![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পর্ব ১ লিখেছেন রিম সাবরিনা জাহান সরকার
পর্ব ২ লিখেছেন পদ্ম পুকুর
বাস তখন এয়ারপোর্ট পার হচ্ছে। এইমাত্র টেকঅফ করা নভো এয়ারের একটা উড়োজাহাজকে উড়ে যেতে দেখা যাচ্ছে।
…........।
জানালা দিয়ে এক পলক তাকিয়ে নভোর দিকে ফিরল মৃন-
ঃ তোমাদের কি এয়ারলাইন্সের ব্যবসা আছে?
কিছুটা অবাক হয়ে মৃনের দিকে ফিরলো নভো, চোখে জিজ্ঞাসু দৃষ্টি । মৃন আবারো চমকে উঠলো। ছেলেটার চোখে তার দৃষ্টি, কিছু একটা মনে আসি আসি করে আসছে না।
নভো দৃষ্টি ফিরিয়ে নিল, জানতে চাইল-
ঃ আমাকে কিছু বলছিলেন?
মৃন মুচকি হেসে বলল, আমরা একই ক্লাসে পড়ি, একই ডিপার্টমেন্টে। তাই আমাকে আপনি বলার কারন দেখি না। আর বলছিলাম, তোমাদের কি পারিবারিক এয়ারলাইন্সের ব্যবসা আছে?
ভুরু কুঁচকে আবার চাইল নভো, চোখে আগের মতন জিজ্ঞাসু দৃষ্টি ।
ভুরু কুঁচকানো দেখে হেসে ফেলে মৃন বলল, এই মাত্র একটা উড়োজাহাজ উড়ে যেতে দেখলাম, নভো এয়ার।
নভো আবার চোখ ফিরিয়ে নিলো, মৃদুস্বরে বলল- না, নেই।
কিছুক্ষণ চুপ থেকে মৃন ওর পরিচয় দিতে যাবে ভাবল, এমন সময় দেখে ছেলেটা ব্যাগ থেকে হেডফোন বের করে কানে দিলো।
মৃন কিছুটা মনঃক্ষুণ্ণ হল। একই সাথে পড়ে, ঘটনাচক্রে পাশাপাশি বসায় আলাপচারিতা শুরু করেছিল, কিন্তু ছেলেটার অনাগ্রহ দেখে নিজের উপর কিছুটা বিরক্ত হল। ছেলেটা বেশ কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখে বসেছে খেয়াল করে মৃনের বিরক্তি চাপা রাগে রূপান্তরিত হল।
কিছুক্ষণ বাদেই এক সিনিয়র ভাইয়া এসে দেখল পাশাপাশি দুই সিটে ছেলে-মেয়ে একসাথে বসা। হাবভাবেই বুঝে গেলো ফার্স্ট ইয়ার। সিটটাতে যদিও ছেলেদের বসার কথা কিন্তু অইপাশে বসা অনিন্দ্যসুন্দর মেয়েটাকে তো কিছু বলা যায় না, তাই সে নভোর দিকে ফিরলো-
ঃ এই তুই জানিস না ভার্সিটির বাসে মেয়েদের পাশে বসার নিয়ম নাই?
নভো বলল, ভাইয়া এটা তো ছেলেদের সিট। আর কোন সিট তো খালি নেই।
নভোর জবাব শুনে সিনিয়র ভাই খুব খেপে গিয়ে বলল- তুই আমাকে শিখাতে চাস কোনটা ছেলেদের সিট আর কোনটা মেয়েদের?
নভো কথা বাড়াল না, চুপ করে উঠে গিয়ে পিছন দিকে গিয়ে দাড়িয়ে রইল।
ছেলেটার নিঃস্পৃহ ভঙ্গি দেখে সিনিয়রের গা জ্বলে গেলো, সুন্দর একটা মেয়ের সামনে ভাব দেখিয়ে উঠে গেলো! পিছনে গিয়ে একহাত দেখে নেয়ার উদ্দেশ্যে বলল, তুই আমার কথার জবাব না দিয়ে উঠে গেলি কেন? দুইদিন হয়নাই ভর্তি হয়েছিস, এখনি বেয়াদবি শুরু করে দিয়েছিস!
