নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বেলাশেষে ক্লান্ত-তৃষ্ণার্ত পথিকের ন্যায় আসলাম সামুর তীরে, রেখে যেতে চাই কিছু অবিস্মরণীয় কীর্তি । পারি না আর না পারি, চেষ্ঠার ত্রুটি রাখবো না, এই ওয়াদা করছি ।

মোশারফ হোসেন ০০৭

একজন শৌখিন লেখক আমি, আবার কবিও বলা যেতে পারে । যখন যা ভালো লাগে তাই লিখি ।

মোশারফ হোসেন ০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সায়েন্স ফিকশন - স্প্লাটুজেনাস গ্রহের একজন কেন্টর – সেরিনা - পর্ব - ০১

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:২০

সাল ৩৪৮৩

স্প্লাটুজেনাস গ্রহে ভোটের আবহ চলছে । আর কয়েকদিন পরেই নির্বাচন । কে হবে হনুমিনাসদের রাজা । এই হনুমিনাস জাতি যুগ যুগ ধরে তাদের সাম্রাজ্য টিকিয়ে রেখেছে ভালোভাবেই । এদের প্রতিযোগিতা আজ শুধু সাপার্ট-দের সাথে । বলা হয়ে থাকে, ২৯০০ সাল পর্যন্ত এই হনুমিনাস জাতির পূর্বপুরুষ অর্থাৎ হোমো সাপিয়েন্স নামক জাতি সৌরজগতের পৃথিবী নামক ছোট্ট একটি গ্রহে বাস করতো । হোমো সাপিয়েন্সদের যেমন মানুষ বলা হতো, হনুমিনাসদের বলা হয় কেন্টর ।

সাপার্ট-দের পূর্বপুরুষদের সৃষ্টি এই হোমো সাপিয়েন্সদের কাছ থেকেই । কেন্টররা হনুমিনাস জাতি হলেও সাপার্ট-রা কোন জাতি নয়, তাদের জন্ম হয়না । তাদেরকে সৃষ্টি করা হয় । মানুষদের কাছ থেকেই সর্বপ্রথম সাপার্ট-রা সৃষ্ট হয় । আর এখন তারা নিজেরাই নিজেদের সৃষ্টি করে । তাদের মৃত্যু নেই, ধ্বংস আছে । তাদের অবশ্য সৃষ্ট হওয়ার একটাই লক্ষ্য, কেন্টরদের সাথে লড়াই করা তথা যুদ্ধ করা । মানুষরা অবশ্য এই সাপার্ট-দের সৃষ্টির শুরুতে অর্থাৎ সাপার্ট-দের প্রথম দিকে নামকরণ করেছিল রিতুরিক নামে, যারা আদৌ প্রাণী ছিল না, তারা ছিল রবোটিক । কালের বিবর্তনে প্রোটোকল ভেঙ্গে অনেকবার বিবর্তনের মাধ্যমেই এই রিতুরিক জাতি থেকেই সাপার্ট-দের আত্মপ্রকাশ । অবশ্য এই প্রোটোকল ভাঙ্গার কারণেই মানুষরা তাদেরকে নিজেদের থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয় । (প্রধান প্রোটোকলই ছিল রিতুরিক-রা কোন ক্রমেই কোন মানুষকে আক্রমণ করতে পারবে না) । এই সাপার্ট-রা কয়েক শতাব্দি ধরে তারা তাদেরই পূর্বপুরুষদের (রিতুরিকদের) সৃষ্টিকারী জাতির সাথে অস্তিত্ব লড়াইয়ের যুদ্ধে অবতীর্ণ । সাপার্ট-রা অবশ্য এই স্প্লাটুজেনাস গ্রহে থাকে না, তাদের বসবাস পার্শ্ববর্তী নক্ষত্র জেমহেইনাসের অন্তর্গত একটি গ্রহ রালটেইটিকে । আর স্প্লাটুজেনাস গ্রহটি সেনচারমেন নক্ষত্রের অন্তর্গত । হনুমিনাস ও সাপার্ট-দের মধ্যেকার যুদ্ধ বাধে মহাকাশের আধিপত্য বিস্তার করা নিয়ে ।

