নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনযূরুল হক

ভালো আছি

মনযূরুল হক

ভালো আছি

মনযূরুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

বুর্জোয়া পলিটিক্স ও ভালোবাসার ভাষা আলাদা

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৯

মাহমুদুর রহমান আমার দেশ করেছেন, বিএনপি করেছেন । আমার দেশ-এ তিনি যে ইসলামিক পলিটিক্সকে সাপোর্ট করে রিপোর্ট করেছেন এবং দেশের ফ্যাসিস্ট গোষ্ঠীর মুখোশ খুলে দিয়েছেন, সে জন্য তাকে বীর বলা হতে পারে। হয়েছেও।

কিন্তু তাকে ভালোবাসা যায় কি না, সে এক বিরাট প্রশ্ন । তাকে ভালোবাসলে ইনকিলাবের আব্দুল মান্নানকেও ভালোবাসতে হয়, যদিও দু’জনের ব্যক্তিত্ব ও পরিচিতি আলাদা। তবে কর্ম ও ক্ষেত্রের বিবেচনায় তেমন তফাৎ রাখেন না।

তার ওপর যে ইনজাস্টিস হয়েছে, আমি তার প্রতিবাদ করি, নিন্দা জানাই। যেমন যুদ্ধাপরাধের নামে যে ন্যায়বহির্ভূত বিচার হচ্ছে, আমি তারও প্রতিবাদ করি। হ্যাঁ, মুসলমান হিসেবে এবং বাংলাদেশি রক্ত ধারণ করার কারণেই আমি চাই, মুক্তিযুদ্ধে নৃশংসতম কাণ্ডের হোতারা বিচার পাক; অবিচার নয়। যে ডাকাতি করেছে, তাকে দেশান্তর করা হোক; আর যে ব্যভিচার করেছে, তাকে প্রস্তরাঘাতে হত্যা করা হোক- আমার আপত্তি নেই। আমার আপত্তি অবিচারে।

একটা গোপন কথা বলি, আমার দেশের যেই নিউজটা নিয়ে সবচে’ বেশি বিতর্ক হয়েছে, অর্থাৎ ‘হেরেম শরিফের ইমামগণ সাইদির বিচারের বিরুদ্ধে মানব-বন্ধন করেছেন’ বলে যে ছবি ও নিউজটা প্রকাশ করা হয়েছিলো, সেটা যে সর্বৈব মিথ্যা- সেটা প্রথম আমার হাত ধরেই প্রকাশ পেয়েছিলো, নোমান বিন আরমান ভাই’র ‘সুচিন্তা’র মাধ্যমে। তিনি সে সময় এক রাতে মূল আরবি নিউজটা আমাকে মেইল করেন, এবং আমি সেটা অনুবাদ করে দিই। সুচিন্তায় প্রকাশের পরেই বিভিন্ন দৈনিকে উঠে আসে যে, ‘কাবার গিলাফ পরিবর্তনের ছবিকে ইমামদের মানব বন্ধন বলে প্রচার করা হয়েছে’।

সে যাই হোক, আজ যখন হজুর রাজনীতিকরা বিএনপি ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন, এ সময় মাহমুদুর রহমান মুক্ত থাকলে তার পত্রিকায় কী নিউজ করতেন আমার জানা নেই। আমার দু:খ, আমি তাকে পলিটিক্যাল ‘প্রতিরোধ’ আন্দোলনের বাইরে আদর্শের জায়গা থেকে দেখতে পারি নি।

