![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হতে পারে এটা আমার বংশগত রোগ । আমার আত্মীয়-স্বজন তিনকূলের মধ্যে পুলিশ বলতে ছিলেন আমার এক সৎচাচার শশুর । তিনি এখন অবসরে । কাকার বিয়েটা লাভ ম্যারেজ । তারপরও আমার দাদার একমাত্র আপত্তির বিষয়টি ছিলো মেয়ের বাবা পুলিশ । মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দাদা শুধু সে কারণেই বিয়েটা মেনে নেন নি ।
আর আমার একসময়ের ক্লাস ফ্রেন্ড মিঠু এখন পুলিশে চাকরি করে । চাকরিতে জয়েন করার পরে ও যখন আমার সাথে দেখা করতে এলো, আমি ওর চোখের দিকে তাকাতে পারি নি । ওর বাবাও পুলিশ । নিষিদ্ধ রক্ত তো ওর ধমনীতে বহমান । আমি নিশ্চিত- এতদিনে ওর শরীর কোনো নিরাপরাধীর রক্তে স্নাত হয়ে গেছে ।
স্ববিরোধিতাই যে একটা পুলিশের একমাত্র পরিচয়, তা-ই নয় । এরা একই সঙ্গে শ্বাপদ, শকুন ও রেপিস্টের ভূমিকায় নামে হরহামেশাই । যেই পুলিশ একসময় রাশেদখান মেনন ও মতিয়া চৌধুরীর মতো মানুষকে কুকুরের মতো রাজপথে পিটিয়েছে । মতিয়াকে তো বিবস্ত্র করে ছেড়েছে । সেই পুলিশই জয়নাল আবেদীন ফারুক ও পাপিয়াকে হিংস্র হায়েনা হয়ে লাথিয়েছে । বিবস্ত্র করেছে মাহমুদুর রহমানকে । আকবরের মতো বৃদ্ধ সাংবাদিকের বুকে বুটের আঘাতে চিরদিনের জন্য স্তব্ধ করে দিয়েছে ।
ওদের কর্মকাণ্ড এত অমানবিক ও এতটা নিষ্ঠুর, একপৃষ্ঠা কোট করে রাখার পরও এখন লিখতে আমার ঘেন্না লাগছে ।
গতবছর এইডস রোগীদের উপর একটা জরিপ চালিয়েছিলো একটা বিদেশি সার্ভেয়ার গ্রুপ । সেখানে এইডস আক্রান্ত একটি মেয়ে তার উপর পুলিশের পাশবিক নির্যাতনের যে বর্ণনা দিয়েছে, তার পরে আমার আর পুলিশকে মানুষ মানা সম্ভব হয় নি । সেই মেয়েটিকে থানায় আটকে রেখে পুলিশের অফিসার থেকে শুরু করে দারোয়ান পর্যন্ত ভোগ করেছে । রেপ করেছে । এইডসের ভাইরাস পুশ করে তবে ছেড়েছে ।
মোহাম্মাদপুরের গাঁজার আসরের প্রধান গ্রহিতা ও বিক্রেতা যে পুলিশের হাজারও সদস্য, এ ব্যাপারে কারো সন্দেহ আছে বলে মনে হয় না । এ দেশে একদল বদমাশ গুন্ডাকে প্রশ্রয় দেয় সরকার । আরেকদল গুন্ডা পালে বিরোধী দল । এবং এই দুইটি দলকেই মদদ দেয় পুলিশ । কালাজাহাঙ্গির থেকে শুরু করে যত বড় বড় সন্ত্রাস-গডফাদার এদেশে সৃষ্টি হয়েছে, তার পেছেনের মূল কারিগর পুলিশ ছাড়া আর কেউ নয় ।
জগলু গ্রুপের প্রধান কানা ছালেক যদি থানায় যায়, ওসি সাহেব জামাই স্বরে বলবেন, আরে ছালেক ভাই, আপনি তো আমাদের ভুইলাই গেছেন । এই ছালেক সাহেবকে চা দাও । আর যদি স্বয়ং জগলু নিজেই উপস্থিত হয়, তাইলে তো কথাই নাই । হাঁকডাক দিয়া পুরা থানা তোলপাড় । ওসি-দারোগা সব কদমবুচি করতে করতে একাকার । ওসি হয়তো মুখ ঝামটে বলবেন, যান, আপনের লগে কথা কমু না । হেই বিষ্যুদবার আপনেরে দেখছি, আর কোনো দেখা-সাক্ষাৎ নাই । আমাগো ভুইলা গেলে কই যামু কন !...