সেনিরা তার ফ্ল্যাটের করিডরে দাড়িয়ে আছে বেশ অনেকক্ষণ ধরেই । আশপাশ দিয়ে ফ্লায়িং সসারগুলো সাই সাই করে উড়ে যাচ্ছে । সেনিরা এই গ্রহের সবচেয়ে নিচু বিল্ডিঙটাতে বসবাস করছে আজ প্রায় পঁচিশ বছর । সে এই বিল্ডিঙয়ের ১২৬ তলায় থাকে । সেনিরা এই ফ্ল্যাটে একাই থাকে । ওর দুইটা পারসোনাল রবোটিক হেল্পার আছে । জেনা ও ব্লাটনিস । যদিও রবোটিক ব্যাপারটিতে লিঙ্গ স্পেসেফিক থাকে না । তবে সেরিনা মনে করে জেনা মেয়ে আর ব্লাটনিস ছেলে । রবোটিক হেল্পার হিসেবে যেগুলো ব্যাবহার করা হয়, এগুলোও অনেকটা সাপার্টদের মত । তবে এদেরকে সর্বপ্রথম সৃষ্টি করে কেন্টর-রাই । সাপার্টদের সাথে নিত্য যুদ্ধে লিপ্ত হওয়া কেন্টর-রা যখন বুঝতে পারে, আসলেই রবোটিক কোন উপাদান তাদের দৈনন্দিন জীবন অনেক সহজ করতে পারে, তখন থেকেই এই রবোটিক হেল্পার তৈরি করার চিন্তা-ভাবনা শুরু হয় । এরপর কেন্টরদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানীরা একমত হয়েই সর্বপ্রথম রবোটিক হেল্পার তৈরি করে । সে বহুকাল আগের কথা । আর এখন তো স্প্লাটুজেনাস গ্রহে বসবাসকারী সকলেরই এই রবোটিক হেল্পার আছে । কারও কারও একের অনেক বেশি রবোটিক হেল্পারও আছে । অবশ্য এই রবোটিক হেল্পার গৃহস্থালি কাজে যেমন ব্যবহৃত হয়, ঠিক তেমনি কর্মক্ষেত্রেও সমান হারে ব্যবহৃত হয় ।

সেরিনা দনারাল হাউজের ফিফথ লেভেলের এক্সকিউটিভ হেডের পারসোনাল সেক্রেটারি । ফিফথ লেভেলের হেড জনাব লাইকিন সেজুয়াল এই পদে আছেন আজ প্রায় দশ বছর । সেরিনা অবশ্য বিশ বছর ধরে এখানে আছে । লাইকিন সেজুয়ালের আগে জনাবা ইরিনা জেন্টুলের অধীনে কাজ করতো সে । এরপর ইরিনা জেন্টুল প্রমোশন পেয়ে থার্ড লেভেলে চলে গেলেও সেরিনা ফিফথ লেভেলেই থেকে যায় ।

দনারাল হাউজ স্প্লাটুজেনাস গ্রহের মেইন অপারেটিং বিল্ডিং । বিল্ডিঙটি মোট ৮৬০ তলা । এই বিল্ডিঙটিতে কাজ করার জন্য মোট বারোটি লেভেলে ভাগ করা হয়েছে । এর মধ্যে প্রথম ২২০ তলা পর্যন্ত বারোতম লেভেল, তার উপরের ১৫০ তলা পর্যন্ত এগারোতম লেভেল, এর উপরের ৯০ তলা পর্যন্ত দশতম লেভেল, এর উপরের ৮০ তলা পর্যন্ত নবমতম লেভেল, এর উপরের ৭০ তলা পর্যন্ত অষ্টমতম লেভেল, এর উপরের ৬০ তলা পর্যন্ত সপ্তমতম লেভেল, এর উপরের ৫০ তলা পর্যন্ত ষষ্ঠতম লেভেল, এর উপরের ৪০ তলা পর্যন্ত পঞ্চমতম লেভেল, এর উপরের ৩০ তলা পর্যন্ত চতুর্থতম লেভেল, এর উপরের ২০ তলা পর্যন্ত তৃতীয়তম লেভেল, এর উপরের ১৫ তলা পর্যন্ত দ্বিতীয়তম লেভেল, এর উপরের ১০ তলা প্রথমতম লেভেল । এর উপরের বাকী ২৫ তলা এই গ্রহের সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী এক্সকিউটিভ হনুমিনাসদের জন্য । সেখানেই তাদের কার্যালয় । সেই অনুযায়ী সেরিনা এই দনারাল হাউজের ৭২০ তলা থেকে ৭৬০ নং তলা পর্যন্তই কাজ করে ।

