নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইংরেজিতে একটা বহুল প্রচলিত কথা আছে.........শ্যুগার কোটেড সায়ানাইড পিল। শিরোনামের সাথে মিলিয়ে দেখলে আমার লেখার বিষয়বস্তু বুঝতে পারছেন নিশ্চয়ই। প্রশ্নটা যদিও আপনাদেরকে করলাম; তবে উত্তরটা আমিই খোলাসা করার চেষ্টা করবো এই লেখায়।
ছাত্রাবস্থায় বিএনপি'র সমর্থক ছিলাম শুধুমাত্র জিয়াউর রহমানের ক্যারিশম্যাটিক চরিত্রের কারনে। আমার মতো লাখো যুবকের একই দৃষ্টিভঙ্গি ছিল সেই সময়ে। আওয়ামী লীগ কোন সময়েই আমাদের চিন্তায় কিংবা মননে ছিল না তাদের ফ্যাসিবাদি চরিত্রের কারনে। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে বিএনপি'র সেই জিয়া আমলের চরিত্র বদলে গিয়েছিল। নব্বুইয়ে স্বৈরাচার এরশাদ পতনের পর জনগন বিএনপিকে ভূমিধ্বস বিজয় দিয়ে ক্ষমতায় এনেছিল, যার অন্যতম প্রধান কারন ছিল জিয়ার ক্যারিশমা। কিন্তু বিএনপি তার বিনিময়ে জাতিকে কি উপহার দিল? তাদের ভুলের কারনেই '৯৬তে তসবী হাতে হিজাব পড়া শেয়ালের মতো ধূর্ত হাসিনার জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনার মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার পথ সুগম হয়। পরের টার্মে বিএনপি আবার ক্ষমতায় আসলেও তাদের চরিত্রের কি কোন পরিবর্তন হয়েছিল? না, একেবারেই হয়নি। আগের ভুল থেকে তারা কোন শিক্ষাই নেয় নাই। দূর্নীতিতে পর পর দু'বছর বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন, নির্বাচনে কারচুপি ইত্যাদি ইত্যাদি তারই ধারাবাহিক প্রমাণ। যাকগে, এর পরের ইতিহাস আর নতুন করে কপচাতে চাই না। বেশীদিন আগের কথা না, আমাদের এই স্মৃতিভ্রষ্ট জাতির সেসব মনে থাকারই কথা।
তার চাইতে বরঞ্চ টাইম মেশিনে অতীতে ঘোরাঘুরি বাদ দিয়ে বর্তমানে ফিরি।
মোটাদাগে বিএনপির বর্তমানের ফোকাল ইস্যুগুলো অতি সংক্ষেপে বলি। অদূঢ় ভবিষ্যতে এগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলাপ করার ইচ্ছা আছে।
- সংবিধান বাতিল বা সংস্কার এবং আওয়ামী রাষ্ট্রপতি অপসারণে অনিচ্ছা
-আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করে দেশের রাজনীতিতে পুনর্বাসন করার বাসনা
-যেমন-তেমন সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচনের দাবী
-''সংস্কার রাজনৈতিক দলের কাজ, এই সরকারের সেসব করার ম্যান্ডেট নাই'' বয়ানকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা
-ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা
-আওয়ামী লীগের মতোই ভারতকে পীর মেনে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা
প্রসঙ্গতঃ জানিয়ে রাখি, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ক্রমাগত ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বিভিন্ন রকমের বানী দিয়ে যাচ্ছেন। ভাবখানা এমন যে, ছাত্র-জনতা তাদেরকে ক্ষমতায় আনার জন্যই রক্ত দিয়েছে। এরই মধ্যে দলের আরেক শীর্ষ নেতা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমেদ বানীও বেশ কৌতুহলোদ্দীপক। উনি বলেছেন,
বলেছেন, ''আগামী দিনের রাষ্ট্রনায়ক হবেন তারেক রহমান, বংশীয়সূত্রানুযায়ী দেশ পরিচালনা করবেন তিনি''। লক্ষ্য করেন ''বংশীয়সূত্রানুযায়ী'' শব্দটা। এরাই নিজেদেরকে সবচাইতে বড় গনতান্ত্রিক শক্তি দাবী করে। মজার না বিষয়টা?