রিমান্ডে পুলিশ যে নিপীড়ন চালায়, তার ভাষা কি আপনাদের জানা আছে ? আপনারা অনেকেই হয়তো এই আধুনিক যুগে মৃত্যুদণ্ডের বিপেক্ষে কথা বলেন, তাদের কাছে মৃত্যু কি রিমান্ডের অত্যাচার থেকে বেশি মানবিক ? আপনি কি জানেন ৫৪ ধারার মতো একটি জারজ আইনের মাধ্যমে কিভাবে কোনো কারণ ছাড়াই সাধারণ মানুষকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ? জানেন কি পুলিশে গ্রেপ্তার হওয়া ৮০% লোক জানে না, তারা কী অন্যায়ে থানা বা কোর্টে যাচ্ছে ?
এসব কথার স্বীকৃতি আজকাল খোদ পুলিশ নিজেও দেয় । এর পরে একটা খোঁড়া অজুহাত দাঁড় করিয়ে তাদেরকে আনা হয় ইন্টারগেশন সেলে । সেখানে পুরুষের পেনিসে কারেন্টের শক এবং মহিলাদের নিতম্বে দেয়া হয় ইস্ত্রি মেশিনের ছ্যাঁকা । পুলিশ এটাকে হাসতে হাসতে বলে ‘ডলা’ । আদালতে হয়তো এই ডলা খাওয়া লোকটির কোনো সাজাই হয় নি । বিশ্বাস হয় না ? ‘জর্দ্দা জামাল’- এর সিনটায় একবার চোখ বুলাইয়েন ।
দেশের অস্থির সময়ে তো পুলিশের পোয়াবারো । যত মানুষ ধরবে, তত পকেট ভরবে ।পিটিয়ে পিটিয়ে কিংবা চাপতি দিয়ে কুপিয়ে হাতের ঝাল মেটাবে । কোম্পানীর সেলসম্যানদের মতো এদের তখন টার্গেট নির্ধারণ করে দেয় হয়, দৈনিক সপ্তাহে ও মাসে এত ‘ক্রিমিনাল’ ধরে আনেতে হবে । আরে ভাই, ক্রিমিনাল যদি ধরতে না পারে তাহলে পুলিশে চাকরি থাকবে কী করে ? প্রমোশন তো দূরের কথা । তাই ক্রিমিনাল পয়দা করতে হয় প্রথমে ।
সায়েন্টিসদের মতে বড় বড় ক্রিমিনালরাও তাদের ক্রাইমে কোনো না কোনো খুঁত রেখে যায় । এই খুঁত চিহ্নিত করে পুলিশ । একমাত্র পুলিশই পারে নিখুঁত ক্রাইম করতে । কারণ খুঁতগুলো তারা জানে । বলেন তো কথাটা কোন বিখ্যাত পুলিশ অফিসার বলেছিলেন ?
আমাদের দেশের দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পেছনে সবচে’ বেশি অবদান কার, জানেন তো ? এবং দেশের সবচে’ দুর্বিনীত সংস্থা কোনটি সেটা জানেন ?
