![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবনের দৈর্ঘ্য নয় তীব্রতাই হচ্ছে জীবনের সবকিছু। ধুকে ধুকে বেঁচে থাকা নয়, প্রচন্ড উত্তাপে ছারখার করে দেয়ায় হচ্ছে জীবন। খুবই সাধারন একজন। স্বপ্নময় জগতে বসবাস করি।
সকাল থেকে জানালার পাশে দাড়িয়ে আকাশ দেখছি। মেঘলা আকাশ। মনটা ভারী হয়ে আছে আকাশের মতো। জানালার ফাঁক দিয়ে থিরথির বাতাস এসে গায়ে লাগছে। সাদা মেঘগুলোকে নগ্ন নারীর একপায়ে লেপ্টে থাকা মোজার মতো দেখাচ্ছে। মাঝে মাঝে রুপালী রোদের ছটা এসে মেঘ তাড়ানো খেলা খেলছে। মেঘলা আকাশ আমার অনেক অনেক প্রিয়। মিডিয়া প্লেয়ারে 'বৃষ্টি' লিখে সার্চ দিতেই বেশ কিছু বৃষ্টির গান পেয়ে গেলাম। গানে গানে বৃষ্টিকে ডাকলে মন্দ হয় না! বৃষ্টি চাই, ঝুম বৃষ্টি। আকাশ দেখতে দেখতে, আমার হঠাৎ মনে হলো- প্রকৃতির কাছে কোন কিছু চাইতে নেই, কারণ প্রকৃতি মানুষের কোন ইচ্ছাই অপূর্ণ রাখে না!
'আজ এই বৃষ্টির কান্না দেখে, মনে পড়লো তোমায়'
ওস্তাদ নিয়াজ মোহাম্মদ গেয়ে চলে। ওস্তাদ বৃষ্টি গান দিয়ে আমাকে তার কাছে নিয়ে যায়। সে; যে বৃষ্টি হতে চেয়েছিলো। বৃষ্টি দিনে ওর সাথে পরিচয় হয়েছিলো বলে আমি ওকে 'বৃষ্টি মেয়ে' নাম দিয়েছিলাম।
#
যেদিন ওর সাথে পরিচয় হয়েছিল, সেদিন অন্যান্য দিনের মতো আমি আমার ছোট্ট রুমটাতে ক্যালকুলাসের বইয়ের পাতায় চোখ বুলাচ্ছিলাম। আমি যে রুমে থাকি সেটা ছাদের উপর, চিলেকোঠায়। দরজা দিয়ে বের হলেই প্রশস্ত ছাদ।
বাইরে সারাদিনভর ঝিরঝির বৃষ্টি। বৃষ্টি আমার কখনো প্রিয় ছিলো না। আমার নাগরিক রুচির দরজায় বৃষ্টির কোন আবেদন, ইসথেটিক্স ছিল না। বৃষ্টি দেখে আমি বরং যারপরনাই বিরক্ত হতাম। বৃষ্টির মাত্রা ধীরে ধিরে বেড়েই চলেছে। আওয়াজহীন আলোর মতো ফ্ল্যাশ দেখে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে কিনা দেখতে বাইরে তাকালাম।
হঠাৎ খেয়াল করে দেখি আকাশ থেকে একটা পরী নেমে এসেছে ছাদে, দুহাত পাখির ডানার মতো মেলে দিয়ে বৃষ্টিতে ভিজছে। আমি অবাক নয়নে পরীটাকে দেখছি, চোখে চোখে রাখছি যদি না আবার উড়াল দেয়! ক্যালকুলাস ততক্ষণে একপাশে সরিয়ে রাখি। ড্রয়ার খুলে এক থাবাতে আকিবুকির ডায়েরী আর পেন্সিল নিয়ে বসে পড়ি। আঁকাআঁকিতে আরাম করতে পারছিলাম না দেখে জানালার পর্দাটা আস্তে করে সরিয়ে দিই। একি! আমি যা দেখছি নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছি না। কুইন অব সেবা, হার রয়েল হাইনেস বিলকিস হয়তো আঠারো উনিশ বছর বয়সে এই মেয়ের মতোই ছিল। পদ্মীনি গোত্রের এই তরুণীকে দেখে যে তরুণ কিনা কোয়ান্টাম ফিজিক্স পড়ছে, আমি নিশ্চিত সে ও কবি হতে চাইবে, বৃষ্টি কবি।
রবীন্দ্রনাথ ঠিক এই ধরনের কোন মেয়েকে দেখে হয়তো লিখেছিলেন- ' মুখের পানে চাহিনু অনিমেষে, বাজিল বুকে সুখের মতো ব্যথা!'