নভো শান্ত স্বরে বলল, মেয়েদের পাশে বসার নিয়ম নেই এটা আমার জানা ছিল না ভাইয়া, ওটা যে মেয়েদের বসার জন্যে সেটাও আমি জানতাম না।আমি দুঃখিত।
এরকম শান্ত জবাবের পর সিনিয়র ভাই আর কোন কথা খুঁজে না পেয়ে নভোর সামনে থেকে চলে গেলো। নভো চুপচাপ দাড়িয়ে গান শুনতে লাগলো। মৃন অবাক চোখে এই অদ্ভুত ছেলেটাকে দেখতে লাগলো।
ফার্মগেটের কাছাকাছি এসে হঠাৎ করে বাস দাড়িয়ে গেলো। সামনে কিসের যেন খুব শব্দ হচ্ছে, অনেক মানুষের আওয়াজ আর ভাংচুরের শব্দ। মনে হয় কোথাও মারামারি হচ্ছে! ছেলেরা অনেকেই বাস থেকে নেমে গেলো সামনে কি হয়েছে দেখার জন্যে। মৃন জানালা দিয়ে বাইরে উঁকি দিয়ে পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করলো। কৌতূহলের বশে পিছন তাকিয়ে দেখল ছেলেটা একইভাবে কানে হেডফোন গুঁজে দাড়িয়ে আছে। কি অদ্ভুত ছেলেরে বাবা! ভাবল মৃন, এই উত্তেজনাতেও কোন বিকার নেই!
হঠাৎ সামনে হুটোপুটি শুরু হল, দলে দলে লোকজন এদিক সেদিক ছুটতে লাগলো। ভাঙচুরের শব্দ বাড়তে লাগলো। পরিস্থিতি দেখতে যাওয়া ছেলেদের মধ্যে কয়েকজন দৌড়ে এসে বাসচালককে তাড়া দিতে লাগলো গাড়ি ঘোরানোর জন্যে।
বাসচালক বাস ঘুরাতে গিয়ে দেখল পাশে গাড়ি ঘুরানোর কোন জায়গা নেই। সব গাড়ি একসাথে বের হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করায় সব গাড়ি আটকে গেছে, কারোরই আর বের হওয়ার উপায় নেই।
সবার আতঙ্কিত কথার মাঝে মৃন বুঝতে চেষ্টা করলো কি হয়েছে সামনে। শুনতে পেলো, বেশ কিছুদিন ধরেই তেজগাঁও কলেজের ছেলেদের সাথে ঢাকা ভার্সিটির ছেলেদের কিছু একটা নিয়ে ঝামেলা চলছে। কয়েকদিন আগে নীলক্ষেতে তেজগাঁও কলেজের কয়েকটা ছেলেকে ঢাকা ভার্সিটির ছাত্ররা বেশ মেরেছে। আজকে ওরা নিজেদের এলাকায় অপেক্ষা করে ছিল, জানত যে ঢাকা ভার্সিটির বাসগুলো এদিক দিয়েই যাবে। সামনে ভার্সিটির একটা বাস ভাঙচুর করেছে ওরা, আশেপাশের অন্য গাড়িগুলোও রেহাই পাচ্ছে না। দুই পক্ষে বেশ মারামারিও হচ্ছে । পথচারী সহ অনেকেই আহত হয়েছে।
হঠাৎ সামনের একটা গাড়িতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে উঠলো। নতুন করে কোথা থেকে যেন আরও অনেকে এসে ভাঙচুরে যোগ দিলো। রীতিমতো যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়ে গেলো পুরো এলাকাটা। একজন খবর নিয়ে আসলো, তেজগাঁও কলেজের দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই খবর শুনে তেজগাঁও কলেজের ছাত্ররা অনেকেই বের হয়ে এসেছে। এবং ওরা এইদিকেই আসছে, শুনেছে যে পিছনে নাকি ঢাকা ভার্সিটির আরও বাস আছে। শুনে পুরো বাসে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লো।
নভো শান্তভাবে কানে হেডফোনে গুঁজে রাখলেও ও এখন আর গান শুনছে না। চারপাশের পরিস্থিতির উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখছে। জানালা দিয়ে খেয়াল করলো অনেকগুলো ছেলে গাড়ি ভাঙতে ভাঙতে এদিকেই আসছে, মনে হল ওরা ‘ক্ষণিকা’ দেখতে পেয়েছে। হঠাৎ ঘুরে ছেলেগুলো দৌড়ে ফিরে গিয়ে আরও অনেককে ডাকতে থাকে। বিপদ ভালভাবেই টের পেলো নভো। বাসে তাকিয়ে দেখল বেশিরভাগই মেয়ে, শুধু অল্প কয়েকজন ছেলে।