এরপরও এই পুলিশদের সবচে’ কুখ্যাত সদস্যরা তাদের ‘অবদান’- এর স্বীকৃতিতে এওয়ার্ড পায় ! যেমন, এডিসি মেহেদি হাসান ।
মানুষের রক্তে গোসল করার তৃষ্ণায় রাতে ঘুমাতে পারে না এরা । রাতের আঁধারে জারজ হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে নিরীহ নিরস্ত্র মানুষের উপর । লাখো লাখো গুলি বর্ষণ করে মানুষ হত্যার মহাউৎসবে উল্লাস করে । দেখেছেন তো, কত বিকৃত আনন্দ নিয়ে এরা মানুষকে মারে । একজন পুলিশ কাউকে ধরে রাইফেল দিয়ে পেটাচ্ছে । পাগলা কুত্তার মতো আরো কয়েক জন সেই আধমরা মানুষটার উপর বেধড়ক লাঠি চালাবে । যখন লোকটা রাস্তায় পড়ে তড়পাচ্ছে । ঠিক তখন এসে এক হায়েনা তার উপর কয়েক রাউন্ড গুলি চালিয়ে দেবে । তারপর সাংবাদিকদের সামনে এসে গলা উঁচিয়ে বলবে- আন্দোলন মারাইতে আসছে । আন্দোলন একদম…..দিয়া ঢুকায়া দিমু । কোনো সাংবাদিক প্রতিবাদ করলো তো, তাকেও একলাছা লাঠির বাড়ি লাগাবে আর বলবে, পিটা অরে । ধুর, সাংবাদিক পেটালে কিছু হয় না । বেশ । বেশ ।
হয়তো এই কারণেই মানবতাবাদী কম্যুনিষ্টদের (জনযুদ্ধ) টার্গেটে পড়েছে পুলিশ । খুলনায় তারা ছ’মাসে ২২ পুলিশকে জবাই করে দিয়েছে । সাঈদীর ফাঁসীর রায়ের পরে অন্তত দেড়শ’ মানুষকে গুলি করে হত্যা করেছে পুলিশ । বিনিময়ে গেছে ওদের চারটে তরতাজা প্রাণ ! ওই দেড়শ’ তো কোনো প্রাণ না, ময়লা । আর শাপলা চত্বরে মেরেছে কত কে জানে ? ওখানে তো ব্যাপক উৎসবের আমেজ । পরদিন চিটাগং রোডে মরেছে দুই পুলিশ আর বিশজন সাধারণ মানুষ । অর্থাৎ পুলিশ মানুষের কাতারে ছিলো না ।
তাই তো বলি- ওরা মানুষ না পুলিশ ।
আমাকে এ যুক্তি শুনিয়ে লাভ নেই যে, ওদের মধ্যেও তো ‘সৎপুলিশঅফিসার’ আছে । হ্যাঁ আছে । এজন্যই গোবরে পদ্মফুলের মতো তাদের নামের সাথে ‘সৎ’ শব্দটি যোগ করতে হয় । নইলে বাকি তো সব হায়েনা । কই কোনো ব্যাংকার, কিংবা কোনো ডাক্তারকে তো বলতে হয় না সৎব্যাংকার বা সৎডাক্তার ?
হুমায়ূন আহমেদ দিয়ে শেষ করি । একজন হিমু ও কয়েকটি ঝিঁঝিঁ পোকা বইতে তিনি লিখেছেন-
“এই যে ঘটনাগুলি ঘটে, আপনাদের হাতে লোকজন মারা যায়, আপনাদের খারাপ লাগে না ?
ওসি সাহেব সিগারেটে লম্বা টান দিতে দিতে বললেন, সত্যি কথা জানতে চান ?
‘হ্যাঁ জানতে চাই ?’
‘পরনে যখন খাকি পোশাক থাকে তখন খারাপ লাগে না । বাসায় গিয়ে যখন লুঙ্গি গেঞ্জি পরি তখন খারাপ লাগে ।
‘তাইলে লুঙ্গি গেঞ্জি পরে অফিসে এলেই হয় ।…..চোরের পেছনে লুঙ্গিতে মালকোচা দিয়ে দৌড়াবেন ।…..”
ভাই, যারা আমার এই দীর্ঘ লেখাটা পড়বেন, একবার বলে যাবেন, মনুষ্যত্বের এই দুর্দিনে পুলিশ নামের জানোয়ারগুলোকে রাষ্ট্রের কেন পেলে পুষে রাখতে হয়, জানেন ?