একসময় সে আমাকে ঠিকই দেখে ফেলে। কিন্তু চমকাল না। সহজ ভঙ্গীতে আমার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইল। তারপর আমাকে অবাক করে দিয়ে সে হাতের ইশারায় আমাকে ডাকছে। স্তম্ভিত আমি কিছু বুঝে উঠার আগে সে কাছে এসে তার কোমল হাত বাড়িয়ে বলে, এসো বৃষ্টিতে ভিজি! এমন সুন্দরীর আহবানে বৃষ্টি কেন আগুনে ঝাপ দিতেও সুবোধ বালকের মতো রাজি হয়ে যেতাম।
তারপর আমরা দুজন বৃষ্টিতে ভিজছি, চুপচাপ। দমকা হাওয়ায় আমাদের সব কথাগুলো হারিয়ে গেলো, নিভে গেলো সব উদ্যম। সমস্ত ইন্দ্রিয় মেলে ধ'রে ভিজছি আমরা, ভিজছে আমাদের সনাতনি মন। ভিজতে ভিজতে আমরা প্রকাশিত হতে থাকি ক্রমশ।
# #
ওর সাথে পরিচয়ের পর বেশ কিছুদিন কেটে যায়। এরপর হঠাৎ একদিন সকালে ঘুমের মধ্যেই শুনছি কে যেন মধুক্ষরা কন্ঠে ডাকছে, এ্যই ছেলে উঠো, এতো ঘুমুচ্ছো কেন?
আমি প্রায়ই দরজা জানালা খোলা রেখে ঘুমাই। এটার একটা সুবিধা আছে, ঘরে বাতাস খেলে, নিজেকে প্রকৃতির অংশ বলে মনে হয়, খাঁচার ভিতরে ঘুমুচ্ছি এরকম মনে হয় না।
আমি ঘুম ঘুম চোখে তাকিয়ে দেখি কুইন অব সেবা বিলকিস বানু দাড়িয়ে আছে। পরনে কাঁচা হলুদ রঙের সবুজ পাড় শাড়ী, খোঁপায় পলাশ ফুল কপালে টিপ।
কিছু জিগেস করার আগেই বিলকিস বানু বলে- 'আজ বসন্তের প্রথম দিন, আপনি কি আমাকে আজকের দিনটা ধার দিবেন?'
ইয়া খোদা, আমি তাকে বলি,' আপনাকে আমি কতোদিন ধরে খুঁজছি।'
সে হাসতে হাসতে বলে, বানিয়ে বানিয়ে মিথ্যা বলতে হবে না। আপনি আমার সাথে ঘুরতে যাবেন কিনা বলেন?
সে তার হাসিটুকুন গুঁড়ো গুঁড়ো করে, যেন কাচের চুড়ির ভাঙা টুকরা, ছড়িয়ে দিলো আমার ছোট্ট রুমটায়।
যাবো মানে, আপনার মতো সুন্দরীর সাথে ঘুরতে যাওয়াটা তো আমার ভাগ্যের ব্যাপার!
