![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজেকে জানতে বা চিনতে চেষ্টা করছি।
অনেক আগে পোস্টটা করেছিলাম| একটু এডিট করে এখন আবার দিলাম |
এবার এইচ,এস, সি ও সমমানের পরীক্ষায় জি, পি, এ ৫ পেয়েছে প্রায় ৪০ হাজার। রেজাল্টে বলা হচ্ছে, সবাই সর্বোচ্চ এবং সমান মেধাবি।
যা হোক, আমি একটি গল্প বলি। ২০০৭ সালের কথা | সেই সময় আমি একটি টিউশনি করেছিলাম কয়েকমাসের জন্য। আমাদের দায়িত্ব ছিল, ছাত্র যাতে বুয়েটে চান্স পায় তার জন্য তাকে সাহায্য করা। তো পড়াতে গেলাম, জানলাম সে এস, এস, সি তে এ+ পাওয়া। আমি ছাত্রের ভালো করার ব্যাপারে আশান্বিত হয়ে উঠলাম। যা হোক, দিন দুয়েক পরেই তাকে যে হোম ওয়ার্ক করতে দেয়া ছিল তা জিজ্ঞেস করতেই সে বলল, সে পড়া করেনি। তার পর তাকে কিছ সাধারণ জিনিশ জিজ্ঞেস করায় সে না পারলে তাকে জিজ্ঞেস করলাম, ক্লোরোফর্মের সংকেত বল। সেটাও সে জানে না, অথচ সে বিজ্ঞান বিভাগ হতে এইচ, এস, সি পরীক্ষা দিয়েছে।
আমার মনে হলো, সে ফেল করার ও যোগ্য না। যারা বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করেছেন তারা বুঝতে পারছেন।
যখন রেজাল্ট বের হল, শুনলাম তিনি জিপিএ ৫ সহকারে পাশ করেছেন এবং সেরাদের সেরা হিসেবে পত্রিকায় প্রকাশিত ছবিতে ভি দেখাচ্ছেন।
এটা ২০০৬ সালের কাহিনী| আজ ২০১১ | অবস্থা আরো খারাপ হয়ে গেছে | গরু গাধারা যখন জিপিএ ৫ পেয়ে নাচানাচি করে তখন খুব খারাপ লাগে; ভাল ছাত্রদের জন্য খারাপ লাগে|
এতোক্ষণ যে চিত্রটি দেখালাম, আমি আশা করি এটা সারাদেশের চিত্র না। তার মানে এই নয় যে, এই ৪০ হাজার ছাত্রদের সবাই সমান মেধাবি। বিশ্বাস করি এর মাঝে অনেক খুব মেধাবি আছে। আবার মাঝারি মানের এবং কিছু সংখ্যক খুবই সাধারণ মানের বা সেকেন্ড ডিভিশন মানের ছাত্রও আছে। অথচ সবাইকে বলা হচ্ছে সমান মেধাবি ও সর্বোচ্চ মেধাবি। ফলে গ্রেডিং সিস্টেমে যথাযথ মূল্যায়নের বদলে প্রকৃত মেধার অবমুল্যায়নই হচ্ছে।
এতে প্রত্যক্ষভাবে দুধরণের ক্ষতি হচ্ছে।
১। যারা প্রথম সারির মেধাবী বা অসম্ভব মেধাবী তাদেরকে আলাদা না করা যাওয়ার ফলে তারা অবমূল্যায়িত হচ্ছে। দেশ বা জাতি যাদের কাছ থেকে অনেক কিছু পেতে পারত তারা আড়ালেই বা অতলেই থেকে যাচ্ছে। অনেকক্ষেত্রেই তাদের স্থান দখল করে নিচ্ছে সমান রেজাল্টধারি দুর্বল মেধার ছাত্ররা। অনেকেই ভাল কলেজে ভর্তি হতে পারছে না। অবমূল্যায়নের হাতিয়ার এই গ্রেড পদ্ধতিকে সঠিক মূল্যায়ন ধরে কলেজে ছাত্র ভর্তির সময়, দুজন ছাত্রের মধ্যে সঠিক মূল্যায়ন করতে ব্যর্থ হয়ে শেষ পর্যন্ত বয়সকে মেধার মাপকাঠি হিসেবে ধরা হচ্ছে। সেলুকাস!
২। যারা মাঝারি মানের ছাত্র হয়ে জি,পি, এ ৫ পেয়েছে তাদের মূল সমস্যা হয় পরবর্তি জীবনে যখন তারা হতাশা ছাড়া কিছুই দেখতে পায় না । জি,পি,এ, ৫ পেয়ে তারা স্বভাবতই আশা করে যে, তারা ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, বা ভালো কোথাও পড়বে। বাস্তব মেধার সাথে সার্টিফিকেইটের মেধার মিল না থাকায় অনেকেই ডাবল জি,পি,এ ৫ পাওয়া সত্বেও ইউনিভার্সিটিতে চান্স পায়না।
গ্রেড সিস্টেমের এই যে প্রব্লেম গুলো জানা থাকা সত্বেও এর বিরুদ্ধে কোন কার্যকর পদক্ষেপ আজো নেওয়া হয়নি। কারণ সবাই জি, পি, এ ৫ পাচ্ছে তো সবাই খুশি।
আরো যে সব ক্ষতি হচ্ছে, তার মধ্যেঃ এ সব জিপিএ-৫ ধারী নিম্নমানের ছাত্র-ছাত্রীরা যখন বিদেশে যাচ্ছে পড়তে ( সেটা প্রাইভেট থেকে স্নাতক পাশ করে বা এইচ, এস, সি, এর পরে) তখন একেবারেই টিকতে পারছে না; কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের ভাল রেজাল্ট দেখেই এডমিশন দিয়েছে, তখন কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের গ্রেডের উপর আস্থা হারাচ্ছে; ফলে ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ে আর কোন বাংলাদেশী ছাত্র (ভাল বা মিডিয়াম যাই হোক না কেন) পড়ার সুযোগ হারাচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা দেশের বদনাম হচ্ছে।
গ্রেড পদ্ধতি কেন?