হয়তো এ লেখার কারণে আমি এ্যারেস্ট হয়ে যেতে পারি । বাকস্বাধীনতার যথেচ্ছাচার করেছি হয়তো আমি । আর আশ্চর্যর বিষয়, এ্যরেস্ট করতে আসবে সেই স্বাধীনতা আর মানবতার সবচে’ ক্ষতিকারক কীট ওই পুলিশ । অনুরোধ- আমাকে ধরতে যেন অন্য কোনো বাহিনী পাঠায় ।
১৯ শে মে, ২০১৩ রাত ১:৫২
মনযূরুল হক বলেছেন: আপনাকেও...
২| ১৯ শে মে, ২০১৩ রাত ১:৫০
নানাভাই বলেছেন:
১৯ শে মে, ২০১৩ রাত ১:৫৪
মনযূরুল হক বলেছেন: এইটা পুলিশ না তো ! পুলিশি স্যালুটে দরকার নাই...
৩| ১৯ শে মে, ২০১৩ রাত ২:১১
খেয়া ঘাট বলেছেন:
সুন্দর একটা রাজপ্রাসাদ বানানো হলো। রাজপ্রাসাদের সব ঠিকঠাক। কিন্তু সমস্যা হলো- রাজপ্রাসাদের প্রতিটি ঘরের ভিতর যে বাথরুম, খাবার ঘরের বেসিন, ফ্রেসরুম, কিচেন রুম সব জায়গার পানি নির্গমনের কল থেকে মারাত্মক রকমের দূষিত পানি বের হয়।
এরপর প্লাম্বার ডেকে আনা হলো । পানি নির্গমনের সব পাইপ পাল্টে দেয়া হলো । কিন্তু সমস্যার সমাধান হলোনা।
তারপর আনা হলো- প্রধান কারিগর । উনি বললেন- রাজপ্রাসাদের ভিতরে যে পাইপ আছে তাতে কোনো সমস্যা নেই।মূল সমস্যা হলো- কেন্দ্রীয় পানি সংরাক্ষানাগার যেখান থেকে পানি সরবরাহ করা হয়। মূল জায়গা পরিস্কার না করে যতই ভিতর নাট-বল্টু, লোহা-লক্কড় বদলানো হোক, চকচকে স্টিনলেস লাগানো হোক কোনো সমাধান হবেনা।
পুলিশের বাপের ক্ষমতা আছে মতিয়া -জয়নালকে পিটানো যদি ওপর থেকে নির্দেশ দেয়া না হয়।
পুলিশ খারাপ তবে একচেটিয়া ভাবে সব পুলিশকে দোষারোপ করা ঠিক না।
পুলিশের জীবন আমি খুব কাছে থেকে দেখেছি ভাই। মানবেতর জীবন যাপন।
নিজের ওয়াইফ প্র্যাগনেন্ট হসপিটালে , মা হাসপাতালে, একদিনের জন্য ছুটি নাই পুলিশের।
সামান্য পেনশনের আশায় রোদ, গরম , বৃষ্টিতে এই পুলিশকে ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়ে দায়িত্ব পালন করতে হয়।- এসব বললাম- সাধারণ রেংকের পুলিশদের কথা ।
এবার. বলি। ডিআইজি ... এসপি পদমর্যাদা অফিসারদের কথা।
বেতনের যে টাকা হয় তাতে সামাজিকতা রক্ষা করা হয়না। এই অধমকে বিদেশে কামলা দিয়ে ওদের পরিবারের খরচ চালাতে হয়।
নাম উল্লেখ করছিনা.. পুলিশ অফিসারকে হয়তোবা অনেকেই চিনতে পারবেন।
ভাবীর পরনের শাড়ি দেখে নিজের মায়া হলো। বললাম- এই শাড়ি পড়ার কি দরকার ছিলো। বললেন- কারণ সুতীর শাড়ির চেয়ে এ ধরণের শাড়ি বেশি টেকে।