আমরা দুজন বসন্ত উৎসব দেখতে বের হয়ে গেলাম। আমি জিগেস করি আপনার পরিকল্পনাটা কি জানতে পারি?
সে বলে, রিক্সা করে সারাদিন উদ্দেশ্যহীন ঘুরাঘুরি। সমস্যা নেই তো?
আমার কোন কিছুতেই অনাগ্রহ নেই।
আচ্ছা আমি আপনার সাথে যদি একটা ছবি তুলি, আপনি কি রাগ করবেন?
রাগ করবো না, আমি বরং আনন্দ পাবো।
আমরা সবাই বড় একটা পরিকল্পনার অংশ। সেই বড় পরিকল্পনা যিনি করেন তাকে আমরা দেখতে পাই না। কেউ তাঁকে বলে নিয়তি, কেউ বলে প্রকৃতি, আবার কেউ কেউ বলে বিধাতা। এই মেয়েটার সাথে আমার দেখা হবে সেটাও আমার ধারণা কোন বড় পরিকল্পনার ক্ষদ্র অংশ!
সারাদিন অনেক ঘুরোঘুরি করে আমরা ক্লান্ত প্রায়। বাসায় ফিরছি, তখন আকাশে হলুদ মেঘ, সূর্য ডিমের বড়ো কুসুমের মতো আকার নিয়ে পশ্চিম দিগন্তে ছুঁয়ে আছে। আমি তাকে জিগেস করেই ফেলি, আচ্ছা আপনি আমাকে নিয়ে ঘুরতে বেরোলেন কেন?
আমার দার্শনিক মানুষ খুব পছন্দ, আপনার চেয়ে বড়ো দার্শনিক এখন পর্যন্ত আমার চোখে পড়ে নি তাই। হিঃ হিঃ হিঃ
বাংলাদেশের বেশিরভাগ ভিক্ষুক শ্রেণী মানুষই কিন্তু দার্শনিক জানেন তো! হাঃ হাঃ হাঃ
'একটা আন্তরিক কথা দিয়ে তিনটা শীতকাল উষ্ণ করা যায়'।
জাপানিসরা বিশ্বাস করে।
আপনার সাথে কথা বলে আমার এমনটা মনে হয়। আচ্ছা আপনি কি হাত দেখতে পারেন?
আমি হাত দেখার আমি কিছুই জানি না। তারপর ও সিরিয়াস ভাব নিয়ে তার বাড়িয়ে দেয়া কোমল হাত আলতো করে আমার হাতে তুলে নিই। তার হাত ধরে ঝিম মেরে বসে থাকি।
সে বিরক্ত হয়ে বলে কি হয়েছে?
আপনার হেডলাইন মাউন্ট অব লুনার দিকে বেঁকে গেছে। যেখানে গিয়ে শেষ হয়েছে সেখানে একটা ক্রস।
এটার মানে কী?
সিরিয়াস কিছু না। এটার মানে আপনার জীবনটা অনেক সুন্দর হবে।
সে আমার কথায় কনভিন্সড হয়েছে বলে মনে হলো না। তাকে ব্যথিত দেখালো খুব, আর বিষণ্ন হলে মন খারাপ করলে তাকে কি যে মায়াবী দেখায়! প্রাচীন লেখক বুদ্ধদেব বসু বলেছিলেন- 'রুপসী ও বিষাদময়ী সমার্থক এবং যে-নারী চুম্বনযোগ্য তার চোখ অশ্রুতে মলিন'।
# # #
সেদিন বাসায় এসে মনের প্রশ্নবোধক চিহ্নটা ঝেড়ে ফেলতে কাউন্ট লুইস হ্যামনের বিখ্যাত বই 'দি ল্যাঙুয়েজ অব দি হ্যান্ড' ঘেঁটে দেখি- হেডলাইন যদি মাউন্ট অব লুনার দিকে বেঁকে যায় এবং সেখানে স্টার থাকে তাহলে সেটা ভয়াবহ ব্যাপার। সুইসাইডের চিহ্ন!
