![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তার নাম আমার জানা নেই । এমনকি তার বাড়ির সঠিক ঠিকানাটাও । অথচ তিনি আমাদের বাড়িতে দীর্ঘ চল্লিশ বছরেরও বেশি সময় ছিলেন এবং পারিবারিক নিবাসটিও আমাদের একই উপজেলায় ।
তিনি আমাদের মসজিদের ইমাম ছিলেন । আশপাশের দশ গ্রাম তাকে কারি-সাহেব হুজুর নামে চিনতো । যতদূর মনে পড়ে, আমার বয়স চার কি পঁচ যখন, যখন মেহেন্দিগঞ্জ থেকে বদলি হয়ে বাবা চাকরিসূত্রে উজিরপুরে চলে এলেন এবং ডিসেম্বরের স্কুল ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে যাওয়া হলো—সেবারই প্রথম তাকে দেখা হয় ।
মা বললেন—যেহেতু কয়েকদিন আমাদের বাড়িতে থাকা হবে এবং এখনও তুমি কুরআন পড়তে শেখ নাই, তাই সকাল সকাল হুজুরের মক্তবে পড়তে যাবে । বাবা বললেন—আমরা যখন তোমাদের মতো ছোট, তখন এই হুজুরের কাছেই পড়েছি । সেই বয়সেই আমি তাকে দেখেছি বৃদ্ধ—শ্বেতশুভ্র দাড়ি । বাবাও নাকি তার ছেলেবেলায় এমনই বৃদ্ধ দেখেছেন তাকে ।
সে-সময়ে গ্রামে বিশুদ্ধ কুরআন জানা কোনো ইমাম মেলা ছিল ভার । আমাদের অঞ্চল তো আরও বেশি সমস্যা জর্জরিত । একমাত্র তিনিই ছিলেন দুই-দশ গ্রামের মধ্যে শুদ্ধ কুরআনের ধারক । এত দারুণ ছিল তার পাঠ, এখনও কানে বাজে । প্রতিটি হরফের স্বর যেন ভিন্ন ভিন্ন মাত্রা নিয়ে তার কণ্ঠ থেকে প্রকাশ পেতো । শুনেছি—তিনি চাঁদপুর মোমেন বাড়ি থেকে কুরআন শিখেছেন ।
তারও আগে ছিলেন চট্টগ্রামে । সেকালে যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নতি হয়নি খুব । যুদ্ধের আগে দেশজুড়ে চলা গোলযোগে পড়ে হেঁটে চলে এসেছেন বরিশালে । তারপরই আমাদের মসজিদে । মসজিদও তখন ইটের গাঁথুনি পায় নি । একটা বালিশ, কাথা, আর ছেড়াফাঁটা একা মশারি—এ-ই ছিল তার চিরজীবনের সম্বল । একবার শীতের প্রকোপ বেড়ে গেলে একটা কম্বলের অভাবে কয়েক ঘরে হাত পেতেছিলেন । শেষে আম্মা জানতে পেরে আমাকে দিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছেন ।
আমি যখন তাকে দেখি, তখন তার মাসিক বেতন ৪০০ টাকা । বাবা দায়িত্ব নেবার পর ৬০০ টাকা করে দিয়েছিলেন । প্রায় দিনই ভাবনা হতো—কী করে এই অর্থে তার মাসগুজার হয় । বাবাও কয়েকবার কথাটি পারিবারিক বৈঠকে বলেছিলেন । যদিও তার খাবারের ব্যবস্থাপনা ছিল মসজিদের পক্ষ থেকে—অর্থাৎ প্রতি ঘরে দুই দিন করে করে খেতেন । আর মাস শেষে তার ছেলেরা কেউ আসতো টাকা নিতে, তিনি দিয়ে দিতেন ।
সম্ভবত মক্তব থেকেও তিনি দশ-বিশ টাকা করে আরও একশ’ টাকার মতো পেতেন বটে । কিন্তু এই স্বল্প অর্থ নিয়ে তার ঘরে বেশ ঝঞ্ঝাট হতো—জানতাম । কিন্তু তিনি পরোয়া করতেন না । এমনকি অন্য কোথাও যেতেনও না । এই বাড়ির প্রতি তার একটা মায়া জড়িয়ে গিয়েছে—কথাটি তিনি বহুবার বলেছেন ।