মার্ক পদ্ধতিতে মেধার প্রকৃত মান যাচাই সম্ভব ছিল না কয়েক টি কারণে। একই খাতা বিভিন্ন শিক্ষক বিভিন্ন রকম মার্কিং করতে পারেন। তাছাড়াও, বিভিন্ন বছর প্রশ্ন বিভিন্ন রকম ( কোন বার কঠিন বা কোন বার সহজ) হবার ফলে একই মানের ছাত্র একই জ্ঞান নিয়ের দুই বছর দুই রকম রেজাল্ট করে। আবার একই ছাত্র একই বছর দুই বোর্ডে পরীক্ষা দিলে সম্পূর্ন দুই রেজাল্ট পায়। এর ফলে
ছাত্ররা সাধারণত বেশ অবমুল্যায়নের স্বীকার হয়। এ জন্য ১৭৯২ সালে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের উইলিয়াম ফারিস ছাত্রদের শেখাটাকে কয়েকটি ক্যাটাগরি বা ধাপে বা স্তরে ভাগ করেন। মুল্যায়নকারি তার জানার গভিরতা অনুযায়ী তাকে কোন একটি ধাপে বা গ্রেডে ফেলবেন। এতে দেখা গেল যে, বিভিন্ন শিক্ষক কর্তৃক বিভিন্ন মার্কিং এর সমস্যা অনেকাংশে গেলো। এবং কিছু মার্কের পার্থক্যের জন্য যে অবমুল্যায়নের ব্যাপার থাকলো না। কারণ তারা একই গ্রেডের ছাত্র। গ্রেডিং এ উন্নত বিশ্বে আরেকটি কাজ করা হয়, গ্রেডিং এর সাথের মার্কের কোন ধরা-বাধা সম্পর্ক রাখা হয় না। মার্কস দেবার পরে গ্রেডিং এর ধাপ ঠিক করা হয়। প্রশ্ন সহজ হলে ৯৮-১০০ তে এ+ হতে পারে আবার প্রশ্ন কঠিন হলে ৬০-১০০ তে এ+ হতে পারে।
বাংলাদেশে গ্রেডিং
যতদূর জানি, ১৯৯১ সালে বুয়েটে বাংলাদেশে প্রথমবারের মত গ্রেডিং পদ্ধতি চালু করা হয়। ২০০১ সালে এস,এস, সি, এবুং ২০০৩ সালে এইচ, এস, সি তে চালু করা হয়।
বর্তমানে চালু গ্রেডিং নিম্নরুপঃ
৮০-১০০ এ+ পয়েন্ট ৫
৭০-৭৯ এ পয়েন্ট ৪
৬০-৬৯ এ- পয়েন্ট ৩,৫
৫০-৫৯ বি পয়েন্ট ৩
৪০-৪৯ সি পয়েন্ট ২
৩৩-৪০ ডি পয়েন্ট ১
চতুর্থ বিষয়ে প্রাপ্ত গ্রেড থেকে ২ বিয়োগ করে যোগ করা হয়। গড় নির্ণয়ের সময় চতুর্থ বিষয় বাদ দিয়ে ভাগ দেয়া হয়।
ফলে একজন ছাত্র ৩ তি বিষয়ে এ+ না পেলেও সে সামগ্রিক ভাবে এ+ পাচ্ছে।
চতুর্থ বিষয় বিবেচনা করার বিষয়টাই বিশ্বে বাংলাদেশই প্রথম। পৃথিবীর কোন দেশেই এই অদ্ভূত নিয়ম নেই।
আরেকটি বিষয় হলো যে, বর্তমানে শিক্ষকদেরকে উদারভাবে মার্কিং করতে বলা হয়; বোর্ড গুলো জি, পি, এ ৫ সংখ্যা বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় ক্রমাগত প্রশ্নের মান নিম্নগামি করছে। খুবই বাছা কিছু প্রশ্ন পড়ে এ+ পাওয়া খুবই সহজ হয়ে গেছে।
এখন শিক্ষকরা মার্কিং করেন উত্তর আমেরিকার শিক্ষকদের মত। কিন্তু প্রশ্নপত্রের মান অনেক গুন নিচের। উদার মার্কিং দোষের নয় যদি প্রশ্নের মান যদি উন্নত হয় কিংবা গ্রেডের স্তরগুলোও যদি বেশি হয়।
যেভাবেই হোক, আমাদের মূল উদ্দেশ্য সঠিক মুল্যায়ন করা। যদি ৮০ এর উপরে খুব কম ছাত্রছাত্রী পায়, তাহলে সর্বোচ্চ ধাপ হতে পারে ৮০-১০০। কিন্তু যদি এমন হয় যে, ৮০-১০০ মার্কপ্রাপ্তির সংখ্যা অনেক বেশি এবং এদের মধ্যে কেউ শুধু ৮০ আবার কেউ ৯৭/ ৯৮ ও পাচ্ছে। কখনই এই দুই ক্যাটাগরির ছাত্ররা এক নয়। ৯৭/৯৮ পাওয়া রত্নগুলোকে জাতির স্বার্থেই পৃথক করা উচিত।
মেধার অবমুল্যায়ন বা অতি মুল্যায়নের এই পদ্ধতির জন্য জাতিকে চরমমূল্য দিতে হবে অবশ্যই। জাতি মেধাশুন্যতায় ভুগবে।
এখনই সময় শুধরে নেবার। দুটা উপায়ের একটা গ্রহন করা যেতে পারে|
আন্তর্জাতিক পদ্ধতি অনুসরণ করাঃ
১| পরীক্ষায় ছাত্রদের প্রাপ্ত মার্কস অনুযায়ী, কত মার্কে কোন জিপিএ হবে তা নির্ধারণ করা | অর্থাৎ, পরীক্ষার খাতা দেখার পড়ে কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে কোন সাব্জেক্টে কত মার্কে কোন গ্রেড হবে| কোন বার প্রশ্ন কঠিন হবার কারনে সবাই খুব খারাপ করলে ৬০ থেকে ১০০ তে ও এ+ হতে পারে আবার সহজ হলে ৯৫ থেকে ১০০ তেও এ+ হতে পারে | এটা এনসিওর করতে হবে যে, যাতে এক্সট্রা-অর্ডিনারীরাই কেবল এ+ পেতে পারে যার পার্সেন্টেজ (প্রতি সাব্জেক্টে মাক্সিমাম ০.১-০.৫%) খুব বেশি হবে না | ছাত্রদের প্রতি সাব্জেক্টে মার্কসের ডিস্ট্রিবুসন বা বন্টন থেকে টপ 0.1% - A+, 0.1-1% -A, 1-5% - A-, 5-10% - B+, 10-20% B, 20-40% B- ....... এভাবে। শিক্ষকদের কমিটি থাকবে যাদের প্রত্যেকে খারাপ নম্বর পাওয়া কয়েকটা খাতা পৃথকভাবে দেখা বলবেন যে, কত নম্বর পাওয়া ছাত্রটা ফেল করার যোগ্য। সবার রিকমেন্ডেশন এর উপর ভিত্তি করে গড় নিয়ে তার নিচে যে সব স্টুডেন্ট মার্ক পেয়েছে তাদের পার্সেন্টেজ কে ( যেমন হতে পারে লোয়ার ৩০%) এফ গ্রেড দিয়ে বাকিদের কে গ্রেডিং এ ফেলা।
