![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
precaution
আস্তিক ও অ-আস্তিকদের মধ্যকার কট্টরবাদী (intolerant)দের জন্য নয়।
আস্তিকতা আর নাস্তিকতা - উভয়েই মূলতঃ বিশ্বাস। কারন স্রষ্টা আছেন এমন ‘প্রমান’ নাই। আবার নাই -এরও কোনও প্রমান নাই। স্রষ্টা বা ঈশ্বর বিশ্বাসের প্রসংগে আরো দুই ধরনের অবস্থান হতে পারে। যথাক্রমে সংশয়বাদ ও নির্বিকারবাদ (Irrelevantism.)
এই বিভাজনগুলো ‘পরম সত্তা’-এর সাথে (যাকে সাধারনতঃ স্রষ্টা, ঈশ্বর, খোদা ইত্যাদি বলা হয়) ব্যক্তি মানুষের ও সমাজের কোন সম্পর্ক বা দায়-দায়িত্ব আছে কি-না - এই বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। ধর্মীয় অর্থে ঈশ্বর হলেন এমন সত্ত্বা যিনি মানুষের বাস্তব জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করতে চান। যার কাছে মানুষ প্রার্থনা করে। যাকে ত্রাণকর্তা মনে করে। এ ধরনের ঈশ্বরের ধারনাকে আমরা ব্যক্তি-ঈশ্বর (personal-God) হিসাবে অভিহিত করতে পারি। অর্থাৎ এমন ঈশ্বরে বিশ্বাস করা যিনি মানুষের ব্যক্তিগত জীবনের ভাল-মন্দের সাথে সংশ্লিষ্ট । পক্ষান্তরে যদি মনে করা হয় যে, ঈশ্বর হলেন এমন সত্ত্বা যিনি অস্তিত্বশীল কিন্তু অতিবর্তী। যিনি জগতের বাহিরে অবস্থান করেন। ব্যক্তির বাস্তব জীবনের ভাল-মন্দের সাথে তার কোন সম্পর্ক নাই।এই অর্থে ঈশ্বরের ধারনা হলো মূলতঃ বুদ্ধিবৃত্তিক বা জ্ঞানতাত্ত্বিক যাকে আমরা পরম-ঈশ্বর (philosophical-God) হিসাবে অভিহিত করতে পারি। পরম সত্ত্বা’ হিসাবে এই পরম-ঈশ্বরের সাথে ব্যক্তি-ঈশ্বর-এর সম্পর্ক কোন কোন ধর্মে অপ্রাসঙ্গিক, কোন কোন ধর্মে প্রাসঙ্গিক আবার কোন কোন ধর্মে অভিন্ন (যেমন ইসলাম)।
‘ঈশ্বর’ বলতে কী বোঝায়? আশ্চর্য্য হলো, সংশ্লিষ্ট বই-পুস্তকে ঈশ্বরের অস্তিত্বের পক্ষে-বিপক্ষে শত পৃষ্ঠা আলোচনা দেখা গেলেও ‘ঈশ্বর’ বলতে কী বুঝায় - সে সম্পর্কে এক পৃষ্ঠা লেখাও অনেক সময়ে পাওয়া যায় না। ঈশ্বরের ধারনা নিয়ে সুস্পষ্ট ঐক্যমত না থাকলে ঈশ্বর অস্তিত্ত্বশীল কি-না - এই বিতর্কের কোন যৌক্তিক পরিণতি সম্ভবপর হবে না। কারন, ইতোমধ্যেই আমরা দেখেছি পরম-ঈশ্বর আর ব্যক্তি-ঈশ্বর এর ধারনা এক নয়। তাই, ব্যক্তি-ঈশ্বরের বিরুদ্ধে প্রদত্ত যুক্তি পরম-ঈশ্বরের ধারনায় আরোপ করা এক ধরনের শ্রেণীগত বিভ্রান্তি (categorical mistake)।
ঈশ্বর (পরম-ঈশ্বর অর্থে) মানে এমন এক সত্তা যা পরম, অসীম ও অতিবর্তী। ('God' is in its philosophical sense, 'something' or an 'entity' which is absolute, infinite and beyond....)