ফ্র্যাঙ্কলি স্পিকিং, বিএনপির বর্তমান পদক্ষেপগুলোতে আমার ঘৃণা ধরে যাচ্ছে। এরা জনগনের পালস বুঝে না। সংবিধান সংবিধান করছে, দেশে গত ১৫ বছর ধরে ভোট নাই কোন সংবিধান বলে, সেটা কিন্তু বলছে না। যে সংবিধানের সাথে দেশপ্রেমের কোন সম্পর্ক নাই, যেই সংবিধান একটা ফ্যাসিস্ট শক্তির উত্থান ঘটায়, সেই সংবিধানের প্রতি এতো প্রেমের কারন কি? বিএনপির নেতৃবৃন্দকে বলি, আপনারা ঝেড়ে কাশুন। ''নৌকা আর ধানের শীষ, দুই সাপের একই বিষ''। নেট দুনিয়াতে এই শ্লোগানটা খুবই ভেসে বেড়াচ্ছে। বিএনপির নেতৃবৃন্দের কি চোখে পড়ে নাই? এটা কিন্তু আওয়ামী সমর্থকদের শ্লোগান না, আজকের তরুনদের শ্লোগান। সাধারন মানুষের শ্লোগান।
লন্ডন থেকে মাঝে মাঝেই শোনা যায় "ব্যক্তির থেকে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়''। এসব ফাকা বুলির উপরে সাধারন মানুষের আজকাল আর কোন ভরসা নাই। বরং তাদের মনে করিয়ে দিতে চাই, "লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু''। বিএনপির গত ১৬ বছরের কোন আন্দোলন কেন সফল হয় নাই সেটা এখন দিবালোকের মতোই পরিস্কার।
সংবিধান কোন আসমানী কিতাব না। এটা যে কোনও সময়েই পরিবর্তন করা যায়। একটা দেশে সংবিধানের চাইতে জনগন বড়। এতোদিন ধরে বিএনপি রাজনীতি করছে, এসব তো তাদের জানার কথা!! তাই বর্তমান সংবিধানের উপরে এনারা যে এতো জোর দিচ্ছেন, তাতে নিশ্চয়ই কোন অসৎ উদ্দেশ্য আছে। বিপ্লব কি সাংবিধানিক? তাহলে তো আজকের এই সরকারও অবৈধ। একটা দেশে মার্শাল ল কি সাংবিধানিক? তাহলে তো আপনাদের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের অনেক কাজই অবৈধ। পাবলিকলি কথাবার্তা বলার সময়ে বুঝে-শুনে কথা বলেন না কেন? আপনারা নিজেরাই যে নিজেদের লেজে আগুন দিচ্ছেন সেটা জনগন ঠিকই বুঝতে পারছে। জনগনকে এতোটা বলদ ভাবাটা কি ঠিক? আপনাদের ছাগলামীর জন্যই '৯৬তে আপনাদের সরিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছিল, আবার আপনারা আপনাদের ঘাড় পেতে দিচ্ছেন, যাতে করে তার উপর ভর করে আওয়ামী লীগ আবার দেশের রাজনীতিতে খুটি গাড়তে পারে। আওয়ামী লীগ জনগনকে বলদ মনে করতো। আসলে জনগন না, বলদ আপনারাই; সেইসঙ্গে নির্লজ্জ!!! আপনারা এমন কেন? দেশটাকে ভালো না বেসে ক্ষমতাকে কেন এতো ভালবাসেন? এবার সময় এসেছে, বদলান। এটাই আপনাদের শেষ সুযোগ। মনে রাখবেন, নাউ অর নেভার!!! দেশের মানুষ হাসিনার মতো একজন স্বৈরাচারকে টেনে নামিয়েছে। সেই তুলনায় আপনারা তো শিশু!!!!