এ পদ্ধতির সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, প্রতি বছর প্রশ্ন কঠিন বা সহজ হবার ফলে যে ছাত্র ক্ষতিগ্রস্থ হয় তারা আর হবে না; প্রশ্ন সহজ হোক আর কঠিন রেজাল্ট একই হবে। রেজাল্ট নির্ভর করবে ছাত্রের কোয়ালিটির উপর; প্রশ্নের কোয়ালিটি বা টিচারের খাতা দেখার কোয়ালিটির উপর না। সেটাই মূল্যায়নের প্রকৃত লক্ষ্য। আর গ্রেডিং পদ্ধতির উপযোগিতা সেখানেই। বর্তমানে যে অদ্ভুত জিনিস চলছে, তার চেয়ে মার্ক/ডিভিশন পদ্ধতি হাজার গুন ভাল ছিল।
অথবা,
বর্তমান পদ্ধতিকে পরিমার্জন করাঃ
১। ৮০-১০০ ধাপটিকে দুই বা ততোধিক ধাপে পুনরায় ভাগ করতে হবে। সবচেয়ে ভাল হয়, ৫ নম্বরের পার্থক্য রেখে ১০০ থেকে ৪০ পর্যন্ত গ্রেডিং চালু করা আর ৪০ এর নিচে এফ গ্রেড দেওয়া।
২। চতুর্থ /ঐচ্ছিক বিষয়ের ধারণাটা তুলে দিয়ে এটিকে একটি নৈর্বচনিক বিষয় (অনেক গুলি হতে একটি বাধ্যতামুলক ভাবে নিতে হবে) হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। মোট গ্রেড পয়েন্টকে ভাগ করতে হবে ঐচ্ছিক বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে।
আসলে এত কিছু বলে কোন লাভ নেই ; কারণ দেশে যারা উচ্চ পর্যায়ে আছেন তারা অনেকেই হয়তো এ জিনিসগুলো জানেন বা বোঝেন, কিন্তু উপলব্ধি করেন না ভাল ছাত্রদের হতাশা; উপলব্ধি করেন না যারা খারাপ ছাত্র হয়েও অনেক ভালো গ্রেড পেয়ে মিথ্যা আত্ব-উপলব্ধির কারণে যখন পদে পদে হোচট খায় | এটা উপলব্ধি করে তারাই যারা এই খামখেয়ালীর ভুক্তভোগী|
অনেকেই এই সমস্যা গুলো বোঝে কিন্তু বুদ্ধিজীবিরা বা সরকার এটা নিয়ে মাথা ঘামায় না কেন ? উত্তর সহজ| সস্তা দরে জিপিএ ৫ পেয়ে সবাই খুসি- সরকার বলে দেশে পড়াশোনা ভাল হচ্ছে; বাবা বলে আমার ছেলে ৫ পেয়েছে - ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হবে ; মা মহল্লার সবাইকে গল্প করতে পারেন আমার ছেলেও ৫ পেয়েছে | সবাই খুশি; খুশি না কেবল আমাদের মতো আতেল কিছু লোক যারা দেশটার দিকে তাকিয়ে ভাল কিছু দেখতে চায় |
২৮ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৩:০৭
মেহেদী_হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ২৮ শে জুলাই, ২০১১ রাত ২:৫৬
অনন্তকিশোর বলেছেন: প্রথমবার ইন্টারে সারা দেশে পেয়েছিল বিশ জন।নটরডেমে কেউ ছিলনা।
৮ বছর পরে এইবার সারাদেশে ৪০ হাজার,নটরডেমে ১৫০০।
বই আগেরটাই আছে,স্যারগুলা ও আগের।
হঠাৎ কি এমন হয়ে গেল?আমার তো মনে হয় আলাদিনেরচেরাগের পক্ষেও এটা সম্ভব না।
প্রতি একশ জনে ৬-৭ টা ছেলে কোন মতেই এ+ পাবার যোগ্য না।এ হার পয়েন্ট ৫ এর বেশি হওয়াই ঠিকনা।
বুয়েটে দেখেন ১০০০ জন ছেলে পেলে,সবাই বেষ্ট।ফোর পায় ১০ জন পনের জন।
এইটাই সিস্টেম।
আট বছর আগের বিশজনের যে ছিল আজকের চল্লিশ হাজারের সাথে তাকে তুলনা করা তার অপমান তার মেধার প্রতি অবিচার।এই চল্লিশ হাজারে সেই বিশ জনের মত বিশ জন আছে।
তাদের আসলে দুর্ভাগ্য।
তাও ভার্সিটিতে ভর্তি পরীক্ষা থাকায় বাচা।নাহলে যে কি হত?
এখন মানুষ এই রেজাল্টরে এত ভ্যালু দেয় না।সবাই দেখে কোথায় চান্স পাইল।
২৮ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৩:১৬
মেহেদী_হাসান বলেছেন: ঠিকই বলেছেন।
এই রেজাল্টের ভ্যালু কেউ দেয় না।
তাহলে ত এইচ, এস, সি, নামক কোন এক্সামের কোন ভ্যালুই থাকে না।
আরেকটা ব্যাপারঃ এইসব ছাত্র-ছাত্রীদের আমরা বেল না দিলেও পত্রিকা ওলারা বেল দেয়। বাবা-মা হুদায় লাফায়। ভবিষ্যতেও বিভিন্ন চাকুরীতে জয়েন করার সময় সিভি এ+ লিখে ভাব বাড়ায়।
আমার পরিচিত ২ বোন আছে। বড়জন ক্লাসে ২য় না ৩য় হত; ছোটজন ২০তম-২৫তম। ২০০৩ এ বড় জন 4.5 পেল আর ২০০৬ এ ছোটজন গেল গোল্ডেন এ+। যদিও ছোটজন অনেক খারাপ স্টুডেন্ট, বড়জন তার সামনে টিকতেই পারে না। এমনকি বাবা-মাও সেটাই মনে করা শুরু করেছে।
৩| ২৮ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৩:০২
জিকসেস বলেছেন: প্রথমবার বিশজনের মধ্যে নটরডেমের একজন ছিল। তার নাম সঞ্জয়। @ অনন্তকিশোর
২৮ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৩:২১
মেহেদী_হাসান বলেছেন: আপনি কি Sanjay Kumar Debnath এর কথা বলছেন?