# # # #
কোন কিছুর জন্য অপেক্ষা শুরু করলেই সময় স্লো হয়ে যায়। টাইম ডাইলেশন হয়। আমি যার জন্য অপেক্ষা করছি তার আসার কোন খবর নেই। আকাশ ভেঙে জোছনা নেমেছে আজ, গৃহত্যাগী জোছনা। চারিদিকে থৈ থৈ করছে, মনে হচ্ছে আজ শহরটাকে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে। আজ আমাদের একসাথে জোছনা দেখার কথা ছিলো। আমি আজ সারারাত জেগে আছি, জোছনা দেখছি একা! রাত শেষে একটা সময় ভোর হয়। আলো হয়ে গেছে চারিদিক। তবুও সে আসে নি।
# # # # #
'জীবন মৃত্যুর মাঝখানে যারা থাকে তারা অদ্ভুত অদ্ভুত কথা বলে। আমার কোন কথায় তুমি রাগ করো না। আমাকে ভুলে যেও। আমাকে দেখতে যদি মন কাঁদে, বৃষ্টিকে ছুঁয়ে দিও।'
সে বৃষ্টি হতে চেয়েছিলো। ঝুম বৃষ্টি।
আমার কাছে তার দেয়া একটা ছোট্ট ডায়েরী ছিল। সে আমাকে খুলতে বারণ করেছে। শুধু কোনদিন তার কোন খোঁজ না পেলে তবেই খোলা যাবে। অনেকদিন কেটে গেলে আমি তার ডায়েরীতে লেখা একেকটা পৃষ্টা পড়ছি।
তুমিই তো বলেছিলে, প্রতিটি মানুষের পাঁচটি নীলপদ্ম আছে। সে তার সবচে প্রিয় মানুষটাকে নীলপদ্ম দেয়। একটা না দুটা সে তার ইচ্ছে। আমি তোমাকে আমার সবগুলো নীলপদ্ম দিয়েছি। আমি তোমাকে ভালবেসেছি তাই বলে এতো বড় অপরাধ আমি করতে পারব না। আমি HIV-positive। একটা HIV-positive মেয়েকে তুমি বিয়ে করবে বলো?
# # # # #
সকাল থেকে জানালার পাশে দাড়িয়ে আকাশ দেখছি। মেঘলা আকাশ। মনটা ভারী হয়ে আছে আকাশের মতো। জানালার ফাঁক দিয়ে থিরথির বাতাস এসে গায়ে লাগছে। আজ আমাদের বৃষ্টি বার্ষিকী। বৃষ্টি চাই ঝুম বৃষ্টি।
আমি বৃষ্টি দেখেছি, বৃষ্টির ছবি এঁকেছি। অন্জনের গানে গানে বৃষ্টিকে ডাকছি।
প্রতিক্ষিত বৃষ্টি এলো, আকাশ ভেঙ্গে। ঝম ঝম ঝরছে। গলে যাওয়া মেঘের সাথে মিশে স্মৃতিরা যেন ঝাঁপিয়ে পড়ছে আজ। ভালোবাসার অপরাধে আজ আমি বৃষ্টিবন্দি। বৃষ্টির মাতম যদি বৃষ্টিমেয়ের হদিস দেয় এই আশায় বৃষ্টিতে ঝাপিয়ে পড়ি। দমকা বাতাসে আমার সব কথা নিভিয়ে দিয়ে গেলো নিমিষেই! এখন কিচ্ছু করার নেই, চুপচাপ বৃষ্টিতে ভিজছি। তার ঝরে পরা অনুভব করছি, সে; যে বৃষ্টি হতে চেয়েছিল!
এই সামান্য লেখাটি আমার অসম্ভব প্রিয় এবং অসাধারণ একজন মানুষ 'আবদুর রাজ্জাক শিপন' ভাইকে উৎসর্গ করছি।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৪২
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ মনসুর ভাই। কেমন আছেন?
