| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিকাল বেলা ।একটা সরকারি কোয়ার্টারের মাঠের সামনে কিছু ছেলেরা খেলছিল । কোয়ার্টারের মাঝখানে একটা পুকুর । হঠাৎ পুকুরের কাছে চেঁচামেচি কিছুক্ষণের ভেতর একটা জটলায় পরিণত হল । কয়েকজন কান ধরে দাঁড়িয়ে আছে । একজন হাল্কা-পাতলা ছেলে পায়ের নিচে হাত দিয়ে কান ধরে উবু হয়ে আছে । ঘাটের সাথে বাঁধানো বসার জায়গায় এলাকার কয়েকজন বড় ভাই । তাদের বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ সামনের বিল্ডিঙে থাকা একটা মেয়েকে প্রতিদিন খ্যাপানো কি কারণে সে এত্ত মোটা !!! আরেকটা অভিযোগ পলিথিনবাগে পানি ( সেই ছেলের অভিযোগ সেটা পানি ছিল না বরং মুত্র) ভরে তার ভাইয়ের দিকে নিক্ষেপ করা হয়েছে । একটা ইতর শ্রেণীর ছেলে ( মহল্লার বড় ভাই) বলল, কিরে তোরা কি বড় হইবি না কুনদিন ? এইসব কি তোগো মত ২০-২২ বছরের পোলাপান করে ?
মাথা নিচু করে (মুরগি হওয়া বলতে যা বোঝায়) ছিল রাসেল। কান ছেড়ে দিয়ে সোজা হয়ে বলল, আলি ভাই আমার কুনো দোষ নাই, সব দোষ রাজুর । আলি বলল, হালারপো কান ছারলি ক্যান, মুরগি অ , মুরগি অ । আইজকা তোগো মাফ নাই । ঘাড় ঘুরিয়ে বামে তাকিয়ে একটা লুঙ্গি পড়া ছেলেকে আলি বলল, ওই হালিম, সব রেডি ? কুচকুচে কালো চেহারার ভেতর মুক্তার মত সাদা দাঁতগুলো বের করে হালিম মুখ ভেটকিয়ে বলল , জে বাই লেডি । পেছন থেকে হাত ঘুরিয়ে পানি ভর্তি পলিথিনের ব্যাগ বের করে আনল ।
সবাই সরে যান, সরে যান বলে উঠলো আলি। তারপরে সেই মোটা মেয়ের ভাই এর হাতে ধরিয়ে দিয়ে চোখের দিকে তাকিয়ে বলল, আপ্নের জেইহানে মারছে আপ্নেও সেইহানে মারেন । রাজু চোখ বড় বড় করে আতঙ্কিত হয়ে বলল, ভাই, ভাই, ভাই । আমি তো হের বুকে মারছিলাম কিন্তু মিডেল স্তেমে লাকছে । মেয়েটার বড় ভাই কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে গেলো আর আশেপাশে দাঁড়ানো সবাই হেসে ফেললো । মেয়েটা কিছু না বুঝে হা করে তাকিয়ে থাকলো । আলি সবাইকে থামিয়ে মেয়ের বড় ভাইকে মুত্র ভর্তি ব্যাগ দিয়ে বলল, নেন আর দেরি কইরেন না , মাগরিবের আজান পরবো কাম সারেন । কেউ কিছু বোঝার আগেই রাসেলের মাথায় মুত্র মাখামাখি হয়ে গেলো এবং রাজু মুখ সরিয়ে ফেলায় বা’হাতের কাছে আর পিঠে লেগে গেলো । সবাই চলে গেলে রাজু বলল, দোস্ত চল এই এলাকায় আর আসা যাইব না পেশটিজ শ্যাশ । রাসেল বলল , তোরে কি এমনি এমনি বলদা কই, এহন যা সামনে মাইয়ারা খারায়া আছে পেস্টিজ যা আছে সেইডারও বাত্তি নিভায়া দিবো ।