Click This Link
এইটা। আমার বুয়েটের ক্লাস-ফ্রেন্ড।
৪| ২৮ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৩:০৪
দাঁড়কাক ও চশমা বলেছেন: পোস্টটা ভালো লাগলো।
আসলে এত কিছু বলে কোন লাভ নেই ; কারণ দেশে যারা উচ্চ পর্যায়ে আছেন তারা অনেকেই হয়তো এ জিনিসগুলো জানেন বা বোঝেন, কিন্তু উপলব্ধি করেন না ভাল ছাত্রদের হতাশা;
সত্যিই দুঃখজনক
২৮ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৩:২৮
মেহেদী_হাসান বলেছেন: এটা হল অরণ্যে রোদন।
দেশের শিক্ষা-ব্যবস্থা ভাল ছিল না কোন কালেই।
এখন পুরাপুরিই ধবংশ হয়ে গেছে।
কোন আশা দেখি না।
দুর্বৃত্ত আর অনিয়মে ভরে গেছে সব-জায়গায়। পাব্লিক পরিক্ষা হোক আর প্রাইভেট ভার্সিটি হোক।
৫| ২৮ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৩:১৮
পড়শী বলেছেন: প্রিয়তে রাখলাম। পরে আপনার প্রস্তাবগুলো ভেবে দেখব।
২৮ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৩:২৮
মেহেদী_হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬| ২৮ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৩:২৬
অপ্রিয় সত্য ৭০০ বলেছেন:
৫++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
২৮ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৩:২৮
মেহেদী_হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ।
৭| ২৮ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৩:৩০
মোনশেদ শুভ্র বলেছেন: pls dnt stop writing.
it is realy need to realise all d ppl of Bangladesh.
gradings must b divided into 5 marks.
wt u hv written it is rly nice bt our sdandard of education systm may not digest it!
but change realy need now.
২৮ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৩:৪৩
মেহেদী_হাসান বলেছেন: thanks a lot.
৮| ২৮ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৩:৩১
মোনশেদ শুভ্র বলেছেন: pls dnt stop writing.
it is realy need to realise all d ppl of Bangladesh.
gradings must b divided into 5 marks.
wt u hv written it is rly nice bt our sdandard of education systm may not digest it!
but change realy need now.
৯| ২৮ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৩:৫৮
নিশাচর নাইম বলেছেন: প্রস্তাবগুলো সমর্থন করি।মুখস্ত করে বা সাজেশান ফলো করে এ+ পেলে সেটা কোন কাজের নয়।
২৮ শে জুলাই, ২০১১ ভোর ৪:৪০
মেহেদী_হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ।
১০| ২৮ শে জুলাই, ২০১১ ভোর ৪:০১
আজ কাল বলেছেন: আমার দেখা সামুর লিখা, বেশী বলে ফেললাম? মেটেই না। কারন আমি গ্রেডিং পদ্ধতির প্রথম ব্যাচ। চাকরী খুঁজতে গিয়ে হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি কতোটা অবমূল্যায়নের স্বীকার আমরা।
+++++++++++++++++++++++++++
২৮ শে জুলাই, ২০১১ ভোর ৪:৪৬
মেহেদী_হাসান বলেছেন: আমিও গ্রেডের প্রথম ব্যাচ এবং ভুক্তভোগী। আমি যদিও বুয়েটের সব থেকে ভাল ডিপার্টমেন্টে পড়ার সুযোগ পেয়েছিলাম, তারপরও আমি এখনকার পোলাপানের কাছে আমার এস,এস,সি/এইচ,এস,সি'র রেজাল্ট বলতে লজ্জা লাগে। কেউ কেউ মনে করতে পারে, এত খারাপ রেজাল্ট। আর জবের সিভিতে তো লিখতেই হয়। তার ফলে যে প্রবলেম সেটা আপনি ভালই জানেন।
১১| ২৮ শে জুলাই, ২০১১ ভোর ৪:১৯
কানা-বাবা বলেছেন: আপনার কথাগুলো ভালো, তবে বাস্তবতাও বুঝতে হবে। আমদের মত একটি স্হবির দেশে বছর বছর ডায়নামিক গ্রেডিং কতটুকু সম্ভব তা প্রশ্ন স্বাপেক্ষ।
৫ এর বদলে ১০ই থাকা উচিত গ্রেডের পার্থক্য নির্নয়ে। আর আরেকটি কথা আমি বলতে চাই যে অংক বাদে যে কোন বিষয়ে ৯১ আর ৯৮ পাওয়া ছাত্রের মধ্য জানার পার্থক্য খুবই কম, যেটুকু আছে তা হলো হলো কার নোট কতটুকু উন্নত, হাতের লেখা কি রকম ইত্যাদি অগুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর।
তবে একথা বলাই যায় যে মার্কিং এর চেয়ে গ্রেডিং ভালো।
২৮ শে জুলাই, ২০১১ ভোর ৪:৫৬
মেহেদী_হাসান বলেছেন: ভায়নামিক গ্রেডিং এদেশের প্রেক্ষাপটে চালু করার সমস্যা এবং সমাধানের উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার অবকাশ আছে।
আর আমি স্থির গ্রেডিং এর ক্ষেত্রে ৫ ডিফারেন্সের কথা বলেছি এজন্য যে, এখন যে ভাবে মার্কিং করা হয় তাতে ৯০-১০০ তে এ+ করা হলেও সমস্যার সমাধান হবে না। তখন ৪০ হাজারের জায়গায় ১০-২০ হাজার এ+ পাবে। সেটা অবশ্যই মূল্যায়নের লক্ষ্য নয়।
বর্তমানের যে গ্রেডিং তা মার্ক পদ্ধতি থেকে কোন ভাবেই ভাল নয়; বরং অবমূল্যায়নের হাতিয়ার হবার কারণে তা হাজার গুণ খারাপ। মার্কে এই অবমূল্যায়নটা হত না।
১২| ২৮ শে জুলাই, ২০১১ ভোর ৪:২৯
কানা-বাবা বলেছেন: আমি মনে করি অংকে গ্রেডিং হওয়া উচিৎ এই রকমঃ
৯০-১০০ এ+ পয়েন্ট ৫
৮০-৮৯ এ পয়েন্ট ৪.৫
৭০-৭৯ এ- পয়েন্ট ৪
৬০-৬৯ বি+ পয়েন্ট ৩.৫
৫০-৫৯ বি পয়েন্ট ৩
৪০-৪৯ সি পয়েন্ট ২
৩৩-৪০ ডি পয়েন্ট ১
অন্যান্ন বিষয়েও কি রকম নম্বর ছেলেরা পায় তা দেখে স্কেল ঠিক করা যেতে পারে।
মার্কিং থেকে গ্রেডিং এ যাবার শুরুটা আশাব্যান্জক, তবে বসে থাকার উপায় নেই। মনে রাখতে হবে যে উন্নতি একটি চলমান প্রক্রিয়া।
২৮ শে জুলাই, ২০১১ ভোর ৫:০৩
মেহেদী_হাসান বলেছেন: আপনার এই পয়েন্ট টা ভাল যে, বিষয় ভিত্তিক ছাত্ররা কেমন নম্বর পায় তার উপর ভিত্তি করে স্কেল ঠিক করা।
তবে গ্রেডিং পদ্ধতি একেবারেই না বুঝে গ্রেডিং হুট করে যাওয়াটা বোকামি ছাড়া আর কিছু নেই।
আর এই দেশকে নিয়ে বেশি কিছু আশা করি না। যতদিন না মাহাথির মোহাম্মদের মত কেউ আসবে, ততদিন দেশের সামান্যতম উন্নতি হবে না। বাংলাদেশ পৃথিবীর অধিকাংশ দেশের তুলনায় কমপক্ষে ১০০ বছর পিছিয়ে।
১৩| ২৮ শে জুলাই, ২০১১ ভোর ৬:০০
আত্মমগ্ন আিম বলেছেন: ২০০১ এর এস এস সি শেষ পরীক্ষার দিন পর্যন্ত আমাদের নিশ্চিত করা হয়নি, আমাদের রেজাল্ট কি পদ্ধতিতে হবে!
