নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রতিবাদি কন্ঠ

সাধারণভাবেই থাকতে পছন্দ করি ।জাকজমকপূর্ণতা একদম পছন্দ করিনা । সব কষ্ট আড়াল করে সবসময় হাসিমুখে থাকার চেষ্টা করি । আর অনেক হাসি । \nহৃদয় আকাশে কখনো কষ্ট নামক মেঘের আনাগোনা । হৃদয় আকাশ সেই মেঘে কাল হয়ে যায় । যখন কষ্ট নামক মেঘ হৃদয় আকাশে ভেসে বেড়ায় তখন আলোকিত সবকিছুও অন্ধকার হয়ে যায় । আর তখনই যেন ভিন্ন এক আমি । অভিমানের সুরে কখনোবা কষ্টের বহিঃপ্রকাশ । অভিমানটাই সবার দৃষ্টিগোচর হয় । কিন্তু অভিমানের পেছনে লুকানো কষ্টগুলো কেউ খুঁজেনা ।আবার কখনো কষ্টের ছোবলে নিথর হয়ে থাকা । আবার কখনো মনের মধ্যে গড়ে উঠা স্বপ্নের অপমৃত্যু হয়ে সেখানে ঠাঁই নেয় কষ্ট নামক অনুভূতিগুলো । এটাই হয়তো আমার জীবন, আমার বাস্তবতা । তবুও পথ চলা জীবনের নিয়মে,বাস্তবতার টানে ।

প্রতিবাদি কন্ঠ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জিয়া কীভাবে মুক্তিযোদ্ধ???????

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:২৫

জিয়া কীভাবে মুক্তিযোদ্ধা, প্রশ্ন জয়ের
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
বিএনপিকে ‘রাজাকারদের দল’ আখ্যায়িত করে জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী ছিলেন কি না- সে প্রশ্ন তুলেছেন সজীব ওয়াজেদ জয়।
শুক্রবার এক আলোচনায় তিনি বলেন, “হ্যাঁ, যারা রাজাকার অবশ্যই তাদের বিচার হতে হবে, তারা যুদ্ধাপরাধী। তবে আমি প্রশ্ন করব- যারা তাদের সমর্থক, তারা কি স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাস করতে পারে?
“আমি প্রশ্ন করব, যে ব্যাক্তি এই যুদ্ধাপরাধীদের দেশে ফেরত এনেছে সে কি মুক্তিযোদ্ধা হতে পারে? কোনমতেই না।”
বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী জামায়াতের রাজনীতি স্বাধীনতার পর নিষিদ্ধ থাকলেও সাবেক সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান দলটিকে রাজনীতিতে ফেরার সুযোগ করে দেন।
দলটির ছয় শীর্ষ নেতাকে ইতোমধ্যে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের দায়ে সাজা দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, আর বহু প্রত্যাশিত এই বিচার শুরু হয় আওয়ামী লীগের গত সরকারের সময়ে।
আলোচনায় উপস্থিত বিভিন্ন শ্রেনি পেশার প্রতিনিধিদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে জয় প্রশ্ন রাখেন, “যারা রাজাকারদের সঙ্গে রাজনীতি করে তারা কি রাজাকার নয়? অবশ্যই। সত্যি কথা হচ্ছে বিএনপি হচ্ছে রাজাকারদের দল। তারা যদি প্রমাণ করতে চায় তারা রাজাকারের দল নয়; তাহলে এই রাজাকারের দলের সাথে জোট ছেড়ে আসুক।”
যুদ্ধাপরাধীদের দেশে ফিরিয়ে আনার প্রসঙ্গ তুলে জয় বলেন, “তারপরও তো তারা কোনোদিন একটি বিষয় থেকে ফিরে আসতে পারে না। রাজাকারদের কে ফিরিয়ে এনেছে দেশে? স্বাধীন বাংলাদেশে তাদেরকে কে ফিরিয়ে এনেছে? জিয়াউর রহমান এনেছে। এটা তারা কোনোমতেই অস্বীকার করতে পারে না।”
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে যারা যুদ্ধাপরাধে লিপ্ত ছিল, দালাল আইনে তাদের বিচার চলাকালীন সময়ে ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। দালাল আইনে আটক ১১ হাজার স্বাধীনতাবিরোধী এরপর জিয়ার আমলে মুক্তি পেয়ে যান।
এরপর ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল গঠনের মধ্য দিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়।
জয় বলেন, “এতোবছর পরে হলেও বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে। আওয়ামী লীগ যতোদিন ক্ষমতায় থাকবে তাদের বিচার সম্পন্ন হবে, বিচারের রায় সম্পন্ন হবে।”
আর এজন্য ‘যে দল বাংলাদেশে বিশ্বাস করে’ তাদেরকেই ক্ষমতায় রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে দেশের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়েও কথা বলেন তরুণ এ তথ্য-প্রযুক্তিবিদ।
“আমাদের দেশের ইতিহাসে অনেক কালো দিন গেছে, অনেক ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আমরা এ পর্যন্ত এসেছি। আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আমরা স্বাধীন হয়েছি। একাত্তর সালে বিশ্বের মহান একটি দেশ সেই পাকিস্তানিদেরকে অস্ত্র দিয়ে, প্লেন দিয়ে, ট্যাংক দিয়ে আমাদের স্বাধীনতাকে দাবানোর চেষ্টা করেছিল। আমাদেরকে ঠেকাতে পারেনি।”
বাংলাদেশ এখন আর ‘কোনো দেশকেই’ ভয় পায় না বলেও মন্তব্য করেন জয়।
তিনি বলেন, “এখন আমাদের কোনো দেশকে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। আমরা নিজেদের পায়ে দাঁড়িয়েছি, নিজেদের উন্নয়ন আমরা নিজেরা করছি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছি। আমরা বাঙালি, আমাদেরকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। আর অন্যান্য দেশ কি বলে না বলে তাতে আমাদের কিচ্ছু যায় আসে না।”
যারা নিজেদের নিরপেক্ষ বলে দাবি করেন, তাদের একটি অংশের অবস্থানেরও সমালোচনা করেন জয়।
“এখানে নিরপেক্ষতার নামে আমাদের এক শ্রেণির মানুষ যুদ্ধাপরাধী এবং যুদ্ধাপরাধীদের যারা সমর্থন করে তাদেরকে স্বাধীনতার পক্ষের দলের সঙ্গে এক পাল্লায় ফেলছে। এটাই হচ্ছে আমাদের দুঃখের বিষয়।”
ঢাকার একটি হোটেলে সুচিন্তা ফাউন্ডেশন আয়োজিত এই আলোচনায় অর্থনীতিবিদ কাজী খলিকুজ্জামান আহমদ, ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর তুরীন আফরোজ ও শিল্পী হাশেম খানও বক্তব্য দেন। সঞ্চালনায় ছিলেন সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ এ আরাফাত।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.