২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৫০
হাসান মাহবুব বলেছেন: উপস! এরকম হবে ভাবতেও পারিনাই।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৫৬
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: বস মানুষের মুখে কি শুনছি। আপনার একেকটা গল্পের যে থিম জীবনে ও চিন্তা করতে পারবো না। আপনার লেখার আমি দারুণ ভক্ত। সময়ের অভাবে ইদানিং ব্লগে আসা হয় না বলেই আপনার লেখাগুলো পড়া হয় না।
কেমন আছেন?
৩| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৫৭
আবদুল্লাহ আল মনসুর বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ্। ভালো আছি। আপনি ভালোতো?
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১:০২
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: জি বস, ভালোই। ব্যস্ততা এই যা!
৪| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১:১৬
আবদুর রাজ্জাক শিপন বলেছেন:
প্রিয় ইমন !
সুখপাঠ্য লেখাটি পড়তে পড়তেই হৃদয়টা আদ্র হলো । একই লেখাই একই সঙ্গে পাওয়া এবং পেয়ে হারানোর মীশ্র অনুভূতি কতো তীব্রভাবে ধরা দিতে পারে, তা বেশ অনুভব করলাম হৃদয় দিয়ে !
আর লেখা শেষেরও শেষের লাইনে এসেতো ধাক্কাই খেলাম ! আমিও বৃষ্টি বিলাসী মানুষ, একটু বেশীই, তা জেনেই কি... !
জীবনে এতো সম্মানীতবোধ করেছি খুব কমই ! এই ভালোবাসা রাখবার জায়গা একটাই , হৃদয় ! সেইখানেই হীরা, মণি-মুক্তা হয়ে থাক... !
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১:২৯
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: আপনার সুখপাঠ্য হয়েছে জেনে বেশ খুশি হয়েছি। ব্লগে অনেক বন্ধু পেয়েছি, কিছু মানুষ আছে যারা খুব আপন, খুবই প্রিয় হয়ে যান। আপনি তেমন ই একজন। আপনাকে উৎসর্গ করেছি এটাতেই আমি সম্মানিত বোধ করছি।
কেমন আছেন?
৫| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১:২৫
ডেইফ বলেছেন: সুন্দর একটি গল্প,ভাল লাগলো অনেক ।ধন্যবাদ রইল লেখার জন্য।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১:৩০
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকুন।
৬| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১:৪৮
আবদুর রাজ্জাক শিপন বলেছেন:
কেবল 'সুখপাঠ্য' না তার আগে 'অসামান্য' শব্দটিও যোগ করে নিতে হবে ।
ইমন, নিয়মিত হবার চেষ্টা করছে, সেটাই আপাতত আনন্দের খবর । লেখার ফুল চাই সবসময় ।
ভালো আছি । ভালোতো পরবাসে ?
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ ভোর ৫:০৯
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: শিপন ভাই আমি যে বিষয় নিয়ে পড়ছি, পড়া বাদে আর কিছু করার টাইম থাকে না। তাছাড়া কাজ তো করছিই। অনেক ব্যস্ততায় থাকতে হয়।
ভালোই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আপনি ভালো থাকুন।
৭| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ ভোর ৪:৫৪
শোশমিতা বলেছেন: ভালো লাগলো +
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ ভোর ৫:০৯
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ শোশমিতা। ভালো থাকুন।
৮| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:২৮
বোহেমিয়ান কথকতা বলেছেন: চমৎকার গল্প ভাইয়া, অনেক ভালো লাগল
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ ভোর ৫:৩১
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: আরে বোহেমিয়ান যে! কি খবর? কেমন আছো? তুমি কি খুব ব্যস্ত?
