নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বেলাশেষে ক্লান্ত-তৃষ্ণার্ত পথিকের ন্যায় আসলাম সামুর তীরে, রেখে যেতে চাই কিছু অবিস্মরণীয় কীর্তি । পারি না আর না পারি, চেষ্ঠার ত্রুটি রাখবো না, এই ওয়াদা করছি ।

মোশারফ হোসেন ০০৭

একজন শৌখিন লেখক আমি, আবার কবিও বলা যেতে পারে । যখন যা ভালো লাগে তাই লিখি ।

মোশারফ হোসেন ০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনেকগুলো প্রশ্নোত্তর - শেষে পিপাসা মেটা এবং অজানা তথ্য জানা - ইসলাম কি এবং কেন ? :| :|

২২ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৩৩

ইসলাম কি? ভালো না খারাপ ? ভালো হলে, কেন ভালো ? খারাপ হলে, কেন খারাপ ? মানুষ ইসলাম সম্পর্কে কি ভাবে ? মুসলিমরা কি ভাবে ? অমুসলিমরা কি ভাবে ? ইত্যাদি অনেক কিছুর উত্তর পাওয়া যাবে নিন্মোক্ত প্রশ্নোত্তর পর্বে ।

প্রশ্নঃ সারা পৃথিবীতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর যত সংগঠন আছে তার মধ্যে সবচেয়ে খারাপ সংগঠন হিসেবে কেন আইএসআইএস (ISIS) কে অভিহিত করা হয়?
উত্তরঃ কারণ আইএসআইএস মুসলিমদের ধর্মীয় অনুভূতি নিয়ে চালানো হয় । ধর্মের নামে হত্যা, ছিনতাই, কিডন্যাপ ইত্যাদি তাদের কাজসমূহ । ধর্ম নিয়ে এসব কাজ যুগ যুগ ধরেই অতীব নিকৃষ্ট হিসেবে ধরা হয় । এর আগে আল-কায়েদারা একই কাজ করেছিল, তখন তাদেরকে অর্থাৎ তালেবানদেরকেও এরূপ নিকৃষ্ট সংগঠন হিসেবে অভিহিত করা হয়েছিল । আর যেহেতু আল-কায়েদা এবং আইএসআইএস উভয়ই ইসলাম ধর্মকে পুঁজি করে এই উপরিউক্ত খারাপ কাজগুলো অহরহ করে থাকে, এই কারণেই আইএসআইএস কে সবচেয়ে খারাপ বা নিকৃষ্ট সংগঠন বলা হয়ে থাকে ।

প্রশ্নঃ তার মানে আইএসআইএস কি সারা বিশ্বে ইসলামের সুনাম করছে নাকি বদনাম ?
উত্তরঃ কয়েকদিন আগে ভারতে শিবসেনা তথা কট্টরপন্থী একটি হিন্দু সংগঠন এক খ্রিস্টান কৃষক পরিবারকে (সর্বমোট ৮ জন) জোর করে হিন্দু বানিয়েছিল কারণ তাদেরকে সমাজচ্যুত (এমনকি দেশচ্যুত) করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল । এটা নিয়ে আলোচনা কমই হয়েছে । এর আগে ভারতের গুজরাটে দাঙ্গা বাধিয়ে প্রায় লক্ষাধিক মুসলমানদের হত্যা করা হয় । এই নিয়েও আলোচনা কমই হয়েছিল ।
একটু খোঁজ নিলেই জানা যাবে, সারা পৃথিবীতে যতগুলো হত্যা, কিডন্যাপ, ছিনতাই, ধর্ষণ ইত্যাদি বড় ধরনের অপরাধ হয়ে থাকে তার মধ্যে মাত্র কয়েক শতাংশ (৩০ এর চেয়েও অনেক কম, আর আফ্রিকা মহাদেশ বাদ দিলে ২০ এর চেয়েও অনেক কম) মুসলমানদের দ্বারা হয়ে থাকে, বাকিটুকু অন্য ধর্মের অনুসারীদের দ্বারা হয়ে থাকে । তবুও ইসলামই বর্তমানে সবচেয়ে আলোচিত ধর্ম । আইএসআইএস কখনই ইসলামের সুনাম করছে না ।
আমরা কমবেশি সবাই ওয়েস্লি স্লাইডেনের নাম শুনেছি । তার সৃষ্টি উইকিলিক্স কয়েকদিন আগেও বেশ আলোচিত একটি ওয়েবসাইট ছিল । এই লোকটি আমেরিকার গোয়েন্দা বাহিনী থেকে পলাতক হয়েছিল এবং পরবর্তী সময়ে কিছু গোপন নথী তথা তথ্য ধীরে ধীরে ফাঁস করতে থাকে যার প্রমাণও তার কাছে ছিল বা এখনও আছে । সেই উইকিলিক্স অনুসারেই আইএসআইএস "মোসাদ" এর হাতেই সর্বপ্রথম সৃষ্টি হয় । আর মোসাদ হচ্ছে ইসরায়েলের গোয়েন্দা বাহিনীর নাম । তাহলে যেখানে আইএসআইএস তৈরিই হয়েছে ইহুদীদের দ্বারা সেখানে আইএসআইএস কখনই ইসলামের সুনাম বাড়াতে পারে না বরং এটি ইসলামকে বদনাম করার জন্যই তৈরি হয়েছিল ।