এ’ ধরনের এক পরম সত্তায় (absolute) বিশ্বাস হলো মানুষের একটি সাধারন অন্তর্গত বৈশিষ্ট্য। আপনি একে প্রকৃতি বলুন, শুন্য বলুন, অসীম বলুন, অনন্ত বলুন, কিছু-নয়(nothing) বলুন; যা-ই বলুন না কেন; চিন্তার আকার হিসাবে (intrinsically) এক ধরনের ফিলোসফিক্যাল গড-এ আমরা সবাই বিশ্বাস করি।
যারা বিশ্বাস করেন যে, ঈশ্বর আছেন; তারা বিশ্বাস করেন যে ঈশ্বর বিশ্বাসের প্রমান আছে। যারা নাস্তিক্যবাদকে গ্রহনযোগ্য মনে করেন তারা ব্যক্তি-মানুষের বাস্তব জগতের সাথে সংশ্লিষ্ট কোন ঈশ্বরে (ব্যক্তি-ঈশ্বর) বিশ্বাস করেন না। তারা ‘বিশ্বাস’ করেন যে এ ধরনের ঈশ্বর না থাকার ‘প্রমান’ আছে। যারা সংশয়বাদী তারা এর কোনটিকেই গ্রহন করেন না অথবা দু’টিকেই সমগ্রহনযোগ্য মনে করেন। আর নির্বিকারবাদী হলেন তারা যারা এই বিষয়ে কোন আগ্রহ বা প্রয়োজন বা বাস্তব জীবনে এর কোন প্রাসঙ্গিকতা অনুভব করেন না। অর্থাৎ তারা মনে করেন যে, এ বিষয়ে কোন চিন্তা-ভাবনা ছাড়াই আমরা সুন্দরভাবে জীবনযাপন করতে পারি।
প্রসঙগতঃ উল্লেখ্য যে, ‘নাস্তিক’রা সাধারনত বিজ্ঞানবাদী হয়ে থাকেন। বিজ্ঞান চর্চা করা বা বৈজ্ঞানিক হওয়া এক ব্যাপার আর বিজ্ঞানবাদী হওয়া ভিন্ন ব্যাপার। বিজ্ঞানবাদীরা ‘বিজ্ঞান’-এ ‘বিশ্বাস’ করেন। যদিও বিজ্ঞান কখনো ‘নিশ্চয়তা’ দিতে পারে না। আবার নিশ্চয়তা ছাড়া জ্ঞান হতে পারে না। (কোন কিছুকে যখন আমরা সম্ভাব্য বলি তখনও সেটিতে একধরনের নিশ্চয়তা থাকে।যেমন, আমি যদি নিশ্চিত না হই যে, এটি সম্ভাব্য তাহলে আমি বলতে পারি না যে এটি সম্ভাব্য।) আমরা জানি, যে কোন বৈজ্ঞানিক ফলাফল/তত্ত্ব নীতিগতভাবে সম্ভাব্য ও অধিকতর ব্যাপক পরীক্ষণ সাপেক্ষে পরিবর্তনযোগ্য। বিজ্ঞানে শেষ কথা বলে কিছু নাই। এক্ষেত্রে তুলনামূলকভাবে অধিকতর গ্রহনযোগ্য অনুমান বা যুক্তিকে ‘প্রমাণ’ হিসাবে গ্রহন করা হয়। অপরিবর্তনীয় বা স্থায়ী কোন তত্ত্ব বা প্রমাণ বিজ্ঞানে নাই। জগতেও নাই।আমরা অপরিহার্য্য মনে করছি বা আমাদেরকে সন্তুষ্ট করে বলেই কথিত স্বতঃসিদ্ধসমূহ (axioms) আমাদের জ্ঞানের উৎস।কেন আমরা স্বতঃসিদ্ধসমূকে অপরিহার্য্য মনে না করে বা এগুলোর উপর সন্তুষ্ট না হয়ে পারি না? কারণ, আমরা দেহ ও চিন্তাগতভাবে নির্দিষ্ট অবয়বে সীমিত।কিন্তু, কেন? কারণ প্রকৃতিগতভাবেই আমাদের দৈহিক ও চিন্তনের নির্দিষ্ট কাঠামো আছে। ‘প্রকৃতি’ কী? নাস্তিকতাকে যারা যুক্তিসঙ্গত মনে করেন তারা ‘প্রকৃতি’-তে বিশ্বাস করেন। লক্ষ্যণীয় হলো, তারা ‘প্রকৃতি’র উপর এমন সব গুণ বা বৈশিষ্ট্য আরোপ করেন, আস্তিকেরা যেগুলো হুবহু ঈশ্বরের জন্য দাবী করেন। সুতরাং, প্রকৃতি বলুন আর ঈশ্বর বলুন - একই কথা।ঈশ্বর-বিশ্বাসের জন্য ঈশ্বর, গড বা অন্য বিশেষ কোন শব্দ ব্যবহার করতে হবে এমন কোন কথা নাই।