অনেক জল্পনা কল্পনার পর গ্রেডিং এ রেজাল্ট দেয়া হল। তখন চতুর্থ বিষয় যোগ করা হত না। টিচারদের হাত দিয়ে নাম্বার তো আসতই না!! এখনো মনে পড়ে ১০ মার্কের একটা প্রশ্নে সুন্দর হস্তাক্ষরে লেখা উত্তরে কোন ভূল না থাকার পরও সর্বোচ্চ পাওয়া যেত ৭!!! সেটা গনিত বা সায়েন্সের বিষয়গুলো ছাড়া। নাম্বার যেন ছিল টিচারদের বাবার সম্পত্তি!! আর আমরা ছিলাম কোথাকার কোন অচ্ছুত!!!
আর এখন নাকি বলে দেয়া হয় হাত খুলে নাম্বার দেবার জন্য!!!
২০০৩ এ এসে দেখলাম নতুন মজা। চতুর্থ বিষয়ের নাম্বার যোগ করা নিয়ে মস্করা!!!
একটা মধ্যমানের রেজাল্ট নিয়ে মেডিকেল এ ভর্তি হলাম। সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজে। বুয়েট আর ঢাবি তে ভাল সাবজেক্ট পাওয়ার পরও ভর্তি হইনি।
মেডিকেলের সবগুলো প্রফ একবারে পাশ করে আসলাম গড়ে ৭৮% নাম্বার সহ।
এবার ঢাকায় চাকুরির ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে শুনতে হল অদ্ভুত কিছু কথা!!
ঢাকার অনেক বড় একটি হাসপাতালের নিয়োগ কর্মকর্তা আমার এস এস সি আর এইচ এস সির মার্কস দেখে চোখ বড় বড় করে বললেন, "আপনি তো ভাল স্টুডেন্ট না(না হতেই পারি), আপনি তো একটাতেও জি পি এ ৫ পাননি!!! মেডিকেলে ভর্তি হলেন কেমনে!!!"
শুনে একটু খারাপ লাগল।ওনাকে বুঝিয়ে বললাম আমরা গ্রেডিং পদ্ধতির প্রথম ব্যাচ। কিন্তু ওনার একটাই কথা এখন সবাই জি পি এ ৫ পায়, আমি কেন পেলাম না!!
আমার মেডিকেলের মার্কশীটগুলো দেখে কিছুক্ষণ মাথা নাড়লেন, চুপ করে থাকলেন...মেডিকেলে কেমনে ভর্তি হইলাম, এই হিসাব আর তার মেলে না!!(এখন এত এত ৫ পায়, গোল্ডেন পায় ওরা চান্স পায়না আমি কেমনে পাইলাম!!!)
এখনকার শিক্ষাবোর্ডের অদ্ভূত গ্রেডিং আর নিম্ন মানের প্রশ্নে উদার হস্তে নাম্বার দেয়ার ফলে হাজার হাজার জি পি এ ৫ আমাদের বিপদেই ফেলছে!!!
তবে মাঝে মাঝে ছেলে-মেয়েগুলোর জন্য খারাপই লাগে...এত এত জি পি এ ৫...অনেকেই আমার চেয়ে অন্তত অনেক ভাল স্টুডেন্ট, তবু বয়সের মারপ্যাঁচে পছন্দের কলেজে ভর্তি হতে পারবেনা!!!(এই টাইমে হইলে আমিও পাইতাম না!!আমি আমার ইয়ারমেটদের চেয়ে অ্যাভরেজে ২ বছর ছোট ছিলাম বয়েসে,যদিও অনেকেই বয়স ভাঁড়িয়েছিল। আর প্রথম স্কুল ভর্তির সময় ১ম শ্রেনীতে সিট খালি না থাকায় ২য় শ্রেনীতে ভর্তি হইছিলাম!)
এই বয়সের ভিত্তিতে ভর্তির বুদ্ধিটা একটা চরম নির্বুদ্ধিতা!
অনেক অনেক জি পি এ ৫ এর তুলনায় মেডিকেল,ইন্জিনিয়ারিং,ভার্সিটিগুলোতে সিট অপ্রতুল। সব জি পি এ ৫ এর জায়গাও হবে না!!
হাজার হাজার ছেলে-মেয়ে হতাশ হয়ে পড়বে...সরকারের এতে কিছুই আসবে যাবে না, তারা চক্রবৃদ্ধি হারে জি পি এ ৫ দেখাবে আর বলবে জাতি মেধাবী হচ্ছে!!
একটা অদ্ভুত দেশে আছি!!!