সেরিনা আগে থেকেই ভেবে রেখেছে এবার সে ভোট দিতে যাবে না । এই ভোটের সিস্টেমটাই তার কাছে খুব জঘন্য লাগে । তার জন্মদাতা, পিশযিক কানাহন (যাকে সে ড্যাডি বলে ডাকতো), গতবার সেও এই ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল কিন্তু বেলায়েক হিউয়ানের কাছে হেরে যায় । সেরিনার এই স্প্লাটুজেনাসে আপন বলতে একমাত্র ড্যাডি-ই ছিল । তার মাম্মি অনেক আগেই তার জন্মের সময় মৃত্যুবরণ করে । আর তার কোন ভাই-বোনও নেই । এরপর বেলায়েক হিউয়ান কেন্টর-দের রাজা হয় । পিশযিক কানাহনের ভোটে দাঁড়ানোর ব্যাপারটাকেই যেন বেলায়েক হিউয়ান অপমান হিসেবে নিয়ে নেয় এবং তাকে সাপার্ট-দের সাথে যুদ্ধে একজন সাধারণ সৈনিক হিসেবে রালটেইটিক গ্রহে যেতে বাধ্য করা হয় । সেখানে পিশযিক কানাহনের মৃত্যু হয় । আসলে কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে, এই ব্যাপারটিতে ধোঁয়াশা থেকে যায় । সেরিনার ড্যাডির একজন সহ-সৈনিক নাম না বলার শর্তে সেরিনাকে যুদ্ধের পরপর ফিরে এসে ফোন করে বলেছিল, তার ড্যাডিকে নাকি এমনিতেই মেরে ফেলার নির্দেশ ছিল, এমনকি যুদ্ধে মারা না গেলেও । সেই থেকে সেরিনা বেলায়েক হিউয়ানের উপর প্রতিশোধ নেওয়ার অপেক্ষায় আছে । আর এরপর থেকে ভোটের কথা এক প্রকার শুনতেই পারে না সে ।

কেন্টরদের রাজা হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে মোট তিনজন প্রার্থী । তারা হলেন বেলায়েক হিউয়ান, ফিউমোরাস জেনিনি ও রুইনি সেজার্ট । এদের মধ্যে বেলায়েক হিউয়ান হচ্ছেন সাবেক রাজা (যার কথাই একটু আগে বলা হলো) এবং বর্তমানে দনারাল হাউজের প্রথম লেভেলের হেড হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন । সাবেক রাজা হওয়া সত্ত্বেও বেলায়েক হিউয়ান বেশ জনপ্রিয় । ফিউমোরাস জেনিনি তিনি এই স্প্লাটুজেনাস গ্রহের সিকিউরিটি হেড । অর্থাৎ গ্রহের সকল সামরিক বাহিনী তার নির্দেশেই পরিচালিত হয় । তার এইবার জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি । রুইনি সেজার্ট অবশ্য একমাত্র নারী প্রার্থী এবং এবারই তিনি প্রথম ভোটে দাঁড়িয়েছেন ।

বেলায়েক হিউয়ান গতবার তিন বছরের জন্য পদে ছিলেন । তার নেওয়া মহাকাশ আপোষনীতির কারণে তিনি বেশ সমালোচিত হয়েছিলেন । অর্থাৎ তিনি সাপার্ট-দের সাথে সন্ধি করেছিলেন । অবশ্য তার বেশ কয়েকটি যুক্তিও ছিল । সাপার্ট জাতির মৃত্যু নেই, শুধু ধ্বংস আছে । কিন্তু কেন্টর-দের সকলেরই মৃত্যু আছে । সাপার্ট-রা কেন্টরদের এই দুর্বলতাকেই কাজে লাগিয়েছে আগের বেশ কয়েকটি যুদ্ধে । এতে করে স্প্লাটুজেনাস গ্রহের বেশ কয়েকজন সাহসী সামরিক জেনারেল যুদ্ধে মৃত্যুবরণ করেছে, যেটি আসলে কাম্য ছিল না । কিন্তু বেলায়েক হিউয়ান তার এই নীতি সাধারণের কাছে বুঝাতে সক্ষম হননি । ফলশ্রুতিতে এবার তার জয়ের সম্ভাবনা খুবই কম ।