প্রশ্নঃ তার মানে মুসলমানরাও তো অন্যায় করছে, এটা তো মিথ্যা না ?
উত্তরঃ অন্য ধর্মের সাথে ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের সবচেয়ে বড় পার্থক্য, মুসলমান নামে নয়, কাজে পরিচয় । আপনার নাম শুনে যদিও বা মনে হচ্ছে আপনি মুসলমান অথচ ইসলামের কোন দায়িত্ব কিংবা কর্তব্য যদি আপনি না মানেন তাহলে আপনি পারতপক্ষে মুসলিম হলেন না । মুসলিম হতে গেলে আপনাকে প্রত্যহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, রমজান মাসের ৩০টি ফরজ রোজা, যাকাত, হজ্ব আর সবচেয়ে বড় কথা ঈমানের আমলে থাকতে হবে । এই নিয়ম-কানুন বেশিরভাগ দেশে বেশিরভাগ মুসলিম জনগোষ্ঠীই মানে না । তাই যারা মানে না, তারা আসলে ইসলামের ছায়ায় থাকে না । আর তাদের দ্বারা সংগঠিত অপরাধের দায়ভার যদি সত্যি সত্যি ইসলামকে নেওয়া লাগে, তা যথেষ্ট হাস্যকরই হবে ।

প্রশ্নঃ তার মানে অমুসলিমদের কিছুই বলা যাবে না তারা ইসলামকে অবমাননা করলে বা অপমান করলে বা খারাপ কিছু বললে ?
উত্তরঃ ঈমানদারের পরিচয় তিনটি । সবচেয়ে মজবুত ঈমান যার, সে তার সামনে যে কোন অন্যায় কাজ হতে দেখলে তার নিজের হাত তথা শক্তি দিয়ে ঠেকাবে । এরপর যার মধ্যম মজবুত ঈমান, সে তার সামনে কোন অন্যায় কাজ হতে দেখলে মুখ দিয়ে ঠেকাবে অথবা লেখনীর মাধ্যমে ঠেকাবে । আর সবচেয়ে দুর্বলতম ঈমানদার তার সামনে কোন অন্যায় কাজ হতে দেখলে কিছুই করবে না শুধুমাত্র অন্তর দিয়ে ঘৃণা করবে । আমরা অধিকাংশ মুসলমান এই যুগে দুর্বলতম ঈমান নিয়ে বেঁচে আছি, একটু চিন্তা করে দেখলেই এটা বুঝা যায় । তবে শক্তি দিয়ে ঠেকানোর একটি বড় উদাহারন হচ্ছে জিহাদ তথা অমুসলিমদের দমন । এই জিহাদের কিছু শর্ত আছে । এই শর্ত পালন না হলে বা না করলে, জিহাদ শুধু হত্যাই হবে, ইসলামিক কোন কাজ হবে না । যেমনঃ
১) জিহাদ শুধুমাত্র রাষ্ট্রীয়ভাবেই হতে পারে ।
২) জিহাদের আদেশ একজন ধর্মীয়ভাবে স্বীকৃত নেতার/প্রধানের নির্দেশেই হতে হবে ।
৩) জিহাদের সময় মুসলিম/অমুসলিম অসহায়, অসুস্থ, নারী, শিশু ইত্যাদিদের কোনরূপ আঘাত কিংবা ক্ষতি করা চলবে না ।
৪) কারও শাস্তি নিজের মত করে দেওয়া যাবে না, শাস্তি দেওয়ার এখতিয়ার শুধুমাত্র রাস্ট্রের । ইত্যাদি ।
তাই কেউ যদি ইসলামকে অবমাননা করে বা অপমান করে বা খারাপ কিছু বলেও আপনার তাকে বুঝানোর এখতিয়ার আছে, ক্ষতি করার এখতিয়ার নেই ।