২৮ শে জুলাই, ২০১১ ভোর ৬:৫১
মেহেদী_হাসান বলেছেন: ১০০ ভাগ সহমত। একেবারে মনের কথাটাই লিখেছেন।
আমিও ২০০১ আর ২০০৩ এর ছাত্র। আমাদের রেজাল্ট খারাপ (এখনকার সাপেক্ষে) হলেও ঐ সময় ছাত্রের মান বোঝা যেত। এর ফলে ভর্তিতে প্রবলেম হয়নি। কিন্তু এখন চাকুরীতে এসে বিরাট প্রব্লেম ফেস করতেছি। এখন গরু গাধাদের ভাব দেখলে রাগ লাগে।
১৪| ২৮ শে জুলাই, ২০১১ ভোর ৬:২০
হুবাস্ট্যাঙ্ক বলেছেন: এখন তো ডাইনামিক গ্রেডিং এ সমস্যা হওয়ার কথা না। খুব সাধারণ মানের সফটয়্যার ব্যবহার করে এটা করতে পারার কথা। আমাদের শিক্ষকরা তো এখন নম্বর দেন OMR form এ। তাই সমস্যা টা আমি মনে করি সফটয়্যার এর হাতে অনায়াসে ছেড়ে দেয়া যায়। শুধু নীতি নির্ধারক রা এইটা করবেন কিনা কথা হচ্ছে তাই। এত সুন্দরভাবে শিক্ষার উন্নতি দেখানোর উপায় কোন সরকার ই হাতছাড়া করতে চাইবে না...।
২৮ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৭:০২
মেহেদী_হাসান বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন। এই কাজটি একটি সাধারণ মানের সফটওয়ার খুব সহজেই করতে পারে।
অপরিপক্ক গনতন্ত্রের এটাই সমস্যা, কোন ভাল কাজ একটি ভোটও কমায়, তাহলে সরকার করতে চাইবে না।
শিক্ষাব্যবস্থার প্রকৃত উন্নয়ন করার ইচ্ছা থাকলে আরো অনেক উপায় আছে এবং যাতে জনপ্রিয়তা অর্জনও করা যায়। কিন্তু সস্তা গনতন্ত্রের যুতে প্রকৃত ভাল করার থেকে ভাল করছি এটা দেখাতেই বেশি ব্যস্ত সরকার।
১৫| ২৮ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৮:১৮
নিমতিতা বলেছেন: আমি যতদূর জানি, ও লেভেল আর এ লেভেলের গ্রেডিং ও ডায়নামিক, একই মার্কে ভিন্ন বছরে ভিন্ন গ্রেড আসতে পারে।
ডায়নামিক না করুক, এক বছর ফোর্থ সাবজেক্টের মার্ক যোগ করবে না, আরেক বছের করবে। একসময় বাংলায় দুর্ধর্ষ লিখে ১০ এ সাড়ে সাত পেতে হত, (এরকম একটা/ দুটা উত্তর দিতেই পরীক্ষার ১ ঘন্টা শেষ হত)আজকাল নাকি, দশে সাড়ে আট সহজেই পাওয়া যায়। প্রথম বছর গ্রেডিংয়ে অনেকই নিশ্চয়ই বাংলায় লেটার পাননি, আজ বাংলার লেটার পেয়েই গোল্ডেনে সয়লাব দেশ।
এত গোলমালের কি দরকার? গ্রেডিং করার জন্য একটা সুস্থ্য সিস্টেম দাঁড় করানো যায়না?
২৮ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৯:৪৩
মেহেদী_হাসান বলেছেন: এজন্যই আমি বলেছি ফোর্থ সাব্জেক্টের কনসেপ্টটাই তুলে দিতে।
আর মার্ক্স এক বছরে বেশি এক বছরে কম, এক বছর প্রশ্ন সহজ আরেক বছর বেশি, এসব সমস্যার সমাধান হল ডায়নামিক গ্রেডিং।
প্রশ্ন সহজ হলে ৮০ পেলে এ- গ্রেড হতে পারে, আবার পরের বছর প্রশ্ন কঠিন হলে একই মার্কসে এ+ ও হতে পারে। মার্কস ছাত্রের কোয়ালিটির উপর নির্ভর করে না, নির্ভর করে প্রশ্নের কাঠিন্য আর স্যারের খাতা দেখার স্টাইলের উপর।
১৬| ২৮ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৮:২৫
বায়োবোট বলেছেন: একটা সমস্যা আছে।
দেখবেন আপনার সিস্টেমে ( আপনি যে আন্তর্জাতিক পদ্ধতিটির কথা বললেন) বিরাট রাজনীতির সুযোগ আছে। ক্যাঁচালে দেশ গরম হয়ে যাবে।
মনে করেন আমাদের রাষ্ট্রপতির নাতনী পরীক্ষা দিয়েছে। পেয়েছে ম্যাথ এ ৭৪। অবশ্যই ৭৪ ই হয়ে যাবে আমাদের সেই বছর ম্যাথে এপ্লাসের মার্ক।
আবার মনে করেন কোনো একটা গ্রেড ( ধরি বিপ্লাস) ৩০% স্টুডেন্ট পেল।এই বিপ্লাস উয়ালারা তো মিটিং মিছিল অনশন ধর্মঘট ভাংচুর ইত্যাদি করে দেশ স্থবির করে দিবে। এখন এই সুযোগ টা নেই।
আমার মনে হয় ২য় পদ্ধতি টাই ভালো। যেটা আছে সেটাকে সংস্কার করতে হবে।
২৮ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ১০:০৭
মেহেদী_হাসান বলেছেন: কোন বছর কততে এ+ হবে, বা কোন গ্রেড এটা সফটয়ার বের করবে স্টাস্টিকাল ডিস্ট্রিবুশন এর উপর। কিছু রুল সেট করে দেয়া থাকবে যেটা প্রতিবছর একই রকম। যেমনঃ ধরা যাক, টপ 0.২% ছাত্র এ+ পাবে এবং গণিতে অংশ নিয়েছে ২ লাখ পরীক্ষার্থী। কম্পিউটার একটা বোর্ডের সব ছাত্রের নাম্বার বেশি থেকে কমে সাজালো; তারপর টপ 0.২% = ৪০০ জনকে গনিতে এ+ দেয়া হল। এভাবে অন্যান্য গ্রেড। এখানে কততে এ+ হবে তা সেট করার সুযোগ থাকবে না। প্রথমবারের মত নিয়মসেট করার পর আর পরিবর্তনের সুযোগ থাকবে না। আর নিয়মগুলো ট্রান্সক্রিপ্টে লেখা থাকবে যে এই ভাবে গ্রেডিং করা হয়েছে।
