![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চায়ের কাপ
লাল চা
কড়া লিকার
হাল্কা চিনি
গোল মরিচ আর লবঙ্গ
কাপ থেকে ধোঁয়া উড়ছে। চশমার গ্লাসে সেই ধোঁয়ার বিন্দু বিন্দু পানি জমছে,ঝাপসা হয়ে আসছে সব।
সামনেই একটি ১৫ তলা বিল্ডিং। টাই-কোট পরিহিত স্তন্যপায়ী জীবরা ঢুকছে। চা শেষ করল দ্রুত। তার এখন স্তন্যপায়ীদের দলে ভিড়ার সময় হয়েছে।
চায়ের কাপ
লাল চা
হালকা লিকার
খাওয়া শেষে বাসে উঠল।
বাসের জানালার পাশে বসে সূর্য দেখছে। বিকেলের সূর্যের আলো অনেকটা “যেন কাশফুলের নরম ছোঁয়া” এর মত। আরও নরম লাগে যখন তা তোমার দেহ ভেদ করে একটু একটু করে মনকে গ্রাস করে। “ এ আলোর মায়ায় পড়তে নেই... এ আলোর মায়ায় পড়তে নেই” ...বিড়বিড় করতে থাকে সে।
চায়ের কাপ
লাল চা
কড়া লিকার
বেশি চিনি
আদা আর লেবু
কুয়াশা অনেক জেঁকে বসেছে। সোডিয়াম লাইটের আলোর নিচে বসে গাড়ি দেখছে। আই আলোগুলো অনেক মায়াবি হয়। চা শেষ হল। সোডিয়াম আলোড় মায়া ছেড়ে উঠে দাঁড়াল।
স্থানঃ বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টার
উপলক্ষঃ গার্লফ্রেন্ড এর বিয়ে
বিয়েতে চা দেওয়া হয় না,দিলে তাই নিত।
হবু বউ চোখ বড় বড় করে চেয়ে আছে। এতদিনের মিষ্টি চাহনি আজ ভয়ার্ত চাহনিতে রুপান্তরিত হল।
মিষ্টি চাহনি দেখলে মায়া হত। এখন ভয়ার্ত চেহারা দেখে তাই হচ্ছে। হাসিমুখের আড়ালে যে মানুষের হাজারটি চেহারা থাকে। সেই হাসিমুখ একসময় ছিন্ন হয়। ভিতরের রক্তমাংসের পচা গলা পিন্ডটা তখন নগ্ন হয়ে ধরা দেয়।
চায়ের কাপ
হালকা লিকার
কড়া চিনি
“এত দেরি করে কেন ফিরলি বাবা?”
“চাকরি ছেড়ে দিয়েছি”
“জানতাম, কিন্তু এত রাত করে কেন ফিরলি? কই ছিলি”
“সময় হলে জানবে মা!”
দরজা লাগিয়ে দিল।
বারান্দায় বসল, ঠাণ্ডা বাতাসে গায়ের লোম দাঁড়িয়ে গেল। তাতে কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই। এখন চা এর স্বাদ নেবার সময়।
রাত বাড়ছে। অপেক্ষার প্রহরও বাড়ছে। সব মায়া কেটে ওঠার অপেক্ষায়। সব বাঁধন ছিঁড়ে ফেলার অপেক্ষায়।
সূর্যের আলোয় না হোক, পূর্ণিমার আলোয় নিজেকে আলোকিত করার অপেক্ষায়। তাই তো কবি বলেছেন, “ অপেক্ষাই জীবন,জীবনের শ্রী।”
©somewhere in net ltd.