![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার
• মুসলিম লীগ নেতা হিসেবেই মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতায় জড়িত হন।
• ২০১৩ সালের ১৫ মে বুধবার দুপুরে ট্রাইব্যুনাল-২ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন এবং ১৬ মে এপোলো হাসপাতাল থেকে গ্রেফতার করা হয়।
বংশানুক্রমিক পাকিস্তান প্রীতিঃ
• কায়সারের বাবা সৈয়দ সাঈদ উদ্দিন আহমেদ ১৯৬২ সালে সিলেট-৭ আসনে আইয়ুব খানের কনভেনশন মুসলিম লীগ থেকে প্রাদেশিক পরিষদের সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। কায়সারের মামা হাজি রশিদ মঞ্জুর আলীও একই দল থেকে কুমিল্লা-১ আসনে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন।
• ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে পাকিস্তানি সেনাদের গুপ্তচর চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে সৈয়দ সাঈদ উদ্দিনকে মুক্তিযোদ্ধারা গ্রেপ্তার করে আগরতলায় নিয়ে আটকে রাখেন। মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেয়ে পুনরায় হবিগঞ্জে ফিরে আসেন। এরপর সৈয়দ সাঈদ উদ্দিন আহমদ ও তাঁর ছেলে সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার মিলে স্বাধীনতাবিরোধী কর্মকান্ড শুরু করেন।
• মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রাজাকার বাহিনী গঠন করায় এলাকায় সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার ‘রাজাকার কমান্ডার’ নামে সমধিক পরিচিত।
অপরাধ:
• ট্রাইব্যুনালের তদন্তে ১০ ধরনের অপরাধ করেছেন বলে প্রমান পাওয়া গেছে।
• রাজাকার, আল বদর ও আল শামস বাহিনীর পাশাপাশি পাক সেনাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সময় হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুরে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করার জন্য তিনি ‘কায়সার বাহিনী’ নামে একটি বাহিনী গঠন করেন।
• তিনি শান্তি কমিটির নেতা ছিলেন।
• এই বাহিনীর জন্য ছিল আলাদা পোশাক। দুর্ধর্ষ এ বাহিনীর লোকেরা পাক সেনাদের মনোরঞ্জনের জন্য নারীদেরকে ক্যাম্পে নিয়ে যেত। পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিল অগণিত নারী।
• গঠিত এ বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরা ছিল বারেক মোক্তার, আবদুল্লাহ, জাহেদ উদ্দিন, রাজাকার কমান্ডার মহিবুল্লাহ, কালু কমান্ডার প্রমুখ।
• হবিগঞ্জ, চুনারুঘাট, শায়েস্তাগঞ্জ, মাধবপুর, বৃহত্তর কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নাসিরনগরে গণহত্যা, হত্যা, লোকজনকে ধর্মান্তরিত করেন।
• হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নিসংযোগসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ রয়েছে।
স্বাধীন বাংলাদেশে তাঁর অবস্থান:
• ১৬ ডিসেম্বরের পর কায়সার বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে লন্ডনে চলে যান।
• পঁচাত্তরের রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের পর দেশে ফিরে আসেন।
• রাজাকার শাহ আজিজের সঙ্গে বিএনপিতে যোগ দেন।
• ১৯৭৯ সালের সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন চেয়েও পাননি।
• পরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে সিলেট-১৭ আসন থেকে নির্বাচিত হন।
• পুনরায় বিএনপিতে যোগ দেন এবং হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি হন।
• জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর বিএনপি ভেঙে গেলে তিনি শাহ আজিজুর রহমানের নেতৃত্বাধীন অংশের যুগ্ম-মহাসচিব হন।
• এরশাদ ক্ষমতায় এলে তিনি শাহ আজিজের সঙ্গে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন।
• হবিগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি হন।
• ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালের সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-৪ আসন থেকে নির্বাচিত হন।
• জাতীয় সংসদের হুইপ এবং পরে ১৯৮৯ সালে কৃষি প্রতিমন্ত্রী হন।
• ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়ে পরাজিত হন।
• বর্তমানে তিনি কর্ণেল অলি আহমদের এলডিপি’র সঙ্গে যুক্ত আছেন। কিন্তু নয়াদিগন্ত লিখেছে তিনি এখনো বিএনপি নেতা।
• ঢাকা ও হবিগঞ্জ দুই জায়গাতেই থাকতেন। ঢাকার বাসার ঠিকানা তেজগাঁও থানাধীন পশ্চিম নাখাল পাড়াস্থ লোটাস মোড়ে ১১৭ ব্যাংকার রোড। হবিগঞ্জের ঠিকানা হল ইটাখোলা প্রকাশ নোয়াপাড়া, মাধবপুর থানা সদর, হবিগঞ্জ জেলা।
বংশ পরিচয়:
• সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের ভাই সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়সাল বর্তমানে হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি।
• আরেক ভাই সৈয়দ মোহাম্মদ শাহজাহান জামাতে ইসলামীর নেতা।
• দুই ছেলে ভাই সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর এবং সৈয়দ মোহাম্মদ গালিব।
ছেলেদের অন্যায়ের খতিয়ান:
• গত জামাত-বিএনপি জোট আমলে চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার টার্মিনাল ও ঢাকার কমলাপুর অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার টার্মিনাল পরিচালনার জন্য গ্যাটকো নামক প্রতিষ্ঠানকে লিজ দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়ম হওয়ায় ১/১১ এর পরে ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর দুদকের দায়ের করা গ্যাটকো মামলার অন্যতম আসামী ছিলেন। এই মামলার অন্যান্য আসামী ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো এবং সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী আকবর হোসেনের ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মনসহ ১৩ জন।
• সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর এবং সৈয়দ মোহাম্মদ গালিব উভয়েই এই মামলায় দীর্ঘদিন কারাভোগ করেন। উভয়েই গ্যাটকোর পরিচালক।
• পারিবারিকভাবে সায়হাম টেক্সটাইলস লি: নামে একটি শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
তথ্যসূত্র: বিভিন্ন প্রিন্টিং গণমাধ্যম।
©somewhere in net ltd.