![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার ছোট মামা বি ডি আর এ চাকরি করতেন। কিছুদিন আগে তার কিডনিতে ক্যান্সার ধরা পরে। সকল আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কাটিয়ে বাংলাদেশ এর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার অপারেশন হয়। আমরা চেয়েছিলাম দেশের বাইরে নিয়ে গিয়ে অপারেশনটা করাতে। দেশের ডাঃ দের প্রতি পূর্নশ্রদ্ধা রেখেই আমরা বলছি নিজের আপন জন কে বাঁচাতে নিজেদের সর্বস্ব দিয়ে আমরা চেষ্টা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সরকার থেকে জানান হল যে যদি আমরা যাই ত সরকার থেকে যে চিকিৎসা সাহায্য দেয়ার কথা তা দেয়া হবে না। আমরা নিম্ন বদ্ধবিত্ত পরিবারের লোকজনদের অনেক কিছুই ভাবতে হয়। তার পরও শেষ পর্যন্ত মামা চাকুরি টা ছেড়ে দিয়ে তার পেনশনের জন্য আবেদন করে। সেখানেও কত যে জটিলতা তা বুঝান যাবে না। এ যেন প্যাচের উপর প্যাচ। সময় বসে থাকে না, বয়ে যায়। আর এ সময়ে ক্যান্সার ব্যাধিটি মামার শরীর কে গ্রাস করে নেয়।
এক সময় এর প্রায় ছ ফুট উচ্চতার পেশি বহুল শরীর এর অধিকারী মানুষ টি হার জিরজিরে হয়ে বিছানার সাথে লেগে যাওয়ার মতও অবস্থা। ধিরে ধিরে সে চলে যাচ্ছে মৃত্যু নামক অমঘ সত্যের দিকে। আমরা প্রতিদিন চেয়ে চেয়ে দেখছি। চোখের দিকে তাকিয়ে মামা আজ বলল, আমাকে বাঁচাও, আমাকে এখান থেকে নিয়ে বাহিরে উন্নত চিকিৎসার ব্যাবস্থা কর। মিথ্যে সান্তনা দিতে পারি না। উঠে চলে আসি সামনে থেকে। আমার সাহস হয় না তার সামনে যাওয়ার।
যখন শুনি দেশের অমুক নেতা সিঙ্গাপুর বা অন্যান্য দেশের ব্যায়বহুল সব হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যাচ্ছে, কেউ বা লাশ হয়ে ফিরে আসছে কারও প্রয়োজনে মুহুর্তেই এয়ার আম্বুলেন্স এর ব্যাবস্থা হচ্ছে, তখন নিজেকে খুব ছোট মনে হয়।
দুর্গম সব যায়গায় জীবন কে বাজি রেখে দেশ ও জাতির সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য পরিবার পরিজন ছেড়ে মাসের পর মাস থেকেছেন যে লোকটি সে রাষ্ট্র থেকে সর্বোচ্চ চিকিৎসা র নিশ্চয়তা পেতে পারে না। বরং তাদের শুনতে হয়
- কি করবেন বাইরে গিয়ে?
- অযথা টাকা খরচ।
- আপনার ত শেষ সময় উপস্থিত। আপনার বৌ বাচ্চার কথা ভাবুন।
আর আমাদের নেতারা সপরিবারে সিঙ্গাপুর যান এক জনের চিকিৎসা করাতে। আমাদের ছোট মাথায় যত টুকু জানি তাতে সেখানে থেকে চিকিৎসা করাতে যে পরিমান টাকার দরকার হয় তারা কি তা নষ্ট করছে না?
স্বাধীনতার ৪২ বছর পর স্বাধীনতা রক্ষার এক সৈনিক শুয়ে আছে ঘরঘরে শব্দ হওয়া এক ই সি উ তে। তার স্ত্রী অন্ধকারে তার হাত ধরে আছে অন্যদিকে ফিরে চোখের জল কে আড়াল করে। ছোট ছোট ক টি বাচ্চা বাবা সুস্থ হয়ে আসবে বলে পথ চেয়ে আছে। ছেলের শোকে বৃদ্ধা মা কেঁদে কেঁদে এ বাড়ি ও বাড়ি ঘুরছে উন্মাদের মত।
আর আমরা নিশ্চুপ। চেয়ে আছি উপর ওয়ালার দিকে।
২১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:০৭
আবু মান্নাফ খান বলেছেন: আমিও হারিয়েছি ভাই
২| ২১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৫২
আশিক মাসুম বলেছেন: আর আমরা নিশ্চুপ। চেয়ে আছি উপর ওয়ালার দিকে।
কারন আমরা নিরুপায়
২১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:০৬
আবু মান্নাফ খান বলেছেন: আমরা অসহায়
৩| ২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৩৬
আরজু পনি বলেছেন:
আমি বুঝতে পাচ্ছি না, কি বলবো!