কিন্তু মানুষ বড়ই অকৃতজ্ঞ । মাসিক এই কটি টাকা তো নিয়মিত তিনি পেতেনই না, ইদে-চান্দে হয়তো বাকি টাকাগুলো উঠে আসতো—তবে নানা কারণে জ্বালতন করতো তাকে খুব ।—হুজুর বাড়ির মধ্যে ঢোকেন কেনো ? অমুক ছেলেকে চড় মারার সাহস তাকে কে দিয়েছে, আমাদের পকেটের টাকা ছাড়া তো তার চলে না—ইত্যকার গঞ্জনা ছিল নিত্যদিন ।
ইদ-কুরবানিতে দেখতাম বাবা টালি খাতা হাতে নিয়ে দাঁড়িয়েছেন—ধলা মিয়ার মাসিক ধরতি বিশ টাকা করে, তার পাঁচ মাস বাকি, সুতরাং একশ টাকা তিনি দেবেন কি না; নান্নু রিক্সা চলায়, দশ টাকা করে সে নিয়মিত পরিশোধ করতে পারছে না; উত্তাদা বাড়ির দেলোয়ার বিদেশ থাকে, এ-বার সে টাকা পাঠাতে পারে নাই; বড় ঘরের পনির-পনিররা আসে নাই এবার ইদে, কিন্তু তবু পাঁচশ টাকা পাঠিয়েছেন— সব মিলিয়ে দুই হাজার টাকা হুজুরকে এবার দেওয়া গেলো । ধন্য ধন্য রবে মাতোয়ারা হয়ে ইদের খুশি চমক পেলো আরও, মসজিদ হলো গুলজার । এই তো দেখে আসছি বছরের পর বছর ।
তারপরও কোনো একবার সম্ভবত জ্বালাতনটা একটু বেশিই হয়ে গিয়েছিল তার পক্ষে—তিনি হুট করে চলে গেলেন মসজিদ ছেড়ে । শুনেছি ফরিদপুরে তার বেশকিছু ভক্তবৃন্দ রয়েছেন—তারা তাকে বহু আগে থেকেই বায়না দিয়ে রেখেছিলেন, সেখানেই পাড়ি জমিয়েছেন । কেননা, হুজুর বেশ একটু টোটকা চিকিৎসা জানতেন । যদিও তাবিজ-কবজের তদবির করতে দেখি নি কখনও । মধু, খেজুর, তালমাখানা—এ-জাতীয় মিশ্রণ-দ্রবণ দিয়ে অষুধ বানাতেন; যা বেশ উপকারী প্রমাণিত হয়েছে বহুজনের জন্যে । আমার মেজো কাকার কঠিন হাঁপানি মুক্ত হয়েছে তার অষুধের গুণেই । তিনি প্রায়ই সে-কথা তোলেন ।
কারি-সাহেব হুজুর চলে যাওয়ার কোনো প্রভাব আমাদের জীবনে পড়ে নি—কেবল শিশুদের মক্তবে পড়াটা খানিক এলোমেলো হয়ে গেলো । নতুন হুজুর এলেন, কিছুদিন থাকলেন, চলে গেলেন । তারপর আরও একজন এলেন, তিনি নাকি পূর্বেও একবার এখানে ছিলেন, তিনিও বেশিদিন টিকলেন না । ততদিনে গ্রামের আশেপাশে নুরানি মাদরাসা প্রতিষ্ঠা পেয়েছে দু-চারটা । সুতরাং হুজুর যোগাতে সমস্যা হলো না । এলেন চ্যাংড়া মতো একজন । মসজিদ কাঁপিয়ে তুললেন, যুবকদের নাচালেন, বরগুনার গল্প বললেন, তারপর কী একটা গ্রাম্য বদনাম পিঠে বয়ে এলাকা ছাড়লেন ।
কারি-সাহেব হুজুরকে আবার দেখা গেলো মসজিদের অলিন্দে । ততদিনে মাসকাবারি বেড়ে ৮০০ টাকা হয়েছে । তখনকার দিনে একমণ চালের দাম ছিল ৬০০ টাকা । হুজুর বলতেন—একমণ চাল, আর পাঁচ লিটার তেল কিনে দেই ছেলেদের হাতে । ছেলেরা এখন বড় হয়েছে, আয়-উপার্জনে নেমেছে । কেউ কেউ বিয়ে-থা করে সংসারী হয়েছে । ওদের মাকে নিয়ে থাকলেই হলো । ছেলেরা নাকি এখন আর তাকে পরের মসজিদে থাকতে দিতে চায় না । তাদের এমনতরো রোজগারের কোনো দরকার নেই । কিন্তু তিনি ঘরে ফিরছেন না, কেননা, তারা টেলিভিশন সাজিয়ে ঘরটা আর পবিত্র রাখে নাই ।
