাম, এর পরে কি হবে, কাহিনী আমি জানি! সেদিনই ছিল হলে গিয়ে প্রথম কোনো ছবি দেখা।
আম্মুকেও দেখতাম সবসময় বই কিনতো বই মেলা থেকে। ইন্ডিয়ান রাইটারদের বই সম্ভবত আম্মুর খুব ভালো লাগতো। আব্বুকে ব্যস্ততার কারনে তেমন পড়তে দেখিনি কিন্তু বাসায় ডেল কার্নেগীর বেশ কিছু বই ছিল, শুনেছিলাম আব্বুই একসময় পড়ত ঐ বইগুলো। সম্ভবত আব্বুর কাছে থেকেই পাওয়া এখন বড় বেলায় আমার ফিকশনের চেয়ে নন-ফিকশন বই পড়তেই বেশি ভালো লাগে।
অন্যদের বা এখনকার সবার ছেলেবেলা কেমন আমি ঠিক জানিনা। আমরা ছোটবেলায় ফোন, আইপ্যাড বা কম্পিউটার পাইনি কখনো। পাইনি ভিডিও গেম বা এক্সবক্সও। বই পড়া আর মাঝে মাঝে বিকালবেলায় বিটিভিতে দেখানো ক্যাপ্টেন প্ল্যানেট আর স্পোর্টস ওয়ারল্ডে দেখানো পুরনো ক্রিকেট বা ফুটবল খেলা গুলোই ছিল ছোট্ট একটা জগত।
আরো একটু বড় হতে হতে বুঝলাম নিজের মাঝেই লুকিয়ে থাকতে ভালো লাগতো বেশি। ব্যাপারটা আরও বাড়লো যখন আরও একটু বড় হলাম আর পড়তে শুরু করলাম হুমায়ূন আহমেদ আর সুনীল। আমি মনে করি এই জীবনে খুব বেশি বই পড়া আমার আসলেও হয়নি। এক জীবনে কটা বই-ই বা পড়া যায় ? শুধুই মনে হয় কতকিছু বাকি রয়ে গেল। তবে কিছু বই পড়ার পর মনে হয় এটা না পড়লে বড় একটা অতৃপ্তিই থেকে যেত। সুনীলের পূর্ব পশ্চিম ঠিক সেরকম একটা উপন্যাস আমার কাছে। এমনিতেই সুনীলের কাছে আমার ঋণ অনেক। তাঁর বই পড়েই কাঁদতে শিখেছিলাম। ছাপার কালো অক্ষরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কীভাবে বুঁদ হয়ে থাকা যায় সেটা তো সুনীলই শিখিয়েছিলেন। আমার কৈশোর তছনছ করে দেওয়া লোকটা তো আর কম লেখেননি জীবনে! কিন্তু পূর্ব পশ্চিম পড়ার পর কেবলই মনে হচ্ছে এই ঋণের পাহাড়সম বোঝা বুঝি আমাকে সারাজীবনই বয়ে বেড়াতে হবে। শোধ করার উপায় খোঁজাও বুঝি নিরর্থক।এক সময় সমরেশও পড়া হলো। মনে আছে বাসা থেকে বিকাল বেলা হেঁটে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের লাইব্রেরি চলে গিয়েছিলাম কতদিন। বিদেশি অনুবাদ গুলোই বেশি পড়া হয় ঐখানে। সুনীলের কথা যেভাবে বললাম হুমায়ূন আহমেদের কথা সেভাবে কেন বলিনি অবাক হলেন তো? হুমায়ূনের কোনো বই আমি কখনো কিনে পড়েছি বলে মনে পড়েনা। আমাদের তখন বাসা কলাবাগানে। বাসার কাছেই সোবহান বাগে আহসানিয়া মিশেনের একটা বুকশপ। ওখান থেকে কতো বই যে চুরি করে এনে পড়েছিলাম মনে পড়েনা। খুব যত্ন করেই বইগুলো পড়তাম, পড়া শেষ হলে যেভাবে আনতাম আবার সেভাবেই বইগুলো গুছিয়ে রেখে অন্য আরেকটা বই এনে পড়তাম। সুনীলের মতো না হলেও আমার এই ছোট্ট জীবনে হুমায়ূন আহমেদের লিখাগুলোর অনেক প্রভাব। সব প্রভাব আসলে লিখাও যায়না।

আচ্ছা ভালো কথা, এই লেখার তেমন কোনো উদ্দেশ্য নেই। এইটুকুই যে কতো রকমই না কিশোর বেলা হয়!