সুতরাং বর্তমানে যেমন প্রতি বছর নম্বর স্কেল ফিক্সড, তখন পারসেন্টেজ স্কেল ফিক্সড থাকবে। আর নম্বর অটোমেটিকালী চেঞ্জ হতে থাকবে প্রশ্নের কাঠিন্যের উপর ভিত্তি করে।
তবে ৫ করে ব্যবধান রেখে ১০০ থেকে ৪০ পর্যন্ত গ্রেডিং করলেও খারাপ হয় না। বর্তমানের প্রকট সমস্যার একটা সমাধান হয়। স্থায়ী সমাধানের জন্য ডায়নামিক পদ্ধতির বিকল্প নেই।
১৭| ২৮ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৮:৪৮
ফয়সল মাহমুদ বলেছেন: দারুন লিখেছেন।
২৮ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ১০:৩৭
মেহেদী_হাসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
১৮| ২৮ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৯:১৪
তাসবীর আহমাদ বলেছেন: গ্রেড পদ্ধতিতে মাঝামাঝি মেধাবীরা বেশী মেধাবীদের কাতারে চাঞ্চ পেয়ে যায়-এভাবে মেধার প্রকৃত মুল্যায়ন হয়না।
২৮ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ১০:৪১
মেহেদী_হাসান বলেছেন: ঠিক বলেছেন। বর্তমানে চালু গ্রেডিং এ মেধার প্রকৃত মূল্যায়ন হয় না।
১৯| ২৮ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৯:৩৬
আব্দুন নূর তুষার বলেছেন: ভালো লেখা। ধন্যবাদ। এমন গ্রেডিং শুধু বাংলাদেশেই আছে। কিছু মহা শিক্ষিত মানুষ দেশের সকল কমিটিতে থাকেন। তারা যখন ভুল করেন, তখন দেশের সকল ক্ষেত্রে ভুল শুরু হয়। আমার পরিচিত এক শিক্ষাবিদ ৩১ টি বিভিন্ন কমিটিতে আছেন, যেখানে বাড়ী ঘরের প্ল্যান, পরিবেশ, শিক্ষা থেকে চলচ্চিত্র এবং প্রশাসনিক কমিটিও আছে। তিনি একাধারে সেতু থেকে বন্যা নিয়ন্ত্রন সব বোঝেন। বুঝলে দোষ নেই কিন্তু এতগুলো বিষয়ে তার মতামত দেয়ার আগে চিন্তা করার সময় কোথায়?
২৮ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ১০:২০
মেহেদী_হাসান বলেছেন: আপনি ঠিক বলেছেন।
আসলে কমিটি গুলোতে শুধু সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জানেন ও ভাল দক্ষতা আছে এমন লোক থাকাটাই উচিত। এমন আইন থাকা উচিত যে, মিনিষ্টার বাদে অন্যান্যদের জন্য কমিটি মেম্বার হতে হলে গুড র্যাংকড ইউনি থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পি,এইচ,ডি থাকতে হবে। আর আমাদের দেশে ঐরকম যোগ্যতা ওয়ালা লোকেরও অভাব নাই যারা প্রচুর জ্ঞান রাখে তাদের নিজস্ব বিষয়ে।
যখন একজন রাজনীতিবিদ নিজে বা তার চামচা নির্বোধ কমিটি শিক্ষাবিষয়ক ডিসিসান নেন, ডিসিসানটা হয় রাজনৈতিক যেমনটি হয়েছে গ্রেডিং এর ক্ষেত্রে। অদ্ভুত গ্রেডিংএর সুবাদে বছর বছর তারা শিক্ষার উন্নতি দেখিয়ে যাচ্ছেন।
২৮ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ১০:২৫
মেহেদী_হাসান বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
২০| ২৮ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ১০:০১
অ্যানালগ বলেছেন: জা রে চৌ নাকি? @ আব্দুন নূর তুষার
২১| ২৮ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ১১:০৪
মিনার বলেছেন: প্রশ্নের মান বাড়ানোটাই এখন সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ। গণহারে এ+ দেওয়া বন্ধ করতে হবে।
২৮ শে জুলাই, ২০১১ দুপুর ১:২২
মেহেদী_হাসান বলেছেন: বোর্ডগুলো নেমেছে এ+ দেবার প্রতিযোগিতায়। এ+ এর সংখ্যা কম হলে ত বোর্ড অথরীটি সুনাম বিনষ্ট হয়।
তাই এ শিষ্টেমে এ+ বাড়তেই থাকবে।
২২| ২৮ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ১১:৩১
ঘুম িপ্রয় বলেছেন: দারুন লিখেছেন।
২৮ শে জুলাই, ২০১১ দুপুর ১:২৫
মেহেদী_হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ।
২৩| ২৮ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ১১:৪৪
মিন্ট বলেছেন: গণহারে এপ্লাস, সরকার অভিভাবক সবাই কত খুশি .... মেধার বন্যায় ভেসে যাচ্ছে দেশ!!!
আসলে তারা একধরণের ডিলিউশেনর মধ্যে আছে
ইন্টারের পর ভর্তিযুদ্ধেই মেধাবন্যার আসল ব্যাপারটা বোঝা যায়,
ভাগ্যিস ভর্তি পরীক্ষার সিস্টেমটা এখনো আছে বলে কিছুটা রক্ষা!
মেধার অবমুল্যায়ন বা অতি মুল্যায়নের এই পদ্ধতির জন্য জাতিকে চরমমূল্য দিতে হবে অবশ্যই। জাতি মেধাশুন্যতায় ভুগবে।
আপনার এ লিখা সময়ের দাবী। শিক্ষাব্যাবস্থা নিয়ে আরও জানতে চাই, এ নিয়ে আরও লিখা আশা করছি
একটু অন্যটপিক, আপনি কি বুয়েট04?