অন্ধকারে রাজু এবং রাসেল কোয়ার্টার এলাকা ছাড়ল । ফোনে কক খেলছিল রাজু । রাসেল বলল, দোস্ত, আলিরে টাইট দেয়া লাগবো ওর একখান কুত্তা আছে না, কাইল্কা সকাল বেলায় যামু অইহানে ওরে না পাইলে ওর কুত্তারে সাইজ করমু । রাজু ফোন পাশে রেখে বললো, শেষে কুত্তা !!! রাজুর ফোনে মেসেজ আসলো। মেসেজটা পড়েই লাফিয়ে উঠলো ।
ওদের ভার্সিটি থেকে সবাই কক্সবাজার- সেন্তমারটিন ট্যুরে যাচ্ছে কয়েকদিনের ভেতর । টাকা জমা দেয়ার জন্য মেসেজ দিয়েছে রায়হান । রাজু ফোন দিলো রায়হানকে । অইপাশ থেকে নাহিদ হ্যালো বললে, রাজুর কাছে থেকে রাসেল ফোন কেড়ে নিয়ে বলল , হ্যালো দোস্ত, সকালে আইতে পারুম না। কাম আছে। দুপুরে আইতাছি। বলেই ফোন কেটে দিলো ।
পরদিন সকাল বেলা সেই কোয়ার্টার এর সামনের রাস্তায় একটা কুকুরের গলার রশি ধরে রেখেছে রাজু এবং লেজের সাথে অনেকগুলি পটকা বেঁধে আগুন ধরিয়ে দিতেই ফুটফাট করে ফাটা শুরু হল আর কুকুর ভয়ে সামনে দৌড়াতে থাকলো । দূর থেকে আলি এই ঘটনা দেখে ওদের কাছে আসার চেষ্টা করেও পারলো না রাজু আর রাসেল দৌড়ে পালালো ।
কয়েকদিন পর ।
কক্সবাজার সী বিচে ক্লাসের সবাই ঘুরে বেড়াচ্ছে । নিয়াজ ক্লাসের ওভার স্মার্ট একটা ছেলে । লোক দেখানো কাজ করতে খুবই পছন্দ করে নিয়াজ । ছেলেটা একটু উজ্জ্বল শ্যাম বর্ণের । অন্নদের মত সেও সী বিচে ঘুরে বেড়াচ্ছে কিন্তু বিশেষ কারণে ওর দিকে সবাই তাকাচ্ছে বারবার । এই শীতের সকালে সবাই সুয়েটার পড়ে ঘুরে বেরালেও নিয়াজ শুধুমাত্র একটা লাল টকটকে থ্রি কোয়ার্টার প্যান্টস পড়ে আর খালি পায়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে আর গলার ডিএসএলআর দিয়ে ঘ্যাচাং ঘ্যাচাং করে একনাগারে ছবি তুলে যাচ্ছে । নিয়াজের কাছে ক্লাসের আরেকটা মেয়ে তিন্নি এসে বলল, ওমা গো !!! তুই এইভাবে কেন? তোর শীত লাগে না? ব্যাটা গণ্ডার !
নিয়াজ একটা ছবি তোলার জন্য ক্যামেরায় চোখ লাগাতে লাগাতে বলল, আমি ক্যান এইভাবে ঘুরতেছি সেইটা বুঝলে তো হইতই । ভাগ এইখান থে (থেকে)। তিন্নি অপমানিতবোধ করে মুখ ভেংচি দিয়ে চলে গেলো ।
ক্লাসের অন্য গ্রুপের নাইছ একটা জুটিকে দেখা গেলো ঝাউবনের ভেতর দিয়ে হাত ধরে হাঁটছে । রোম্যান্টিক মাদকতায় ছেলেটা গান শুরু করলো,
‘ নীল আকাশের নিচে আমি রাস্তায় চলেছি একা...’’ মেয়েটা গানের মাঝে ছেলেকে থামিয়ে বলল, ওওওওওওওও!!! আমাকে আর ভালো লাগেনা ? থাকো তুমি, আমি গেলাম বলে হাত ঝাড়ি দিয়ে পেছলে হাঁটা শুরু করলো ।
-এই ত্রিনা দারাও, কি হল হঠাৎ ? ছেলেটা বলল ।