ঈশ্বর-বিশ্বাস সম্পর্কিত সমস্যার কতিপয় মৌলিক দিক সম্পর্কে পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এই লেখা। আস্তিকতার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপনার জন্য এটি লেখা হয়নি। তাই এখানে আপনার চিন্তনের উপাদান হতে পারে এমন দু’টি প্রশ্ন রেখে অন্য প্রসঙ্গে যাচ্ছি। আচ্ছা, মাপকাঠির মাপ কি? নাই ! সবকিছু যদি মাপ মতো হতে হয় তাহলে মাপকাঠির কোন মাপ থাকবেনা কেন? জ্ঞানের উপরিকাঠামোর জন্য যাকিছু সঠিক জ্ঞানের মৌলিক কাঠামোর জন্য তা হতে পারে মারাত্মক ভুল।তাহলে জ্ঞান দুই পর্যায়ে দুই ধরনের কেন?
আমি ঈশ্বর-বিশ্বাসী। কিন্তু তা প্রমান নির্ভর নয়। অথচ তা বিশ্বাস-মাত্র তথা অন্ধ-বিশ্বাসও নয়। আমার ঈশ্বর-বিশ্বাস আমার বিবেচনায় যথেষ্ট যুক্তি নির্ভর এবং এই যুক্তিগুলো আমার কাছে নিঃসন্দেহ ও অকাট্য মনে হয়। এ ক্ষেত্রে পাঠককে প্রমাণ, যুক্তি ও বিশ্বাস এই তিনটি পদ(term) কে আলাদা আলাদাভাবে বিবেচনা করতে হবে।
তাই ঈশ্বর-এ বিশ্বাস করার যুক্তি আছে, না করারও যুক্তি আছে, এর মাঝামাঝি অবস্থানেরও যুক্তি আছে, আবার এ বিষয়ে না ভাবারও যুক্তি আছে। যার যার মানসিক প্রবণতাই নির্ধারন করে কোন্ কোন্ ‘যুক্তি’কে সে এ বিষয়ে ‘প্রমান’ হিসাবে ‘বিশ্বাস’ করবে। (স্মতর্ব্য, বিশ্বাস করা মানে গ্রহন করা।) সবচেয়ে বড় কথা হলো, ঈশ্বরও চান না মানুষ ‘প্রমাণ’ নিয়ে ঈশ্বর-এ ‘বিশ্বাস’ করুক। বিশ্বাস হলো এক ধরনের আবেগ। যুক্তি এর বাহন মাত্র। ‘প্রমাণ’ এখানে দাবী করা হয়, দেখানো যায় না। যুক্তির উর্ধে ও বিশ্বাস-মুক্ত ‘প্রমাণ’ একটি অলীক বিষয়।
আমাদের সকল জ্ঞানই মূলতঃ বিশ্বাস, কিন্তু সকল বিশ্বাস জ্ঞান নয়। জ্ঞান হলো সে সকল বিশ্বাস যা স্বাধীন ও স্বতন্ত্রভাবে সত্য এবং যাচাইযোগ্য। ‘Knowledge is justified true belief - Plato’ - জ্ঞানের এই ‘সংগা’ জ্ঞানতত্বে প্রাথমিকভাবে স্বীকৃত হওয়ার পাশাপাশি এই ‘সংগা’র অপর্যাপ্ততার বিষয়েও সব জ্ঞানতাত্ত্বিকরা একমত ! যেটি ‘গ্যটিয়ারের সমস্যা’ নামে পরিচিত। আশ্চর্য্য বিষয় হলো জ্ঞান-এর কোন সর্বজন স্বীকৃত সঙগা আজ পর্যন্ত কেউ দিতে পারেনি। এতদসত্তেও আমরা প্রত্যেকে কম-বেশী জ্ঞান-এর অধিকারী। এটিকে বলা হয় ‘সক্রেটিসের প্রত্যয়’। এই দৃষ্টিতে জ্ঞানতাত্তিক সংশয়বাদ একটি স্ব-বিরোধী (self-refuting) মতবাদ।