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দকে বলবো, গনতন্ত্রের নামে এই অপশক্তিদের আবার ক্ষমতায় আসার সুযোগ করে দিবেন না, যে যাই বলুক, যতো চাপই আসুক, আপনারা সময় নিন। পরিপূর্ণ সংস্কার করুন। তারপরেই.........শুধুমাত্র তারপরেই নির্বাচন। নাহলে এতো এতো শহীদ আর আহতদের ত্যাগের সাথে বেইমানী করা হবে। আর এই তথাকথিত বুড়ো অথর্ব রাজনীতিবিদদের একচ্ছত্রভাবে ক্ষমতায় আসার আর দেশের মানুষকে শোষণ করার সুযোগ করে দিবেন না। আপনারা সমমনা অভিজ্ঞদের নিয়ে একটা রাজনৈতিক দল গঠন করেন নির্বাচনের আগে। শুধুমাত্র তাহলেই দেশের রাজনীতিতে একটা চেক এন্ড ব্যালেন্সের অবস্থা তৈরী হবে। নয়তো যেই লাউ, সেই কদু।
লেখার শুরুতে যেই প্রশ্ন করেছিলাম, তাতে আবার ফেরত যাই। আপনারা এতোক্ষণে নিশ্চিতভাবেই বুঝে গিয়েছেন। তারপরেও বলি, বর্তমানের বিএনপি হলো সেই শ্যুগার কোটেড সায়ানাইড পিল। অর্থাৎ গণতন্ত্রের আবরনে দূর্নীতিবাজ দল। আর কে না জানে, প্রাণ খুলে দূর্নীতি করতে চাইলে স্বৈরাচার হয়ে উঠার কোন বিকল্প নাই। এই সায়ানাইড পিলের রাজনীতি করার অধিকার এই দেশে কতোটুকু আছে, সেটা সময়ই বলে দেবে। তবে আজকের ছাত্র-জনতাকে ভেবে দেখতে হবে আগামীর বাংলাদেশে আমরা আরেকটা স্বৈরাচারের উত্থান দেখতে চাই কিনা। এটা সত্যি যে, বিএনপি তাদের নেতা-কর্মীদের নিয়ন্ত্রণে কিছু কিছু ব্যবস্থা নিচ্ছে, তবে তা যথেষ্ট না। এইসকল ব্যবস্থা গ্রহণ যে লোক দেখানো না, বরং আন্তরিক, সেটা প্রমাণের দায়িত্বও তাদের উপরেই বর্তায়।
আসল কথা হলো, আজ যদি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হয়ে যায় পরবর্তীতে বিএনপিও একই কারনে নিষিদ্ধ হতে পারে। সেই ঝুকি তারা নিতে চায় না। মানে দাড়াচ্ছে, তারা তাদের চরিত্র বদলানোর কোন নমুনা দেখাচ্ছে না। রাস্তা পরিস্কার রাখছে। প্রশ্ন হলো, এক স্বৈরাচারকে বিদায় করে আমরা কি আরেক দলকে স্বৈরাচার হয়ে ওঠার পথ সুগম করবো? বাংলাদেশ কি কখনও এই ভিশাস সার্কেল থেকে বের হয়ে একটা সত্যিকারের বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশের গড়ে ওঠা দেখতে পারবে না? আজকের তরুণদের সামনে এটাই সবচাইতে বড় প্রশ্নবোধক চিহ্ন!!!!