হেডফোনটা পকেটে ভরে রেখে নভো সবাইকে পরিস্থিতি ব্যাখা করলো। ওর কণ্ঠে এমন কিছু একটা ছিল যাতে সবাই ওর কথা গুরুত্ব সহকারে নিলো। নভো সবাইকে বলল এখানে থাকাটা আর নিরাপদ হবে না, বের হয়ে যেতে হবে। তবে সবাই একসাথে না, একসাথে এতো মানুষ যদি ছুটে যায় ওরা বুঝে ফেলবে। তিন থেকে চারজনের ছোট ছোট গ্রুপে ওরা ভাগ হয়ে গেলো। নভো বামপাশের ফুটপাত দেখিয়ে সবাইকে ওটা দিয়ে স্বাভাবিকভাবে হেঁটে যেতে বলল, কিছুদূর হাঁটলেই সামনে বামপাশে একটা ছোট গলি পড়বে, ওখান থেকে রিক্সা নিয়ে সহজেই শাহবাগ চলে যেতে পারবে। নভোর কথামতো সবাই এসে যখন গলিতে রিক্সা ঠিক করছিলো আর স্বস্তি প্রকাশ করছিলো, তখন মৃন খেয়াল করলো নভো ওদের পাশে নেই। পিছনে তাকিয়ে দেখল ছেলেটা আবার বাসের দিকে ফিরে যাচ্ছে। দূরে দেখতে পেলো ওদের বাস ভাঙচুর শুরু হয়েছে। অজানা আশঙ্কায় মৃনের বুকে ধাক্কা মতন লাগলো। সকালের সিনিয়র ভাইটা বলে উঠলো, এখান থেকে তো ওকে ডেকে ফেরানো যাবে না, আমি গিয়ে ওকে নিয়ে আসি, বলেই সে দৌড়ে এগিয়ে গেলো।
কিছুক্ষণ পরে ওদের দুজনকেই দেখা গেলো কাউকে ধরে নিয়ে আসছে। কাছে আসতেই বোঝা গেলো সে আর কেউ না, ক্ষণিকার বাস চালক। নভো দূর থেকেই খেয়াল করেছিল যে চালক বাস থেকে নামতে গিয়ে পড়ে গেছে। বেকায়দায় পড়ে পা ভেঙ্গে ফেলেছে, তাকে ফেলে তো আর আসা যায় না। তাই সে ফিরে গিয়েছিলো। শুনে কেন যেন অদ্ভুত ভালো লাগায় মৃনের মন ভরে গেলো।
এখন ফেরার পালা, দুইজন দুইজন করে একেকটা রিক্সায় করে রওনা হয়ে গেলো। মৃনের হঠাৎ ইচ্ছে করতে লাগলো এই অদ্ভুত ছেলেটার সাথে এক রিক্সায় যেতে। শেষে দেখা গেলো, রিক্সা একটি কিন্তু ওরা যাওয়ার বাকি রয়েছে তিনজন।
হঠাৎ কোন কথা না বলেই নভো হাটতে শুরু করলো। তীব্র রোদ, পিচঢালা পথটা আজকে বেশ তেঁতে উঠেছে।
(অসমাপ্ত)
পাদটীকাঃ
ব্লগার রিম সাবরিনা জাহান সরকার ও ব্লগার পদ্ম পুকুরের ‘পিলো পাসিং’-এ অনুপ্রাণিত হয়ে গল্পটির তৃতীয় অংশ লেখার ক্ষুদ্র অপচেষ্টা। লিখার মান যেমনই হোক, আশা করি এর ধারাবাহিকতায় চতুর্থ পর্ব কেউ লিখে ফেলবেন।
পর্ব ৪ লিখেছেন খায়রুল আহসান
পর্ব ৫ লিখেছেন [link|https://www.somewhereinblog.net/blog/akhenaten|আখেনাটেন
পর্ব ৬ লিখেছেন পুলক ঢালী
পর্ব ৭ লিখেছেন নিয়াজ সুমন
০৮ ই জুন, ২০২০ রাত ২:৪৬
মেঘশুভ্রনীল বলেছেন: ধন্যবাদ, মা.হাসান।
২| ০৮ ই জুন, ২০২০ ভোর ৪:৩৯
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: ব্যাখ্যার বাইরে এক ধরনের উষ্ণতায় মন ছেয়ে গেল। দুটো পর্বই এত চমৎকার হয়েছে। আর সবচেয়ে বড় কথা, ব্লগটাকে খুব জীবন্ত লাগছে। মনে হচ্চছে যেন, সব ব্লগার ভাই-ভাই। চতুর্থ পর্বের জন্যে অপেক্ষা বেড়ে গেল।