জ্ঞান-গবেষণা ও মত প্রকাশের ক্ষেত্রে আমি ফরাসী চিন্তাবিদ ভলটেয়ারের অনুসারী । যিনি অপরের ভিন্নমত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য যে কোন ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত ছিলেন। আমি মনে করি না যে, সবাই আমার সাথে একমত হবে। এটি উচিতও নয়। কিন্তু তাই বলে ভিন্নমত প্রকাশের জন্য কাউকে এমন অশ্লীলভাবে আক্রমণ করা হবে মনে হবে যেন কাছে পেলে ও পারলে তাকে বা তাদের সবাইকে খতম করে দিবো - এমন মানসিকতার লোকজন আমার পোষ্টে দয়া করে অংশগ্রহন করবেন না। ধন্যবাদ।
So, is it that - you have to believe to live; no matter what you believe ....? Put your comments, please : 01552282907 [email protected]
http://www.mozammelhq.blogspot.com/
২| ২৩ শে জুন, ২০১০ রাত ১২:১১
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ভাল লিখেছেন। সৃষ্টিকর্তাকে যদি কেউ বিশ্বাস করতে চায়, তাহলে কোন যুক্তি ছাড়াই বিশ্বাস করতে হবে, আর বিশ্বাস করতে না চাইলে কোন যুক্তি ছাড়াই অবিশ্বাস করতে হবে।
যদি সৃষ্টিকর্তা কে কেউ বিশ্বাস করে তাহলে তার বিধান মানতে হবে, সেখানেও অনেক কিছুই বুঝে আসবে না, কিন্তু স্রষ্টাকে মানার মধ্যেই মংগল এই বিশ্বাস নিয়েই তাকে মানতে হবে।
৩| ২৩ শে জুন, ২০১০ রাত ১২:১৭
মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেছেন: ‘যুক্তি ছাড়াই বিশ্বাস করতে হবে, আর বিশ্বাস করতে না চাইলে কোন যুক্তি ছাড়াই অবিশ্বাস করতে হবে।’ যুক্তি নয় প্রমান। বিশ্বাস বা অবিশ্বাসের যুক্তি থাকে, প্রমান থাকে না। (যদিও সেটি দাবী করা হয়।)
৪| ২৩ শে জুন, ২০১০ রাত ১২:৩৫
ফেরিওলা বলেছেন: খুবই যুক্তিযুক্ত কথা। +
৫| ২৩ শে জুন, ২০১০ রাত ১২:৩৮
আরাফাত বিন সুলতান বলেছেন: খুব ভালো লাগল। ইদানীং ব্লগে ধর্ম নিয়ে যেসব নোংরা বিতর্ক চলছে, তার খুব সহয উত্তর পাওয়া যাবে এখানে। ধন্যবাদ ।
২৩ শে জুন, ২০১০ রাত ১২:৪২
মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬| ২৩ শে জুন, ২০১০ রাত ১২:৪৯
রঙ পেন্সিল বলেছেন: ভাল- লেখা! সবচেয়ে বড় কথা জানতে হবে আগে তারপর মারামারি কাটাকাটি- আর এই সুত্র ধরলে কেউ আর এসব নিয়ে বিতর্কেও জড়াবেনা। বিতর্ক করে যারা নিজেদের জ্ঞানী ভাবে তারা। জ্ঞানীরা বিতর্কের গভীরে যেতেই থাকেন.....