ফিউমোরাস জেনিনি খুবই শক্ত ব্যক্তিত্বের একজন । তিনি স্প্লাটুজেনাস গ্রহের সিকিউরিটি প্রধানের দায়িত্বটি পেয়েছেন অনেক বছরে সাধনা করে । এই জন্য তাকে বেশ কয়েকটি ধাপ পার করতে হয়েছে । কর্মজীবনের শুরুতে তিনি সেনচারমেনীয় প্যানেল (সেনচারমেন নক্ষত্র থেকে যে বিকিরণ আসে, তা এই প্যানেলের মাধ্যমে কার্যপ্রবাহের মাধ্যমে সম্পূর্ণ স্প্লাটুজেনাস গ্রহে সকল ধরণের প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করা হয় । সেনচারমেন নক্ষত্রই এই স্প্লাটুজেনাস গ্রহের সকল শক্তির আধার) কারখানায় প্রথম কাজ নেন । সেখান থেকে তার রাজনীতিক ক্যারিয়ার শুরু । এরপর তিনি দনারাল হাউজের সপ্তম লেভেলের এক্সকিউটিভ হেড হন । তারও বেশ কয়েক বছর পর তিনি স্প্লাটুজেনাস গ্রহের প্রধান সামরিক বাহিনী টেকনো-এর হেড হন । (এই টেকনো বাহিনী-ই সাপার্টদের সাথে সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে) সেখান থেকে তিনি আজ এই অবস্থানে । তার সাপার্ট জাতির বিরুদ্ধে নেওয়া বেশ কয়েকটি সাহসী যুদ্ধনীতির কারণে তিনি কেন্টরদের প্রায় সকলের কাছে খুব প্রিয় একজন মুখ । তার সবচেয়ে ভালো যে দিক, সেটি হলো, তিনি খুব কমই আপোষ করেন । এই কারণেই এইবার তার জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি ।

রুইনি সেজার্ট এই তিনজনের মধ্যে সবচেয়ে নিরীহ ও অনেকটাই নতুন মুখ । তার বয়সও বেশি না, তরুণীই বলা চলে তাকে । রুইনি সেজার্টের প্রধান নীতি পরিবর্তন । পরিবর্তন সবকিছুর । যুদ্ধের পরিবর্তে শান্তি, ক্ষুদার পরিবর্তে খাদ্য, হিংস্রতার পরিবর্তে শিক্ষা ইত্যাদি । অনেকটাই নমনীয় ও দীর্ঘমেয়াদি নীতি । আশ্চর্যজনক ব্যাপার হলেও সত্য, তার নতুন রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের এই নীতি কেন্টর-দের মধ্যে এক ধরণের চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে । এই তিনজনের মধ্যে সেই একমাত্র পরিবর্তনের পক্ষে । সে বর্তমানে একজন সমাজ কর্মী । এতটুকু বয়সেই সে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার ক্যালিয়াস ইউনিভার্সিটি, যেটি কিনা এই স্প্লাটুজেনাস সবচেয়ে বড় ও বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়, সেখানে অতিথি হিসেবে পরিবর্তন নিয়ে বক্তব্য দিয়ে বেশ সুনাম কুড়িয়েছে । তার পক্ষে কেন্টর-দের অধিকাংশ তারণ্যের সমর্থন রয়েছে । তবে এইবার তার জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা পারতপক্ষে কম অর্থাৎ খুব আশ্চর্যজনক কিছু না ঘটলে জেতার কোন সম্ভাবনা নেই, আর এই কথাটি রুইনি সেজার্ট নিজেও জানে । তাই তো সে বর্তমান এই নির্বাচনের বাইরে দীর্ঘমেয়াদি ব্যাপারগুলো নিয়েই বেশি ভাবছে ।