৯| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ২:১০
চতুষ্কোণ বলেছেন: পড়ে যাব সময় করে।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ ভোর ৫:২৯
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: আচ্ছা।
১০| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১:৫২
শান্তির দেবদূত বলেছেন: শেষে এসে একা চরম ধাক্কা খেলাম, যেমটা একেবারেই অপ্রত্যাশিত!
চমৎকার লেখা, অসাধারন লাগলো। একটা শব্দ একেবারে মগজে গেঁথে গেছে, "বৃষ্টিবন্দি"! আহ! বৃষ্টিবন্দি!! অনেক দিন থাকবে এই শব্দটা মাথায়।
এমন মায়াবি, হৃদয়গ্রাহী আরও লেখা চাই। শুভেচ্ছা রইলো।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ ভোর ৫:২৬
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ বস। আপনার ভালো লেগেছে জেনে প্রীত হলাম।
মায়াবী লেখা আমাকে দিয়ে আসলে হয় না, আপনার, আপনাদের মতো লিখতে পারলে তো হতোই!
এনিওয়ে ভালো থাকুন।
১১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ৭:৪৫
রাজসোহান বলেছেন: আবেগাপ্লুত লেখা !
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ ভোর ৫:৩১
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: পড়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ বস।
১২| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ৮:০৭
অন্ধ আগন্তুক বলেছেন: অনেক অনেক ভালো লাগা । এমন আচমকা চমকা , দারূণ !
এই কথাটা মাথায় গেথে আছে -
ভিজতে ভিজতে আমরা প্রকাশিত হতে থাকি ক্রমশ।
ভালো লাগা গল্পে প্লাস ।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ ভোর ৫:৩২
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: আপনার কমেন্টে দারুণ উৎসাহ পেলাম।
বিনীত ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।
১৩| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫৯
আমি উঠে এসেছি সৎকারবিহীন বলেছেন:
চমৎকার ত!!
অঃটঃ শিপন ভাই আমার পছন্দের একজন লেখক।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ ভোর ৫:৩২
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ বস। ভালো থাকুন।
১৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১২:০৮
বালুকাবেলা বলেছেন: +++
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ ভোর ৫:৩৩
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: ধন্যবাদ।
কি ব্যাপার আপনি কি কথা বলা ভুলে গেছেন?
১৫| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ৭:১০
পেন্সিল বলেছেন: তাহলে এই গল্প থেকে আমরা কি শিখলাম? প্রেম করার আগে এইচ আই ভি টেস্ট করে নিতে হবে।
গল্পের লেখনী চমৎকার।
''সাদা মেঘগুলোকে নগ্ন নারীর একপায়ে লেপ্টে থাকা মোজার মতো দেখাচ্ছে।'' অসাধারন একটা উপমা।
''বৃষ্টি আমার কখনো প্রিয় ছিলো না। আমার নাগরিক রুচির দরজায় বৃষ্টির কোন আবেদন, ইসথেটিক্স ছিল না। বৃষ্টি দেখে আমি বরং যারপরনাই বিরক্ত হতাম। '' নিজের সাথে মিলে গেল।
এরকম আরো লেখা চাই।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১২:২৪
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: হা হা হা...এইচ আই ভি'র কাহিনী আছে, দেখা হলে বলব নে।
তোমার কমেন্টে উৎসাহ পেলাম। যদিও ব্লগ থেকে বিরতি নিতে হবে।(নাইলে আমি না দৌড়াইলে পরীক্ষা দৌড়াবে..হি হি)
১৬| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:৪৫
আলী আরাফাত শান্ত বলেছেন: দুর্দান্ত লাগলো!
কেমন আছো ভাইয়া?