প্রশ্নঃ তাহলে এক বড় ভাই/হুজুর যে বললো, অমুসলিম বধে ডাইরেক্ট বেহেশত, সেটা কি সত্য নয় ? এবং তার কাছে নাকি এই কথার সত্যতার প্রমাণও আছে ?
উত্তরঃ ইসলাম কখনও বিনা দোষে কারও প্রাণ নেওয়ার অনুমতি দেয় না । আবার দোষ করলেও শাস্তি হতে হবে রাষ্ট্রীয়ভাবে, কোন ব্যক্তির সিদ্ধান্তে নয় । রাষ্ট্রের যতরকম শাস্তি আছে, সেগুলো লাঘব হবে, এক্ষেত্রে আপত্তি চলবে না যদি একমাত্র পুরো রাষ্ট্র ইসলাম ধর্মের রীতি অনুসারে চলে । আপনার বড় ভাই বা হুজুর যা বলেছে, সেটা পুরোপুরি মিথ্যা । দেখুন, ধর্মের রীতিনীতি জানতে আলেম-ওলামাদের কাছে যান, যাকে তাকে বিশ্বাস করবেন না । দাড়ি-টুপি হলেই যেমন কেউ হুজুর হয় না ঠিক তেমনি অমসুলিম হত্যা করলেই কখনই বেহেশত পাওয়া যায় না । কোরআন কখনই প্রতিহিংসা পরায়ণ নয় । ঠিক তেমনি ইসলামও নয়, কোন মুসলমানদেরও হওয়া উচিৎ নয় । ধর্মের ব্যাপার তাদের কাছ থেকেই জানুন, যারা প্রকৃত অর্থে জানে । তাদের কাছে না যারা ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করে ।

প্রশ্নঃ ইসলামকে কিভাবে আবার বিশ্বের চোখে বড় করা যায় ?
উত্তরঃ এটা এত সহজ না । মহানবী (সঃ) তার জীবদ্দশায় বলে গেছিলেন বর্তমান যুগ কেমন হতে পারে, সেই কথা । এই যুগে ইসলামের উপর দাড়িয়ে থাকাই যেখানে অনেক কঠিন, আপনি ইসলামকে বড় করবেন কিভাবে ? অন্য ধর্মের মানুষ ইসলাম থেকে দূরে থাকতে চায় কারণ ইসলাম তাদের স্বাভাবিক আরামপ্রদ জীবনব্যবস্থায় অনেকগুলো ব্যারিকেড দিতে চায় । নারী-পুরুষে উন্মুক্ত জীবনযাপনে ব্যারিকেড, মদ-জুয়া-মাদকে ব্যারিকেড, সুদ-হারামে ব্যারিকেড, বিনোদন-ব্যবসা-চাকরিতে ব্যারিকেড ইত্যাদি । এত ব্যারিকেড তারা মানবে কেন ? হোক না তারা বেশি বেশি অসুস্থ । ইবোলা, এইডস, ক্যান্সার ইত্যাদি মরণঘাতী রোগে বেশি বেশি করে আক্রান্ত । তবুও তারা এইসব সুস্থ ব্যারিকেড মানবে না । তাই ইসলামকে এত সহজে বিশ্বের কাছে বড় করা সম্ভব না তবে চেষ্ঠা চালিয়ে যেতে হবে আর এটাই প্রকৃত মুসলমানের কাজ হওয়া উচিৎ ।