আর কত বৈষম্য দেখতে হবে !!
শেয়ার নিলাম ।
২২ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৪৭
আবু মান্নাফ খান বলেছেন: বৈষম্য যে আমাদের কে গ্রাস করে ফেলেছে
৪| ২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:২৪
বাংলার হাসান বলেছেন: আর আমরা নিশ্চুপ। চেয়ে আছি উপর ওয়ালার দিকে।
সত্যি আমরা বড় বেশি অসহায়।
২২ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৪৮
আবু মান্নাফ খান বলেছেন: বড় অসহায় ভাই আমরা
৫| ২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৪০
ইনকগনিটো বলেছেন: খারাপ লাগতেসে। কি করবো, মাঝে মাঝে নিজেদেরও এতো অসহায় মনে হয় যখন এইসব দেখি।
২২ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৪৯
আবু মান্নাফ খান বলেছেন: খারাপ লাগা টাই এখন আমাদের কমন হয়ে গেছে
৬| ২২ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:২৭
পিনিকেন্দ্র বলেছেন: সত্যি আমরা নিরূপায়।
২২ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৫০
আবু মান্নাফ খান বলেছেন: সত্যিই আমরা নিরুপায়
৭| ২২ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৭:৩৮
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: কি বলব ভাই? শুনে খুব খারাপ লাগল, কিন্তু ওপরঅয়ালার ইচ্ছার উপর আমাদের হাত নেই। আমার বাবা ক্যান্সারে মারা গেছেন। নিজের কষ্ট অন্য কেউ বুঝে নারে ভাই।
২২ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৫১
আবু মান্নাফ খান বলেছেন: নিজের কষ্ট অন্যকেউ বুঝে না সেটা ঠিক কিন্তু কেউ বুঝার চেষ্টাও করবে না?
৮| ২২ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৭
সোহানী বলেছেন: কারন আমরা নিরুপায় .......
২৩ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৫১
আবু মান্নাফ খান বলেছেন: আমরা নিরুপায়।
৯| ২২ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৭
ডাব্বা বলেছেন: আমাদের দেশের নেতাদের মৃত্যুগুলো হয় বড় মর্মান্তিক। নিজের দেশেই দলে বলে শেষ অথবা বিদেশে গিয়ে দলে বলে শেষ।
১০| ২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৩৭
মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন:
১১| ২২ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৪৬
rudlefuz বলেছেন: ভাই এভাবে ভাবার চেষ্টা করুন... আপনার মামা তারপরেও হাসপাতালের চিকিৎসা পেয়েছেন। গ্রামের একজন কৃষক বা একজন দিন মজুরের ক্যন্সারে কিন্তু এটুকু চিকিৎসাও তারা পান না। দেশের জন্যে একজন কৃষকের অবদানও কিন্তু কোন অংশে কম নয়।
আসলে আরেকজনের ভাগ্যের সাথে নিজেরটা তুলনা করে কখনো সুখ পাওয়া যায় না। নিজের যা আছে সেটাকেই কিভাবে আরো বাড়িয়ে তোলা যায় সেই চেষ্টা করা উচিত।
২৩ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৪৭
আবু মান্নাফ খান বলেছেন: ভাই ভাবার চেষ্টা করেছি, আপনি যেটা বলেছেন সেটা ঠিক কিন্তু সমস্যার ব্যাপারটা র থেকে আপন জন হারানোর কষ্টটা খুব বেশি।
আর গ্রামের কৃষক ও সেটা কেন পাবে না সেটাও আমার প্রশ্ন
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৩৮
নূর আদনান বলেছেন: kisu bolar sokti hariye fellam....