২৩ শে জুন, ২০১০ সকাল ৯:৪৮
মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেছেন: আসলে গড বলতে কি বোঝানো হচ্ছে সেটি গুরুত্বপূর্ণ। এমনকি প্রধান ধর্মগুলো অনুসারে গড-এর অর্থ ব্যাপকভাবে আলাদা। আছে বা নাই - ধরনের বিতর্কের আগে ঠিক করতে হবে বিষয়টি কি? উত্তর দক্ষিণ ঠিক না করে কোনকিছু উত্তরে না দক্ষিণে তর্ক করে লাভ নাই। ধন্যবাদ।
৭| ২৩ শে জুন, ২০১০ রাত ১:২৮
সাজিদ বলেছেন: ঈশ্বরও চান না মানুষ ‘প্রমাণ’ নিয়ে ঈশ্বরে ‘বিশ্বাস’ করুক। বিশ্বাস হলো এক ধরনের আবেগ। যুক্তি এর বাহন মাত্র।
এটাই আসল কথা। লেখার ভাষা আরেকটু সহজ হলে ভাল হয় মনে হয়।
২৩ শে জুন, ২০১০ সকাল ৯:৫১
মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেছেন: আমার লেখার হাত খুব দূর্বল। চেষ্টা করবো সহজ করে লিখতে। সহজ লেখা বেশী কঠিন। বিশেষ করে এ ধরনের একটি স্পর্শকাতর বিষয়ে। ধন্যবাদ।
৮| ২৩ শে জুন, ২০১০ দুপুর ১২:৫১
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক ভাই, আসলে শব্দটা প্রমাণই হবে, যুক্তি নয়।
২৪ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৪:২২
মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেছেন: আসলে আমি আপনাদের মতো বোদ্ধা ব্যক্তিদের খুঁজছি। যারা চিন্তা করে। চিন্তার বিনিময়ের জন্য, তথ্যের আদান-প্রদানের জন্য ব্লগ লেখে, পড়ে। আমি তাঁদের দলে। ধন্যবাদ।
৯| ২৫ শে জুন, ২০১০ রাত ১২:৫১
আবদুল ওয়াহিদ বলেছেন:
আসসালামু আলাইকুম,
সুন্দর সহজ চমৎকার করে লিখলেন। কেন যে কম লিখেন।
আমার নিজের কিছু ভাবনা আছে। গুছিয়ে লিখতে পারিনা। তারপরও বলার লোভ ছাড়তে পারলাম না।
অস্তিত্ত্ব নিজেই নিজেরে জানান দেয়। এটাই অস্তিত্ত্বের ধর্ম। এই কারণে এটা গুণ নয়। কিন্তু গোলমেলে বিষয় হলো, অস্তিত্ত্ব সবসময় সাপেক্ষ বিষয়। সেটা কালগততো অবশ্যই এবঙ বিষয়গত বিবেচনাকে বড় করে জড়িয়ে নেয়। এর ফলে তার নিজের ভাষাটাই চাপা পড়ে যায়। আল্লাহকে যে অর্থে অস্তিত্ত্ববান জ্ঞান করা হোক না কেন, সেটা সাপেক্ষের স্থানে আবদ্ধ হয়ে পড়ে। যা তার ধারণার সাথেই বেমিল তৈরী করে। আবার মনুষ্য জগতে এই স্ববিরোধীতার পাশ কাটানোর বিষয়খানা আত্নœগত। অর্থ্যাৎ, প্রায় ভিনজগতেরই কারবার।
যুক্তি-তক্কো, প্রমান, জ্ঞান , বিশ্বাস যে অর্থকেই সামনে নিয়ে আসি না কেউ সম্পূর্ণ না। যদি আল্লাহ সর্বজ্ঞাতা বা সর্বজ্ঞানী হয়, এটা ধারণাগত কোন চিত্র তৈরী করে? সেটা ধারণা বা সাপেক্ষ বাস্তবতার বাইরের বিষয় নয়। সেই অর্থে পরমকে জানা বুঝা ধরা-ছোয়ার বাইরে। অদ্ভুত একটা বিষয় হলো, মানুষ বলে তাকে সে নিজেরেও বুঝে নাই। এখানে সে নিজে ধরা-ছোয়ার বাইরে চলে যাচ্ছে। ব্যক্তি মাত্র আধা-আলো আর আধা-অন্ধকারে। সেই অজ্ঞানতাকে সে ছোট পাত্রে নিয়ে বুঝতে পারে না। তাই যুক্তি এবঙ বিশ্বাস করার প্রবণতা তাকে বড় কিছুর সন্ধান দেয়। এটাকে সে যুক্তি-তক্কে সপেঁ দিয়ে নিজের মূর্তি তৈরী করে। তাই তাকে সেই বাস্তবতার উর্ধ্বে যেতে হলে নিজেরেই অতিক্রম করতে হয়। এখন কাজের প্রশ্ন হলো, এটা কেন করতে হবে? কুয়োর ব্যাঙ কুয়োর থাকলে মন্দ কি?
