নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বেলাশেষে ক্লান্ত-তৃষ্ণার্ত পথিকের ন্যায় আসলাম সামুর তীরে, রেখে যেতে চাই কিছু অবিস্মরণীয় কীর্তি । পারি না আর না পারি, চেষ্ঠার ত্রুটি রাখবো না, এই ওয়াদা করছি ।

মোশারফ হোসেন ০০৭

একজন শৌখিন লেখক আমি, আবার কবিও বলা যেতে পারে । যখন যা ভালো লাগে তাই লিখি ।

মোশারফ হোসেন ০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিভ্রান্তিমূলক ভালোবাসা, অতঃপর...... :|| :-*

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:৫৮

- I knew it. I knew it. দোস্ত, তোকে বলেছিলাম না হয়ে যাবে, হয়ে গেছে রে দোস্ত, একবারেই হয়ে গেছে এবার ।
- কি বলিস, সত্যি ? কবে, কোথায়, কখন ?
- আরে বলছি, বলছি সবই বলছি । আগে একটা কোল্ড ড্রিংকস্‌ তো খাওয়া ।
- কি যে বলিস না, তোর একটা লাইন হইছে জীবনে প্রথমবারের মত, তোরে আমরা কেন, তুই তো আমাদের খাওয়াবি, তাই না ?

মহিমের বোধ হয় এইবার গতিই একটা হয়েই গেছে । কলেজে নাহিন, সুব্রত, বেলায়েত, সুহান সবার মাঝে আসরের মধ্যমণি তাই আজকে মহিমই । মেয়েটা আর কেউ না, মহিমের খালাতো বোনের বান্ধবী । মহিমের বাড়ি থেকে হাঁটা দূরত্বে সাত-আটটা বাড়ির পরেই প্রেমাদের বাড়ি । এই প্রেমার প্রেমেই হাবুডুবু খাচ্ছে মহিম আজ থেকে প্রায় দুই বছর হয়ে গেছে । খালাতো বোনের বান্ধবী সেই সুবাদে প্রেমাদের বাড়িতে অনিয়মিত যাতায়াত ছিলও মহিমের । বয়সে যদিও মাত্র দুই বছরের ব্যবধান, তবু কেমন জানি অজানা আকর্ষণে জড়িয়ে ফেলেছে মহিম নিজেকে । এটার শুরু বোধ হয় হয়েছিল যেদিন প্রথম মহিম আর প্রেমার পরিচয় হয় নয়নার মাধ্যমে মানে মহিমের খালাতো বোনের মাধ্যমে ।

- কি হয়েছে রে দোস্ত, একটু খুলে বলবি তো...
- দোস্ত, দুইদিন আগে সন্ধ্যার দিকে প্রেমার ফোন হঠাৎ করেই আমার মোবাইলে...
- তারপর ?
- আমি খুব অবাক হয়েই ফোনটা রিসিভ করলাম । ফোন ধরেই শুনি ও কাঁদছে । আমি তো অবাক । কি হয়েছে, আমি জিজ্ঞেস করলাম । প্রেমা বললো, ভাইয়া, মায়ের অনেক জ্বর, বাবাও জেলার বাইরে । কি করবো কিছুই বুঝতেছি না । আপনি কি একটু আমাদের বাড়িতে আসবেন ?
- কি বলিস দোস্ত !! দুনিয়ায় এত মানুষ থাকতে সরাসরি তোকেই ফোন !!?? এরপর ?
- এরপর আর কি, আমি গেলাম । এরপর অ্যান্টির জন্য ঔষুধ কিনে নিয়ে আসলাম । পরের দিন একেবারেই সুস্থ উনি । তোরা যদি একবার প্রেমার মুখে হাসিটা দেখতি, যেটা আমার দিকে তাকিয়ে দিয়েছিল গতকাল ও !! পাগল হয়ে যাবো রে দোস্ত, একেবারে পাগলই হয়ে যাবো ।

এতক্ষণ আসরে থেকেও সুব্রত কেমন জানি নীরব হয়েই ছিল । সুহান ব্যাপারটা খেয়াল করলো, কারণ সুব্রতই আসর মাতিয়ে রাখে বেশিরভাগ সময় । তাই ব্যাপারটা একটু আশ্চর্যই ঠেকে সুহানের কাছে । সুহান ব্যাপারটা বেলায়েতের কানে কানে বললে বেলায়েতও একমত হয় ।

- কি রে সুব্রত ? তুই যে একেবারেই চুপ !! কাহিনী কি রে ?
- না, মানে...
- মানে, মানে করছিস কেন ?

এবার সবার আকর্ষণ মহিমের দিক ঠেকে ঘুরে সুব্রতের দিকে হলো । এবার নাহিনই সুব্রতের দিকে তাকিয়ে বললো,

- কোন কাহিনী ঘটেছে নাকি রে ?
- দোস্ত, আমি বলতে চাচ্ছি না, বললে হয়তো মহিমের মনটাই খারাপ হয়ে যাবে ।

এই কথা শুনে মহিম নড়েচড়ে বসলো, সেই এবার সুব্রতের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করলো ।

- কাহিনী কি রে, ঝেড়ে কাশ তো । আমার মন খারাপ হবে কেন ?
- দোস্ত আসল কাহিনী হচ্ছে গিয়ে, আমার এলাকার এক বড় ভাই নাম বিকাশ, তার সাথে প্রেমার রিলেশন আজ থেকে পাঁচ বছর আগে থেকেই । আমি এই কারণেই কিছু বলছি না এতক্ষণ, কারণ বিষয়গুলো তোদের জানা নেই, বিশেষ করে তোর জানা নেই কিভাবে, সেটা ভেবেই অবাক হচ্ছি আমি ।

মহিমের মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়লো । ও প্রেমাকে অনেক ভালোবাসে আর প্রতিদিন ভালোবাসার পরিমাণটুকু খালি বৃদ্ধিই পেয়েছে । নাহিন মহিমের পিঠ চাপড়ে দেয় আর বলে,

- দোস্ত, বাদ দে । মেয়েরা বেশিরভাগ ছেলের সাথে অদ্ভুত এক সম্পর্ক তৈরি করে । মায়ার সম্পর্ক । ছেলেগুলোর অনেকেই সেই মায়ার জালে ফেসে যায় । আসলে জানিস কি, মেয়েদের বেস্ট ফ্রেন্ড ছেলেরাই হয় আবার ছেলেদের বেস্ট ফ্রেন্ডও ছেলেরাই হয় । এখানেই মেয়ে আর ছেলের মধ্যে পার্থক্য । ভুলে যা, ঐ মেয়েকে মনে রেখে শুধু শুধু কষ্ট বাড়িয়ে লাভ কি হবে, তুই-ই বল ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.