-না, আমি থাকবো না । আমি তোমার সাথে রয়েছি আর তুমি কিনা গাইছ, ‘নীল আকাশের নিচে আমি রাস্তায় চলেছি একা !!???? আমাকে যে এখন আর ভালো লাগেনা সেটা ঢাকা থেকেই বুঝেছি ।
-পাগলামি করো না প্লিজ। আমিতো রাজ্জাকের মুভির গান গাইছিলাম জাস্ট।
-নাহিদ, তুমি এত্ত বড় একটা ছেলে , তুমি পরিবেশ বুঝে গান গাইতে পারো না? হুহ ? এটা শীতের সকাল । আকাশ মেঘলা । আমি তোমার সাথে রয়েছি অথচ তুমি গাইছ কিনা ১০০ বছরের পুরানা ফালতু গান ।
-ওকে ওকে । লেতেস্ত একটা গাচ্ছি । চলো এখন।
-না । আমার মুড নষ্ট হয়ে গেছে । তুমি তোমার বন্ধুদের কাছে যাও আমি আমার বন্ধুদের কাছে যাই । পেছন পেছন আসবা না একদম । এই কথা বলে পেছনে হাঁটা দিলো ত্রিনা ।
ত্রিনা অনেকদুরে চলে গেলে নাহিদ কোমরে দুইহাত দিয়ে বড় শ্বাস ছেড়ে রাগত স্বরে বলল, এইডা কার লগে প্রেম করি! এইডা করা যাইব না। ওইডা যাইব না। গান গাইতে পারবা না । ইশ তোরে যদি এই সমুদ্রের একটু চুবাইতে পারতাম রে দুঃখ একটু কমতো ।
রাজু এবং রাসেল বিচে সবার শেষে এলো । সারা বাসের ভেতর লাফালাফি করে ক্লান্ত হয়ে পরেছিল ।তাই হোটেলে ঢুকেই ঘুমিয়ে পড়ে এবং সবার শেষে বিচে আসে ।
-দোস্ত, আমি তো আন্ধা হইয়া যামু , রাসেল বলল ।
-ক্যান কি হইছে ? রাজু বলল
বিচে আসা অনেক মেয়েদের দেখিয়ে রাসেল বলল,
-দেখছস আমাগো এইহানে তো সব ডানাকাটা সব পরী রে । আমি বিয়া করলে এইহানেই করমু । হানিমুনের টাকা বাইচা যাইব ।
- তুই কি ভালো কিছু কইতে পারস না শালা ? রাজু বলল
আচ্ছা এইতো আমি চুপ । চল আমাগো ক্লাসের গুলার ওইদিকে যাই।
দুজনে ক্লাসের অন্য বন্ধুদের খুঁজে পেলো একদম সমুদ্রের কাছে । ওরা পানিতে পা ভিজিয়ে সেলফি তোলায় ব্যস্ত সবাই ।
রাজু বলল, ‘ কিরে আমি কি ভুল দেখতাছি নাকি রে’’ ?
রাসেল বলল , ক্যান কি হইছে ?
রাজু বলল , দেখছস আমাগো ক্লাসের মাইয়া গুলারে । ক্লাসে কোনদিনও বোরকা ছাড়া দেহি নাই । আর ওই হাতিডারে দ্যাখ, কি সুন্দর লাগতেছে । ক্লাসে হুজুর সাইজা থাকে আর এইখানে আইসা সবগুলা ক্যাটরিনা কাইফ আর সানি লিওন সাইজা ঘুরতেছে ।
রাসেল বলল, একটু আগে আমারে থামাইলি আর এহন তুই শুরু করছস’’ বলে মাথা ঝাকিয়ে হাসতে লাগলো ।
নিয়াজ পেছন থেকে রাসেলকে ডাক দিলে ঘাড় ঘুরিয়ে নিয়াজের দিকে তাকায় রাসেল ।
রাসেল বলল, ওরে সালা ! আপনে কেডা মিয়া ভাই?
নিয়াজ ঘাচাং করে রাসেলের একটা ছবি তুলে ফেললো ।
হাত দিয়ে মুখ ঢেকে রাসেল বলল, এই শীতের ভেতর সবকিছু খুলে ন্যাংটা বাবা সাজ দিছস ক্যান ?