কারণ কিছু না, কুয়োর ব্যাঙ সমুদ্দুরের হদিস পাইছে। সেই হদিস কেমনে পাইছে? সেটা আর কিছু না, তার আকলের ভেতর কেউ একজন তারে এই ঠিকানা দিয়ে দিছে। যে ভাবটা পরম তাকে তার অসম কিছুতে আপনা আপনি জাগ্রত হতে পারে না।
সেটা বিশ্বাস অবিশ্বাস দিয়ে হাসিল করা যায় না। যেহেতু এই বলে দেয়াটাই তার অস্তিত্ত্বের সাথে জড়িত তাই এই মীমাংসা তারে করতে হবে। অপর দিকে বিশ্বাস করার ঘটনা হলো, নিজের ক্ষমতার বিকাশ ঘটানো। এই ক্ষেত্রে বিশ্বাসের ভরসা পুরোটা মীমাংসা হয় না, যতদূর পয্যন্ত না নিজের ভেতর থাকা আধ্যাত্নিক পরম ভাবে পৌছা না যায়, ততক্ষণ তারে বিশ্বাসের ঝান্ডা হাতে নিয়া দিন গুজরান করতে হয়। যখন সে আসলে আপন অস্তিত্ত্বের মুখোমুখি হয়, তখন সবকিছু তার সামনে পরিস্কার। তখন আর বিশ্বাস প্রমান যুক্তি তক্কের প্রয়োজন পড়ে না। এইসব কিছু অসারতায় পর্যবসিত হয়।
২৫ শে জুন, ২০১০ সকাল ১১:০০
মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেছেন: ধন্যবাদ। তুমি বরাবরই আমার কষ্টের কারণ, বেদনার উৎস। বিষয়টি তোমার রেজাল্ট ভাল না হওয়ার প্রসংগ। আমার ১৮ বছরের শিক্ষকতার জীবনে একটি খাতা আমি পরীক্ষণের পরে জমা দেয়ার আগে ফটোকপি করে রেখেছিলাম। পরে খোঁজ নিয়ে জেনেছি সেটি তোমার খাতা। সেই তুমি কোয়ালিফাইং মার্কস পেলে না। এটি আমার জীবনের অন্যতম ব্যর্থতা। মনে হয়, আমার সাথে সেমিনার করার কারনে তারা তোমাকে আইডেন্টিফাই করেছে। যাহোক, লেখাটি কিছুটা মডিফাই করেছি। গড হলেন বিঅন্ডে। তাই যে কোন তুলনা অপর্যাপ্ত হবে - এটিইতো স্বাভাবিক।
১০| ২৫ শে জুন, ২০১০ দুপুর ১২:০৪
আবদুল ওয়াহিদ বলেছেন:
পুরানো দিনের কথা মনে করিয়ে দিলেন। এই বিষয়ে একখানা পোষ্ট দিসিলাম ...