বিএনপি এখনও ক্ষমতায় আসে নাই, কিন্তু দেশের আনাচে-কানাচে তাদের নেতা-পাতি নেতাদের যে সকল ক্রিয়াকান্ডের খবর পত্রিকার পাতায় আসছে, সেটা কোন বিচারেই সুখকর না। ছোট-বড় বিভিন্ন খবরে তাদের দীর্ঘদিনের অভুক্ত শরীরের সীমাহীন লোভ প্রকাশ পাচ্ছে। ক্ষমতায় আসার আগেই যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে ক্ষমতায় যাওয়ার পরের অবস্থা কি দাড়াবে, সেটা সহজেই অনুমেয়। আজ যেভাবে স্বৈরাচারের ফেলে যাওয়া জায়গাগুলোতে বিএনপির নেতা-কর্মীদেরকে সক্রিয় হতে দেখছি, সেটা কোন ভালো বার্তা দিচ্ছে না একেবারেই।
আমি কোন বিশাল রাজনৈতিক বিশ্লেষক নই। একেবারেই সাধারন একজন মানুষ, ফলে আমার চিন্তা-ভাবনা সাধারন মানুষের সহজ-সরল চিন্তা-ভাবনা, আশা-আকাঙ্খারই প্রতিফলন। অনলাইনে, অফলাইনে প্রচুর বাঘা বাঘা বিশ্লেষক রয়েছেন। তারা প্রতিনিয়ত দেশের বর্তমান অবস্থা আর ভবিষ্যত নিয়ে কাটা-ছেড়া করে যাচ্ছেন। সাধারন মানুষ এতো প্যাচ-ঘোচ বোঝে না; বুঝতে চায়ও না। তারা চায় কিছু সহজ-সরল আশা-আকাঙ্খার বাস্তবায়ন, আর সেই বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কিছু দৃশ্যমান পদক্ষেপ। কোন সন্দেহ ছাড়াই বলা যায়, সেসবের জন্য দেশের আপামর জনসাধারন এই সরকারের দিকেই এখন পর্যন্ত তাকিয়ে রয়েছে।
শেষ করছি বর্তমানের একটা জনপ্রিয় শ্লোগান দিয়ে............যদি তুমি ভয় পাও, তবে তুমি শেষ; যদি তুমি রুখে দাঁড়াও, তবে তুমি বাংলাদেশ।
courtesy - Durbeen
২৩ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:১২
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: খালেদা জিয়াকে সম্মান প্রদর্শন আর বিএনপিকে ক্ষমতায় ইজি এক্সেস দেয়া এক করলে হবে না। হাজার হাজার তরুনের রক্ত, অন্ধত্ব ও ও পঙ্গুত্বের উপড়ে দাড়িয়ে ছাত্রজনতা এই সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছে বৈষম্যবিরোধি আন্দোলনের এক দফা দাবী পুরন করতে। ক্ষমতার পালাবদলের জন্য এত এত ইউনিভার্সিটির ছাত্ররা রক্ত দেয়নি।
২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:১৫
কামাল১৮ বলেছেন: এক দিকে বিএনপি অন্য দিকে মৌলবাদ।কোনদিকে যাবে জনগন।আওয়ামী লীগ এতোদিন মৌলবাদকে ঠেকিয়ে রেখেছিলো।অন্যদিকে মডারেট মৌলবাদের চাষ করেছে।গনতন্ত্রের বিকাশ ঘটায় নাই।তার ফল ভোগ করছে তারা।
বিএনপি ২০১৪ নির্বাচনে অংশগ্রহন করলে দেশের ইতিহাস অন্য রকম হতো।২০০৯ নির্বাচনে ভরাডুবি হওয়ায় বিএনপিকে নির্বাচন ভীতি পেয়ে বসে।নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে আওয়ামী লীগ দানবে পরিনত হয়।
২৩ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:২৮
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: মৌ্লবাদ , জঙ্গীবাদ নাটক এখন আর কাউকে খাওয়ানো যাবে না। প্রথম আলো ও ডেইলিস্টারের কদর্য রুপতো এখন সবার সামনে। এইসব রুপকথা গেলানোর দিন শেষ। ফ্যসিবাদ বিলোপ ও নতুন রাজনৈ্তিক বন্দোবস্ত চায় এদেশের ছাত্র জনতা। কোণ অবস্তাহতেই অতীতের বন্দোবস্তে আর ফিরে যাবে না বাংলাদেশ।
৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:১৯
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার পোস্টে অনেক সত্যতা আছে, বাস্তবতা আছে- যা দেকগে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের উচ্ছিষ্ট ভোগীরাও জয় বাংলা বলে বিএনপি'র উপর ঝাপিয়ে পড়ার সুযোগ পাবে।"বিএনপি হচ্ছে গনতন্ত্রের আবরণে দুর্নীতিবাজ দল"- কথাটা মানতে পারলাম না। তবে বিএনপি তে অনেক দুর্নীতিবাজ নেতা কর্মী আছে সেটা সত্য। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি- বিএনপি ই এখনো এদেশের আপামর জনতার আশা আকাঙ্ক্ষার রাজনৈতিক দল, যারা দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে সক্ষম।
বিএনপির নেতা কর্মী সমর্থকদের উপর দীর্ঘ দিনের নির্যাতন নিপীড়নে তাদের মধ্যে ক্ষোভের আগুন জ্বলছে। যার প্রতিফলন কিছুটা দেখা স্বাভাবিক। তবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, আরও অনেক সিনিয়র নেতারাও বলেছিলেন- "আওয়ামী লীগের পতন হলে একদিনেই এক লাখ / দশ লাখ আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী সমর্থকদের বিএনপি হত্যা করবে"! তেমন কিছুই হয়নি- এটাই বিএনপি নেতা কর্মীদের রাজনীতি।
আগেই বলেছি- বিএনপি তে কতিপয় খারাপ নেতা কর্মীও আছে। সুযোগ পেয়ে তারা অপকর্ম করছে। দল তাদেরকে মোটেই প্রশ্রয় দিচ্ছেনা বরং অভিযোগ পাওয়ামাত্র তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আবার বিপরীত চিত্রও আছে। গত পনেরো বছরে বিএনপি নেতা কর্মীদের মালিকানাধীন অনেক সম্পদ আওয়ামী লীগের লোকজন দখল করে নেয়েছে। সেইসব দখল করা সম্পদ বিএনপির লোকেরা উদ্ধার করলেও মিডিয়ায় প্রচার- "বিএনপি নেতা দখল করেছে!" এই ব্যাপারে আমি নিজে ভুক্তভোগী। আপনারা অনেকেই জানেন- ২০১৮ সালে আমি পিরোজপুর যাওয়ার পথে ষ্টীমার থেকে আমাকে র্যাব তুলে নিয়ে গুম করার কথা....বিভিন্ন মিডিয়ায় রিপোর্ট ছিলো- "পারিবারিক জমিজমা সংক্রান্ত একটা মামলায় হাজিরা দিতে পিরোজপুর যাওয়ার পথে ষ্টীমার থেকে হুমায়ুন কবির জুলভার্ন কে সাদা পোশাকে ৫/৬ জন সশস্ত্র লোক তুলে নিয়ে যায়....."।
হ্যা আমার পৈত্রিক সম্পত্তি যা আওয়ামী লীগের লোকেরা জোর জবরদস্তি দখল করে নিয়েছে তার বিরুদ্ধে আমি আদালতে মামলা করেছিলাম এবং সেই মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে যাচ্ছিলাম....
আমার জমি দখলকারী আওয়ামী লীগের গুন্ডারা এখন পালিয়েছে....আমি যদি সেই জমি এখন উদ্ধার করি তাহলে দেশজুড়ে মিডিয়ার সংবাদ শিরোনাম হবে- 'বিএনপির কর্মী হুমায়ুন কবির অমুকের জমি দখল করেছে.....!'
বিএনপি বিদ্বেষী মিডিয়া বলবেনা/ লিখবেনা- হুমায়ুন কবির তার বেদখল করে নিয়ে যাওয়া জমি পুনরুদ্ধার করেছে!