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৪৮
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: শান্ত মিয়া কতোদিন পরে আইলা? তোমারে ঈদের দিন ফোন দিসিলাম, তুমি ঘুমাইতেছিলা তাই চিনতে পারো নাই।
পরে ফেসবুকে ম্যাসেজ দিছিলাম, গরীব মানুষ বইলা রিপ্লাই দাও নাই
১৭| ০১ লা অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:০২
আলী আরাফাত শান্ত বলেছেন: ওফলাইনে দিছি আর মোবাইলেও ট্রাই করছি যায় নাই
১২ ই অক্টোবর, ২০১০ ভোর ৫:০৩
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: শান্ত দুঃখিত, আমি ডুব দিয়েছি। ফেসবুক,মেসেন্জার,ব্লগ সব কিছুই অফ। কেমন আছো?
সময় করে তোমাকে কল দিবো নে।
ভালো থেকো।
১৮| ১০ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৪:৪৭
চতুষ্কোণ বলেছেন: অনেকদিন ধরেই লেখাটা পড়ে যাব, পড়ে যাব ভাবছিলাম। হয়ে উঠছিলো না। আজ পড়লাম। এবং পড়ার পর মনে হচ্ছে আসলে এই লেখাটা নিয়ে আমার কিচ্ছু বলার নেই। আমি বসে আছি চুপচাপ। লেখার প্রতিটি অক্ষর আর শব্দের ঝরে পড়া অনুভব করছি। যা একটি সুন্দর আর মিষ্টি গল্প হতে চেয়েছিল!
গল্পটা ছুঁয়ে গেল!
১২ ই অক্টোবর, ২০১০ ভোর ৫:০৩
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: আপনার আন্তরিক সুখপাঠ্য মন্তব্য পেয়ে খুশি হয়েছি। অশেষ ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।
১৯| ১০ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ১০:২৯
তানজিলা হক বলেছেন: 'একটা আন্তরিক কথা দিয়ে তিনটা শীতকাল উষ্ণ করা যায়'।
কথাটা জটিল সত্য তবে একটা শব্দ যোগ হবে.......
"'একটা আন্তরিক সত্য
কথা দিয়ে তিনটা শীতকাল উষ্ণ করা যায়'।
ভাই এমন মন খারাপ করা গল্প কেন লিখেন? হাসির কিছু লিখেন। এমনিতেই সারাদিন গম্ভির হয়ে বসে থাকতে হয়।No কথা no হাসি।তার উপর যদি মন খারাপ যোগ হয়!!!
১২ ই অক্টোবর, ২০১০ ভোর ৫:০৬
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: হুমম। আন্তরিক কথা মনে হয় বাই ডিফল্ট সত্যই হয়!
মন খারাপ হলো? আচ্ছা মন ভালো করার কিছু লিখতে পারি কিনা দেখি। তোমার সব পোষ্ট কই? লেখা দেও না কেন?
আছো কেমন?
২০| ১২ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:১৩
আহাদিল বলেছেন: আগে নৈশচারীর লেখা ও মন্তব্য না পড়লে হয় তো শেষটা যে এরকম হবে বুঝতে পারতাম না।
লেখকের লেখার হাত অনেক ভালো।
১২ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ১১:৫৫
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: বিনীত ধন্যবাদ। আমি আসলেই তেমন কোন লেখক নই, শখের বশে মাঝে মাঝে লিখে ফেলি, তাছাড়া এই ব্লগের বন্ধুদের উৎসাহ পেয়েই আসলে লেখার প্রতি টান বেড়েছে।
ভালো থাকুন।
২১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ৯:০৪
তানজিলা হক বলেছেন: সব পোস্ট ডিলিট করে ফেলছি।ফোনে কারো উপর রাগ হলে মোবাইল না ভংলেও সিম ভাংগি।তেমনি ব্লগে রাগ উঠছিল তাই একাউন্ট ডিলিট না করলেও পোস্ট ডিলিট করছি
ভালো আছি ............সমস্যা হচ্ছে মনে এখন আর ভাব আশে না। আর ভাব না আসলেত কোন পোস্ট ও দেয়া যায় না
আপনার খবর কি?