০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:৪৯
মেঘশুভ্রনীল বলেছেন: রিম সাবরিনা জাহান সরকার, অনুপ্রেরনাদায়ী মন্তব্যের জন্যে কৃতজ্ঞতা। আপনার ও ব্লগার অপু তানভীরের গল্প আমি সবসময় আনন্দ নিয়ে পড়ি।
৩| ০৮ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:২৫
পদ্মপুকুর বলেছেন: প্রথমেই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার পর্বটা পাওয়ার পর বুঝতে পারছি যে আমার পর্বের নিচে রিম সাবরিনা যে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন তা শতভাগ সত্য। আমারও এখন একই ধরনের ভালো লাগছে....। এই ভালোলাগাটা আমার ছেড়ে দেয়া ঘুড়ির নাটাই কেউ ধরবে কি না সে চিন্তা থেকে মুক্তি পাওয়ার ভালোলাগা।
দ্বিতীয়ত: আপনার লেখাটা সুন্দর হয়েছে, বেশ ঝরঝরে। আমি নিজে গল্প লিখতে পারি না, তাই আমার পর্বের সাথে তুলনায় যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। তবে মনে হচ্ছে- রিম সাবরিনার পর্বে নভো'র যেই চরিত্র আঁকার চেষ্টা করা হচ্ছিলো, আপনি সে ধারাটা পূর্ণমাত্রায় ধরে রেখেছেন, শান্ত কিন্ত ধীর, খানিকটা অদ্ভুত কিন্তু দৃঢ় একটা চরিত্র। আবার দ্বিতীয় পর্বে আমি চরিত্রের ডিটেইলে যেতে না পারলেও যে হালকা ছোঁয়া ছিলো, সেটা থেকেই আপনি মৃনের একটা উচ্ছল চরিত্র এঁকে দিয়েছেন, সেটাও যথার্থই মনে হচ্ছে। পাশাপাশি আপনি গল্পে যে সাসপেন্স নিয়ে আসলেন, সেটাও ভালোই মনে হচ্ছে।
যদিও আপনি ব্লগিংয়ে নতুন কিন্তু গল্পকার হিসেবে পোক্ত বলেই মনে হচ্ছে। ব্লগিংয়ে আপনার দীর্ঘজীবন কামনা করছি।
তৃতীয়ত: প্রত্যেকটা ক্যাম্পাসের কিছু আলাদা আলাদা টার্মিনোলজিস আছে, সেক্ষেত্রে কিছু মিসটেক আছে, যেমন আমরা বাসচালক বলি না, মামা বলি, ঢাকা ভার্সিটি বলি না, বলি ইউনিভার্সিটি বা ক্যাম্পাস, এ রকম কিছু। যদিও এগুলো মাইনর বিষয়।
সব মিলিয়ে খুবই সুন্দর হয়েছে।
আমিও রিম সাবরিনা ও আপনার মতই আশা করবো চতুর্থপর্বটা দ্রুতই কেউ একজন লিখে ফেলবে। আপনার লেখার লিংকটা আমি আমার লেখার শেষে দিয়ে দিচ্ছি এবং রিম সাবরিনাকে অনুরোধ করছি তাঁর পর্বের শেষে পর্ব ২ ও ৩ এর লিংকটা দিয়ে দিতে।
০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ১:০৩
মেঘশুভ্রনীল বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা! আপনাদের লেখা পড়ে ভালো লাগলো, সেখান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে হঠাৎ করেই লেখা। এর আগে কখনও গল্প তো লিখি-ই নি, ভাবিও নি। আপনাদের দুজনের ভালো লেগেছে জেনে আমি আনন্দিত, প্রথম পাতা নিয়ে আমি ভাবিত না।
লেখা দেখে বুঝতেই পেরেছেন যে আমি ঢাবি সম্পর্কে তেমন জানি না। লিখার সময় আমার নিজের ক্যাম্পাসের শব্দগুলো চলে এসেছিলো প্রথমে, পরে এডিট করে নিয়েছিলাম।
সময় নিয়ে পড়া ও মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ, আপনাদের মতো আমিও চতুর্থ পর্বের আশায় রইলাম।