মন্ত্রি মহোদয় বললেন- ডিআইজিকে চলো বিকেল বেলা গ্রামের পথে হেঁটে আসি। ডিআইজির না বলার ক্ষমতা নাই।
এখন কোনো পাগল এসে যদি অথবা অন্য কেউ মন্ত্রীকে আঘাত করে তবে দোষ হবে পুলিশের ।কেননা- মন্ত্রির নিরাপত্তা বিধান করা হয়নি।
আমি জিগ্গাসা করলাম- এরকম পরিস্থিতিতে কি করেন।
কিছুই করার নেই। কারণ আদেশ না মানলেও সমস্যা। আবার কিছু হলেও চাকুরি নিয়ে টানাটানি।
সব পুলিশ খারাপ না ভাই। একচেটিয়া পুলিশকে দোষারোপ করা ঠিকনা। যে দেশে একজন বিসিএস পাশ করা ক্যাডার অফিসার সামান্য একজন দলীয় ছাত্র ক্যাডারের কাছে জিম্মি হয়ে থাকে, সেখানে ঢালাওভাবে পুলিশদের দোষ দিয়ে লাভ নাইরে ভাই।কিছু ফিরিশতা পুলিশ আছে।কিন্তু করার কিছু নাই।
আরো লিখার ইচ্চে ছিলো। কিন্তু কথা চালাচালি আর তর্ক করার মতো অবস্থা আর নাই। আর করেও শেষে গিয়ে দেখা যায় লাভের লাভ কিছুই হয়না।
শুভকামনা। ভালো থাকুন।
১৯ শে মে, ২০১৩ রাত ২:২৪
মনযূরুল হক বলেছেন: সেইসব ‘সৎপুলিশঅফিসারদের’ জন্য রইলো অফুরান শুভ কামনা...কিন্তু বেতনের জন্য জারজ হায়েনাদের মতো মানুষ হত্যার মহোৎসব যারা করে, ওরা কেবল পুলিশ, মানুষ না...
সরকার বলছে পুলিশ আহত হলে ২ লাখ আর নিহত হলে ৫ লাখ..অমনি ওরা গণহত্যায় নামবে ? ভাই, একটা বিড়াল যদি আগুনে পড়ে, তার জন্যও আমাদের মায়া হয়...কিন্তু কুকুরের মতো রজপথে মানুষ হত্যা করে যারা রক্তে গোসলের সাধ মেটায়, তারা কি ? তাদের মানুষ বলতে আপনার মানবিকতায় বাঁধবে না ?
আরো বলতাম...এত রাতে ভাল লাগে না...
৪| ১৯ শে মে, ২০১৩ রাত ২:২৮
এনজামান বলেছেন: ভাই তাদের কে যারজ বললেন, বলাটা কম হয়ে গেলো যদি বলতেন আমাদের সমাজে যদি কোন নিতক্রিস্ট মানের প্রাণী থাকে তাহলে এরাই আছে , কারন বাংলাদেশের ১৬ কুটি মানুষ কোন না কোন ভাবে এদের দারা ক্ষতি গ্রস্ত, এবং আক্রান্ত
১৯ শে মে, ২০১৩ রাত ২:৪৬
মনযূরুল হক বলেছেন: বলাটা কম হয়ে গেলো যদি বলতেন আমাদের সমাজে যদি কোন নিতক্রিস্ট মানের প্রাণী থাকে তাহলে এরাই আছে , কারন বাংলাদেশের ১৬ কুটি মানুষ কোন না কোন ভাবে এদের দারা ক্ষতি গ্রস্ত, এবং আক্রান্ত ........সহমত
৫| ১৯ শে মে, ২০১৩ রাত ২:৫৯
আহমেদ রিজভী বলেছেন: পুলিশ ই হব । বাংলাদেশে এখন এইটাই চাকরি । জাতটা যেমন মাদারচুদের তার দারোয়ানটাও মাদারচুদই হবে । যার মাথা ঠিক নাই তার আবার দেহের ভাল মন্দ !