এই সময়ে হুজুর তাবলিগের দলে ভিড়ে গেলেন আব্বারেআশকারায় । প্রায় মাসে ছুটি কাটাতেন । মসজিদে বলাবলি হয়েছে, খিটিমিটিও লেগেছে, কিন্তু ততদিনে আমরা গ্রামের বাড়িতেই সেটল করায় হুজুরকে কেউ তেমন আর ঘাঁটাতে সাহস করে নাই । কেউ তাদের ঘরে খাওয়াতে না চাইলে বা পারলে তিনি জানতেন আমাদের ঘরের দোর চিরদিনই তার জন্যে খোলা । তিনি প্রায় প্রতিদিনই আমাদের ঘরে আসতেন একবার । একটু বসতেন । চা খেতে ভালোবাসতেন না । মুড়ি খেতে চাইতেন । খাবারে ছুৎমার্গ ছিল বেশ । মাছ খেতেন শুধু ইলিশ আর চিংড়ি । আলু ভর্তা খেতেন না । সুতরাং অনেকেরই তাকে নিয়ে একটু বাড়তি মুশকিলই হয়েছিল বলতে হবে ।
ধীরে ধীরে হুজুর আরও দুর্বল হয়ে পড়লেন । বয়সের ভার তাকে কখনও কাবু করতে পারে নি বটে, কিন্তু চোখের ঘুম কেড়ে নিয়েছিল বলে ন্যুব্জ হয়ে পড়ছিলেন । নিজের কাপড় নিজেই ধুয়েছেন চিরকাল, এ-বেলা এসে সেটাই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ল । মসজিদ পরিষ্কারের দায়িত্ব সাধারণত ইমামের কাঁধেই থাকে, কিন্তু তিনি খুব একটা পেরে উঠতেন না । ফলত: তাকে বিদায় করে দেবার একটা গুঞ্জন জাগল ।
আমি বাড়িতে থাকলে সাধারণত আমাকেই নামাজ পড়াতে বলতেন । মাঝেমধ্যে দু-একটা মাখরাজও ধরিয়ে দিতেন । জামাতে শামিল হতে দেরি হলে মসজিদের মাইকে ডাকতেন নাম ধরে । যদিও প্রতিভোরে ফজর নামাজে গ্রামের লোকজনকে জাগিয়ে তোলা নিজের অপরিহার্য বলে জ্ঞান করেছিলেন । একেক ঘরের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে হাঁক পাড়তেন, চিৎকার করে নামাজের মহিমা বয়ান করতেন—এই দুলাল, ঘুম থেকে ওঠ; হাফেজ সাব উঠছেন; হাসানের আব্বা, আর কত ঘুমাবি; রিন্টু, ও রিন্টু উঠবিনা আয়; জাহাঙ্গীর, ওঠ ওঠ ভাই, আর ঘুমাইস না—এমন তোলপাড় করা ডাকের কথা কোনোদিন ভুলবো না ।
গ্রামের মহিলারা বহুবার আপত্তি জানিয়েছে—তাদের দুধের শিশুরা জেগে গেলে তাদের কষ্ট হয় । কিন্তু হুজুর কোনোদিন কারও বারণ শোনেন নি । ঘরের বেড়া, দুয়ারের কড়া, টিনের কপাটি নাড়িয়ে ফাটিয়ে বোল দিতেন, গান গাইতেন—ঘুমের চেয়ে নামাজ ভালো, কায়েম করো দীন । তার চেষ্টায়, বাবার দাওয়াতে একসময় দেখা গেলো বিরাট বাড়ির শতাধিক মুসল্লির একশভাগই নামাজি হয়ে উঠেছেন—একজন পুরুষ জোয়ান ছেলেও ফজরের কাতারে অনুপস্থিত নাই ।
জুমার দিন আজানের আগেই মাইকে বলতেন—আল্লাহর বান্দারা, নবীজির উম্মতেরা, আজ পবিত্র জুমার দিন, গরিবের জন্যে হজের দিন, তাড়াতাড়ি মসজিদে চলে আসুন ।