নিয়াজ অন্যদিকে হাত দিয়ে রাজুর ঘাঢ়ে হাত রেখে বলল, ঢাকা থেইকা কক্সবাজার আইছি কি বোরকা পইরা থাকার জন্য নাকি । আশেপাশের সবাই বুঝুক যে আমরা ঢাকার মডার্ন পোলাপান ।
রাজু বলল, তোর গায়ে কি লেখা আছে তুই ঢাকা থেইকা আইছস আর তুই মডার্ন ? দেইখা তো মনে হইতাছে আফ্রিকার নাংগা অঞ্চল থেইকা আইছস । গায়ের রঙের সাথে একদম ফিট হইছে ‘’ এই কথা বলে রাসেলের দিকে চোখ মারল ।
নিয়াজ বলল, ‘তোরা খ্যাতই থাকলি’ বলে হনহন করে চলে গেলো ।
রাজু বলল চল ওরে ধইরা পানিতে চুবাই । রাসেল বিরক্ত হয়ে বলল বাদ দে ওই যমুনাপাড়ি ছাগলের কথা ।চল আমরা একটু ঘুরি ।
একদিনের মাথায় সবাই সেন্টমারটিন গেলো ।
রিয়া নামের একটা মেয়ে বলল, দেখছিস দোস্ত কত্ত সুন্দর । আমার তো এইখান থেকে যাইতেই ইচ্ছা করবে না।
পেছন থেকে নাহিদ বলল, রিয়া যাওয়ার দরকার কি? এইখানে কোন জাউলা (জেলে) ধরে বিয়ে করে ফেলো । আমরাতো আছিই । সাক্ষী দিয়ে দেবো ।
রিয়া বিরক্ত হয়ে বলল, তুমি আমার কাছে ক্যান ? ত্রিনার কাছে যাও ।
নাহিদ না শোনার ভান করে পাশ কাটিয়ে চলে গেলো ।
নিয়াজ নারকেল গাছের ছবি তুলছিল । রাজু ওর পাশে হাজির হল ।
দোস্ত আমার কয়টা ছবি তুলে দে ।
খ্যাত পোলাপানের জন্য আমার টাইম নাই । রাজু আহত দৃষ্টিতে নিয়াজের দিকে তাকিয়ে চলে গেলো ।
পেছন থেকে নিয়াজকে একটা মেয়ে ডাক দিলো । নিয়াজ দেখল ক্লাসের কেউ না । মনে হয় টুরিস্ট ।
এই যে ভাইয়া, আপনাকে দেখলাম আপনি ছবি তুলছেন কত টাকা নেন ছবি তুলতে ?
নিয়াজ বলল, আমাকে দেখলে কি বিচে ঘোরা ফটো তোলা পাবলিক মনে হয় ?
দূর থেকে নিয়াজকে আরেকটা ছেলে ডাক দিলো ক্লাসের । নিয়াজ তার দিকে হাত দিয়ে আসার ইশারা করতেই মেয়েটা বুঝে পাশ কাটিয়ে চলে গেলো ‘সরি’ বলে ।
রাজু আর রাসেল একসাথে ঘুরে বেড়াচ্ছে নারকেল গাছের ভেতর দিয়ে ।
-দোস্ত, এইগুলা কে লাগাইছে ? রাজু জানতে চাইলো ।
-আমার শ্বশুর লাগাইছে । বেশি কথা কবি না মেজাজ খারাপ । রাসেল বলল ।
-আমারে ক, কি হইছে !!
-নিয়াজরে সাইজ করা লাগবো ।
-তোর ইগো তে লাগছে ওর কথা ?
-হুম ।
-আমিতো জানতাম আমাগো দুইজনের কারোরই আত্মসম্মান নাই । এহন দেহি তোর আত্মসম্মান আছে । অন্য দিকে তাকিয়ে বলল রাজু ।
-ফালতু কথা কবি না । আমরা ফাইজালি করি সবাই জানে তাইনা । কারো সাথে কি সিরিয়াসলি কিছু করছি কোনদিন । তুই ক ?
-নাহ করি নাই। বাদ দে এইসব কথা । চল মাইয়াগো ওইদিকে । ওরা লাল কাঁকড়া ধরতাছে। আমরাও ধরি ।
- নাহ ভালো লাগতেছে না । তুই যা আমি একটু একলা থাকি ।
-না, আমার সাথে যাবি তারপরে নিয়াজ্রে সাইজ করার প্ল্যান করমু এইখানে । টাকা উসুল করা লাগবো না। এত টাকা খরচ কইরা আইছি কি ওই আফ্রিকান কুত্তার কথা শুনে মন খারাপ করে থাকার জন্য ?!!! এই কথা বলে রাসেলের হাত ধরে টেনে মেয়েদের ওইদিকে নিয়ে গেলো ।
ত্রিনা নিয়াজকে ডাক দিলো খুব আদর করে, ‘অ্যাই নিয়াজ, একটু শোন’
নিয়াজ কাছে যেতেই ত্রিনা বলল, তুমি লুঙ্গি পরে ঘুরছ কেন ?
