নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রযুক্তি মানুষকে দ্রুতালয়ে এগিয়ে নিয়ে যায় এক প্রস্তুত বিশ্বায়নের দিকে। আমার বিশ্বাস ব্লগ তার বিরাট বাহন হতে পারে।

প্রযুক্তি মানুষকে দ্রুতালয়ে নিয়ে যায় এক প্রস্তুত বিশ্বায়নের দিকে। ব্লগ তার একটি বিরাট বাহন

মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক

মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিয়ে বাড়ি'র মাইক বাজানো ও একটি কাঁচা শৈশব

১২ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১২:৩৩

বিয়ে বাড়িতে মাইক বাজানো আনন্দের অপরিহার্য অংশ ছিল দু’দশক আগেই। আর আজকের শিশুরা হয়ত ভাবতেই পারবেনা উচ্চ শব্দের মাইক বাজানোরমত একটা কাজ বিয়ে বাড়ির অংশ হতে পারে। দিন পাল্টাচ্ছে বিয়ে বাড়িতে আজ মাইকের জায়গা দখল করে নিচ্ছে ব্যান্ড-পার্টি, লাঠিখেলার জায়গায় ডান্স-পার্টি, বাড়ির সামনে কাপড়ের তৈরি সামিয়ানার নিচে মেহমানদের খাবারের জায়গাটিও চলে গেছে কমিউনিটি সেন্টারে। সবেই আজ রেডিমেটঃ ব্যান্ড-পার্টি, ডান্স-পার্টি, কমিউনিটি সেন্টার, সবই।

সবই ভাড়া করা; নির্দিষ্ট সময়ের বিনিময়ে টাকা। কোনভাবেই অতিরিক্ত সময় দেয়না; আর একটু সময় বেশি দিতে বললে আরও একটু বেশি বিল ধরিয়ে দেয়; সবাই এখন প্রফেশনালী কমার্শিয়াল।



হয়তবা মাইক, লাঠিখেলা আর সামিয়ানা দেখতে প্রফেশনালী লাগত না কিন্তু ছিল আন্তরিকতায় ভরপুর আর ভালবাসা মিশ্রিত আনন্দের উৎস। বিয়ে বাড়ির লোকজনই এইসবের আয়োজন করত: নিজ হাতে।



আর এখন শুধু পার্টিকে বলে দিলেই পিক-আপ ভ্যান ভরে চলে আসে বাড়ির সামনে। নিজেদের কিছুই করতে হয় না; নিজে করার আনন্দটাও অনুভূত হয়না। বাড়ির লোকজন ব্যস্ত থাকে উচ্চ মাগিয়োদের আগমনের রিসিপশন দিতে। পদ্ধতিটি অবশ্য পাল্টিয়েছে পশ্চিমের দেশগুলি থেকে, যিনি যত বেশি টাকাওয়ালা তাঁকে বেশি সম্মান জনক রিসিপশন না দিলে সাথে সাথেই নাখুশ।



সেই শৈশবের আনন্দময় সময়টা আবার নতুন করে দেখার, ফিরে পাবার ইচ্ছায় স্মরণ করি গ্রামীণ বিয়েবাড়ি, মাইক, ব্যান্ড-পার্টি, কাপড়ের তৈরি-বাঁশের খুঁটির উপর সামিয়ানা, ফকির খাওয়ানোর জন্য আলাদা লোকজন, কাঙ্গালীভোজ।



আজকের শিশুরা ঐ গ্রামীণ পরিবেশটা দেখেনি। শুনে থাকলেও হয়তবা তারা কখনও ফিরে পেতেও চাইবে না, দেখতেও চাইবে না সেই পরিবেশ, শুনতে চাইবে না গ্রামীণ কোন বিয়ের কাহিনী। গ্রামীণ পরিবেশের অনাবিল শান্তির আনন্দের সময় টুকুও তাদের স্মৃতিতে দাগ কাটবে না, স্মরণীয় হয়ে থাকবেনা গ্রামীণ স্মৃতিময় শৈশব। আজকের শিশুরা খুব ব্যস্ত আধুনিকতার সাথে তাল মিলাতে, পিতা-মাতাও চিন্তায় থাকে তাদের শিশুটা আধুনিক হলো কি না। তাই এই নতুন প্রজন্মের কাছে হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের মূল্যভূদ। চর্চার অভাবে ভুলে যাচ্ছে বাঙ্গালী সংস্কৃতি। আমাদেরও নিজস্বতা বলে কিছু ছিল তাও। হয়তবা কিছুই করার নেই এমন সংস্কৃতি শত বার পাল্টিয়েছে শত বছরের ইতিহাসে।



আজ স্মরণ করি স্মৃতিময় শৈশবের কথা; আনন্দ উচ্ছ্বাসে ভরপুর মাইক বাজানো, লাঠিখেলার মত গ্রামীণ স্মৃতি।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১২:১০

মাহবুব সুমন বলেছেন: সময়ে সব কিছুই বদলে যায়, অনেক স্ম্বতিই আর ফীরে আসবার সুজোগ পায় না। :(

সুমনের খেরোখাতা

১৩ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১০:৩৬

মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেছেন:
হ্যাঁ ভাই।

একাকি স্মৃতি মন্থর করা আরকি।

২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:৩২

শিপু ভাই বলেছেন: আমি ভাই অল্প কিছু বছর এসব ভাগে পাইছি।
আমার ভাগ্য খুব ভাল শৈশবে প্রায় ৬ বছর (৫-১০ বছর বয়স) আমার গ্রামে কেটেছে।
ওই সময়ের কথা মনে পড়লে বুকের ভিতর হাহাকার করে উঠে।

৩| ২২ শে জুন, ২০১১ দুপুর ২:০৮

হ্যামেলিন এর বাঁশিওয়ালা বলেছেন: হুম, দিন বদলায়, খুব করুনভাবে বদলায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.