১৯ শে মে, ২০১৩ সকাল ৮:৪৪
মনযূরুল হক বলেছেন: কেন ওদের মাথায় কি সকাল সন্ধ্যা গোবর ঢুকায় ? খায়ও কি গোবর ?
৬| ১৯ শে মে, ২০১৩ সকাল ৭:৪৪
জাহাঙ্গীর জান বলেছেন: আমি দুর্নীতির জনক বলব পুলিশকে,
১৯ শে মে, ২০১৩ সকাল ৮:৪৫
মনযূরুল হক বলেছেন: জনক না বলে জন্মদাতা বলেন...জনক শব্দতে একটু সম্মানের গন্ধ আছে...
৭| ১৯ শে মে, ২০১৩ সকাল ৮:৫১
মোঃ আব্দুস সালাম বলেছেন: ভাই বাংলাদেশের পুলিশ খারাপ। মানলাম কিন্তু ভাল কে? ডাক্তার , ইঞ্জিনিয়ার, সরকারি কর্মকর্তা সবাই ই খারাপ। আপনার লেখা পড়ে যা বুঝলাম যে আপনার সাথে খারাপ পুলিশদের মোলাকাত বেশী হয়েছে তাই তাদেরকেই শুধু খারাপ বল্লেন। তবে আমি মনে করি যে গোড়া ঠিক নাহলে দোষদিয়ে লাভ নাই। কারন সবাইই খারাপ। তবে আপনি চেষ্টা করেন ভাল থাকতে। আশপাশের মানুষকে ভাল রাখতে।
১৯ শে মে, ২০১৩ সকাল ৯:১৮
মনযূরুল হক বলেছেন: সত্যই বলেছেন, আমার সাথে পুলিশের মোলাকাত বেশি হয়েছে...কারণ তিনবার এ্যারেস্ট হয়েছি আমি...তবে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারের সাথে মোলাকাত হয়েছে হাজার হাজার বার ...আমার শরীরে মেজর অপারেশন হয়েছে তিনটা...আপনি যে, গোড়ার কথা বলেন, সেই গোড়ার ৫ পয়সার ক্ষমতা থাকবে না, যদি পুলিশ তাদের মদদ না দেয়...অন্যায় আদেশের প্রতি সাধারণ মানুষ রুখে দাঁড়িয়ে যদি পাখির মতো গুলি খেয়ে মরতে পারে, তাইলে পুলিশ কোন চামড়ার তৈরি ?...ওরা ঘুরে দাঁড়াতে পারে না ? দাঁড়াবে না...এই জনমেও না..কারণ, ওদের রক্তের মধ্যে দোষ আছে...জন্মের দোষ...
৮| ১৯ শে মে, ২০১৩ সকাল ৮:৫৮
ভিটামিন সি বলেছেন: আমার জীবনে একটাও সৎ পুলিশ দেখি নাই। একবার পত্রিকায় দেখেছিলাম চট্রগ্রামে স্টেডিয়ামের ভিতর এক বয়স্ক সাংবাদিককে পুলিশ লাথি, বন্দুক দিয়ে মারছে। আর বয়স্ক সাংবাদিকটা মার থেকে বাচতে দুই হাত জোড় করছে। এর পর থেকেই আমার মাথায় ঢুকে যায় পুলিশ দেখলেই ইটা মারো। কিন্তু আজ পর্যন্ত মারি নাই। বর্তমানে পুলিশ আমার খুব কাছের আত্মীয়। তাই কাছে পেয়েও ইটা মারতে পারি না।
১৯ শে মে, ২০১৩ সকাল ৯:২২
মনযূরুল হক বলেছেন: সৎপুলিশ আমি দেখছি..কিন্তু ভাই, ভোদাই পুলিশ মানেই সৎপুলিশ না...তবে সেই সৎপুলিশকেও আমার অসৎই মনে হয়েছে । কারণ, তারা চোখের সামনে অন্যায় দেখেও কখনো কিছু বলে না...চাকরির দোহাই দেয়...মনে হয় যেন, আল্লার দুনিয়ায় জব্বর চাকরি এই একখান...এইডা ছাড়লেই ভাত-কাপরে মরবে...ক্যারে, অর কারণে কত নিরাপরাধ মানুষ যে ঠাডায়া রাস্তায় মরে, তাতে কিছু হয় না ? আর পুলিশ ছাড়া দুনিয়ার হগগলতে কি না খায়া মরে ?
