নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে...

আমি কেবলই আমার মতো

মিলন পাঠান

আমি কেবলই আমার মতো

মিলন পাঠান › বিস্তারিত পোস্টঃ

একনজরে রাজাকার বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা এ কে এম ইউসুফ(যার গ্রেফতারের প্রতিবাদে আজ হরতাল)

১৪ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৬

আজ হরতাল। কেন এই হরতাল? পত্রিকায় দেখলাম একজনের গ্রেফতারের প্রতিবাদে নাকি এই হরতাল। আগ্রহ জাগল সেই ব্যক্তির গ্রেফতারের কারন খুজে দেখার। দেখলাম। যা পেলাম তাই এখানে তুলে ধরলাম।





• ২০১২ সালের ২২ জানুয়ারি থেকে তদন্ত সংস্থা তাঁর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত শুরু করে।



• তিনি ছিলেন পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য এবং ১৯৭১ সালে মালেক মন্ত্রিসভার রাজস্ব, পূর্ত, বিদ্যুৎ ও সেচমন্ত্রী ছিলেন।



• মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ৯৬ জন জামাত ও স্বাধীনতা বিরোধীদের নিয়ে খুলনার আনসার ও ভিডিপি ক্যাম্পে সর্বপ্রথম সশস্ত্র রাজাকার বাহিনী প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি রাজাকার বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা।



• তার বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধকালে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের ১৫টি অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে।



• এই প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলে ২০১৩ সালের ১২ মে রোববার বেলা পৌনে একটার দিকে র্যা ব-২ এর একটি দল ধানমন্ডির বাসভবন থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।



• ১৯৭১ সালে প্রায় ৭০০ মানুষকে হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন বর্তমানে জামাতে ইসলামীর নায়েবে আমির এ কে এম ইউসুফ।



• মুক্তিযুদ্ধকালে তাঁর বিরুদ্ধে আট(৮) জনকে হত্যা, ৩০০ বাড়ি লুট, ৪০০ দোকান লুট ও অগ্নিসংযোগ এবং ২০০ হিন্দুকে ধর্মান্তরিত করার প্রমাণ পাওয়া গেছে।



গণহত্যার অভিযোগগুলো হলোঃ

• ১৯৭১ সালের ১৩ মে বাগেরহাটের কচুয়া থানার রণজিৎপুর গ্রামে গণহত্যা।

• ১৯৭১ সালের ১৯ মে মোরেলগঞ্জ বাজারে গণহত্যা।

• ১৯৭১ সালের ২১ মে রামপালের ডাকরা গ্রামে গণহত্যা।

• ১৯৭১ সালের ১৪ অক্টোবর রামপালের চুলকাঠি গ্রামে গণহত্যা।

• ১৯৭১ সালের ১৫ অক্টোবর কচুয়ার মঘিয়া গ্রামে গণহত্যা এবং

• ১৯৭১ সালের জুলাই ও নভেম্বরে কচুয়ার শাঁখারীকাঠিতে গণহত্যা।



আরও অভিযোগ সমুহঃ

• ১৯৭১ সালের ১৯ এপ্রিল রামপালে শান্তি কমিটির সভায় লুট ও ধ্বংসের প্রকাশ্য আদেশ প্রদান।

• ১৯৭১ সালের ২২ এপ্রিল কচুয়ার ১০টি গ্রামের ৩০০-৪০০ হিন্দুর বাড়ি লুট ও অগ্নিসংযোগ।

• ১৯৭১ সালের ১৩ মে মোরেলগঞ্জের আবু বক্কর সিদ্দিক হত্যা।

• ১৯৭১ সালের ১৭ মে মোরেলগঞ্জ বাজারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান-বসতবাড়ি লুট ও অগ্নিসংযোগ।

• ১৯৭১ সালের ৭ জুন শরণখোলার রায়েন্দা গ্রামে হত্যা।

• ১৯৭১ সালের ৯ জুন শরণখোলার তাফালবাড়ি গ্রামে হত্যাকাণ্ড।

• ১৯৭১ সালের ২৬ জুলাই মোরেলগঞ্জে ডা. মজিদ হত্যা এবং

• ১৯৭১ সালের ২৯ জুলাই রায়েন্দাতে সালাম হত্যা।



১৯৭১ সালের ২১ মে ডাকরা গ্রামের গণহত্যা যেভাবে ঘটে:

• বাগেরহাট জেলার ডাকরা গ্রামের কালীমন্দিরের পুরোহিত বিনোদবিহারী চক্রবর্তী ওই অঞ্চলের হিন্দুদের ধর্মগুরু ছিলেন। একাত্তরের ২১ মে দুপুর ১২টার মধ্যে ডাকরাসহ আশপাশের ২০-২১টি গ্রামের প্রায় চার হাজার হিন্দু ভারতের শরণার্থী শিবিরে যাওয়ার উদ্দেশে ওই কালীমন্দিরে গিয়ে জড়ো হয়। ইউসুফকে এ খবর পৌঁছে দেন ডাকরা গ্রামের মুসলীম লীগ নেতা ও স্বাধীনতাবিরোধী লিয়াকত আলী গজনবী ও আলতাব গজনবী। ইউসুফ তখন কুখ্যাত রাজাকার রজব আলী ফকিরসহ (পরে আত্মহত্যা করেন) ৪০-৫০ জন রাজাকারের একটি দল ডাকরা গ্রামে পাঠান। ওই দলটি পরিকল্পিতভাবে দুই ভাগ হয়ে কালীমন্দিরে জড়ো হওয়া হিন্দুদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায়। দুই-তিন ঘণ্টা ধরে চলা ওই হত্যাযজ্ঞে প্রায় ৭০০ হিন্দু মারা যান। ওই গণহত্যায় নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে মাত্র ১০৪ জনের নাম অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।



তথ্যসূত্র: বিভিন্ন প্রিন্টিং গণমাধ্যম।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:২৮

মো ঃ আবু সাঈদ বলেছেন: ৪০ বছর পর.....ফসিল খুজে পাওয়া গেল...

১৪ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৯

মিলন পাঠান বলেছেন: পাইলে সমস্যা কোথায়?

আপনার পূর্বপুরুষদের কেউ খুন করলে সুযোগ পেলে নিশ্চয়ই আপনি শোধ নিবেন। তাইনা? আর সেই সুযোগ যদি ৪০ বছর পরে আসে সমস্যা কোথায়?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.