২৩ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৩:৫৩
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: হুমম। তোমার রাগ দেখি চরম! আমার ও একটা সময় অনেক রাগ ছিলো, এখন নাই। আসলে লাইফে কোন কিছু নিয়ে রেগে যাওয়ার কোন সুফল আমি দেখি না বরং এটার নেগেটিভ ইফেক্ট আছে। সো আই এ্যম আউট অফ ইট।
আমি আছি ভালোই। তোমার খবর কি ? দেশের বাইরে থাকো না?
২২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ৩:১০
সোহরাব সুমন বলেছেন: অসম্ভব ভালো একটা লেখা পড়লাম ! অসম্ভব মন খারাপ হলো ! আমারো বৃষ্টি হয়ে ঝড়ে পরতে খুব ইচ্ছা করে। কিন্তু কিকরে সেটা সম্ভব আমার তা জানা নেই।
২৩ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৩:৫৫
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: কষ্ট করে পড়ে কমেন্ট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাল থাকুন সবসময়।
২৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:৪৭
চিটি (হামিদা রহমান) বলেছেন: ইমন অসামান্য লেখা। অনেক দিন পর তোমার লেখা পড়লাম। এত যে কম লিখো। ভালো থেকো
২৩ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৩:৫৬
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: আপু তোমাকে অনেকদিন পরে আমার ব্লগে দেখলাম। ভালো লাগল।
কেমন আছো?
আসলে লিখতে বসার সময় খুব কম, তাছাড়া আলসেমি তো আছেই।
২৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১০:০৮
আলী আরাফাত শান্ত বলেছেন: ভাইজান কেমন আছেন?
কতদিন কথা নাই
২৩ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ৩:৫৭
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: শান্ত আমি ডুব দিছি।
কেমন আছো তুমি? সব ভালো তো?
২৫| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১০ ভোর ৪:০৫
রক্তিম কৃষ্ণচূড়া বলেছেন: অসম্ভব সুন্দর একটা লেখা।
২৩ শে অক্টোবর, ২০১০ ভোর ৪:০৯
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ বস।
আপনার কমেন্টে বেশ ভালো লাগল।
২৬| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২০
আলী আরাফাত শান্ত বলেছেন: হ ভাই ভালৈ!
একেবারেই বসা হয় না নেটে তাই খারাপ!
২৭| ০৯ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:০৬
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: আমার ব্লগে রেজিঃ র প্রথম থেকেই এই গল্পটা আমার প্রিয়তে ছিল, আজ বৃষ্টিতে আবার পড়তে ইচ্ছে করলো, কিন্তু কমেন্টে এসে দেখি আমি কমেন্ট করিনি।
অনেক সুন্দর গল্পটা, মাঝে মাঝে পড়ি, পড়ব
১১ ই জুন, ২০১১ রাত ১:২৮
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: পড়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ। ব্লগে অনেকদিন আসা হয় না। আপনার ব্লগে গিয়ে আমি মুগ্ধ। এতো সুন্দর সব লেখা। সময় করে কমেন্ট রেখে আসবো। ভালো থাকবেন।
২৮| ২৮ শে জুন, ২০১১ রাত ১১:৩৯
অচিন রুপকথা বলেছেন: ব্লগ লাইফের একদম প্রথম দিকে লেখাটা পড়েছিলাম...সেদিন থেকেই প্রিয়তে আছে...
আমার কোন কথায় তুমি রাগ করো না। আমাকে ভুলে যেও। আমাকে দেখতে যদি মন কাঁদে, বৃষ্টিকে ছুঁয়ে দিও।
অসম্ভব ভালো লেগেছে লেখাটা...++++++++++
০২ রা জুলাই, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৮
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: ধন্যবাদ। পুরনো লেখায় নতুন কমেন্ট পেয়ে ভালো লাগে।
২৯| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১:১২
আমি তুমি আমরা বলেছেন: মচতকার।+++
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৪০
আবদুল্লাহ আল মনসুর বলেছেন: +++