২৮ শে জুলাই, ২০১১ দুপুর ১:১৯
মেহেদী_হাসান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আরো লেখা দিতে পারি, কিন্তু এটা আসলে অরন্যে রোদন ছাড়া আর কিছুই নয়।
আমি বুয়েট ০৩।
২৪| ২৮ শে জুলাই, ২০১১ দুপুর ১২:৪১
মাইন্ড দ্য গ্যাপ বলেছেন: লেখাটা খুবই ভালো হয়েছে।
এ পদ্ধতির সংস্কার করা খুব জরুরী হয়ে পড়েছে। আমার কাছে শেষোক্ত প্রস্তাবটাই আমাদের দেশের প্রেক্ষিতে যৌক্তিক মনে হচ্ছে। সেটাকেও আরো খানিকটা সরল করা যেতে পারেঃ
১। ৮০-১০০ ধাপটিকে দুই ধাপে পুনরায় ভাগ করতে হবে।
২। মোট গ্রেড পয়েন্টকে ভাগ করতে হবে চতুর্থ /ঐচ্ছিক বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে।
২৮ শে জুলাই, ২০১১ দুপুর ১:২৫
মেহেদী_হাসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
২৫| ২৮ শে জুলাই, ২০১১ দুপুর ১:৪২
এসাসিন বলেছেন: দারুন লিখেছেন
২৮ শে জুলাই, ২০১১ রাত ৮:৩০
মেহেদী_হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ।
২৬| ২৮ শে জুলাই, ২০১১ দুপুর ২:১৭
রিফাত শামস বলেছেন: এমন গণহারে এ+ একদিক থেকে আমাদের ক্ষতিই করে যাচ্ছে। প্রকৃত মেধার মুল্যায়ন তো হচ্ছেই না, অনেক সময়ই শিক্ষার্থীরা নিজেদের প্রকৃত মেধা বুঝতে পারছে না, আত্মতৃপ্তিতে ভুগছে। তারপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় যখন সে চরম বাস্তবতার শিকার হয় তখন অনেক দেরি হয়ে যায়। আর চাকরির পরীক্ষায় এস এস সি, এইচ এস সি -র ফলাফল টানাটা আমার বোকামি বলেই মনে হয়।
২৭| ২৮ শে জুলাই, ২০১১ দুপুর ২:৫৬
বিদ্রোহী-৪৬২ বলেছেন: আকাশ হইতে শিক্ষাবিদ মর্ত্যে নামিয়া আসিল, এবং শিক্ষকদিগে নির্দেশ দিল, "ইহারা যতই গণ্ডমূর্খ হউক না কেন, ইহাদিগে পাস করাইতে হইবে।" অতঃপর ইহারা পাস করিল এবং চারিদিকে আনন্দের বন্যা বহিয়া গেল। শিক্ষাবিদ ঘোষিলেন, "মর্ত্যে শিক্ষার মান বাড়িয়াছে।"
২৮| ২৮ শে জুলাই, ২০১১ বিকাল ৩:৩৪
আইডিয়াল বলেছেন: গ্রেডিং এর প্রথম ব্যাচে পড়ে রেজাল্টের অবস্থা ছিল তেজপাতা। যদিও যে কয়টি ভার্সিটিতে পরীক্ষা দিয়েছিলাম সবগুলিতে একটা না একটা সাবজেক্টে হলেও টিকেছিলাম। তার পর আবার অনার্স এ হল ক্লাস সিস্টেম। যথারীতি ২য় বিভাগ। কিন্তু এখানে যদি গ্রেডিং হত তাহলে অন্তত জিপিএ ৩ তোলা অনেক সহজ হত।
গত দেড় বছর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিজের যোগ্যতা থাকলেও আবেদন করতে পারিনি শুধু জিপিএ কম থাকার কারনে।
আল্লাহর রহমতে ১ তারিখে সরকারী ১ম শ্রেণী চাকরি তে যোগদান করব।
২৯| ২৮ শে জুলাই, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০৩
ছাইচাপা আগ্নেয়গিরি বলেছেন: খুবই তথ্যবহুল পোস্ট । পড়ে ভাল লাগলো । সরাসরি প্রিয়তে রাখলাম ।
আমি স্ট্যান্ড/স্টার সিস্টেমের লাস্ট ব্যাচের স্টুডেন্ট ! মা-বাবাকে এখনও ধন্যবাদ দেই এক বছর আগে স্কুলে ভর্তি করানোর জন্য !!
৩০| ২৮ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১০:০৪
আত্মমগ্ন আিম বলেছেন: আব্দুন নূর তুষার বলেছেন: ভালো লেখা। ধন্যবাদ। এমন গ্রেডিং শুধু বাংলাদেশেই আছে। কিছু মহা শিক্ষিত মানুষ দেশের সকল কমিটিতে থাকেন। তারা যখন ভুল করেন, তখন দেশের সকল ক্ষেত্রে ভুল শুরু হয়। আমার পরিচিত এক শিক্ষাবিদ ৩১ টি বিভিন্ন কমিটিতে আছেন, যেখানে বাড়ী ঘরের প্ল্যান, পরিবেশ, শিক্ষা থেকে চলচ্চিত্র এবং প্রশাসনিক কমিটিও আছে। তিনি একাধারে সেতু থেকে বন্যা নিয়ন্ত্রন সব বোঝেন। বুঝলে দোষ নেই কিন্তু এতগুলো বিষয়ে তার মতামত দেয়ার আগে চিন্তা করার সময় কোথায়?
অত্যন্ত মূল্যবান একটা কথা বলেছেন।
কবে যে এ থেকে মুক্তি মিলবে!!
৩১| ৩১ শে জুলাই, ২০১১ ভোর ৪:৩৯
উবুনটু বলেছেন: ভাই মেহেদী হাসান, আপনার লেখাটি খুবই ভালো। খুবই প্রয়োজনীয় একটা দিক তুলে ধরেছেন।
কিন্তু আপনি যেভাবে আপনার অনুজদের গাধা গরু বলছেন সেটা দৃষ্টিকটু। এখানে যাদের কথা বলছেন এটা তাদের দোষ না।
গ্রাজুয়েশনের পরে বা চাকরীর আগে পার্ট নেয়ার মতো S.S.C & H.S.C এর রেজাল্ট ছাড়া আরও অনেক কিছু আছে। পার্টটাইম জব এক্সপেরিয়েন্স, পাব্লিকেশান্স (জার্নাল), রিসার্চ ব্যাকগ্রাউন্ড, এক্সট্রাকারিকুলার এক্টিভিটিস। এগুলো ভালো থাকলে S.S.C & H.S.C এর রেজাল্ট খুব একটা কাজে দেয় বলে মনে হয় না।
৩২| ১০ ই নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১১
রজনীগন্ধা বলেছেন: জিপিএ সিস্টেমটার পরিবর্তন আনা দরকার। ডাবল জিপিএ-৫ নিয়েও কোন ভার্সিটিতে ত চান্স পায়-ই নাই, বরং ফেল করার ও যোগ্যতা নাই (আমি মনে করি ফেইল করতেও যোগ্যতা লাগে) এসব ক্ষেত্রে জিপিএ-৫ শুধু বোঝা!
ভাল লাগল লেখা
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে জুলাই, ২০১১ রাত ২:৫৪
জিকসেস বলেছেন: ভাল লেগেছে। এখানে শেয়ার করে দিলাম।