কিন্তু মানুষের মতোই নির্মম সময় । তিনি এরও দুর্বল হয়ে পড়লেন । নামাজে দুয়েকবেলা ভুল হয়ে গেলো, মসিজদে ঝাট দেওয়া কাজা হলো একবেলা, এক সকালে শরীর ভালো না বলে মক্তবের ছেলেদের ফিরিয়ে দিলেন—আবার শক্ত গুঞ্জন উঠল হুজুরকে বিদায় করে দেবার । আব্বা বাধ সাধলেন । বললেন—এমনিতেও তো মসজিদের প্রয়োজন বেড়েছে । আমরা একজন মুয়াজ্জিন রাখতে পারি । তিনি থাকুন । কেউ না পারলে আমি তাকে বেতন দেবো, আমার ঘরেই খাবেন ।
তা-ই হলো । নতুন ইমাম এলেন । তিনিও বয়স্কই । প্রথমে কয়েকদিন পূর্বের মতোই অন্যদের ঘরে খেলেন । বিরাট বাড়ি, তিরিশের অধিক ঘর, তবু কয়েক ঘর থেকে দুজনকে খাওয়ানোতে আপত্তি শোনা গেলো । চল্লিশ বছরেরও বেশি সময় পার হয়ে যাওয়ার পর আজ সত্যিকার অর্থে হুজুরের আহারে অভাব দেখা দিল । তিনি আমাদের ঘরে চলে এলেন । তিনি কি সেদিন কেঁদেছিলেন ? মনে পড়ে আম্মা তেমনই বলেছিলেন ।
নতুন হুজুরের সঙ্গেও বোধহয় একবার বচসা হলো । পরে তিনি মসজিদ ছেড়ে একবার চলে গেলেন । আবার এলেন । আবার একদিন দেখলাম নিজের বিছানাপত্র নিয়ে হাজির হয়েছেন আমাদের বারান্দায় । এমনিতে হুজুরের জন্যে কোনো কামরা নির্ধারণ ছিল না । মসজিদের বারান্দায় একটা প্রাগৈতিহাসিক খাট ছিল নড়বড়ে, সেখানেই বারো মাস পর্দা ঘেরা হুজরা ছিল তার । উপরের বাঁশের আড়ায় ঝুলতো মওতের খাটিয়া । কয়েক যুগ পরে এই প্রথমবার সেই হুজরা তার বেদখল হয়ে গেছে ।
তারপরও তিনি কয়েকদিন ছিলেন । হঠাৎ একদিন অদৃশ্য হয়ে গেলেন । ‘বিদায়’ আর তার কপালো জুটলো না । ছোট হলেও মসজিদে দুয়েকবার আওয়াজ দিয়েছিলাম, তার জন্যে একটা কিছু ব্যবস্থা করা যায় কি না, কিছু টাকা অন্তত তার যদি গুঁজে দেওয়া যায় কি না । দশগ্রামের মধ্যে পয়সাঅলা ক্ষমতাঅলা বাড়ি বলে নামডাক আছে এ-বাড়ির । কিন্তু তাতে কান দেওয়ার মানুষ পাওয়া গেলো না ।
আমরা আর তার খোঁজ রাখি নি । আব্বা একবার বলেছিলেন, তাকে দেখতে যাবেন, তিনি অসুস্থ । গিয়েছিলেন কি না জানি না । শুনেছিলাম, রিন্টু চাচা একবার তাকে দেখে এসেছে কী এক কারণে । যদিও দূরত্ব খুব বেশি নয়, দশ কিলোমিটারও হবে না হয়তো—কিন্তু প্রয়োজন মনে না হলে সেটুকু দূরে কেইবা কখন মাড়াতে গেছে ।
বহু বছর পরে সেদিন আম্মা ফোনে বললেন—কারি-সাহেব হুজুর গত শুক্রবার মারা গেছেন ।
আমি বিশ্বাস করেছি । মানুষ মরণশীল, মরতেই হবে তাকে, অমর হয়ে থাকার ইচ্ছা যাদের আছে, তাদের সারির লোক হুজুর ছিলেন না—সুতরাং তিনি মারা গেছেন, এই সংবাদ অবিশ্বাস করার কোনো অর্থ নেই ।
১৪ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৫৭
মনযূরুল হক বলেছেন: শুভ সকাল..
২| ১৪ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ২:৫৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
সমাজের এই লোকগুলো ভয়ংকর ভয়ংকর দরিদ্র জীবন যাপন করছেন; বাংগালীরা ভয়ংকর নিষ্ঠুর জাতি।
১৪ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৫৮
মনযূরুল হক বলেছেন: মানুষ বড়ই অকৃতজ্ঞ..