গদগদ ভাব নিয়ে নিয়াজ বলল, পানিতে গোসল করবো তো তাই লুঙ্গি পরছি ।
-আমার জন্য একটু পানির ব্যবস্থা করতে পারবা প্লিজ ...গলা শুকিয়ে কাঠ ।
-এইটা কোন ব্যাপার? তোমার জন্য নারকেলের পানির ব্যবস্থা করছি । ৫ মিনিট ওয়েট করো আমি গাছ থেকে নারকেল নামাচ্ছি । বলেই হনহন করে চলে গেলো আর বিড়বিড় করতে লাগলো ,- যাহ এতক্ষন পড়ে তাইলে কেউ তাকাইছে আমার দিকে । এইটারে পটাইতেই হইব । নাহিদরে ছাঁকা খাও্যামু ।
একটু পড়ে দেখা গেলো গলা থেকে ডিএসএলআর ত্রিনার হাটে ধরিয়ে নারকেল গাছে উঠে যাচ্ছে নিয়াজ । দূর থেকে রাজু দেখেই রাসেলকে নিয়ে দৌড়ে এলো তারপরে নিয়াজকে বলল,
দোস্ত আমাদের জন্যও একটা দিস ।
খ্যাত দের জন্য আমি কিছু করি না । উপরে উঠতে উঠতে নিয়াজ বলল ।
ত্রিনার সামনে আবারো অপমান করায় তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলো রাসেল তারপরে বিরাট কাণ্ড করে বসলো । ত্রিনাকে দূরে সরিয়ে নারকেল গাছের গা দিয়ে প্যান্টস এর চেইন খুলে প্রসাব করে দিলো গাছ দিয়ে যেন নিয়াজ নামতে না পারে । রাজুও রাসেলের কাণ্ড অনুসরন করে ফেললো । ত্রিনা ছিঃ ছিঃ করতে করতে ক্যামেরা ফেলে দৌড়ে চলে গেলো আর নারকেল গাছের খবর ত্রিনার কাছ থেকে শুনে অনেকে জমা হল মজা দেখার জন্য ।
নিয়াজ উপর থেকে গালি দিয়ে যাচ্ছে আর রাজু বলতে থাকলো , দোস্ত কিছু মনে করিস না , জানোসই তো আমরা খ্যাত ।তাই খ্যাতের একটা নমুনা দেখাইলাম এই কথা বলে ক্যামেরা দিয়ে নিচ থেকে নিয়াজের অর্ধ নগ্ন ছবি তুলতে লাগলো । নিয়াজ গাছ থেকে নামতে পারছিল না একদম তাজা প্রসাবের কারণে । নিয়াজ পরিশেষে গাছের উপরে উঠার চেষ্টা করতেই গাছে ঘসাঘসি করতে থাকায় সম্পূর্ণ আকস্মিক ভাবে ওর লুঙ্গি খুলে নিচে পড়ে গেলো । সবাই হাসতে হাসতে খুন । শুধুমাত্র আন্ডারওয়্যার (ছোট হাফ প্যান্ট ব্যবহার করা যেতে পারে ) পড়ে গাছ ধরে থাকলো । সবাই ক্যামেরা বের করে ছবি তুলতে থাকলো নিয়াজের ।
মানসম্মান জলাঞ্জলি দিয়ে গাছ ধরে নেমে পরল প্রসাবে মাখামাখি হয়ে তারপর রাজু আর রাসেল কে অনেকটা পাগলের মত ধাওয়া করলো । রাজু এবং রাসেল চরম প্রতিশোধ নিতে পারায় অনেক জোরে হাসছল আর দৌড়াচ্ছিল এদিক-সেদিক ।

©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:১৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: বাহ! বেশ। নতুন হিসেবে খারাপ নয়। আরো চালিয়ে যান, অন্য ভালো লেখকদের ব্লগ পড়ুন। অন্তত এক দেড় বছর আগের লেখাগুলো পড়ুন। অনেক কিছু শিখতে এবং জানতে পারবেন!!
শুভ কামনা রইল।