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জুন, ২০১৯ রাত ২:৪৫

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: আপনি একজন ভালো বই পোকা এটা আপনার পোস্ট পড়েই অনুভূব করা যায়।

১৩ ই জুন, ২০১৯ রাত ২:৫১

একান্ত নিনাদ বলেছেন: ভাইয়া, আপনিও অনেক ভালো পাঠক, আপনার মন্তব্য পড়ে আমিও অনুভব করলাম :)

২| ১৩ ই জুন, ২০১৯ ভোর ৪:৩০

ওমেরা বলেছেন: যে কোন নেশাই খারাপ একটা নেশাই ভালো সেটা হল বই পড়ার নেশা ।

১৩ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৭:২৬

একান্ত নিনাদ বলেছেন: অদ্ভুত কী ভাইয়া, এখন কাছে বই না পেলেও সাইড টেবিলে কিন্ডেলটা প্রায় পরেই থাকে। ইউটিউব আমার কাছে থেকে পরার নেশাটা একটু একটু করে কতো দূরে নিয়ে যে গেছে।

৩| ১৩ ই জুন, ২০১৯ ভোর ৫:৫৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আপনি একজন ভালো বই পোকা এটা আপনার পোস্ট পড়েই অনুভূব করা যায়।

এই মন্তব্যটা আমার খুব ভালো লাগলো।

১৩ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৭:২৬

একান্ত নিনাদ বলেছেন: আমারও।

৪| ১৩ ই জুন, ২০১৯ ভোর ৬:৪৬

দিকশূন্যপুরের অভিযাত্রী বলেছেন: বই পড়তে পড়তে যারা বড় হয়েছে তাদের চাইতে ভাগ্যবান আর কে আছে!

১৩ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৭:৩০

একান্ত নিনাদ বলেছেন: সত্যি ভাগ্যের ব্যাপার!

৫| ১৩ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৮:৪৬

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আপনার লেখায় নিজের শৈশবকে খুঁজে পেলাম, আমার বইপড়ার হাতেখড়ি তিন গোয়েন্দা দিয়ে, কিশো, রবি, মুসা, জিনা, ফগর‍্যাম্পারকট,ক্যাপ্টেন রবার্টসন দারুণ সব ভাললাগার চরিত্র। জিনার কুকুরটার নাম মনে করতে পারলাম না।
এরপর কাজী দার মাসুদ রানা, কুয়াশা, জুলর্ভানের গল্পের বেশ কিছু অনুবাদও পড়েছি। পরে হুমায়ুন আহমেদ সুনীলগঙ্গোপাধ্যায়।
অনেক ভাললাগা আপনার কৈশোর স্মৃতিতে।

১৩ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৯:৩০

একান্ত নিনাদ বলেছেন: জিনা পার্কারের কুরটার নাম রাফিয়ান (সংক্ষেপে রাফি)।
কৈশোরটা আমাদের প্রায় সবারই অনেক ভালো লাগার ছিল, তাইনা তারেক ভাই?

৬| ১৩ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৮:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: যারা কিশোর বয়স থেকেই গল্প উপন্যাস পড়ে তাদের মানসিকতা উন্নত হয়।

১৩ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৯:৩১

একান্ত নিনাদ বলেছেন: আপনি ভালো আছেন রাজীব ভাই?

৭| ১৩ ই জুন, ২০১৯ সকাল ১০:১১

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ভালো লাগলো স্মৃতিকথন। বই পড়া একটা ভালো অভ্যাস । আগে বই পড়তাম প্রচুর এখন সময় পাই না :(

১৩ ই জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৫

একান্ত নিনাদ বলেছেন: স্মৃতিকথন করতে তেমন ভালো লাগেনা মাঝে মাঝে জানেন? কিন্তু তাকিয়ে দেখি স্মৃতি ছাড়া তেমন কিছু নেইও জীবনে।

৮| ১৩ ই জুন, ২০১৯ সকাল ১০:২৩

জুন বলেছেন: বই নিয়ে সবরকম লেখাই প্রিয় । বই মানুষের মনকে খোলা আকাশের মত উদার করে ।
বই এর নেশা ছোটবেলা থেকে এখনো আমাকে তাড়িয়ে বেড়ায় ।
আপনার মতই প্রচুর বই পড়েছি আর পড়িও ।
ভালোলাগলো অনেক ।
+

১৩ ই জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৭

একান্ত নিনাদ বলেছেন: প্রচুর পড়িনি, মনে হয় তেমন কিছুই পড়া হয়ওনি। কতো যে সাব্জেক্ট এই পৃথিবীতে। কষ্ট লাগে যখন সবকিছুর জন্যই সময় আর সুযোগ বের করতে পারি শুধু বই আর নিজের জন্য ছাড়া।

৯| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:১৬

মাহের ইসলাম বলেছেন: নীলক্ষেতে এখনো যাই বই কিনতে।
তবে, বইয়ের দোকান আগের মতো নেই। বিশেষ করে ফুটপাতে , যেখানে কিশোর ক্লাসিক বা সেবা প্রকাশনীর বই পাওয়া যেত, সেই দোকানগুলো তুলে দেয়া হয়েছে।

শুভ কামনা রইল।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:৩৪

একান্ত নিনাদ বলেছেন: নীলক্ষেত এর বইয়ের দোকান আর তেহারি প্রচন্ড মিস করি জানেন।
thank you কমেন্টের জন্য ভাইয়া।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.