৯| ১৯ শে মে, ২০১৩ সকাল ৯:০৫
ভিটামিন সি বলেছেন: যারা এখনো বলেন পুলিশের বেতন কম তারা তাদের বেতন স্কেল সম্পর্কে জানেন না। সব চেয়ে বেশি বেতন পায় এখন র্যাব, তারপর ট্রাফিক পুলিশ, তারপর সাধারণ পুলিশ। এইসব পুলিশের চেয়ে কম বেতন পায় বিজিবি, আর্মি, নৌবাহিনী। কারণ পুলিশের ভাতা অনেক বেশি। আমার জানা একজন কনস্টেবল বলেছে সে সরকারি বেতন উত্তোলন করে ১৭০০০.০০+ রেশন বিক্রি করে ২৮০০.০০ টাকা। তিনি বলেন আরো অনেক অবৈধ রাস্তায় টাকা আসে থানায় যেটার ভাগ কম বেশি সবাই পায় রেঙ্ক অনুযায়ী। কথা হলো বাংলাদেশে কতো পার্সেন্ট লোকের মাসিক ইনকাম ১৫০০০.০০ টাকা (খরচ বাদে)। যখন দায়িত্বের কথা বলবেন, তখন আমি বলবো তাদেরকে কেউ নিয়ে যায়নি। তারা দায়িত্ব কর্তব্য, অবৈধ ইনকাম সব কিছু চিন্তা করেই এই জব নিয়েছেন। তাদের যদি না পোষায় তবে জব ছেড়ে দিয়ে চানাচুর বিক্রি করলেই পারে। যেমন আমরা প্রবাসীরা শত কষ্ট হবে জেনেও প্রবাসে পাড়ি জমাই।
১৯ শে মে, ২০১৩ সকাল ৯:২৪
মনযূরুল হক বলেছেন: কেন, গার্মেন্টেসের শ্রমিকরা কাজ করে না ? পুলিশ তো তাদের কাছ থেকেও ঘুষ নেয় । খয়রাতির কাছ থেকেও পয়সা চায়...বেতন-ফেতন কিছু না...আসলে ওদের রক্তের দোষ....
১০| ১৯ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:৩৯
প্রাচীন মানব বলেছেন: আপনি পুলিশকে জারজ মনে করেন ?? কিন্তু আপনি কি জানেন জারজ কিভাবে পয়দা হয় ?? জারজের জন্মের জন্য সে দায়ি নয়, দায় তার জন্মদাতা এবং জন্মদাত্রির। জন্মদাতা এবং দাত্রির অনৈতিক সম্পর্কের ফসল এই জারজ। তাহলে আপনি দোষ দিবেন কাকে এই জারজ কে নাকি তার পিতা-মাতা যারা নিজেদের আনন্দের জন্য তাকে নিয়ে এসেছে পৃথিবীকে।
কোন পেশাকেই অসম্মান করা উচিৎ নয় ভাই। কারন পথ পথিকের সৃষ্টি, পথিক পথের সৃষ্টি নয়। ভাল থাকবেন।
১৯ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:৩৮
মনযূরুল হক বলেছেন: পেশাকে এখানে অসম্মান করা হয় নি..ব্যাক্তির কুকর্ম তুলে ধরা হয়েছে । জারজের জন্মদাতা যেই হোন, তাতে কি আসে যায় । সমাজে তাদেরকে বেশ মুল্যায়নও করা হয় । কিন্তু যে লোক সঠিক জন্মপদ্ধতিতে এসেও জারজের মতো আকাম করে বেড়ায়, তাকে জারজ ছাড়া আর কী বলা যায় ?