এই কেন্টর ও পূর্বের মানুষদের মধ্যে বিবর্তনজনিত পরিবর্তন রয়েছে । স্প্লাটুজেনাস গ্রহটি পৃথিবী নামক গ্রহ থেকে বেশ বড় কিন্তু পৃথিবীতে যেমন তিন ভাগ পানি, আর এক ভাগ স্থল ছিল, আর সেই স্থল অংশেই মানুষের বসবাস ছিল । তেমনি স্প্লাটুজেনাস গ্রহটিতে সেনচারমেনের সরাসরি রেডিয়েশনের প্রভাবে প্রায় অর্ধেকের বেশি অংশ প্রায় উত্তপ্ত অবস্থায় আছে । সেখানে কারও বসবাস সম্ভব নয় । এই কেন্টরদের বুদ্ধিমত্তা লেভেল মানুষদের মত তত বেশি না হলেও, এরা উন্নতিতে মানুষের চেয়ে ঢের এগিয়ে । স্প্লাটুজেনাস গ্রহটি কোন মহাদেশ, দেশ অর্থাৎ সোজা কথায় অঞ্চলভেদে বিভক্ত নয় । এখানে তাই হয়, যা দনারাল হাউজের প্রতিটি লেভেলের হেড ও কেন্টরদের রাজা মিলে সিদ্ধান্ত নেয় । এই গ্রহে মোট পনেরোটির মত বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, এগুলোতে সব ধরণের বিষয় পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে ব্যবহারিকের সাথে শিক্ষা দেওয়া হয় । অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তত্ত্বীয় বিষয়াবলীর থেকে ব্যবহারিক বিষয়াবলীর উপর জোর বেশি । তবে এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রধানদেরও দনারাল হাউজের প্রতিটি লেভেলের হেডের সমমর্যাদা দেওয়া হয়, যদিও তাদের বিশ্ববিদ্যালয় চালানো ছাড়া অন্য কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে হয় না । তাছাড়া কেন্টর-রা প্রযুক্তিগতভাবে বেশ উন্নত । এই স্প্লাটুজেনাস গ্রহের অধিকাংশ কাজই প্রযুক্তিনির্ভর এবং সকল তথ্য দনারাল হাউজের প্রধান সুপার কম্পিউটার “ডেলনা” দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় । এই ডেলনা-এর নিয়ন্ত্রন করার অধিকারও দেওয়া হয়েছে দনারাল হাউজের প্রতিটি লেভেলের হেড ও কেন্টরদের রাজাকে । এই তো গেলো, স্প্লাটুজেনাস গ্রহের বিস্তারিত ।

(বাকিটা আগামী পর্বে)

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:২৫

বিজন রয় বলেছেন: অনেক বড়।

দুই পর্বে দিলে ভাল হতো।

১৪ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:২৬

মোশারফ হোসেন ০০৭ বলেছেন: আপনার সাজেশন পেয়ে লেখাটি তিনটি পর্বে ভাগ করে দিয়েছি । বাকি দুইটি পর্বের লিংক নিচে দিলামঃ
সায়েন্স ফিকশন - স্প্লাটুজেনাস গ্রহের একজন কেন্টর – সেরিনা - পর্ব - ০২
সায়েন্স ফিকশন - স্প্লাটুজেনাস গ্রহের একজন কেন্টর – সেরিনা - পর্ব - ০৩ (শেষ পর্ব)

২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:১২

কালনী নদী বলেছেন: সুন্দর সায়েন্স ফিকসন, আমিও বিজন দার সাথে একমত। তাই প্রিয়তে রাখলাম।
অনেক প্ররিশ্রম করে এত সুন্দর লেখার জন্য আপনাকে হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ ভাইয়া।

১৪ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:২৭

মোশারফ হোসেন ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ @কালনী নদী আপনাকে । বাকি দুইটি পর্বের লিংক নিচে দিলামঃ
সায়েন্স ফিকশন - স্প্লাটুজেনাস গ্রহের একজন কেন্টর – সেরিনা - পর্ব - ০২
সায়েন্স ফিকশন - স্প্লাটুজেনাস গ্রহের একজন কেন্টর – সেরিনা - পর্ব - ০৩ (শেষ পর্ব)

৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:২৮

ফয়সাল রকি বলেছেন: বিজন রয় বলেছেন: অনেক বড়।

দুই পর্বে দিলে ভাল হতো।

১৪ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:২৭

মোশারফ হোসেন ০০৭ বলেছেন: বাকি দুইটি পর্বের লিংক নিচে দিলামঃ
সায়েন্স ফিকশন - স্প্লাটুজেনাস গ্রহের একজন কেন্টর – সেরিনা - পর্ব - ০২
সায়েন্স ফিকশন - স্প্লাটুজেনাস গ্রহের একজন কেন্টর – সেরিনা - পর্ব - ০৩ (শেষ পর্ব)

৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৩০

শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: আরেকটা কই ?
তাড়াতাড়ি দেন :)

১৪ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:২৭

মোশারফ হোসেন ০০৭ বলেছেন: বাকি দুইটি পর্বের লিংক নিচে দিলামঃ
সায়েন্স ফিকশন - স্প্লাটুজেনাস গ্রহের একজন কেন্টর – সেরিনা - পর্ব - ০২
সায়েন্স ফিকশন - স্প্লাটুজেনাস গ্রহের একজন কেন্টর – সেরিনা - পর্ব - ০৩ (শেষ পর্ব)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.