এটাই বাস্তবতা!
২৩ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৫৮
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: লেখাটা আমার না। দুরবিন নিক আমার ধারনা এই ব্লগের অত্যন্ত জনপ্রিয় এক ব্লগারের।
আপনার মত যদি আসলেই বিএনপির উপড় আস্থা রাখতে পারতাম, তাহলে এর চেয়ে ভাল কি হত! কিন্ত আপনিই বলেন যে এই আন্দোলন পুর্ববর্তী বিগত ১৫ বছরে বিএনপি কি করেছে? কেন তারা জনগনকে ঐক্যবদ্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে? যেই ছাত্রদের ডাকে লাখ লাখ মানুষ পুরো দেশব্যপী জুলাই -অগাস্টে রাজপথে নেমে এল, কেন বিএনপির ডাকে নামে নাই বিগত ১৫ বছরে ? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর আপনারাই খুজুন।
আন্দোলনের পরেই কি বিএনপি ইতিবাচক কোন ভুমিকা রাখছে ? তারা চাচ্ছে সরকারকে চাপ দিয়ে দ্রুত নির্বাচন দেবার ব্যবস্থা করবে। এরপর কোটি কোটি টাকা ছড়িয়ে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ধানের শীষ মার্কার জোড়ে ক্ষমতায় এসে আবারো ফ্যসিবাদের রাজত্ব কায়েম করবে। তাদের এই চাওয়ার মাঝে কোন রাখ ঢাক নাই।
বিএনপির কর্মীদের মাঝে আপনাদের মত নিবেদিত অনেক কর্মী থাকলে কি হবে , বিএনপি যদি কোনদিন ক্ষমতায় আসেও তবে আপনারা কোনদিন মূল্যায়িত হবেন না। কথাটা এখন আপনার বিশ্বাস না হলেও এটাই তিক্ত বাস্তবতা। ফ্যসিবাদী রাস্ট্র ব্যবস্থা কায়েমের প্রধান শর্ত হচ্ছে অসততা। যদি আপনি অসৎ না হতে পারেন , তবে ফ্যসিবাদী ব্যবস্থায় আপনার কোন স্থান নাই।
৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:১১
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরে আসতে হলে বিএনপির বিকল্প নাই। বিএনপি জামাত ছাড়া নির্বাচনে গেলে আরো ভালো।তবে জামাত-বিএনপি জোট একসাথে যাবে নির্বাচনে এমনটাই আভাস পাওয়া যাচ্ছে। অন্য কেউ গেলে বিএনপি ব্যতীত হয় সে ফ্যাসিস্ট হবে এবং বাংলাদেশের গণতন্ত্রের যে ছিটেফোঁটা বাকি আছে তাও ধ্বংস করবে।
৫| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনে মানুষটা সুবিধার না। পেইজে কোন কাম-কাইজই করেন নাই, উল্টা লেখাটা ব্লগে আইনা ফালাইছেন!! নাহ.........আপনেরে লিঙ্ক দেওনই ঠিক হয় নাই!!!!
৬| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৩
নতুন বলেছেন: নৌকা আর ধানের শীষ দুই সাপেই সমান বিষ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:৩০
ক্লোন রাফা বলেছেন: আপনার অনুমান ৯৯% সঠিক বলেই মনে করছি আমি। “সুগার কোটেই সায়ানাইড ”
আমার মনে হয় বিএনপি ধীরে হোলেও সুফল পেতে যাচ্ছে তাদের অভিনয় দক্ষতার জন্য। সেনাবাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তার কিছু নমুনার রিহার্সেল দেখতে পেয়েছি ! আর তিন মাসের মধ্যে মোটামুটি আরো স্বচ্ছ হয়ে যাবে । বাংলাদেশের গতিপথ কোন দিকে ধাবিত হোচ্ছ।
ভালো লেখা, ধন্যবাদ॥