১১| ১৯ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:৫০
বিলাল বলেছেন: প্রাচীন মানব বলেছেন: আপনি পুলিশকে জারজ মনে করেন ?? কিন্তু আপনি কি জানেন জারজ কিভাবে পয়দা হয় ?? জারজের জন্মের জন্য সে দায়ি নয়, দায় তার জন্মদাতা এবং জন্মদাত্রির। জন্মদাতা এবং দাত্রির অনৈতিক সম্পর্কের ফসল এই জারজ। তাহলে আপনি দোষ দিবেন কাকে এই জারজ কে নাকি তার পিতা-মাতা যারা নিজেদের আনন্দের জন্য তাকে নিয়ে এসেছে পৃথিবীকে।
কোন পেশাকেই অসম্মান করা উচিৎ নয় ভাই। কারন পথ পথিকের সৃষ্টি, পথিক পথের সৃষ্টি নয়। ভাল থাকবেন।
"" কিন্তু আপনি কি জানেন জারজ কিভাবে পয়দা হয় ??""---------ওয়াও।
১৯ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:৩৯
মনযূরুল হক বলেছেন: "" কিন্তু আপনি কি জানেন জারজ কিভাবে পয়দা হয় ??""---------ওয়াও।
১২| ১৯ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:১৪
খেয়া ঘাট বলেছেন: "" কিন্তু আপনি কি জানেন জারজ কিভাবে পয়দা হয় ??""
বাংলাদেশের প্রতিটি সেক্টর যতদিন পর্যন্ত রাজনৈতিক দুর্বত্তায়ন থেকে মুক্তি না পাবে ততদিন পর্যন্ত এরকম জারজ সন্তান নিয়েই আমাদের ঠিকে থাকতে হবে।
আরেকটি কথা- বলছেন চাকুরি ছেড়ে দেয়ার জন্য। যারা পুলিশের উপরের রেংকে আছেন, তারা চাকুরি ছেড়ে দেবেন? এতো সরল সমীকরণ হলেতো ভালোই ছিলো। কিন্তু ঐ যে রাজনৈতিক বাঘ। এমন ভাবে থাবা দিবে। হয়তোবা মেরে ফেলবে নয়তোবা জীবনের জন্য ফাঁসিয়ে দিবে। পুলিশ হলো ক্ষমতাশীন দলের লাঠিয়াল।
এক মন্ত্রনালয় থেকে বলবে মামলা নিতে হবে, অন্য মন্ত্রণালয় থেকে বলবে মামলা নিলে খবর আছে। এবার বুঝেন ঠেলা। আর যত সহজে এক বাক্যে বলে শেষ করলাম- এতো সহজ হলেতো ভালো ছিলো। এ রাজচক্র এর মর্মভেদকরা বড়ই কঠিন।
ভাই, আবেগতাড়িত না হয়ে। সবদিকের দোষ-ত্র্রুটি নিয়ে একটা পোস্ট দেন। অবশ্যই সাথে আছি। নিরন্তর শুভকামনা।
১৯ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:৪০
মনযূরুল হক বলেছেন: এক পোস্টে কি সব দোষ-ত্রুটি নিয়ে আসা সম্ভব ? আলোচনা হবে..চলবে..বিতর্কের মধ্য দিয়ে ভালো কিছু বেরিয়ে আসবে ।
১৩| ১৯ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:৪৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হয়তো এ লেখার কারণে আমি এ্যারেস্ট হয়ে যেতে পারি । বাকস্বাধীনতার যথেচ্ছাচার করেছি হয়তো আমি । আর আশ্চর্যর বিষয়, এ্যরেস্ট করতে আসবে সেই স্বাধীনতা আর মানবতার সবচে’ ক্ষতিকারক কীট ওই পুলিশ । অনুরোধ- আমাকে ধরতে যেন অন্য কোনো বাহিনী পাঠায় ।
+++++++++++++++++++++++++++++++++
১৯ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:০২
মনযূরুল হক বলেছেন: ===========================
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে মে, ২০১৩ রাত ১:৪৮
নানাভাই বলেছেন: আপনারে স্যালুট ।