আমি বরং আদর্শ খুঁজে পেয়েছিলাম, মাহমুদুর রহমান মান্না’র ভেতরে। তাকে বীর বলা না গেলেও ভালোবাসা যায়- আমার সবটুকু যুক্তি একত্র করে আমিেএটা বলার শক্তি রাখি। আজ যখন মাহমুদুর রহমানকে নিয়ে এত হৈ চৈ, সেখানে কেনো মান্না অনুপস্থিত, তার কথা কেনো এরা একবারও বলে না- এটাই তাদের বুর্জোয়া পলিটিক্সের গোপন ভেদটা প্রকাশ করে দেয়।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বিএনপি-জামাত জ়োট সরকারের সাবেক জালানি উপদেষ্টা এবং বিশিষ্ট সাংবাদিক।
আসলে সাংবাদিক তো দূরের কথা, কোন কালে কোন সংবাদপত্রে এক কলম লিখেছিলেন কি না সন্দেহ।
ছিলেন প্রকৌশলী, দুর্নিতীবাজ সরকারি আমলা। পরে এরশাদের চামচা।
জামাই সুত্রে ঢুকেছিলেন মুন্নু পরিবারে, পরে বেক্সিমকো, ১৯৯৯ সালে আরটিসান সিরামিকস নামে নিজের একটি কোম্পানিও খোলেন।
পরে বেক্সিমকোর শাইনপুকুর সিরামিক্স এর এমডি (মালিক) বনে যাওয়া। চাকুরি বিধিমালা অনুযায়ী একই সাথে দুই পদে থাকা অসম্ভব ও বেআইনি। মাহামুদুরের কাছে এসব কোন ব্যাপারই না! এরপর আর উত্থান আর ঠ্যাকায় কে। সংগবদ্ধ দুর্নিতীগ্রস্থ মাল্টিন্যাসনাল তেল কম্পানিগুলো বেক্সিমকোর ছায়ায় জালানি উপদেষ্টা করে ঢুকিয়ে দেয়া হল। জালানিমন্ত্রী বিহীন মন্ত্রনালয়, মাহামুদুর তখন রাজা। নাইকো কেলেঙ্কারির নেপথ্যের রুপকার, নিজেরা (হাওয়া ভবন গ্রুপ) শতকোটি টাকা আত্নসাত করে, মাত্র এককোটি টাকার একটি লেক্সাস গাড়ীর কারনে ফেঁসে যান তৎকালিন জালানী প্রতিমন্ত্রী মোশাররফ। পদত্যাগও করতে হয় এই সামান্য কারনে।
রক্তাক্ত ২৮সে অক্টোবরের পর প্রথম অবস্থায় ইয়াজুদ্দিন-আজিজ তত্তাবধায়ক সরকারের সাথে তার ঘনিষ্ট সম্পর্ক দেখা যায়। চলে ষড়যন্ত্র, তৈরি হচ্ছিল পরিকল্পিত নির্বাচন কারচুপির ছক।
দেড় কোটি ভুয়া ভোটার রেডি, এরপরও সন্তুষ্ট বা আস্বস্ত হতে পারছেনা, বার বার উপদেষ্টা বদল চলছে, মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকি পক্ষে যুদ্ধকারি পাকিস্তানি অবঃ সেনা কর্মকর্তাকেও উপদেষ্টা করা হয়েছিল। দলসমর্থক রাষ্ট্রযন্ত্রের একদল আমলা রেডি করা হল যারা সাজানো নির্বাচনের ছক বাস্তবায়ন করবে। ওরিয়েন্টেশন ট্রেনিং ও চলছিল সমানে ভিন্ন ভিন্ন স্থানে, তার এক পর্যায়ে তাদের আনা হল উত্তরার একটি বাড়ীতে। বাড়িটিতে কেউ না থাকলেও বাড়ীর মালিক মাহামুদুর রহমান। রাতবিরেতে এতোগুলো সরকারি আমলাকে কেন উত্তরার একটি বাসায় এনেছিলেন, তার কোন ব্যাখ্যা কখনো করেন নি। গোপন সুত্রে খবর পেয়ে মটরসাইকেলে চার-পাচজন সাংবাদিক সেই বাড়ীর গেইটের কাছে আসলে ওনারা খাবার ফেলেই পেছনের দেয়াল টপকে দৌড় দিলেন! তাদের গাড়ীগুলো বেশ দূরেই লুকিয়ে পার্কিং করা ছিল,
উচ্চপদস্থ আমলা, যাদের দেখলে মানুষ ভয় পায় তারাই মুখ লুকিয়ে দৌড়াচ্ছেন পার্কিং করা গাড়ীর দিকে!
জরুরি অবস্থার সময়ও ফক্রুদ্দিন তত্তাবধায়ক সরকার এর সাথে তার ব্যাপক উঠাবসা
বিম্পির জাদরেল নেতারা যখন জেলে বা পালিয়ে, তখন এই মাহামুদুর একটি মামলায় হাজিরা দিতে, দ্রুত জামিন পেয়ে গেলেন। এরপরও হাতপা ছুড়ে অজ্ঞাত কাউকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে করতে আদালত থেকে বের হতে দেখেছিলাম। জরুরি অবস্থায় বাঘা বাঘা নেতারা তখন জেলে সে অবস্থায় ওনার দাম্ভিকতা দেখে অবাক হয়েছিলাম। তত্তাবধায়ক সরকারের সাথে ঘনিষ্টতাকে অবলম্বন করে ফালু কে জেলে ঢুকিয়ে চাপে রাখে। এর কিছুদিন পর জামিনের লোভ দিয়ে ফালুর ভাইয়ের সাথে দরকষাকষি করে সম্পুর্ন গুন্ডামি করে আমারদেশ পত্রিকা নামমাত্র মুল্যে কিনে নেয়। স্বনামধন্য সম্পাদক আমানুল্লাকবিরকেও বরখাস্ত করে। এরপর নিজেই সম্পাদক বনে গেলেন। এরমাঝে এন্টিভি-আমারদেশ ভবনে অবস্থিত ফালুর অফিস ও তারেকের প্রাক্তন অফিসের সকল ২নম্বরি আলামত কাগজ পত্র পোড়ানো হয়, এতে পুরো ভবনে আগুন ছড়িয়ে পরেছিল।
পরে জেল থেকে বের হয়ে ফালু ম্যাডামের কাছে এসব নিয়ে বিচার দিয়েছিলেন, বিচারে কিছু একটা সমঝোতা হয়েছিল, কিন্তু আমার দেশ পত্রিকা আর ফিরে পাননি ফালু।

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৪৬

মনযূরুল হক বলেছেন: বুঝলাম, আপনি ফালুর পক্ষের লোক ও মাহমুদুরের এন্টি...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.