৪| ০৮ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:৩৩
পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনার লেখাটা প্রথম পাতায় থাকলে ভালো হতো।
০৯ ই জুন, ২০২০ রাত ১:০৫
মেঘশুভ্রনীল বলেছেন: উৎসাহের জন্যে ধন্যবাদ।
৫| ১৪ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:১৭
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: চমতকার ধারাবাহিকতা ।
তৃতীয় অংশের দুর্দান্ত অসমাপ্ত সমাপ্তি।
- কারও কাছ থেকে চতুর্থ অংশের জন্য অপেক্ষায়।
১৬ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৫৩
মেঘশুভ্রনীল বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্যে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই।
৬| ১৭ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:৩৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: খুবই চমৎকার লিখেছেন, বিশেষ করে নভো কে সুন্দরভাবে এঁকেছেন।
এ সিরিজের কোন একটি পর্বে অপু তানভীর, শিখা রহমান, পুলহ, শায়মা- এদের লেখা দেখতে চাই। কেউ একজন এদের হাতে পিলোটি ধরিয়ে দিক!
২০ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:৫৩
মেঘশুভ্রনীল বলেছেন: উৎসাহের জন্যে অনেক ধন্যবাদ জনাব খায়রুল আহসান। আপনার পর্বটি দারুন হয়েছে। কৃতজ্ঞতা জানবেন।
৭| ১৯ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:১৮
পদ্মপুকুর বলেছেন: ব্লগার খায়রুল আহসান স্যারের লেখা নভোনীল এর চতুর্থ পর্ব
২০ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:৫৯
মেঘশুভ্রনীল বলেছেন: আপনার উচ্ছ্বাস, উৎসাহ এই 'পিলো পাসিং' লেখাটিকে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। উচ্ছ্বাস প্রকাশ বা শব্দের খেলায় আমি নিতান্তই আনাড়ি। তবে আমি খুবই আনন্দিত। অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানবেন।
৮| ১৯ শে জুন, ২০২০ রাত ১:২৯
আনমোনা বলেছেন: দারুন! কিভাবে মিস করে গিয়েছিলাম। আজ চতুর্থ পর্ব পড়ে তারপর তৃতীয় পর্বের খবর জানলাম।
২০ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:০২
মেঘশুভ্রনীল বলেছেন: ধন্যবাদ আনমোনা। সুন্দর মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।
৯| ১৯ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পর্বটি পড়েছি। চতুর্থ পর্বে শ্রদ্ধেয় খাইরুল আহসান স্যারের পোস্টে যৌথভাবে মন্তব্য রেখেছি।
পোস্টে লাইক।
শুভেচ্ছা নিয়েন।
২০ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:০৪
মেঘশুভ্রনীল বলেছেন: ধন্যবাদ পদাতিক চৌধুরী। আপনার সুলিখিত মন্তব্য ও উৎসাহের জন্যে কৃতজ্ঞতা।
১০| ১৯ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: মেঘশুভ্রনীল,
গোল্লাছুটের এই খেলায় বেশ দম ধরে রেখেছেন।
মেঘশুভ্রনীল আকাশে ভেসে যাওয়া মেঘের মতো স্মৃতিরাও ভেসে ভেসে যাবে কোনও কোনও পাঠকের মনে, লেখাটি পড়ে!
বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে কখনও বইখাতা হাতে পা পড়েনি কিন্ত তবুও মনে হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রজীবনের চলতি আলেখ্য লিখলেন। আর ফার্মগেটের ঘটনা তো অতি বাস্তব।
গোল্লাছুটের খেলা বেশ জমেছে। হাত বাড়িয়ে রইলুম তালি দেয়ার জন্যে।
২০ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:১০
মেঘশুভ্রনীল বলেছেন: উৎসাহ ও অনুপ্রেরণার জন্যে অসংখ্য কৃতজ্ঞতা জানবেন জনাব আহমেদ জী এস। আপনি এতো সুন্দর করে মন্তব্য লিখেন! মন্তব্যের ধরনটা একদমই আলাদা করে চেনা যায়। আমিতো এতো সুন্দর করে বলতে পারবো না, তবে আমি যথেষ্ট আনন্দিত ও কৃতজ্ঞ।
১১| ২০ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:১৭
আখেনাটেন বলেছেন: ধারাবাহিকতা ভালোই বজায় রেখেছেন। নভো দৃঢ় চরিত্রটাকে বেশ ফুটিয়ে তুলেছেন।
২০ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:৩৪
মেঘশুভ্রনীল বলেছেন: ধন্যবাদ আখেনাটেন। পাঠ ও সুন্দর মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন।
১২| ২৪ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:০৪
পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনার পর্বের শেষে ৪র্থ পর্বের লিংকটা দিয়ে দিন প্লিজ।
২৫ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:৩৭
মেঘশুভ্রনীল বলেছেন: দিয়ে দিয়েছি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, পদ্ম পুকুর।
১৩| ২৫ শে জুন, ২০২০ ভোর ৫:৫৮
সোহানী বলেছেন: এ পর্বটা ও চমৎকার হয়েছে। তবে বাসের মামুরা কিন্তু ট্রাফিকের ধার ধারে না। যেভাবে পারে গাড়ি চালায়। অনেকদিন পর বাসে চলার কথা মনে পড়ে গেল।
২৫ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:৪০
মেঘশুভ্রনীল বলেছেন: মন্তব্য ও পাঠে কৃতজ্ঞতা জানবেন, সোহানী। লিখার সময় ক্যাম্পাস লাইফে ফিরে গিয়েছিলাম, আর মামাদের কথা বলছেন, কত দিন যে উল্টো পথে, অন্য গাড়ি আটকে ক্যাম্পাসের বাসে গিয়েছি তার ইয়ত্তা নেই।
২৫ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:৪২
মেঘশুভ্রনীল বলেছেন: ধন্যবাদ, পদ্ম পুকুর। খুব ভালো লাগছে পর্বগুলো দেখে। ৫ম পর্বের লিঙ্কও সংযুক্ত করে দিয়েছি।
১৫| ২৫ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:৪৩
পদ্মপুকুর বলেছেন: আমি জানি না, আপনাদের কেমন লাগছে, কিন্তু আমার আসলেই ভালো লাগছে। অদ্ভুত একটা অনুভূতি।
২৫ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:৫০
মেঘশুভ্রনীল বলেছেন: অদ্ভুত লাগছে এবং অবশ্যই খুব ভালো লাগছে।
১৬| ২৫ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:৫১
পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনি আর লিখছেন না কেন?