৩| ১৪ ই জুলাই, ২০১৮ ভোর ৫:৪৪
মলাসইলমুইনা বলেছেন: আপনার মনখারাপ করা লেখাটা পরে আমারও মন খারাপ হলো খুব |আমার কুরআন শেখার প্রথম শিক্ষক আমাদের মসজিদের মুয়াজ্জিন ক্বারী হারুন আর রশিদ হুজুরের কথা খুবমনে পড়ছে এতো দিন পরে | উনিও সপ্তাহে একদিন আমাদের বাসায় খেতেন | তার তেলাওয়ের গলা ছিল অসাধাৰণ সুন্দর | অনেক ধন্যবাদ নেবেন |
১৪ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৫৯
মনযূরুল হক বলেছেন: দেশের আনাচে কানাচে কত অবহেলিত ইমাম মুয়াজ্জিন এমন পড়ে আছেন, কে তাদের কবে মনে করেছে । আপনার মসজিদের মুয়াজ্জিনকে মনে পড়েছে জেনে ভালো লাগলো । ধন্যবাদ..
৪| ১৪ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৭:৪৫
নতুন নকিব বলেছেন:
Excellent! +++
১৪ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৫৯
মনযূরুল হক বলেছেন: ....
ধন্যবাদ, ভাই
৫| ১৪ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:১৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমরা ধর্মপ্রান! আমরা কে কত বেশি ধার্মিক তার কত প্রতিযোগীতা কত ভাবেই করি!
কিন্তু ধর্মের প্রাণ যে মানুষে, যাকে ইমাম বলে মানি- অথচ তার প্রতি নির্লিপ্ততা এমনি
সকল কালে সকল স্থানে!
অথচ উল্টোটাই হবার কথা ছিল?
উনার বিদেহী আত্মর মুক্তি, মাগফিরাত কামনা করছি।
১৪ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:০১
মনযূরুল হক বলেছেন: কিন্তু ধর্মের প্রাণ যে মানুষে, যাকে ইমাম বলে মানি- অথচ তার প্রতি নির্লিপ্ততা এমনি
যথার্থ বলেছেন, ভাই..
শুভ কামনা রইল
৬| ১৪ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৪৭
টারজান০০০০৭ বলেছেন: মন খারাপ হইল ! এই অবহেলিত জনগোষ্ঠীর অবদান স্বাধিকার, স্বাধীনতা আন্দোলন হইতে শুরু করিয়া জাতিগঠনে, দীনের খেদমতে অপৱিমেয়ভাবেই আছে ! দুনিয়া তাহাদের অবদানের প্রতিদান দিতে না পারিলেও আল্লাহ দিবেন আশা করা যায় !
দ্বীন পালন করা, দ্বীনের জন্য কুরবানী করা এই জনগোষ্ঠীর দায়িত্ব ও কর্তব্য হইয়া দাঁড়াইয়াছে ! আমাদের অধিকার শুধু সমালোচনা করার, অবহেলা করার !
ব্রিটিশ সেই যে তাহাদের দরিদ্র বানাইয়া রাখিয়া গেল , দ্বীন বাঁচানোর জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরিয়া দ্বীনের খেদমতের সেই সংস্কৃতির আর পরিবর্তন হইল না !
১৪ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৩২
মনযূরুল হক বলেছেন: দুনিয়া তাহাদের অবদানের প্রতিদান দিতে না পারিলেও আল্লাহ দিবেন আশা করা যায় !
ভালো বলেছেন, ধন্যবাদ..
৭| ১৪ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: সমাজে একজন ইমামের অনেক ভূমিকা থাকে।
কিন্তু আজকাল দেখা যায় ইমামরা নিরপেক্ষ নয়।
১৪ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৩২
মনযূরুল হক বলেছেন: গ্রামের একজন হতদরিদ্র ইমামের পক্ষ-বিপক্ষেরই বা সুযোগ কোথায় ?
৮| ১৫ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৪
রানা আমান বলেছেন: ক্বারী সাহেব হুজুরের আত্মা শান্তিলাভ করুক । প্রার্থনা করি আল্লাহ পরকালে উনার জন্য সর্বোত্তম প্রতিদানের ব্যবস্থা করুন । আমিন ।
২৪ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৩৯
মনযূরুল হক বলেছেন: আমিন।
৯| ০৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৫৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আল্লাহ্তালা জান্নাতে তার জন্য বিশাল প্রাসাদ তৈরি করে দেবেন এই দোয়া করছি।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ২:১৯
রাকু হাসান বলেছেন: পড়লাম,
শুভরাত্রি