![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
Jungle Walk
প্রায় আধা ঘন্টা নৌকা ভ্রমণের পর বনের পাশে একটি নির্জন মাঠের পাশে আমাদের বহনকারী নৌকা থামল। নৌকা থেকে নেমে আমরা যেন হাফ ছেড়ে বাঁচলাম। আমরা রমেশের পাশে গোল হয়ে দাঁড়ালাম। রমেশ আমাদেরকে জঙ্গল ওয়াক সম্পর্কে মোটামোটি একটি ধারনা দিল। সে জানাল, জঙ্গল ভ্রমণের উদ্দেশ্য হল, বনের ভেতর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে এর বিভিন্ন গাছ-পালা, তরুলতা, বণ্য প্রাণীসমূহ সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জন। অতপর জঙ্গল ভ্রমনের সময় করণীয় বর্ণনা করল: জঙ্গলের ভেতর জোরে কথা বলা যাবে না, শব্দ করে হাসা যাবে না, ছবি তোলা যাবে তবে ফ্যাশ দেয়া যাবে না, কোন বন্য প্রাণীকে উত্যক্ত করা যাবে না, এমনকি কোন প্রাণী একেবারে সামনে চলে এলেও তাদের কিছু বলা যাবে না, এক সাথে থাকতে হবে দলছুট হওয়া চলবে না, কোন কিছু জিজ্ঞেস করার থাকলে তাকেই জিজ্ঞেস করতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি। এরপর আমরা লাইন ধরে এগিয়ে চললাম জঙ্গলের ভেতর। অনেকটা তাবলীগ জামাআতের `ঘাস্ত' এর মত। `রাহ্বার' এবং `মুতাকাল্লিম' হিসেবে সবার সামনে আছে মি. রমেশ। তার হাতের বাশের লাঠিটি নিয়েছে মি. সালেহ আর সবার পেছনে লাঠি হাতে রমেশের সহকারী যুবক। আমরা সবাই অনুগত ছাত্রের মত রমেশকে ফলো করছি। হাঁটতে হাঁটতে বিভিন্ন গাছ-গাছালি ও লতা-গুল্ম আর প্রাণীদের সম্পর্কে বর্ণনা দিচ্ছে। লোকটার রসবোধ আছে। হাঁটতে হাঁটতে এক জায়গায় এক দল বানরকে খেলা করতে দেখে রমেশ বলল, এই বনে দুই ধরনের বানর আছে। এক ধরনের বানরের মুখ কালো। ঠিক আমার মুখের মত। তারা খুব বেশি লাফাতে পারে না । আরেক ধরনের বানরের মুখে লম্বা দাড়ি-গোফ। তবে (সৌদিয়ানকে দেখিয়ে) তোমার দাড়ির মত না। তাদের দাড়ি সাদা। এই প্রজাতির বানর বেশ জোরে লাফাতে পারে। বনের ভিতর হাঁটতে হাঁটতে আমাদের চোখে পড়ল হরিণের দল, বানরের পাল, ময়ুর এবং সবশেষে দেখা হল উম্মুক্ত বনে মুক্ত মনে স্বাধীনভাবে হেঁটে বেড়াচ্ছে বাচ্চাসহ গণ্ডার।
(চলবে)
২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৫৭
বিভ্রান্ত মানুষ বলেছেন: ইয়েয়ারকি করেন?
এত শত পোস্ট কান?
৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১২
টেকনিসিয়ান বলেছেন: today episode too little
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৪০
ভ্রমন কারী বলেছেন: ছোট হইয়া গেছে ........ ++++++