বেলা শেষে
২৫ শে জুন, ২০১০ রাত ৯:৩৫
মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেছেন: জগতের শুদ্ধতম অনুভূতি হলো দুঃখ।.. এই জীবনের মানে পরিপূর্ণভাবে জানতে হবে। ... অতৃপ্তি নিয়ে চলে যাওয়াই মানুষের নিয়তি। মানুষ তার স্বপ্নের চেয়ে ক্ষুদ্র না।
সুজন, তুমি আমাকে আবার কাঁদিয়েছো। শিক্ষকতাকে শুধুমাত্র চাকুরী হিসাবে নিলে কখনো এত দুঃখবোধ হতো না।
এ সমাজ, ব্যবস্থা ভাঙতে হবে। অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর একটা লেখা সব সময়ে সাথে রাখি: ‘মুক্তির জন্য চাই সমাজ বিপ্লব’।
১১| ২৯ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৩:৫৯
কার্ল মার্কস বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে ভালো লাগলো। সামনে আরো বিশদ ভাবে আলোচনা হবে আশা করি। তবে যে কাঠামোকে নিক্তি ধরে আলোচনা করছেন সে কাঠামোকে প্রশ্ন করা জরুরী। গ্রীক, রোমান সভ্যতার দেওয়া এ কাঠামো'র মৌলিক সমস্যা চিহ্ণিক করা এবং ব্যাখ্যা করা জরুরী। ড: আলী শরীয়াতী তার ম্যান মার্ক্সসীজম এন্ড ইসলাম বইতে চমতকার করে চিহ্ণিত করেছেন...
ভালো থাকবেন, ভবিষ্যতে আরো পড়ার আশা করছি।
২৯ শে জুন, ২০১০ রাত ১১:২৩
মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেছেন: আলী শরীয়তীর বইটি পড়িনি। কোন লিঙ্ক থাকলে দিবেন। আমার লেখার পরিমাণ খুব কম। ইদানীং চেষ্টা করছি। আলোচনাতে আমি খুব স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। ব্লগেতো আর সেটি সম্ভব হয় না। সবাই কতো দ্রুত লেখে ...। লেখার অভ্যাস না থাকায় জীবনে অনেক সাফার করেছি। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
১২| ৩০ শে জুন, ২০১০ দুপুর ১:০৪
দাসত্ব বলেছেন: অন দ্য স্ট্রোক নক করেছেন।
ঈশ্বরের অস্তিত্ব নিয়ে মারমার কাটকাট হয়ে গেলেও ঈশ্বরকে নিয়ে কেউ ভাবছেনা। আসলে সাহাবী সুপার ফিলোসোফার ছিলেন। তারা নবীজিকে এসব বিষয় নিয়েও জিজ্ঞাসা করেছিলেন।
কোরআনে বলা হয়েছে : "তারা প্রান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে । তাদের কে বলো প্রাণ সম্পর্কে তাদের কে অতি অল্প জ্ঞানই দেয়া হয়েছে।"
সবচেয়ে বড় কথা টাইম মেশিন দিয়ে আলোর চেয়ে দ্রুত বেগে হয়তো চলা যাবে। কিন্তু মানুষ যে বলে ভবিষ্যতে বা অতীতে যাওয়া যাবে এটাতো হাস্যকর । আলোতো কেবল ইমেজ ক্যারী করে , ৩ডি কিসুনা।
এই ধরনের বিষয়ইতো অমীমাংসিত।
অথচ মানুষ খুব সহজেই সিদ্ধান্ত দিয়ে ফেলে অল অ্যাভোব কিসু নাই।
১৩| ৩০ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৫:৫৮
কার্ল মার্কস বলেছেন: ম্যান মার্কসিজম এন্ড ইসলাম, অনুবাদ- তানিম নওশাদ, ঐতিহ্য প্রকাশনী.ঢাকা ১২০ টাকা।
এছাড়া গুগুল সার্চের প্রথম দিকটায় তার লেখা অনেক কাজ পাওয়া যায়।
ভালো থাকবেন।
১৪| ০৩ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:০৮
জ্যানাস বলেছেন: পুরান হলেও জরুরি লিখাটির জন্য অনেক ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে জুন, ২০১০ রাত ১২:০৯
দুখী মানব বলেছেন: হুমম