২৫ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:১৭
মেঘশুভ্রনীল বলেছেন: পদ্ম পুকুর, অনেক ধন্যবাদ, আমি চেষ্টা করবো। আসলে খুব ব্যস্ততা যাচ্ছে আমার।
১৭| ২৫ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:২৬
মিরোরডডল বলেছেন: শুরুতে ভেবেছি রোম্যান্টিক কিছু হতে যাচ্ছে । পরে দেখি জ্বালাও আগুন পোরাও গাড়ী কেইস ।
নভোর যে মানবিক দিকটা দেখা গেলো বাস ড্রাইভারকে সাহায্য করতে এগিয়ে যাওয়া খুইব ভালো লেগেছে ।
শেষে আবার একটা সাসপেন্স রেখে গেলো ।
কখনও গল্প লেখা হয়নি আপনার প্রথম এটা ? তাহলেতো বলতে হয় সুপার্ব !!!
০৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৫৪
মেঘশুভ্রনীল বলেছেন: ধন্যবাদ মিরোরডডল, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্যে।
জী, আমার আগে কখনও গল্প লেখা হয়নি। স্কুলে পড়ার সময় বাংলাদেশী ফ্লেভারে রুপকথার গল্প লেখার ছেলেমানুষি চেষ্টা করেছিলাম, ওইটুকুই। আমি রুপকথা বা প্রচলিত কল্পকাহিনীগুলো পছন্দ করি। হাহাহা ।
১৮| ২৬ শে জুন, ২০২০ রাত ১:০১
জেন রসি বলেছেন: মৃনত মনে হচ্ছে একটু একটু প্রেমে পড়েই গেছে। নভোর মাঝেও বেশ হিরো হিরো ভাব দেখা যাচ্ছে।
০৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৫৮
মেঘশুভ্রনীল বলেছেন: মৃন প্রেমে পড়েই গেছে, আর নভোও পড়েছে তবে টের পায়নি এখনও।
ধন্যবাদ, জেন রসি। আপনার নিকনেমটা সুন্দর, পরিচিত লাগছে, অন্য কোথাও শুনেছি। তবে মনে করতে পারছি না।
০৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:০৪
মেঘশুভ্রনীল বলেছেন: ধন্যবাদ, পদ্ম পুকুর। রীলে-রেস বেশ ভালোই জমে উঠেছে।
২০| ৩০ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৩৭
নিয়াজ সুমন বলেছেন: পর্ব – ৭ নভোনীল
০৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:০৫
মেঘশুভ্রনীল বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন, নিয়াজ সুমন। সুন্দর লিখেছেন।
২১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ রাত ১২:২৪
রাকু হাসান বলেছেন:
আপন মহিমায় এগিয়ে চলছে। ধন্যবাদ নভোনীল কে এগিয়ে নেওয়ার জন্য। পদ্ম পুকুর ভাইয়ের গত পর্বে ক্লাস থেকে বের হয়ে রাস্তায় ঝামেলা,অদ্ভুদ রকমের নভোর মুভমেন্ট লক্ষ্য করলাম। দাড়িয়ে<দাঁড়িয়ে (বানানটি গল্পে ঠিক আছে কিন্তু দুই-তিন জায়গায় দাঁড়িয়ে হয়ে গেছে), দাড়িয়ে<দাঁড়িয়ে - টাইপো
০৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৩১
মেঘশুভ্রনীল বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যে ধন্যবাদ জানবেন রাকু হাসান। টাইপো ঠিক করে দিয়েছি।
২২| ২০ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৫১
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: বাহ। ভালো আগাচ্ছে
১৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৪২
মেঘশুভ্রনীল বলেছেন: ধন্যবাদ, কবিতা পড়ার প্রহর।
২৩| ২২ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৩:০৪
কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: নভোনীল পর্ব -৮
১৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৪৩
মেঘশুভ্রনীল বলেছেন: খুব ভালো লিখেছেন, ধন্যবাদ।
২৪| ২৬ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:২০
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সুন্দর হয়েছে।
১৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৪৪
মেঘশুভ্রনীল বলেছেন: ধন্যবাদ, মোঃ মাইদুল সরকার।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই জুন, ২০২০ রাত ২:৩৬
মা.হাসান বলেছেন: খুব ভালো লিখেছেন।
চমৎকার চলছে।
চার নম্বর পর্বের আশায় থাকলাম।