আশা করি, আধুনিক যুগে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর সকলের কাজে লাগবে কারণ এই প্রশ্নগুলোই এখন অধিকাংশের মনের ভিতরে আছে কিন্তু কাউকে প্রশ্ন করা হচ্ছে না । এর কারণ লজ্জা বা সাহসের অভাব । তাই প্রশ্নগুলোর উত্তরও ধামাচাপা হয়ে আছে ।

সুনির্দিষ্ট রেফারেন্স নেই, চাইলে ঘাঁটাঘাঁটি করে সত্যতা কিংবা মিথ্যা বের করে নিতে পারেন । :|

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:




বাংলাদেশে আইএস, আলকায়েদা, জেএমবি, জামাত-শিবির ( রাজাকার ছিল, এখন রগ-কাটা) এরা সবাই কি ইহুদী, বা ইহুদীদের সৃস্টি?

২২ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:০৮

মোশারফ হোসেন ০০৭ বলেছেন: আপনার এই প্রশ্নের উত্তর আছে ৩ নম্বরটিতে.....

২| ২২ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:



এসব প্রশ্ন ও উত্তর পুরানো হয়ে গেছে, আপনি হয়তো নতুন এখনো; আপনি যেসব উত্তর ফুত্তর দিয়েছেন, এগুলো মোটামুটি লিলিপুটিয়ান লোকদের কাজে লাগবে।

২২ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:১২

মোশারফ হোসেন ০০৭ বলেছেন: কোন অর্থে নতুন বলছেন, বুঝলাম না । যদি আমার চেয়েও অনেক পুরনো লোক থাকতই, তাহলে কথায় কথায় আইএসআইএস এর নাম আসতো না যে কোন অপরাধে অথবা আসলেও তার সাথে ইসলাম ধর্মকে জড়ানো হতো না । মিডিয়ার অপপ্রচারকে কেউই দোষারোপ করছে না, এমনকি পশ্চিমা রাজনীতির দোহাই-ও কেউ দিচ্ছে না । কথায় কথায় মুসলমান জঙ্গি, ইসলাম সন্ত্রাসের ধর্ম ইত্যাদি বলে প্রচারনা চালাচ্ছে যে পারছে সে-ই । তখন কোথায় সেই পুরনো লোকগুলো ? একটু জানার দরকার । আপনি জানেন কি ?

৩| ২২ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:২৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: যে ইসলামের ক্ষতি করার মানসে ডুকবে বা নিয়োজিত হবে তাকে নিখুতভাবে ইসলামের নিয়মকানুন আচার অচরণ প্রতিপালন করে নীজকে ইসলামের একনিস্ট সেবক হিসাবে প্রতিপন্ন করতে হবে , এজন্য বছরের পর বছর ধরে লেবাসধারী ইসলামী হয়ে তাকে বিচরণ করতে হবে , এর মাঝেই অতি সুকৌশলে সে তার কাজ করে যাবে । এরকমটই অনেক দেখা যাচ্ছে । এ জন্যে অসংখ্যবার বলা হয়েছে লেবাসধারীদের থেকে সতর্ক থাকুন । সহজ সরল ভাষায় বর্ণিত কোরানে সকল প্রশ্নের উত্তর নিহীত আছে মুসলিম অমুসলিম সকলেই সেখান থেকে প্রকৃত শিক্ষা নিতে পারে । কোরানের বিধান অনুযায়ী জীবনাচার করলে কারো কোন অসুবিধা হওয়ার কথা না, সেখানে পরিস্কার করে বলা আছে যার যার ধর্ম তার তার কাছে । প্রতিফল অল্লার কাছে তুলা আছে, আখেরে পেয়ে পাবে অক্ষরে অক্ষরে ।

৪| ২২ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:১১

হানিফঢাকা বলেছেন: প্রশ্ন ১ঃ মুসলমানের সংজ্ঞা কি?


প্রশ্ন ২ঃ আপনার দেওয়া সংজ্ঞা অনুযায়ী কারা মুসলমান?

২৩ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:৪৫

মোশারফ হোসেন ০০৭ বলেছেন: আপনার প্রশ্নের উত্তর ৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তরেই পাবেন । ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.